রাত ৯/২২ মিঃ পুনঃ নির্মান হলো ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রবিঠাকুরের "হে প্রিয়, দুঃখের বেশে " অণু কাব্যটি।


রবিঠাকুরের লেখাটি এইরূপঃ-


হে প্রিয়, দুঃখের বেশে
আস যবে মনে
তোমারে আনন্দ ব'লে
চিনি সেই ক্ষণে।


আর আমার লেখা :-
"হে প্রিয়, দুঃখের বেশে "


      হে প্রিয়, দুঃখের বেশে
              দেখিতে তোমাতে ধরা,
     হে প্রিয় ভেসে যাই স্রোতে
       দুখের মহল গড়া।
    লহমাতে রাশি পুঞ্জিত শোকে
            দিশেহারা হই প্রাণ,
    হে প্রিয় সহিতে না পারি
             তব দুখ দহ প্রাণ।
   তোহাতে হেরিনু প্রভাত সে কলি
          তুহি হৃদ মম,
    তোহারি হৃদয়ে সুর সে বাঁধিনু
          ওগো প্রিয়তম।
     ঝঞ্ঝা সে ঝড় আকাশ বহিতে
             রুধিতে করাল ছায়া,
       দেহ মোরে দান তব
            করাল কুপিত
               কায়া।
      রক্ষ সে লড়িব আজি
            পদতলে কুচলি্ত,
   তোহারি পরাণে আনিতে আলোক
        হানিব ঘাত শত কত।
      হে প্রিয় তম, দানো মোহে
          সে করুণো গীতি,
        আজিকে ধরায় উন্মাদনায়
           বরুণো গাহিব প্রীতি।
        তব চিত্তে পাতিনু আসন
         ব্যথাই আমার ভূষা,
      দেহ মোহে মাগিনু সে পল
             তব তমানিশা।


আমার লেখা খেয়াল ১৪ তম পর্বে প্রিয় কবি খলিলুর মহাশয়ের সহিত কথপকথনে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


কলি


আজিকে হারাতে মন মদিরায় মস্ত কথার সাজে,
আজিকে হৃদয় পহ্লব ফুঁটিল
অপরূপ ধরা মাঝে।
সে কাননে ফুঁটিল গোলাপ শত কত পারিজাত কলি,
ভ্রমর প্রাণেতে উঠিল গুঞ্জনে
উড়ে ঘুরে ফেরে
কলি।
না জানি কি ছলে মেতে ঈশ্বর দিল ধরা,
সুখ দুখ ছিনু রবে-ছিল প্রাণ
মনোহরা।
বাঁধিল শৃঙ্খলে মোরে নেশা যেন রোল তোলে,
ভুলে গেনু সংসার কাজ কাম
রসাতলে।
আরপার পাই দিশা জেগে ওঠে কথাকলি,
না জানি কি বন্দে সে-
ছলে বলে কথা
বুলি।
বুলবুলি জাগে প্রাণ করে সে তো নৃত্য,
ভেসে যাই ভেসে যাই কবিতাতে
নিত্য।


প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ছোট গাঁয়ে ছোট ফুল" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


আমাদের নগরেতে


নগরেতে আমাদের উঁচু উঁচু বাড়ি সারি
ছায়া ধূপ খেলা চলে রাস্তায় গড়াগড়ি।
ব্যস্ত সে জনে জনে ছুটে ছুটে পথে চলে
বাইক আর চারচাকা কোনও ভাবে জ্যাম গলে।
সারি সারি টোটো গাড়ি রিক্সা ও সাইকেল
ঘন রোল রব তোলে ঘন্টি কি প্যাক বেল।
তারি মাঝে বলে চলে জীবনের স্পন্দন
আর আমি কবি করি কবিতাতে ক্রন্দন।
শহরেতে নদী বহে নাম তার ফুলেশ্বরী
দুই পাড় বাধা তার যেন সরু ফিতে দড়ি
নর্দমা পচা জল ঘন কালো রং তার
যেন নদী মোড়া জলে কাল ঘন রাংতায়।
আছে গাছ বেলতলা দূরে দূরে যায় দেখা
পথ পাশে আঁকেবাঁকে ধূলো তার পাতা আঁকা।
কোলাহল হলাহলে বিষাক্ত বয়ে চলে
কাল বাধা পট্টিতে মুখে বেঁধে লোক চলে।
ভাবি প্রাণ নিত্য সে-ভারি বড় জীবনটা
কবিতাতে তাই লিখি কবিতাতে ঘুরে দেখা।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ক্রীতদাস-(ব্যঙ্গ)" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


বিকিকিনি


এই ধরাতে সেই ধারাতে নিত্য চলে বিকিকিনি,
লহর তালে বছর গড়ায়-কেন কাঁদেন
ছিঁচকাদুনি।
ধন্য ধরা ধনীর সাঁজে ব্যঙ্গ কেন করেন হেথা,
কৃষক আর শ্রমিক জনের-ব্যক্ত করেন
ইতিকথা।
জোয়ার প্রাণে আসুক মেতে মহজনের সুদের ঘড়া,
দেশ জাতি প্রাণ চলছে যেমন-কেমন দেখুন
মনোহরা!
রক্তে গড়া ফসল যদি পঙ্গপালে নিলই খেয়ে,
চাঁদ সদাগর ব্যবসা ধরুন-ধরুন জীবন
নেচে গেয়ে!
গাইছে কাক ময়ূর পুচ্ছ এই ধরা ভাই নাই তো ক্ষতি,
করুক না প্রাণ-ধন মদিরায়-করুক
শত বজ্জাতি!
বজ্জাতেরই এই দরিয়ায় তুফান উঠুক দ্বারে দ্বারে,
জাগুক প্রাণ ঊষার আলোক-আঘাত দিতে
বারে বারে।


প্রিয় কবি ড. প্রীতিশ চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "নিস্তব্ধ সময়" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


এই তো জীবন


এই তো জীবন আজকাল পিয় কবি
টি ভি শো তে ঘর ঘর কা কাহিনী,
শেখায় সমাজ অবক্ষয়ের
দবদবানি।
চুপচুপানি প্রেমের গান  আর
দুই পয়সার রুমাল গায় নৃত্য,
বাপ মায়ে  সংসারে-শিশুসহ
নীল কাহিনী নিত্য।
সমাজ সম্মান আজ হাটুতে
বরং চুপ থাকাই ভালো।


কখন না কোতল হয়ে যাই।