"জয়ের গান"


বদ্ধ ঘরের চার দেওয়ালে দেখছি মোরা জগৎ টাকে
দেশ হতে দেশ মরছে মানুষ দেখছি মোরা টিভির ফাঁকে।
দিক হতে দিক কান্না রোলে
নিথর হৃদয় গরল তলে,
কাল করোনা মারছে মানুষ; সামনে তার ঐ পাচ্ছে যাকে
হুল বিঁধানো শক্ত কামড় কন্টকেতে গাঁথছে ত্বকে।


হাঁচছে মানুষ সর্দি কাশি সপ্তা গলে জ্বর ঐ বাসি
ছাড়ছে না কেউ রাজায় কিবা তার সেবাতেই রয় সে দাসী
আঁধার তলে পরাণ দোলে
কেউ না রয় তুলতে কোলে,
মৃত্যু হলে জীবন গলে; কেউ তো না রয় শ্মশান বাসি
কাঁদতে বুকে কপাল ঠুকে বলতে না রয় ভালোবাসি।


কেউ বলে না একটু দাঁড়া দিতেই রে তায় ফুলের তোড়া
সাজিয়ে কফিন ধূপ আর ধূনোয় সঙ্গে নিয়ে মাটির সড়া।
সংক্রমণের হিংস্র থাবা
মরণ যেচে চায় বা কে বা!
করোনার ওই হলাহলেই; কাঁদছে মানুষ কাঁদছে ধরা
কোন সে দেশ কোন সে মুলুক রোগ ব্যাধিটি আনলো ত্বরা।


চিন দেশের ঐ উহান প্রদেশ সেই যে শুরু রোগের বহর
হাওয়াই জাহাজ ধরেই সে রোগ ব্যাপ্ত আজি নগর শহর।
লক ডাউনে নাই টাউনে
আজ যে সবাই রয় গাউনে,
মুখোস মুখে অনেক দুখে; পারছে না কেউ করতে ঠাওর
মরছে সবাই ঘর পরিবার প্রবাস থেকে আসলে দেওর।


নেইকো ঔষধ নেই কো টীকা করাল ছায়ে কুজ্ঝটিকা
দেশ হতে দেশ দেশান্তরে মৃত্যু বেশে হর ঘটিকা,
প্রলয় নাচে মত্ত সে রয়
অর্থনীতির হচ্ছে রে ক্ষয়,
তাহার মাঝেই মুক্ত বায়ে হটাত চিনেই হয় সে ফিকা,
শঙ্কা জাগায় শক্ত ধাঁধায় করোনা কি তাদের ফেকা!


জয় জননী জয়ের ধ্বনি গাইবো মোরা আকাশ পানে
বীর যে মোরা সহোদরা ; বল বুকে মা প্রাণে প্রাণে,
ভয় নেই মা তোমার ওগো  
যতই কঠিন হোক না রোগ ও  
যুযুধান ঐ শক্ত রণে ; মারবো ছুঁড়ে ভাটির টানে
জয়ের গানে দীপ্ত আকাশ গাইবে পাখি মধুর তানে।