Sanjay Karmakar shared a link.
Founding Members · YgtSpeusteonirsrdcaanaolrgmmy asst oeS8:e56h PihodM ·
বিরহের লেখা, "কাজলা দিদি কই" (ছড়া কবিতা)
(দ্বিতীয় তথা শেষ পর্ব)
- সঞ্জয় কর্মকার


(সেদিন কবিতাটি লিখে ছোট্ট খোকাকে এত দুখে ফেলে ভাল লাগে নাই তাই আর একটি পর্ব লিখতেই হলো তার দুঃখ কিছুটা হলেও লাঘব করবার উদ্দেশ্যে)


প্রথম পর্ব


বাঁশ বাগানের ছায়ার তলে ছোট্ট খোকাখুকি
পুতুল খেলায় মত্ত সবে অনেক হাঁকাহাঁকি।
বর এসেছে বরযাত্রী সাজো সাজো রব
অনেক মজা অনেক খুশি উচ্চ কলোরব।
রসুই ঘরে রান্না বাড়ি অনেক হই চই
মাগো আমার মনটি কাঁদে কাজলা দিদি কই।


বিলের জলে পদ্ম পাতায় খেলতে যখন যাই
মাগো আমি হাপুস নয়ন কাজলা দিদি নাই।
পদ্ম দলের দল দলেতে জানতে মাগো চায়
একলা আমি কেনই মা গো কাজলা কোথায় ভায়!
বিলের জলে সাঁতার কেটে বলতো দিদি হেসে
ভয়টি কিরে ডুবটি দে না থাকবো তোর ঐ পাশে।
কোথায় মাগো কোন দেশেতে রাখলে তুমি তারে
কেনই শুধু ফুলের মালায়; কাঁদই তুমি মা রে!


রাত্রি ঘন আঁধার যখন তারায় তারায় ভরা
দিদি আমায় বই শেখাতো ধরতো নানান পড়া।
মিষ্টি দিদি কঠোর তখন করলে পরেই ভুল
ঠাস ঠাস ঠাস মারতো গালে টানতো জোরে চুল।
কাঁদলে তখন জড়িয়ে বুকে সোহাগ দিত গালে
তাই তো মা ইচ্ছে করেই; পড়াই যেতাম ভুলে।
ও মা তুমি চুপটি কেন দেও না মা গো বলে
বলোই না মা কোথায় দিদি সেথায় যাব চলে।


দ্বিতীয় পর্ব


ব্যথার প্লাবণ জড়িয়ে প্রাণে মা কেঁদে কয় ডুকরে সোনা
পারিজাতের দেশ ঐ আকাশ; সেই পানেতে যেতেই মানা।
জড়িয়ে খোকায় শক্ত পাশে কাঁদতে যে রয় উচ্চ নাদে
খোকার ব্যাকুল মন বোঝে নাই; কোন সে আকাশ কিংবা খাদে।


বিষাদ বিধুর ক্ষণ সে অতি কাঁদছে মাতায় কাঁদছে ছেলে
কেমন করে কইতে তারে; ভাবতে যে মা গহিন তলে।
বললো উজল ঐ যে তারা, রয় যে সদাই তোর ওই সনে
স্নেহের আশিস কিরণ বারি; দিব্য সুধায় ভরায় প্রাণে।


সেই থেকে রোজ বাঁশ বাগানে উঠলে যে চাঁদ মাথার পর
খোকন সোনা সেই দেশে তেই বাঁধলো যে তার আপন ঘর।
ঢুলুঢুলু হয় যে আঁখি ঘুমিয়ে সে যায় তারার দেশে
হরেক কিসিম খেলতে দিদি উদয় যে হয় তার ঐ পাশে।


দিন কাটে তার ব্যথায় ব্যথায় রাত ঘনালে সুখ
আর নয় সে বিষাদ বিধুর দূর হলো তার দুখ।