দুপ্রহর ১২/৫৯ মিঃ পুনঃ নির্মান হলো ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রবিঠাকুরের "কথা চাই, কথা চাই, হাঁকে" কবিতাটি


কথা চাই, কথা চাই, হাঁকে" অণু কাব্যটি।


রবিঠাকুরের মূল অণুকাব্যটি এরকমঃ-


কথা চাই, কথা চাই, হাঁকে


কথা চাই, কথা চাই, হাঁকে
কথার বাজারে;
কথাওয়ালা আসে ঝাঁকে ঝাঁকে
হাজারে হাজারে।
প্রাণে তোর বাণী যদি থাকে
মৌনি ঢাকিয়া রাখ তাকে
মুখর এ হাটের মাঝারে।


আর আমার লেখাঃ-
কথা চাই, কথা চাই, হাঁকে


কথা চাই, কথা চাই,হাঁকে
বাজে সবে পথেঘাটে,আঁ-কে
বাঁকে-
কথা চাই, কথা চাই,হাঁকে।


কথা ফেরি করে সবে নিত্য সে দিনভরে,
দিন কি-বা রাত প্রাতে, মাঠ কিবা
প্রান্তরে।
তুফানেতে কথাকলি নিত্য সে সুর তুলি,
উড়ে উড়ে আকাশেতে-নৃত্য সে
মন ভুলি।
বুলবুলি সুর তোলে দেশ দিশা নগর কি,
দেশ ছেড়ে প্রবাসেতে-দিন ভর
হচ্চে কি।
চারদিশা ঝড় তোলে চায়ে কিবা পানশালা,
দাশুদার কফি সপ-হাঁকে কথা
মন ভোলা।


কথা চাই, কথা চাই,হাঁকে
বাজে সবে পথেঘাটে,আঁ-কে
বাঁকে


কম্পনে শিহরণে ঘর বার সংসার,
নিত্য সে দুই বেলা-গিন্নির
ঝংকার।
পথভোলা পথিকেতে কান্না সে বুকে ধরে,
কথা ফেরি করে সবে-আড্ডাতে
মন ভরে।


সংবাদ শিরনামে চায়না কি আমেরিকা,
পাক কিবা কোরিয়া বা সন্ত্রাস
ঘুরে দেখা।
রাজনীতি কথাকলি পথে ঘাটে হাঁকে,
ঞ্জানি গুণি সাধারণে কোকিলে বা
কাকে।


কথা চাই, কথা চাই,হাঁকে
বাজে সবে পথেঘাটে,আঁ-কে
বাঁকে-


প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অজয় নদীর তটে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


জয়োগান


উল্লাসে ভাসি প্রাণ গাহি অজয়ের গান,
সে নদী কূলো নদী,তটিনীর
জয়োগান।
সে নদী মাতার মাতা জোড় কর নত শিরে,
উন্নত বহে চলে আমাদের
গাম ঘিরে।
সে নদী বুকে ধরে নজরুল মহাপ্রাণ,
ধুলি কণা বালু রাশি গাহে তারি
জয়োগান।
তরু লতা পহ্লব বৃক্ষ সে সারি সারি,
ফুলে ফলে ধান্যেতে কূলে গড়া
পলি তারি।
ঘন ধরা অরন্য স্নিগ্ধ সে কায়া ভূমি,
নত করি শির মাতা তুহি মাতা
জাহ্নবি।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "উপায় বিহীন" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


হুতাশণ


আজিক বিষন্ন ধরা হলাহল কোলাহলে,
সমাজ ও দেশ কাঁদে-বিধাতার
পদতলে।
গৌরব কি মান যত-দানবেরি কুক্ষিতে,
ঝরে বান অশ্রু-কি লহুস্রোত
অক্ষিতে।
গোলকেতে নাই ধরা সুখ কিবা শান সে,
দিকে দিকে কান্না-হুতাশণ
হাহুতাসে।
সামাজিক বঞ্চনা কিবা নীতি কিবা জ্ঞান,
দেশ জাতি উঁচু গড়ে-দানব কি
শয়তান।
হুঙ্কারে মেতে দিন-দেশ কিবা মেদিনী,
যুদ্ধ কি রব তোলে-রব বহে
শাসানি।
পদতলে কুচলিত মানবতা কিবা প্রেম,
ধন বার উঁচু শির-কলুষতা
লেনদেন।
বিহঙ্গ করে রব চাতক সে বারি জলে,
অঞ্জনে রবি কালো-দুনয়ন
আঁখি ঢলে।
কুরু সবে কুটিলতা-শকুনি বা মামা গাহে,
পূব কিবা পশ্চিম উঁচু নিচু ডানে
বায়ে।
তরিৎ কি বজ্র সে-বিনা মেঘে পাত পাতে,
জীবনেতে জীবনেতে-শত কত
আঘাতেতে।
কান্না কি অশ্রু সে-ভগ্নি কি মাতা কাঁদে,
পথে ঘাটে ললাটেতে-ঘৃণ্য সে
লুটপাটে।
মন্ত্রী কি নেতা সেতা-বন্যা কি খরা তে,
লুটপাট দান মারে-টাকা কিবা
ক্ষয়রাতে।
দিন কিবা রাত হতে-প্রাণ কিবা হৃদ হাতে,
কেঁদে কেঁদে ভেসে যায়-শত কত
প্রতিঘাতে।
গ্রাম কিবা নগরেতে সাঁজ কিবা প্রভাতেতে,
ঘর কিবা পথে ঘাটে-লুটেরা সে
লুটে মেতে।
আমি কবি গাহি গান-প্রান কিবা হাতে হাত,
ধরো সবে আজি প্রাতে-করে দিতে
বরবাদ।
দানব কি শয়তান কলুষতা মাতে প্রাণ,
চলো সবে কুড়ালেতে-উড়ালেতে
নেই প্রাণ।


প্রিয় কবি রীনা বিশ্বাস মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "আয়না..." কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


পরিচিতি


মনের দর্পণে করিতে দর্শন
হেরিলাম শত গ্লানি,
ভূতলে পতিত হৃদয় মম
বেদনার বেলাভূমি।


আজিকে নয়ন সিক্ত বারি
হেরিয়াছি আরশিতে আজি,
কান্না অনেক বিঁধিলো গলেতে
দুয়ার খুলিতে পাঁজি।


যে হৃদ পুণ্য দুয়ার দানিল ভগবান
আরশিতে হেরিনু আজিকে,
বসত ভিটা সে মারিয়াছে থাবা
শতেক শয়তান।


মম চিত্তে গাহিনু আজিকে
প্রভাত মঙ্গল গীতি,
আরশি আজিকে দান সে করিল
মম পরিচিতি।


প্রিয় কবি মোঃ আনোয়ার সাদাত পাটোয়ারী (মঞ্জুবাক কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "শোধরাবনা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


চুলকানি


বাহ হ বাহ!বুলবুলি দ্যাখ চুলকানির ওই কাব্যাগাথা,
চুল কেটে দেয় পয়সা বিনে, চুল চুলকে
চুল কাটা গা।
চুলচুলানির ওই সেই দেশেতে চুলকে আমার দে-না গা-টা,
চুলকানির ওই কাব্যগাথায়-জ্বলছে আমার
নধর পাটা।
ডাগর ডাগর চোখ করে তুই শিষ বাজানো বন্ধ কেন,
চুলকানির ঐ গল্প শুনে-আসছে না কেউ
এমন যেন।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "সম্মান" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


সুগন্ধি


আহা! সে কি গন্ধ ছড়ায় রজনীগন্ধা ডাহা ফেল,
আহা! দ্বারেতে গেলেই গৃহস্থ বুঝে নেয়-
নাহি টেপা লাগে
বেল।
আহা আহা! শ্রীচরণে সু তারি সাথে মোজা,
ঘর্মেতে লেটেপেতে নাক কান
বোজা।
মোজা আর গিন্নিতে গীত বাঁধা নিত্য সে,
ঘর গেলে সুগন্ধি নাক চাপা
আতরেতে।