আজকের সংযোজন সমেত কবিতাটিকে সমাপ্ত করলাম।


“কেউ ছাড়া পাবেনা”


কেউ ছাড়া পাবেনা! কেউ ছাড়া পাবে না যারা-
যারা এ পবিত্র ভূমে আপামর জনে
ছড়িয়েছে বিদ্বেষ বাণী, কালিমালিপ্ত গিরি কন্দরে
হৃদয় এঁকেছে গ্লানি, বড় অভিমানী,
সে যে বড় অভিমানী। তাহারি শ্বাসেতে,
প্রলয় বাসেতে বাজিছে ঢঙ্কা, রুদ্র প্রলয় শিখা,
শিরায় শিরায় প্রদাহ জ্বালা
কুপিত ভালেতে রেখা।
কুঞ্চিত ভ্রু গনগনে আঁখি চকিতে হানিতে ঘাত,
দূর্জন আজি শুনিতে কি পাস
প্রলয় নাচনে ভবনে ভুবনে
হানিতে প্রত্যাঘাত।
কেউ ছাড়া পাবেনা! কেউ ছাড়া পাবে না যারা-
যারা এ পবিত্র ভূমে আপামর জনে
ছড়িয়েছে বিদ্বেষ বাণী, কালিমালিপ্ত গিরি কন্দরে
হৃদয় এঁকেছে গ্লানি, বড় অভিমানী,
সে যে বড় অভিমানী।


আকাশেতে যারা ফেনাইছে বিষ কবন্ধ প্রেত যোনি, (গতকালের সংযোজন)
বিষাক্ত শ্বাস রিক্ত মেদিনী,
অস্ফুট বেদনার ধ্বনি।
আলয়ে নিলয়ে যারা কেড়ে নিতে ধন
মানবতা ইন্ধন; কভু কি ধরা তাহাদের করিয়াছে ক্ষমা,
কভু কি সাধিতে পণ!
সংহারিতে খল জ্বেলেছে অনল সহস্র বহ্নির শিখা
আননেতে তার ক্রোধ যোনি হার
ভালেতে করাল রেখা।
বিদ্যুৎ ধারা আঁখিতারা ক্রোধে উন্মাদ দ্রুম
ত্রিশুলেতে ধরা স্তিতি সৃষ্টি লয়
প্রলয়ের ক্ষণ।
হানিতেছে বাঢ় যুগে যুগে তার উত্থানে ধরা,
সুজলাং সুফলাং মহান সে ভূম
দ্বেশ দ্রোহ খল হরা।
আজিকে শমন তাহাদের দ্বারে শুনিতে কি পাস খল,
শৃঙ্খল আজি টুটিছে বক্ষ রক্ষ করিতে কোতল।
নিধন যজ্ঞে প্রজাপতি আজি, নাহিরে নাহিরে ক্ষমা,
সে যে বড় অভিমানী, সে যে বড় অভিমানী,
নাহিকো তাহার উপমা।


তরিৎসঞ্চার ঘন ভৈরব অদিতি অপরূপ  (আজকের সংযোজন)
অদ্বিতীয়ম অবিনশ্বর আজিকে পাষান
আজিকে ভয়াল রূপ।
ভয়ার্ত করাল ছায়া যবে সৃষ্টিতে করে রাজ,
দুয়ারে দুয়ারে ব্যথিত জনেতে
হানিতে সর্বনাশ।
গ্লানিত অন্তর ব্যথা নিরন্তর দুর্জনা ঘন ছায়,
ঘনশ্যাম রূপেতে তাহারি উদয়
ধরনীর তলে হয়।
কুপিত জনেতে বধিতে সমরে শান্তি প্রতিষ্টায়,
অরূপ কান্তি দিব্য কায়ে
অবতার রূপে ধায়।
দুর্জনা আজি হেরিতে কি পাস শ্বাশত অগ্নির শিখা
শুনিতে কি পাস নিনাদ তাহারি
কুলগুরু পিতা।
আজিকে বধিতে দুর্জন প্রান শোষণে যতেকো জীর্ণ
মেদিনীতে তিনি অবতার রূপে
আজিকে সমুত্তীর্ণ।
কেউ ছাড়া পাবেনা! কেউ ছাড়া পাবে না যারা-
যারা এ পবিত্র ভূমে আপামর জনে
ছড়িয়েছে বিদ্বেষ বাণী, কালিমালিপ্ত গিরি কন্দরে
হৃদয় এঁকেছে গ্লানি, বড় অভিমানী,
সে যে বড় অভিমানী।