(দেখুন প্রিয় কবিসকল অনেক অনেক লিখে ফেলেছি আজ। যার যেটা ইচ্ছে পাঠ করবেন বা করবেন না কিন্তু একটা রিকোয়েষ্ট প্লীজ বেত হাতে আমার দিকে তেড়ে আসবেন না কিন্তু। কি করব বলেন যদি ঈশ্বরে করে ভর! শুভকামনা,)
(এত লেখা। বাংলা ইংরাজি শুধু লিখেছি, কোনমতে গুছিয়েছি কিন্তু সম্পাদনা করতে পারি নাই। সেটা করতে গেলে আর কারোও লেখা পাঠ করতে পারতাম না আজ। কিছু ভুল থাকলে আগামীকাল ঠিক করে দেব। শুভকামনা)


দুপ্রহর ১/৪১ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হল রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ৯৮ তম কবিতাটি। "হার মানা হার পরাব তোমার গলে"
তাহার লেখাটি এইরূপ


হার মানা হার পরাব তোমার গলে।
দূরে রব কত আপন বলের ছলে।


জানি আমি জানি, ভেসে যাবে অভিমান
নিবিড় ব্যথায় ফাটিয়া পড়িবে প্রাণ,
শূন্য হিয়ার বাঁশিতে বাজিবে গান,
পাষাণী তখন লাগিবে নয়ন জলে।


শতদল-দল খুলে যাবে থরে থরে
লুকানো রবে না মধু চিরদিনতরে।


আকাশ জুড়িয়া চাহিবে কাহার আঁখি,
ঘরের বাহিরে নীরবে লইবে ডাকি,
কিছুই সেদিন কিছুই রবে না বাকি
পরম মরন লভিব চরণতলে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-“হার মানা হার পরাব তোমার গলে”
“হার মানা হার পরাব তোমার গলে”


হার মানা হার পরাব তোমার গলে,
পাষাণ হৃদয় ভাসতে চলে
আজকে গগন
তলে,
হার মানা হার পরাব তোমার গলে।
ধরতে হৃদে ব্যথার বারি অশ্রু ছলোছলো
ছলকে দুয়ার প্রেমের বাণী
চক্ষু হলো
কালো।
বাদল মেঘে ঢাকতে পরান ব্যথার সাথী নাই
উব্ধ গগন নিনাদ প্রাণে
বেদন গীতি
গাই।
উড়তে চলি আকাশ পানে ডানাই ভাঙ্গা আজ,
আজকে হৃদে ব্যথার সে বীণ
মুকুট ধরে
সাঁজ।
সাঁজের বেলা বিদায় নিলি কান্না দিলি বল
অন্ধ চোখে হারাই দিশা
লহর নিশা-
দল।
বিহগ আজি নাই রে গানে সজল হলো প্রাণ,
ভব সাগরের কানায় কানায়
কান্না ঝরে
গান।
তুই সহেলী তুই পহেলী বিষের দিতেই বাড়ি,
গড় গড়া গর গড়িয়ে গেলি
আমায় দিতেই
আড়ি।
আজ বিতানে কুঞ্জবনে নাই রে ভ্রমর অলি,
আজ বেদনায় বাতাস বহে
আজ রে কথা-
কলি।
তুই কি জানিস পাষান হৃদে ভাসান দিলি রে,
প্রাণ থেকে ধন প্রেমের গান
কেড়েই নিলি
রে।
তাই কি বলিস কাঁদব না'রে মানতে তোর ওই ছলা,
তোর দিশাতেই বইতে তরী
নাইতে রে এই
বেলা।
আকাশ ভেলায় ডুককি দিতে হাস্য রসে মেলে
হার মানা হার এই বেলাতে
পরাব তোমার
গলে।
হার মানা হার পরাব তোমার গলে।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
“garlands of my defeat”


Oh my lord today I will decorate thee
With the garlands of my defeat
I faced the defeat in love thy and reached
The point of melting.
Clouds of pain overwhelmed my heart and soul
And I am singing the song of pain, my lord.
I would like to fly into sky but no way are there as
As the wings of love has broken down.
I am feeling terrible pain in my heart and soul, my lord.
My lord, I am crying, I am crying,
As you take off me when my expectation was very high
On and from thy.
I am getting mine helpless all and entirely.
Today the birds forgets its melody,
Flowers stop blooming, and the bees
Stop collects the honey.
Air gets filled in sorrow,
All and each direction of the world
Has gone to mourn.
Thee, thee thee, is my only friend and the foe
In this world. My lord, thee.
How, how could you be able to so so much cruel with me?
I am weeping my lord, oh my lord.
But listen, my lord, Oh my lord-
I will not forget you, I will not forget you
Rather I will put the blame upon you
For such a situation and will decorate you
With the garlands of my
Defeat, my lord, oh my lord
You never could leave me alone,
My lord.


দুপ্রহর ১/৫৭ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিক পুনঃ রচিত হল রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ৯৯ তম কবিতাটি। "আমি হাল ছাড়লে তবে"
তাহার লেখাটি এইরূপঃ-


আমি হাল ছাড়লে তবে
তুমি হাল ধরবে জানি।
যা হবার আপনি হবে,
মিছে এই টানাটানি।


ছেড়ে দে দে গো ছেড়ে,
নীরবে যা তুই হেরে,
যেখানে আছিস ব'সে
ব'সে থাক ভাগ্য মানি।


আমার এই আলোগুলি
নেবে আর জ্বালিয়ে তুলি,
কেবলি তারি পিছে
তা নিয়েই থাকি ভুলি।


এবার এই আঁধারেতে
রহিলাম আঁচল পেতে,
যখনি খুশি তোমার
নিয়ো সেই আসনখানি।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-“আমি হাল ছাড়লে তবে”


আমি হাল ছাড়লে তবে
তুমি কি বইতে রবে,
জাহান্নমের এই দরিয়ায়
তুমি কি সইতে
পাবে।
দুনিয়াদারির সেই কিনারায়
দস্যু দানব যেথায় হানায়,
শাণিত বাড়ি ওই ঠিকানায়
ভব দরিয়ার
রব।
রবের দেশে শান্তি যে নাই
ব্য্যথার কলরব।
দেশের দিশা অশ্রু বারি
দিক বিদিকে হিংসা দ্বেষ,
পারবি কিরে ছাড়লে আমি
ভবের গড়া হিংসা
দেশ।
তাই কি সখী কাঁদবি নাকি
মুষ্টি ধরে হাতে,
লড়বি রে তুই বীরঙ্গনা
শহীদ অমর
হতে।
দেখিয়ে দিতে তারে দিবি
হুঙ্কারেতে মাতবি পরান,
বুঝিয়ে দিতে প্রাণটি দিয়ে
স্বাধীন সোপান সে প্রাণ
তল।
নিঃস্ব যারা ভবের দেশে
পায় না যে তার আলো,
তোর আলোতে ভরিয়ে দিয়ে
ঘুচাস তাদের
কালো।
তমানিশার কাঁটবে আঁধার
কৃপাণ দিবি হাতে,
মুষ্টি ধরে সাগর সে পান
কাঁটবি সাঁতারেতে।
ভয় কিরে তোর ভবের দেশ
রইতে আমি ওই পারেতে,
ভরবে নয়ন ভরতে সে হৃদ
তোর সে আলো-
কেতে।
গর্বে পরান দুচোখ নয়ন
ঝরতে অনেক আঁখি
আমি হাল ছাড়লে তবে
ভয় কিরে তোর
সখী।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
“Would you be able to tackle”


Would you be able to tackle my dear?
Would you be able to tackle?
If I passed away today.
The world is full with the cheaters
And the robbers and the mobsters.
No no no! Nowhere could you get
The peace and love.
Pain and pain, you have to face
My darling.
Pain and pain and the tears, you have to face
Each and every moment.
Would you be able to tackle my dear?
Would you be able to tackle?
If I passed away today.
Why not? My darling brave you are.
You will fight with them bravely
To finish them.
You have to pay attention to the
Suffering people.
You have to pull them up and
Have to give them the light of the knowledge
To make them bold enough so that
They are able to fight with them too.
All you will fight against them with
Open sword.
Why fear my dear darling.
I will see your performance and be proud of you,
On and from the
Other world along with God God with me.
So, so so...................
My brave darling
You are.


দুপ্রহর 2/19 মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিক পুনঃ রচিত হল রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের 100 তম কবিতাটি। “রূপসাগরে ডুব দিয়েছি”


তাহার লেখাটি এইরূপঃ-


রূপসাগরে ডুব দিয়েছি
অরূপরতন আশা করি;


ঘাটে ঘাটে ঘুরব না আর
ভাসিয়ে আমার জীর্ণ তরী।
সময় যেন হয় রে এবার
ঢেউ-খাওয়া সব চুকিয়ে দেবার,


সুধায় এবার তলিয়ে গিয়ে
অমর হয়ে র'ব মরি।


যে পান কানে যায় না শোনা
সে গান যেথায় নিত্য বাজে,
প্রাণের বীণা নিয়ে যাব
সেই অতলের সভামাঝে।


চিরদিনের সুরটি বেঁধে
শেষ গানে তার কান্না কেঁদে,
নীরব যিনি তাঁহার পায়ে
নীরব বীণা দিব ধরি।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-“রূপসাগরে ডুব দিয়েছি”
“রূপসাগরে ডুব দিয়েছি”


রূপসাগরে ডুব দিয়েছি
কনক ধারা বইছে চোখে,
উব্ধে গগন নিম্নে ভূতল
সাগর মিলন রতন
দেখে।
পাহার দোদ্যুল শৃঙ্গ চূরা
অরূপ রতন বাহার ছোটে,
মানব মিলন মেলার মাঝে
দিক বিদিকে দিব্য
ঘটে।
তোমার সুধার অন্ত কানাই
তল যে আমি হারাই দিশা,
রূপ সাগরে ডুবকি দিয়ে
ধরতে প্রাণের গহীন
নেশা।
দিব্য আলোক দেয় যে রবি
জ্যোছস্না টানে প্রাণ,
শঙ্কা জাগে ভব সাগরে
হিল্লোলেতে
গান।
গাইতে জীবন তোমার দানে
পূর্ণ যে মোর ডালি,
প্রণাম তোমায় পিতার পিতা
বাজতে খুশির
তালি।
তাল দিয়ে তাল বইতে সাগর
বৈঠাখানি বইতে আমি,
দিক বিদিকে আলোক মিলন
দিব্য সে সুর
তুলি।
তুলির টানে আঁকছো প্রভু
আকাশ সাগর মিলন তল,
রং ফাগুনে দিব্য প্রভায়
গাইতে ভূতল
পল।
বসন্তে ওই রং বাহারির
খেলতে দিলে প্রভু
আষার দিনে বাদল ঝরাও
ভুলতে নাকো
কভু।
তোমার দিশায় খুশির ঝলক
বইতে চলি প্রাণ,
লিখছি আমি লিখতে আমায়
দিতেই তোমার
দান।
কেনই প্রভু জানতে নাই
ভাবতে ওই দিশা,
আমায় ছেড়ে যাওনা প্রভু
দিতেই তমা-
নিশা।
ছাড়বে কেমন অরূপ সে প্রাণ
দিতেই তোমার বাণী,
আর কোথাতে খুঁজতে রবে
আনতে আগ-
মনী।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
“What a nice creature it is”


What a nice creature it is!
All round I could see, it is divine entirely.
The unlimited sky with its glory of light,
The surface where varieties of patterns of
Rock, the high hills, plains and the sea.
All there exists in united in the diversity,
All in my sense I think divine it is.
The endless creatures of the God Almighty.
I could hardly think of it, How much huge
The creature is!
And the another unique creature
That the life is!
The sun, the Moon and it's light of
The glory and the thrill of
Live, sometimes in pain and
Sometimes in great pleasure.
All, all are the bliss of thee, Almighty.
I salute you God for your
Unique creation in this universe.
I always sing of your song with
With the great pleasure.
Oh lord, I am able to sail the life,
I am very happy here and I wish
Others too, to live in such a way with the
Happy tune of love with great pleasure.
You, you the God almighty
Created this world with great
Art of your mind.
All it is divine, my lord where
The sky meets with the sea
At the horizon. and you created
The different seasons.
The spring with its great charm,
The season of rain.
To live us heavenly here and so
We can live thee-
With the great pleasure of mind,
I am writing your creation and
The donation that you gave us
To acknowledge to all.
Please do never leave us the lord
Of the universe, please, please.
We are very happy here to
Sail our live, my lord.
Please do always think of us.
Ha! ha! How could you leave, then
Who will spread you and your
Speech towards humanity
Besides me!
Let us bring the new sun
My lord, Oh my lord.


দুপ্রহর 2/29 মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ১০১ নম্বর কবিতাটি। "গান দিয়ে জে তোমায় খুঁজি"
তাহার লেখাটি এইরূপঃ-


গান দিয়ে যে তোমায় খুঁজি
বাহির-মনে
চিরদিবস মোর জীবনে।
নিয়ে গেছে গান আমারে
ঘরে ঘরে দ্বারে দ্বারে,
গান দিয়ে হাত বুলিয়ে বেড়াই
এই ভুবনের।


কত শেখা সেই শেখালো,
কত গোপন পথ দেখালো,
চিনিয়ে দিল কত তারা
হৃদগগনে।


বিচিত্র সুখদুখের দেশে
রহস্যলোক ঘুরিয়ে শেষে
সন্ধ্যাবেলায় নিয়ে এল
কোন ভবনে


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-“গান দিয়ে যে তোমায় খুজি”
“গান দিয়ে যে তোমায় খুজি”


গান দিয়ে যে তোমায় খুজি
আকাশ করি রব,
রবের দেশে কান্না হাসি
দারুন কলরব।
ধরতে পরান গাইতে সে গান
মূল্য না'রে চাই,
তোর দেশেতে গাইতে পভু
জীবন ভরে
তাই।
চাও কি প্রভু আমায় ছেড়ে
পালিয়ে তুমি যাবেই দূরে,
কান্না মাতি পরান অতি
দু'হাত করি
জোড়ে।
না না প্রভু বাতিক আমার
দেই যে তোমায় প্রবল ঘাত,
নাই দেবোনা কেনই বলো
তাদের কেন করলে
আঘাত।
দীন দুঃখী জন যারা আজ
ঝঞ্ঝা প্রাণে কেনই দিলে,
এক সাগরের কান্না পরান
কেনই তুমি সুখ সে
নিলে।
আকাশ নীল ধনীর সে ধন
নাই দিলি তুই হৃদ,
অসম সমাজ গড়লি রে তুই
কাঁপতে হৃদয়
ভিত।
তোর কি প্রাণে নাই দয়া রে
ওরে আমার পরান মতি,
রয় যদি তোর রত্তি খানিক
কর রে সদ-
গতি।
তাই তো রে প্রাণ, ওরে পরান
গান দিয়ে যে তোমায় খুঁজি,
অরূপ রতন কানাই রে তুই
ব্যথার সাগর তোরেই
পূজি।
দুপ্রহর 2/38 মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ১০২ নম্বর কবিতাটি। "তোমায় চিনি ব'লে আমি করেছি গরব"
তাহার লেখাটি এইরূপঃ-
তোমায় চিনি ব'লে আমি করেছি গরব
লোকের মাঝ;
মোর আঁকা পটে দেখেছে তোমায়
আনেকে অনেক সাজে।
কত জনে এসে মোরে ডেকে কয়,
'কে গো সে'-শুধায় তব পরিচয়,
'কে গো সে।'
তখন কী কই, নহি আসে বাণী,
আমি শুধু বলি, 'কী জানি! কী জানি!'
তুমি শুনে হাস, তারা দুষে মোরে
দী দোষে।


তোমার অনেক কাহিনী গাহিয়াছি আমি
অনেক গানে।
গোপন বারতা লুকায়ে রাখিতে
পারি নি আপন প্রাণে।
কত জন মোরে ডাকিয়া কয়েছে,
'যা গাহিছ তার অর্থ রয়েছে
কিহু কি?
তখন কী কই, নাহি আসে বাণী,
আমি শুধু বলি,'অর্থ কী জানি!'
আরা হেসে যায়, উমি হাস বসে
মুচুকি।


তোমায় জানি না চিনি না একথা বলো ত
কেমনে বলি।
খনে খনে তুমি উঁকি মারি চাও,
খনে খনে যাও ছলি।
জ্যোৎস্নানিশীথে, পূর্ণ শশীতে,
দেখেছি তোমার ঘোমটা খসিতে,
আঁখির পলকে পেয়েছি তোমায়
লখিতে।
বক্ষে সহসা উঠিয়াছে দুলি,
অকারণে আঁখি উহে আকুলি,
বুঝেভ্ছি হৃদয়ে ফেলেছ চরণ।
চকিতে।


তোমায় খনে খনে আমি বাঁধিতে চেয়েহি
কথার ডোর।
চিরকালতরে গানের সুরেতে
রাখিতে চেয়েছি ধরে।
সোনার ছন্দে পাতিয়াছি ফাঁদ,
বাঁশিতে ভরেছি কোমল নিখাদ,
তবু সংশয় জাগে-ধরা তুমি
দিলে কি!
কাজ নাই, তুমি যা খুশি তা করো-
ধরা ন-ই দাও মোর মন হরো,
চিনি বা না চিনি প্রাণ উঠে যেন
পুলকি।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-"তোমায় চিনি ব'লে আমি করেছি গরব"
"তোমায় চিনি ব'লে আমি করেছি গরব"


তোমায় চিনি ব'লে আমি করছি গরব
ওরে আমার পরান নিধি,
তোর সে দ্বারে হৃদ সে রাখি
তোরেই গালি তোরেই
পূজি।
হাসতে রে তুই ভাবিস পাগল
ভোলার মত লিখতে রয়,
জানিস প্রভু দেখতে ধরা,
জানিস প্রভু কষ্ট
হয়।
এক ধরা তুই ধনের সাগর
আরেক গরল মতি,
তুই তো দেব মানুষ আমি
চাই রে তাদের
গতি।
তুওই জানিস করলি কেন বিভেদ গড়া ভব,
নাই জানি না, জানতে না চাই
ওরে আমার
রব।
তাই বলে কি চুপটি করে বইতে রবো প্রাণ,
না'রে প্রভু কান্না অনেক-
তোরি মহান
দান।
সেই দানেতে বইতে চলি দুঃখের লহরেতে,
নাই খেদ নাই নাই রে কানাই
তোরই গড়ি-
মাতে।
ও মা'তে রে ও পিতা রে কইতে তোরে বাধেই নাকো,
গাল মন্দ করতে পরান,
জুড়তে তোর ওই আমার
সাঁকো।
আমার রবে জাগিস রে তুই ভাবলি কি'রে দীন
তোর মাঝেতে বিলীন আমি-তোর দেহেতেই
লীন।
তোমায় চিনি ব'লে আমি করছি গরব
ওরে আমার পরান নিধি,
তোর সে দ্বারে হৃদ সে রাখি
তোরেই গালি তোরেই
পূজি।


দুপ্রহর 3/54 মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ১০৩ নম্বর তথা শেষ কবিতাটি। "একটি নমস্কারে, প্রভু"
তাহার লেখাটি এইরূপঃ-


একটি নমস্কারে, প্রভু,
একটি নমস্কারে
সকল দেহ লুটিয়ে পরুক
তোমার এ সংসারে।


ঘন শ্রাবণ-মেঘের মতো
রসের ভারে নম্র নত
একটি নমস্কারে, প্রভু,
একটি নমস্কারে
সমস্ত মন পড়িয়া থাক
তব ভবন-দ্বারে।


নানা সুরের আকুলধারা
মিলিয়ে দিয়ে আত্মহারা
একটি নমস্কারে, প্রভু,
একটি নমস্কারে
সমস্ত গান সমাপ্ত হোক
নীরব পারাবারে।


হংস যেমন মানসযাত্রী,
তেমনি সারা দিবস্রাত্রি
একটি নমস্কারে প্রভু,
একটি নমস্কারে
সমস্ত প্রাণ উড়ে চলুক
মহামরণ-পারে!


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-"একটি নমস্কারে, প্রভু"


একটি নমস্কারে, প্রভু, একটি নমস্কারে,
বিশ্ব দিশা উঠুক জেগে
একটি নমস্কারে।
ধরতে সে সুর হৃদয় জাগুক
রন সে দোল বসন্ত,
হিংসা ও দ্বেষ দূর চলে যাগ
দূঃখ যাক দূর
দিগন্ত।
বিহগ রবে চাইতে ধরা
শস্য শ্যমল হরিৎ করা,
গাইতে প্রভুর গীত সে বাণী
দিতেই রবে দান সে মানী,
জাগতে রে অন্তর,
আজকে ধরা হিংসা ও দ্বেষ
ধূ ধূ-র ধরা
প্রান্তর।
মারছে রবে মানবতা,
রক্ত লহু ঝরছে ধরা,
দিক বিদিকে রব রে কানাই
কান্না সে প্রাণ হৃদয়
হরা।
জাগতে ফাগুন আগুন রাঙ্গা
বান সে নামুক ঢল,
মানবতা জ্বলুক প্রদীপ
আজকে সোপান
তল।
ঘর ঘরেতে শান্তি রে গান
বইতে সুখের নদ সে গাঙ,
আজ মানবে ঘাত দিয়ে সে
ভাঙ রে জাত্যাভি-
মান।
আজ বিমানে লিখতে প্রভু
হৃদয় আলোক দে না রে,
চাইতে প্রভু চাইতে আমি
ঝর্ণাধারায় ঝরায়
দে'রে।
একটি নমস্কারে, প্রভু, একটি নমস্কারে,
বিশ্ব দিশা উঠুক জেগে একটি
নমস্কারে।


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বসন্ত আসিল আজি", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“বাসন্তি”


আহা! বাসন্তি দোলে আজ হারিয়ে সে প্রাণ মেতে,
আজি ধরা প্রফুল্ল, কুঁহু তানে
গেয়ে ওঠে।
প্রশান্তি দিকে দিকে শ্যামলেতে ধরা বহে,
আনমনে আনমনে গুঞ্জনে
কলি গাহে।
দিগন্তে আঁখি পাতে শোভা মাতে সুষমাতে,
হৃদ ঝরা অরূপেতে-চেয়ে রই
আঁখি পাতে।
কাননেতে কলি দোলে অলি তারে ঘিরে প্রাণ,
বসন্ত আজি প্রাণে-দোলা দিয়ে
আগমন।
আমি কবি গাহিতে সে লাবন্য রূপ শোভা,
দিকে দিকে অপরূপ-সুবর্ণ ধরা
প্রভা।
তরু সবে গীতি গানে ঝর ঝর ঝর ঝর,
আজি প্রানে সজীবতে-আজি প্রাণ
পতঝর।
আহা! মতি দিশা নন্দনো প্রণমি সে জোড় করে,
রবে প্রাণ মিলি হৃদ-প্রশস্তি করি
তারে।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ভোট ধারা", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“হাইব্রিড”


হাইব্রিড দাদা হাইব্রিড অহন আশা করন ক্যান,
ন্যাতা স্যাতার গুষ্টি মারি-কাব্য এত
ল্যাহেন ক্যান।
সবাই জানে মূরত ন্যাতা, ন্যাত ন্যাতানি কাহিনী,
ন্যাতার পুঙ্গ ধরি চ্যালা-বানায় চাটুল
বাহিনী।
হেই কথাটা কইতে হবে হেও তো এক পাইসা দেয়,
চোর ছ্যাচর পুইসা ন্যাতা-খয়রাতে
টান তো দ্যায়।
ভ্রান্ত দিশা লিখেন খালি ন্যাতায় দ্যান ব্যঙ্গ রব,
হেলার পো তাও তো দেয়-কামায় টামায়
ছ্যাচরা ভব। (ভব মানে এখানে ভাও মানে বেঁচে থাকার তরিকা)
হোক না রে ভাই ছ্যচরামি রে কুন লোকে আজ করেনা,
হেতাক তুরি কাব্যগাঁথায়-ঝরাস অতি
করুণা।
হায় রে বরুণ, হায়রে রবি কবিগুলান বুঝবে কবে,
হ্যালায় ন্যাতার গুষ্টি মারে-আর নিজেরে
গুণী ভাবে।
দ্যা রে বুল!দ্যা সেই একখানা
শিষ!
দিলাম আশিষ, সুস্থ রন ভাল রন আর
আর ন্যাতারে লইয়া কইরেন না
রোদন।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ফাঁসুড়ে!", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“ফাঁন্দে”


ফালা ফালা করবে তোকে
ফাঁন্দে তখন নাপিত ভায়া,
ফালতু নাক রগরে ঘষে
ফেলায় যেথা নানার
চোনা।
ফ্যালফেলিয়ে দেখিস কি'রে
ফাঁসবি নাকি দড়িতে,
ফেলায় দিবে তোকে নাপিত
ফাঁসির দড়িত ওই
পিটেতে।
ফ্যালা রে খূর দৌড়ে ভাগ
ফালা ফালা কইরা দিব!
ফালতু কথা কইনা মুই
ফাঁস দিয়ে রে
ফস্কা গেড়ো।
ফেললি নাপিত নানার নাক
ফাইজলামি কি করস নাকি,
ফাঁসির থেকে বাঁচতে হলে
ফস করে আজ
ভাগরে পাখি।
ফস্টিনষ্টি করবে মামা
ফটাস করে নইলে
বাপ।
ফনায় দিব ছোঁবল মারি
ফাটায় দিব এমন
থাপ।


প্রিয় কবি সোমেন রায় মহাশয়ের সেদিন প্রকাশিত "সুতনয়ার চিঠি ও আমার প্রলাপ", কবিতার উত্তরে শুরু হয়েছিল পথচলা। পৃধিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ আধুনিক কবিতা লেখার পালা। প্রতিদিন এতখানি করেই লেখা হবে। ১০০০ লাইনের আগে কবিতা শেষ হবে না।
"সুতনয়া"


সুতনয়া তুমি পরাজিত সৈনীক মনে কর,
তুমি হেরে গেছ।
সুতনয়া সুজন মাঝির দরবারে
ফেলে কি এলে সে হাসি।
যে তোমায় শোষণ করে
ছিবরের মত ছুড়ে ফেলে দিতে
দ্বিধা করে নি।
সুতনয়া, তোমার সেদিনের বিদ্বেষ বুকে নিয়ে
কত শত নির্ঘুম রজনী,
কল্পনায় গহীন বনে কতনা কেঁদেছি
বিরহ যাতনায়।
সুতনয়া, যেদিন তুমি আমায় কঠোর বাক্যবাণে
বিঁধেছিল আমার অন্তর।
সুজন মাঝি, সুজন মাঝি, সুজন মাঝি-
দোড়ে ছুটে গিয়েছেলে ধনবনিক
মাধবের উপবনে।
উপহাসে উপহাসে এ দরিদ্র অঙ্গন
অনেক কেঁদেছিল সুতনয়া।
আজ অধরের কোলে শত মনিনতা নিয়ে
যবে তুমি ফিরে আমার ঘরে,
শুনালে সে করুন রাগিনীর বেহাগ সুর,
হাসি কান্নায় ভরে গেল প্রান্তর।
আজও আমি তোমায় চাই সুতনয়া,
চাই তোমার প্রাণ মেলা হাসির মেলা।
সুতনয়া হাসো হাসো হাসো,
সুতনয়া হাসো, একটি বারের জন্যে হলেও
হাসো সুতনয়া, হাসো,
শিউলী ঝরা সেই হাসি,
দিব্য প্রভার সে ঝলক, একটি বার
শুধু একটি বার, হাসো সুতনয়া
হাসো সুতনয়া
হাসো।