জননী গো বড় স্নেহ ভূমি তারই রূপ
প্রাণ দিয়ে মিলে দেয় আলো ছায়া ধূপ।
নদী বহে কুল কুল শান্ত সে ধাম
তরঙ্গে উছলায়ে উঁচু নিচু
তান।
বিহঙ্গে মাখামাখি সবুজের ই শাখে
শিস দিয়ে গায় গান প্রতি আঁকে বাঁকে।
তাল দিঘি পারে তার ই; মেলা জমে ভারী
নাচ গান হুল্লোরে পরে নাকো
দাঁড়ি।
শাল বনে ডানে বামে বনভোজে শীতে
খড়ি দিয়ে রাঁধে রাধা, আনন্দ গীতে।
প্রেম প্রীতি বন্ধনে বেঁধে রাখে গ্রাম
এই পারে অজয়ের জেনো মোর
ধাম।


দেশাত্মবোধক লেখা,"বাংলাদেশ"


কী কদাকার ই না
আজকের ঝলসানো রুটির মত
আধ পোড়া আধুনিক
সভ্যতায়ন, নাগরিক উল্লাস
যা কিনা পরিহাসেই বদলে যায়
রাত হতেই,
চিল শকুনের অপয়া দৃষ্টির
আড়ালে যেতে পারে না
মা বোনের ইজ্জত।
এই কী!
এই কি সেই ত্রিশ লক্ষ জনতার
রক্ত দিয়ে কেনা সেই দেশ;
আমার তোমার সবার গর্বের
বাংলাদেশ।


এ বধ্যভূমে মানবতার জাগ্রত বাণী একদিন
আকাশ বাতাস হবে মুখরিত,
মুক্ত হবে বিহঙ্গ।
বদ্ধ জলাশয়ের পঙ্কিল কর্দমাক্ত ভূ লোক থেকে
উড্ডীন হবে মুক্ত আকাশে।
বাতাসে ভেসে আসবে আগমনীর বার্তা
জাগ্রত ভালোবাসায় উন্নীত হবে ধরা
স্বপ্নের কোমল
ভুবনে।


বিদ্রোহী লেখা, “লাথ দি”


ছলায় কলায় মিথ্যে বলায়
হার হারামি ন্যাতাজি।
সাধুর বেশে চুরির দেশে
কালো হাতে ন্যাতাজি।
তলায় ফুটা ঝাঝড়ি হাতা
আমার তোমার ন্যাতাজি;
দেশকে ঠকায় পিছন পানে
ঠক বাটপার ন্যাতাজি।
দ্যাশের ধনে কব্জা বসায়
ধান ভাংতে ন্যাতাজি;
সে ধন নিয়ে সুইস ব্যাঙ্ক
ট্যাহায় ভরা ন্যাতাজি।
গ্রামের পথে পাথর পোতে
জাল ফেলতে ন্যাতাজি;
নয় কে ছয় ছয় কে নয়
করতে চলে ন্যাতাজি।
ঝান্ডা যাদের উঠতে চলে
সেই দলেতে ন্যাতাজি;
চল রে ভায়া কোমর কশে
জবর এক লাথ
দি।


রম্য রচনা, "সুহাগ"


তুকে মোক ব্যবাক ভালা
লাগেই বলি মুই
বিহা কইরা আনুম তোরে
খাইতে দিমু
দই।


আর মুড়কি সুহাগ মাখা
ঠাইসা দিমু মুখে
রাইত আইলে দূর রইলে
দুঃখ দিলে
মোকে।