মানুষেতে কলুষিত আজি ধরা তলে
নাহি মান নাহি হুশ কদর্য যামিনী!
কুটিলতা দ্বেষ ভাপ হলাহলে ভুলে
মাতা জায়া কাঁদে শোকে কাঁদিছে দামিনী।
দিকে দিকে বিষ ঝরা হায়েনার হাসি
হিংসা ও দ্বেষ বীণ ছল কপতটা;
গরলেতে ধরা ভাপে ব্যথা রাশি রাশি
বেদনার গাঙে ভাসে সেই কতকথা।


শিখরেতে ধরা বাণী উচ্চ সে ভাঁও
প্রেম ধন হরণেতে সবই যান্ত্রিক
মানবতা পলায়িত দূর দেশ গাও
কলির ঐ শেষ কালে সুদূর প্রান্তিক।
যুগে যুগে কালে কালে ক্ষয় মানবতা
প্রেম দিয়ে গাঁথি মালা চাহি আজি ভিক।


গীতিকাব্য, "বসন্ত এলো রে দ্বারে"


বসন্ত এলো রে দ্বারে, মণিহারে; চম্পা কলির মেলা
এসো হে মালতী এসেছে দ্বারেতে সাজায়ে
বরণ ডালা।
আজি বসন্ত এলো রে। এলো রে এলো রে;
আজি বসন্ত এলো রে।
জীর্ণ যাহা সিক্ত নীহারে গাছে গাছে ফুলে ফুলে
সন্ধ্যা মালতী হাসিলো আজিকে আনন্দে দুলে দুলে। এলো রে!
আজি বসন্ত এলো রে
দ্বারে।
ঐ ঐ চঞ্চল, বলাকার বুকে ধরা; আনন্দ রাশি রাশি
ফুলে ফুলে ফলে ফলে প্রেমের ওই বাজে বাঁশি।
বাঁশরীর মাদকতা; বেদনাতে নাহি ম্লান
বসন্তে হেসে খেলে; হেসে খেলে হেসে খেলে
জীবনের জয়োগান।
প্রদীপ্ত আলোকেতে চল মোরা উঠি মেতে; হিল্লোলে
জয়োগানে মনে প্রাণে; প্রেমের ঐ ধ্বনি সনে
উল্লাসে।
এলো রে, এলো রে ; বসন্ত এলো রে দ্বারে
শাখে শাখে পাতায় পাতায়; অপরূপ
মণিহারে।
এলোরে , এলো রে; বসন্ত এলো রে
দ্বারে।


“শ ম শহীদ”


শ ম শহীদ কেড়ে নেয় হৃদ
কোমল সে হৃদয়েতে আপন সুহৃদ।
ছড়া লেখা মন কাড়া
অপূর্ব মনোহরা,
দেখি ভাবি ভাবনাতে তিনি ভাষাবিদ।


ছন্দের দোলাতেই দোল দিয়ে যান তিনি
তামা নয় সীসা নয় আসলেই সোনা গিনি।
গল্প সে অমরতা
পাবে বলি কতকথা,
ছড়া আর ছন্দেতে তার কাছে মোরা ঋণী।


“রাজনীতি”


করোনাতে রাজনীতি! তা বেশ তা বেশ
বাক আর বকমেতে নীতিহীন
দেশ।


“আজকের জ্ঞান”


আজকের জ্ঞান চেনে না; সর্বহারা গরিবের দল।
সোনার চামুচে জন্মেছে যে-
বুঝিবে কী সে; বেদনার
ঢল!