(মজার ব্যাপার। আজকেই সবচেয়ে কম সময় দিতে পেরেছি আসরে অথচ লেখা হয়ে গেছে অনেক বেশি। যার যতটুক ইচ্ছে পাঠ করবেন, গাল দেবেন না কিন্তু।)


“কতকথা”


বেদনার গীতে ভরিছে আকাশ স্তব্ধ নিশাতে ভারী
ঘন ঘোর নাদ চমকিত হৃদ; হরিছে
নিদ্রা হরি।
তাহারই কাকলি বাজিছে উছলি ভগ্ন হৃদয়ে মোর
তমানিশা আজি ঘেরিছে পরাণ; ঘেরিছে
হৃদয় দোর।
আছিলে কাছেতে যবে বুঝি নাই তোহে বিহগের কত কথা
যাপিত যামিনী দিয়েছি কামিনী; কত শাপ
কত ব্যথা।
ভগ্ন ডানাতে উড়িতে আকাশে আজিকে নাহিকো পারি
শত ঘাত হৃদে পলে পলে দেয়; তীখ্ন সে
তরবারি।
অসির বাড়েতে লহরে পলেতে কশায় সে ঘাত লেখা
দিতেছে চাবুক আজি, নীরবে সহিতে; ব্যথারই
কতকথা।


(লেখাটির আমার করা ইংরেজি অনুবাদ)
(The ultimate realization)


The sky has became heavy with a lot of pain
Moaning and roaring in acute misery
Peace of mind has gone and
Night becomes nightmare
Again and again.
Remembering the sweet melody of your voice
My heart and soul has broken into pieces;  
It's overwhelmed in gloom and
It makes listless my
Room.
I did not realized how loving you are
When you had with me there.
How many curse and pain you had to bear
And how much dropping of the
Tears.
Now I can realize
That breaks my wings and I can't fly
Which sharply ditching my heart and soul
The memory of
Thy.
You shall remain in my heart
With acute pain……….
Be happy where there you are
In.


“ঘাটের মরা”,(শিশুতোষ লেখা)


লিখতে রবি দন্ত ধারে কুপাই নদীর তীরে
দক্ষ আর প্রজাপতি, যক্ষ রাজার
ঘরে।
জজ জজমান ভিড় ঠেলিতে বেল পাতার ঐ পাত
দুপুর গেলো সূর্যি পাটে; জুটলো নাকো
ভাত।
ভ্রমর যেমন মধুর গীতি পরাগ পানে ধায়
শুষ্ক তনু শুকনা গলা দুঃখ অতি-
শয়।
খুরতে কেঁচো সাপ রে ভায়া কোথায় পাব বীণ
দত্তি দানো নাচছে তালে, নাচছে তা ধিন
ধিন।
ধিনাক ধা'তে হার ক্ষেপেছেন ওই পাড়ার ওই বুড়ো
হার্টের নাকী শক্তি যে নাই; ঘাম ঝরিছে
দড়ো।
রাখব বোয়াল কানুর কাকা কান ধরে ক্যান মারে
ভাঙছে লাঠি দিচ্ছে কিল, শাল বনের ওই
পারে।
বোল্লা মাতা কোথায় তুমি জলদি আসো ধরা
বাঁচাও মোদের এই যুগেতে; হলেম ঘাটের
মরা।


“দাস”


দাঁড়িয়ে দোরে আমার পানেই; চাইতে কেন!
চোখের তারায় জ্যোতির বলয়
জ্বল জ্বলিয়ে জ্বলছে
হেন!
কোন সে ভাবের দোলায় আমি; দুলছি দোদ্যুল
বান ডেকে আজ হৃদয় দোরে;
থই থই থই; পাই নে
কূল।


গোলাপ বকুল জুই চামেলি, শিউলি তার ঐ শ্বাস
অঙ্গে তার ঐ রূপ সে মাখা
বাসন্তির ওই
বাস।
গেলাম ভেসে স্রোত সে পানি;
আজ হতে তার  
দাস।

“তাল তাপ্পির গল্প”


এই সেরেছে সেরেস্তাতে ডাক যে এল আমার ওই
রাখতে ভালো তোমায় যে সই, পকেট ফাঁকা
পাইসা কই!
নাচিয়ে ভুরু হলোই শুরু নৃত্য গীতের আসর আজি
পাইসা ভরা পকেট ভালো, না থাকলে বলো
পাজি।
হ্যা জী! এই তো বাণী প্রেম ভাবেতে আজকে ধরায় চলে
উড়তে আকাশ হাওয়াই বাঁশি, বাঁশ দিয়ে যায়
তলে।
তাল তাপ্পির গল্প জুরি, হাহাকারেই প্রাণ
ভালই আছি খুনসুটিতে, গাইছি প্রেমের
গান।


(একটি অতি আধুনিক কবিতা)
(কবিতাটি আসরের প্রিয় কবি, "প্রণব লাল মজুমদার", মহাশইয়ের প্রতি নিবেদিত)


“বলো হরি, হরিবোল”


একদিন ইতিহাস আর লিখতে হবে না আর সে দিন খুব একটা দূরেও নেই। হয়তো বা আর কয়েকটি শতক, মহাকালে্র বিচারে যা নস্যি মাত্র। ফুস করে কেটে যাবে। যেমন কেটে গিয়েছে দুর্দান্ত পরাক্রমী মোঘল দের দু দু শতক আর পরাধীনতার অভিশাপে পরম প্রিয় মাতাময়ীর শৃঙ্খলিত পরাণ। যে হারে প্রদুষিত হচ্ছে প্রকৃতি, আবহাওয়া আর সাথে তেজস্ক্রিয়তার থাবা, আধুনাতেই থরহরি বোল উঠে গেছে। কোথাও অকাল বর্ষণ আবার কোথাও বা খরা। পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বেড়েই চলেছে। যাকে বলা হয় গ্রীন হাউজ এফেক্ট। কার্বন এর ধর্ম হল তাপ ধরে রাখা। যে তাপ দিয়ে যাচ্ছে আমাদের মাই বাপ তা তো বায়ুমন্ডল ভেদ করে পৃথিবীর পৃষ্টে আছড়ে পরে কিন্তু কার্বন নাছোর বান্দা। তা কিছুতেই ফেরৎ দিতে চায় না। কাজেই, যা ঘটবার তা তো ঘটবেই। হিমবাহ যা ৯০ ভাগ পৃথিবীর জলই ধারণ করে রয়েছে, প্রকৃতির ক্রোধানলে পুড়ে পুড়ে ছাই। গলতে শুরু করেছে তা। সমুদ্র সে তো এত জল ধারন করতে পারে না। তাই দুরন্ত সুনামিতে ভাসিয়ে চলেছে শহর নগর বন্দর। লক্ষ লক্ষ তাজা প্রাণের বলি। বলবো আর কী! আর কিছু দশকের মধ্যেই বেশ কিছু দেশ, শহর নগর খেয়ে নেবে সে। তারপর! তারপর! কয়েক শতক পর যখন পৃথিবীর তাপমাত্রা জীব বৈচিত্রের সহন শক্তির বাইরে চলে যাবে তখন ভয়ঙ্কর প্লাবনে ঠাণ্ডা করে দেবে ভূমিপৃষ্টের সকল অঞ্চল। প্রাণ শক্তির অবসানে আর দরকার পড়বে না খাতা বই এর। ইতিহাস লেখবার মত পেন হাতে বসে থাকবে না আর কেহই। বলো হরি, হরিবোল।


“বজ্জাত”


কন কী ভায় সাহস ভারী পাঞ্জি তুলার ভাত
হারামখোরে উড়ছে আকাশ; মদ মেয়েতে কাটায় রাত!
রাঁধি খাই মূলটাই
ধরি চলো সলতাই,
করি রণ কালি ছেড়ে, নিপাতে তে বজ্জাত।


“জকি”
(সারমর্মঃ সরকারের দরবার হতে ক্ষতিপূরণ তা সে যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন, বছরের পর বছর কেটে যায় তা আদায়ে, যা কীনা এক নিমেষেই হতে পারতো। অথচ সে দাবি আদায়ে কতই না চিঠি চাপাটি আর ধর্ণা ও পথ অবরোধ)


বাপ রে বাপ গরুর শিঙ, গুতিয়ে দিল সত্যি নাকী
লুঙ্গি ছিঁড়ে ব্যথা খেয়েই বলুন দাদা কান্ড সে কী!
লিখবো চিঠি সরকারে
অনেক টাকার দরকারে,
খরপোষ তো আদায় নিবই, নইলে নিব গরুর জকি।


থাকলে জকি বাঁধবে গরু ঘোড়ার মালিক সেই না কী না!
এমন তেমন কান্ড তো আর, রাস্তা ঘাটে আর হবে না।
মিটিং মিছিল অবরোধেই
থাকবে হতে অবাধেতেই,
তড়িৎ করুন পত্র ধরুন, বলেই ফেলুন দেবেন কী না।


“খাতা”


ব তে ব্যর্থতা
জীবনের খোলে
খাতা।