"জ্যোতি"
(গতকাল কেন দীপ জ্বালিয়েছিলাম)


দিও গো দয়াল পরম ওগো; দিও গো দিব্য জ্যোতি
দিও গো দয়াল পরম আজিকে; আঁধার ঘুচায় রাতি।
কি ভীষণ রণ জুঝিতে পরাণ রুদ্ধ দুয়ার কোণে
মৃত শত শত, হাজার নিযুত; মৃত্যুর
কোলে ঢলে।
গগন ভেদিয়া উদিছে সে রোল কান্নার ধরা গীত
দূরে দূরে সবে রয়েছি দাঁড়ায়ে শঙ্কা ও ভয়ভীত।
বলয়ে বলয়ে আজিকে প্রলয়ে গ্রাসিতে মেদিনী তল
দমকে দমকে কাঁপিছে ভূতল; ক্লিষ্টতা
হলাহল।
জঠর জ্বালাতে দীনোজনে আজি অনাহারী শত কত
পারি নি সে প্রাণ, ক্ষত সে শুখাতে ধরিতে মহান ব্রত।
বিরম্বনার সে পল অতি করোনার বিষ ছায়ে
কুপিত কেন হে বিধাতা আজিকে; কোন সে
পাপের দায়ে।


আজিকে জ্বালিনু মুক্তির দ্বীপ দুয়ার দুয়ার দ্বারে
দিও গো দয়াল জ্যোতি সে পরম, দূরীভূত
করো তারে।


“গড়াগড়ি”


গরিবের রক্তে কেনা সোনার মুকুট
হীরের জৌলুসে নিখুঁত কারিগড়ি।
ভাগারের উচ্ছিষ্টে গড়াগড়ি খায়
সর্বহারা।


“শক্তি”


মানবের আহারের, নহে নহে বাহারের জরুরী তা দরকার
সচেতন হবে সবে একই সুরে কথা কবে সেটা দিও সরকার।
ভূখা পেটে রণে মেতে যদি বল জান দাও
বিনিময়ে শুখা বাণী মুফতেতে নিয়ে যাও,
চুলা যদি নাই জ্বলে অনলটা কোথা পাবে! শক্তি সে চরকার।