“অঙ্গীকার”


যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ সদা করি যুদ্ধের আহ্বান,
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাবার দৃঢ় অঙ্গীকার,
আজিকে পণেতে জীবনো দানিতে
রণেতে বেঁধেছি গান।
আজিকে সোপান যুদ্ধ তলে আগুন ঝরা লহুর তালে,
ঝাপ দিয়েছি গগন তলে
মুক্ত বায়ুর আবাহন,
আজ দরিয়ায় আগুন জ্বেলে ধ্বংস সোপান প্রাণটি মিলে-
দানবতার করতে নিধন।
রক্ত ঝরা আজ সে ফাগুন গনগনে আঁচ তাপ সে ধুম,
ধুম্রজ্বালে শান্তিবীণা ধ্বংস বীণের
জ্বলতে আগুন।
আজকে ধরা আগুন ঝরা রক্ত নদী বইছে বান,
দিক বিদিকে কান্না রাশি, আর পৃথিবীর
রইতে প্রাণ।
আয় রে সখা আয় রে সখী আজ আগুনে রক্ত খেলি,
দুঃশাসনের বক্ষ নিশান, খেলতে আজি
আগুন হোলি।
সেই আগুনে পুড়াই আজি দানবতার কথা কলি,
এই শিশুরে আজকে দেব, প্রশান্তির ঐ
প্রভাত কলি।
যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ সদা করি যুদ্ধের আহ্বান,
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাবার দৃঢ় অঙ্গীকার,
আজিকে পণেতে জীবনো দানিতে
রণেতে বেঁধেছি গান।


“দোষ কেন দিস বিধাতায়”


গরীব ধনী কর্মে গড়ে দোষ কেন দিস বিধাতায়,
সমান ভাবে একই দেহ গড়েন তিনি
সাম্যতায়।
বুদ্ধি বিবেক শক্তি মনন সবায় দিলেন এই স্নেহে,
শক্ত সবল দুহাত দিলেন প্রাণ ইন্ধন
সকল দেহে।
এক ধরাতল দিলেন তিনি সুস্থ জীবন যাপনেতে,
আর ভক্তি প্রেমের ভাষা মিশিয়ে দিলেন
হৃদ মনেতে।
সদ্ভাবনায় গড়তে হৃদয় সহিষ্ণুতা প্রেমের বাণী
শস্য শ্যামল দুঃখ হরা গড়তে তিনি
ধরাখানি।
মদমত্ত দম্ভে ভরে মানব তারি শিথান গড়ে,
বাদ বিবাদে হিংসা তলে দ্বেষ বিদ্বেষ
কন্দরে।
দুষ্ট খল শঠ শঠতায় মিলতে জীবন কাহন অতি,
সব ভুলে মন ভালোবাসা প্রেম দানি আর
সম্প্রীতি।
যুদ্ধ ভূষন করলি প্রাণী আর ছলনা রতির ভ্রম,
ধনের পাহাড় গড়তে শিখর ভ্রান্ত দিশা
মতিভ্রম।
আর গরীবে কান্না সোপান যুদ্ধ প্রাণের ভুলতে চলে,
এক পৃথিবী দায় বিধাতায় দুষ্ট খল
বলতে চলে।
প্রাণের সে ভীত কর্মে গড়া ধর্মে গড়া মানুষেরই
কপালপুরে নাই রে কিছুই ঊষার আলোক
কর্মে’রি।
কর্ম যেমন ফলও তেমন দোষ কেন দিস বিধাতায়
হোম যজ্ঞ কর্ম দিশায় মন্দির নয় নয়
গির্জায়।
গরীব ধনী কর্মে গড়ে দোষ কেন দিস বিধাতায়,
সমান ভাবে একই দেহ গড়েন তিনি
সাম্যতায়।


"বাঁচা গেল"


রে বুলবুল কই গেলি রে হিতাক পানে চা'না বে,
আর দেখে যা আমায় শুধু সেদ্ধ ভাত দিচ্ছে রে।
খুব মজা না শিস বাজালি, যেমন তোর চিন্তা নাই,
আলসারটা পেটের মাঝে জানটা আমার খাচ্ছে ভাই।
আর কি জানিস দিনরাত মান ধুম্রপানেও কাঁটাছাড়া,
শরাব পানি রাত্রিবেলা-আর কি বুল যায় কি পারা।
তাও তো গেল দশটি দিন আর কতকাল ভুগবো রে,
মাছ মাংস শরাব পানি-খেতে বড় ইচ্ছে বে।
তাও কি জানিস লুকোচুরি ফুক ফুক ধূম দিচ্ছি দম,
জানের বাজি রেখে বুল তিন পেগ কাল মেরে দিলাম।
শিস বাজালি, বাজা বাজা, কি আর হবে মরব তো রে,
ছাতিম নিয়ে লাটিম খেলা বন্ধ হবে ঘুমের ঘোরে।
কাব্যগাঁথার গোলকধাধায় আর হারিয়ে মন যাবেনা,
আসরটাতে কবিগুলান লম্বা লেখা আর পাবেনা।
তাও কি ভাল স্বস্তির শ্বাস-নেবে সবাই আঁচল ভরে,
"বাঁচা গেল", বলবে সবাই-খেয়াল গেছে অনেক দূরে।


“নানার বাড়ির গান”


না না না!
নাচ দেখতে আর যাবোনা।
নান নানির কীর্তিকলাপ
নাক কাটা গান আর
গাবোনা।
না না না!
নানার বাড়ি আর যাবোনা।
নানা যখন অপিসবাসি
নানি শালার বাজায় বাঁশি,
নষ্টিফষ্টি সাত কাহনের  
নাটক রে ভাই
দেখব না।  
না না না!
নানার বাড়ি আর যাবোনা।
নানা নানির কির্তনেতে
নরক জ্বালা উঠল তেতে,
নফরত ভাই আর প্রাণেতে
নাভির তলো দেশের
থেকে; ভীষম ঢেকুর
নাড়িভুড়ির; আর ঠিকানা
রইল না।
না না না!
নাচ দেখতে আর যাবোনা।
না না না!
নানার বাড়ি কক্ষোনো না।