রাত ৮/৪০ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ নির্মান হলো রবিঠাকুরের লেখা "হিমাদ্রির ধ্যানে যাহা" কাব্যটি।


রবিঠাকুরের কাব্যটি এইরূপঃ-


হিমাদ্রির ধ্যানে যাহা
হিমাদ্রির ধ্যানে যাহা
স্তব্ধ হয়ে ছিল রাত্রিদিন,
সপ্তর্ষির দৃষ্টিতলে
বাক্যহীন শুভ্রতায় লীন,
সে তুষারনির্ঝররিণী
রবিকরস্পর্শে উচ্ছ্বসিতা
দিগ দিগন্তে প্রচারিছে
অন্তহীন আনন্দের গীতা।

আর আমার লেখা কাব্যটি এইরূপঃ


“হিমাদ্রির ধ্যানে যাহা”


হিমাদ্রির ধ্যানে যাহা, তারে
জাগাইতে ধরি নেশা,
গলিপথ সরণি বেয়ে উতরোল অবডালে
অরন্য রোদনেতে বাঁধিবারে
বাসা।
সে পাখি সোনার খাঁচা ব্যূহ ঘেরা প্রাণ,
গাহিনু শতেকো তাহারি তল দেশে
ধরিতে প্রেমেরো
গান।
উন্মাদনাতে প্রেমেরো কামনাতে
আকাশ গাহিনু গীতি,
হিমাদ্রির ধ্যানেতে তাহারি পরাণ
দিতে নাহি
পরিচিতি।
সূরজমুখী ডুবিনু ভাসিনু
দিশেহারা অঞ্চল,
প্রেমেরো ভাবেতে গাহিনু ফিরিনু
হৃদ প্রাণ
চঞ্চল।
চঞ্চুতে তারি ওষ্ঠ কোমলো
হেরিতে দিবানিশি,
ঘন কুন্তলো ভৈরব কালো
কেশেতে তাহারি
মিশি।
অমলিন মুখোরাজি দীপ্ত প্রভাত শোভা,
নয়নো যুগলো ঘন অঞ্জন কায়
লিপ্ত আলোকো
প্রভা।
বক্ষ সে মান সর্পিল ধায়
অমরাবতির প্রায়,
বিদ্যুৎ সম চমক সে দ্বীপ
চক্রব্যূহেতে প্রাণ
ধায়।
দিবস রজনী শুনিতে সে বাণী,
হিমাদ্রির ধ্যানে যাহা,
লভিতে ধরাতে প্রেমেরো সাগরে
মিলনো কামনা
তাহা।
মন্দির পূজি মসজিদ পূজি
জ্বালি দ্বীপ পীরেরো
থান,
আলোকো রশ্মি তাপিত ধারা
কামনাতে মনপ্রাণ।
তপ্ত সে ধারা মাগিনু প্রভাতে
হিমাদ্রি বিগলনে,
আনিতে প্রেমেরো স্নিগ্ধ পরশো
হিমযুগ অবসানে।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "জ্ঞানেতে জাগরণ-(ব্যঙ্গ) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


জীবন জ্যোতি


ডুবতে তরী জ্ঞানের আলোক উব্ধে গগন তল,
হাজার মানিক জেল্লা ধরা অন্তরে
ছল বল।
ছল বলেতে ধরতে ধরা হিরক জ্যোতি ঠিকরে পরে,
জ্বল জ্বল জ্বল জ্বালতে পরাণ
গ্রাম কিবা ওই নগর
দ্বারে।
হিরে মোতির বান সে ছোটে ছল চাতুরির ধান্দা রে,
দেশ জনগন ছন্নছাড়া-ছুটতে দিশা
আঁন্ধারে।  
জীবন জ্যোতি নিভু নিভু বিশ্বাস আর প্রেম জগতে,
বাজতে সাঁনাই খোল করতাল-রাজনীতি
ওই জ্বালায় মেতে।
অরূপ রতন জীবন কাহন আর বাজেনা সুরটি তোলে,
শঠ শঠতা কট কপটা-আকাশ বাতাস
কান্না রোলে।
চল অবসান করতে ধরা মাদল বাজাই আজ গানেতে,
দ্বার দ্বারেতে জ্বালতে আলোক-চাইতে দিশা
পূব পানেতে।


প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "আশায় বাঁধি খেলাঘর (মাটির গান)" কাব্যের উত্ততে কমেন্ট বক্সে লেখা গীতি কবিতা।


জয়োগান


নগরের পথে পথে উল্লাসে প্রাণ মাতে,
বাঁধে খেলাঘর, ফুটপাতে ফুটপাতে
ডালি মিলে ডালি মিলে
সাঁজঘর।
জীবনের আহ্বানে বিকিকিনি করে সবে
ফুটপাত;
লাখ লাখ মানুষের সম্বল-
জীবনের আরতিতে পথ ঘাট মাঠে বহে,
মাঠে বহে অবিরল।
সারি সারি বাড়ি গাড়ি
দাপাদাপি কোলাহল।
মিঠুদার কফিশপে ব্রেড আর বাটারেটে,
চা কিবা কফিকাপে
ফাটাফাটি হিল্লোল।
আশপাশ গ্রাম হতে পসারীর ঢল ওঠে
বিকিকিনি কামনায়,
বাজারেতে পথে ঘাটে সবজির মন্ডিতে
লাভ ধরা বাসনায়।
অনন্ত উল্লাসে কিশোরি সে প্রেমে মেতে,
পার্কেতে ময়দানে,
হাতে হাত গালে গাল
পরিনয়।
হায়ানার ধ্বনিরবে আকাশ সে বিষ ভাপে,
ছল আর চাতুরিতে, ছল আর চাতুরিতে
বারি জল বন্যায়।
চঞ্চল প্রাণ হেথা ক্রেতা আর বিক্রেতা,
ক্রেতা আর বিক্রেতা-
জমকালো রশ্মিতে ফুটপাতে কলোনিতে
অবিরল-প্রাণ মাতে উল্লাসে
জীবনের জয়োগান।


প্রিয় কবি রেজুয়ান চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "শিশু জীবন-(ছড়া) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


জীবন মানে যুদ্ধ


জীবন মানে যুদ্ধ সদাই দারুন কলরব,
জীবন মানে স্রোতের ধারা-
দুঃখ সুখের
খোয়াব।
বল্গাবিহীন লাগামছাড়া বইতে নদের জল,
পার হতে যাই জীবন সাগর
দারুন হলাহল।
সেই রবেতে ধরতে দিশা হৃদয়পঙ্খী গাইতে গান,
তুফান লহর ঝড় জলেতে
করুণ অবসান।
গাইতে গীতি সংসারেতে সৎ ভাবনার বালাই ষাট,
চলতে পথে শট ছলনা-জল খাইতে
অনেক ঘাট।
ঘাট ঘাটেতে নোঙ্গর বাঁধা পায়েই দিতে বেড়ী,
কান্না অনেক বুকের মাঝে-বইতে ভবের
তরী।
ত্বরিৎ বেগে সুখ বয়ে যায় দুঃখ তুফান আঁধি,
ঝড় ঝঞ্ঝা প্রলয় নাচন-জন্ম
নিরবধি।
তাই ভগবান তোমার ডোরে ঠেকাই আজি মাথা,
সৎ ভাবনায় ধরতে জীবন-দাও শক্তি
হে বিধাতা।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কথা অমৃত ১৫২" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


বিশ্ব সংসার,


জীবন দর্শণ হতে লাগে মানুষের-বিশ্ব সংসার,
পাশবিক সবে পালন করিছে
মাতম করিছে
সার।
জয়োগান ধরে আপনো আপনো ভুলিছে মানুষ জাতি,
জাত আর ধর্মতে মেতে-হানাহানি আর
শত বজ্জাতি।
গৃদ্ধ আপনো সংসারে বিধাতা রচিল তারে,
মানব আজিকে গৃদ্ধ হৃদয়ো
বলো কোন
দরকারে!
যাপিত রজনী কান্না বহিতে দিক হতে দিকে,
মানবতা আজ দানবতা কেন
সে রং মানবের
আজি কেন
ফিকে।  
আজিকে রোদনেতে কাঁদে কেন দশ দিশা,
রক্ত লহ্যুতে রচিত ইতিহাস-ঘন ঘোর
তমানিশা।
আজিকে পরাণ হিংস্র দানবো রুক্ষতা কেন দিকে,
হরণো আজিকে মাতা আর ভগিনীর
বেদনার ধরা
গীতে।
ঈশ্বরে আজিকে শুধিতে পরাণ হৃদ প্রাণে কই ব্যথা,
আজিকে ধরায় আসিতে ত্বরায়
বধিতে দানবো
যথা।


প্রিয় কবি ক ম ল দাশ গুপ্ত মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মানুষের মুখ" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


হাসোতো দেখি


মুখের কথাই আনতে পারে বিশ্বশান্তি আবার
বইয়ে দিতে পারে লহু স্রোতধারা,
ধর্মীয় উন্মাদনা গার্হস্থ্য বিভ্রান্তি
তথা বিবিধ
জটিলটা।
বিপরীতে দিতে পারে ফাল্গুনী স্নিগ্ধ হাওয়া
রূপের ডালি মেলা বসন্ত,
কথার ব্যাবধান হাসায় কাঁদায়
আদি পাণ অন্ত।
তাই কথা চাই মুখ হাসি
চাঁদবদনী-কই
হাসোতো
দেখি।