দুপ্রহর ৩/৫৬ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিক পুনঃ রচিত হল রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ৪৪ তম কবিতাটি। "আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ"।
তাহার লেখাটি এইরূপঃ-


আমার এই পথ-চাওয়াতেই আনন্দ।
খেলে যায় রৌদ্র ছায়া,
বর্ষা আসে।
বসন্ত।


কারা এই সমুখ দিয়ে
আসে যায় খবর নিয়ে,
খুশি রই আপন মনে,
বাতাস বহে
সুমন্দ।


সারাদিন সাঁখি মেলে
দুয়ারে রব একা।
শুভখন হটাৎ এলে
তখনি পাব দেখা।


ততখন ক্ষণে ক্ষণে
হাসি গাই মনে মনে,
ততখন রহি রহি
ভেসে আসে
সুগন্ধ।
আমার এই পথ-চাওয়াতেই
আনন্দ।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-“আমার এই পথ চাওতেই আনন্দ”
আমার এই পথ চাওতেই আনন্দ


আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ।
এই পথেরই বাঁকে বাঁকে
থরে থরে রইতে কানাই,
রব সে ওঠে হর্ষধ্বনি,
কাঁন্না কোথাও
কন্ঠ নাই।
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ।
শিশির ভেজা স্নিগ্ধ প্রাণে,
দোলচাঁপার মতি,
দুঃখে পরান আবার কাঁদে
দেখতে তাদের
দুর্গতি।
রিক্ত হৃদে বৈঠাখানি,
বেশ ভাল রে বইতে জানি,
বইতে জানি, বইতে জানি,
বইতে জানি।
বৈতরণীর ওই কিনারায়,
ভবের দেশের আলোকমালায়
সজ্জিত মোর প্রাণ,
বৈঠা বয়ে সাগর লহর,
গাইতে তারি
গান।
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
আমার এই পথ চলাতেই
আনন্দ।
রবের সাথে মিলতে প্রাণ,
আগুন জ্বালাই বাতি,
গাল মন্দ করতে তারে,
প্রেমের নেশায়
মাতি।
ভবসাগরের কান্না কানাই,
দুষতে তারে মতি,
আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে
তাদের দুর্গতি।
রক্ত গলে পাষাণ তলে
বুঝিয়ে দিতেই তারে,
দরবার দড় হাকাই রবে
তার সে রুদ্ধ
দোরে।
হিসাব চাই, হিসাব চাই
চুলচেরা চাই রব,
তাহার দেশে এমন কেন-
কান্না কলরব।
পাষাণ রে তুই হাজার ফাঁদে
দুঃখ দিতেই ধরা,
ধন মানবের দ্বার সে তলে
তোর কি হিসেব
ধরা!
কাঁটার মুকট দীন জনেরই
লাগবে তোর ওই হা রে প্রভু,
কান্না কানাই দিবিই যদি
গড়তে কেন ধরলি
প্রভু।
আহা, কানাই তোরে বকতে লাগে,
রক্তে লাগে দোলা,
লিখছি আমি ও'রে কানাই-
পাগল মন
ভোলা।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
“It is my pleasure”


It is my pleasure to wait and see
This is my pleasure to sail this way.
There is a lot of pleasure
In each turn of this way and sometimes
Poor it is-
Full with sorrow and pain.
But I like to sail this way very much.
I'm glad to walk this way.
Sometimes I gets  a lot, sometimes goes to mourn
Looking the pain of the suffering people
All round the world.
I am the great player and play well
In all such situation.
I goes up and comes down frequently
And enjoy life with a lot of
Thrill.
I'm glad to walk this way.
I am able to feel the touch of the the
God almighty.
I am able to talk with him boldly
I am able to rebuke him each and
Every time for his poor creation
In this earth.
I'm pleased to sail life in this way.  
I am able to mark and show him
His cruelty towards the poor
Section of the society,
Which he formed with the creation
Of this world.
The terrible misery that they face
Each and every time.
I am able to blaspheming him
To show the anger of my
Heart and soul and also able to pray to him
To reform it.
I am able to take the list of his deeds of accounts
Towards his creation, perfect and accurately.
I can jump on him to show my cruelty-
To get his performance towards
His creation.
I am able to ask him boldly why? why my lord-
You create such an inhumanity
Creation with terrible hate and anger.
Why? Why? Why?
My lord, Why?
Why you create such great differences
Between the rich and the poor.
Why my lord?
You have to answer it.
Why a section of your creation will get
Much and much and you will swear
Your mercy towards them and
Will make a thousands of trap for the
Poor to fall down them towards
Terrible misery.
Why my lord, why?
I am able to blaspheme him with sky high hate.
I am able to say him boldly  that
Rather creation of such nuisance, my lord
It was the much better, not the creation.
I am able to got mix with him
As my dear and near one.
I find myself very happy
To rebuke him
Always and I continue it all the time,
Each and every moment
Madly.


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "SIDUR RANGA BHALOBASHA", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


তোহায় জানাই শুভর শুভ অনেক শুভ কামনা,
তৃপ্তি পরান গার্হস্থে, ধন বাঢ় সুখ-
হৃদয় প্রণয়
প্রর্থনা।  
তোহার জীবন ফুলের মালা ঘৃতকুমারী চন্দনে,
মাতলো যে প্রাণ আকাশ রবে
গাইতে জীবন
বন্ধনে।
মঙ্গলময় হোক স রাহা ধন্য ময়ূরপঙ্খী,
রব তুলে সে কুঁহু রবে
বইতে কোকিল
কন্ঠী।
ঝর ঝর ঝর ঝর্ণাধারায় দিব্য আলোক সনে,
প্রাণ ভরে যাক দুনিয়াদারি
ঝরতে তোহার দুই
ভুবনে।
সাধতে সাধ সাধ্য নাই অনেক দূরে রই,
ভবসাগরে কান্না হাসি-
বইতে রে বই
সই।
বৈতরণীর ঘাটে ঘাটে আলোক শিখায় জ্বালাই প্রাণ,
আজকে ধরা কাব্য রবে-
তোহার জীবন ধন্য
গান।
হে ঈশ্বর ধন্য করিস ধন ধাধ্যে পূর্ণ কুটি,
আজকে জ্বালাই তোর ওই দ্বারে
জ্বালাই ওহে মাধব আমার
প্রাণের শিখা আলোক
বাতি।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "জ্ঞানী নেতার বাণী-(ব্যঙ্গ)", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“নিরাশা”


হে আশা দুরাশা হায় রে হায় নিরাশা!
নিরন্ন নিরাহারে নত প্রাণ শত ঘরে
রচিতেছে ইতিহাস,
আমি কবি কেঁদে কেঁদে ঈশ্বরে
দেই ভাষ।
ভাষাতেই জাল বুনি বসন্ত ফাল্গুনী,
হ-সন্তে আর দিকে, কান্না সে রব
শুনি।
দেশমান বে-সমান ভাসমান উদবেগ,
দিকে দেশে ভেকধারী-ন্যাতা স্যাতা
ভাবাবেগ।
আশাতেই দিন গুনি সফল সে হবে দেশ,
কর্মঠ উদ্যম বাসন্তি রঙ-এ
বেশ।
কাল যায় স্রোতে বেয়ে, ক্ষয়িষ্ণু অন্তর,
ধূ ধূ ধরা বঞ্জর খাঁ খাঁ রবে
প্রান্তর।
কবে শেষ বজ্জাতি উঠে রবে দেশবাসী,
খান খান খান রবে, বাজাতে সে
মোহ বাঁশী।


প্রিয় কবি মৌটুসি মিত্র গুহ মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "কাব্যহীন", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“কাব্যগাঁথা”


দিক বিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে কাব্যগাঁথা,
ওই ইট বালি প্রাথরের প্রান্তরে,
বন বনানীর হরিৎ ক্ষেত্র,
ধানক্ষেতে ঢেউ খেলে বাতাসে
মাদল বাজায় প্রান,
বিহঙ্গ কলতানে সুমধুর রিনিঝিনি,
মেঘের দেশে উড়ে যাওয়া
ভাবনার আকাশ,
বাতাসের মৃদু হিল্লোল,
জলতরঙ্গের কুলু কুলু প্রশান্ত বারিধারা,
অশ্রুতে ব্যথায় বেদনায়,
আনন্দ উদ্বেলে কিবা উদ্বেগ বা আবেগেতে,
চঞ্চুর সুমধুর ভালবাসা গড়ে ওঠে
কাব্যগাঁথা।
কাব্যহীন পল হয় না প্রিয় কবি!
হয়না কখনো
ধরা।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "দাদা আমার", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


দায়সারা কাজ করবে নাকো
দারুন জীবন পেতেই হলে,
দবদবিয়ে উঠতে জ্বলে
দস্তাবেজে হৃদয়
দোলে।  
দরকার হয় পয়সা টাকার
দারুন জীবন জাপন করা
দস্তাবেজের তলায় থাকে
দলে দলে টাকার
বড়া।
দারু খেয়ে তাই বলে ভাই!
দান ক্ষয়রাত করতে পারো,
দানীর সে দান অমর রয়
দফন কভু হয়না
বুড়ো।
দল মেতে ভাই শুন কথা
দিচ্ছি বিনে পয়সাতেই,
দান দিচ্ছি বলতে গেলে
দামী দামী কথা-
তেই।
দাঁ কুড়াল কক্ষনো না
দল মেতে ভাই ঝগড়া ঝাটি,
দম বেড়িয়ে যাবেই তখন
দশ দাড়োগা ধরলে
ঝুটি।
ধাধার মতন লাগবে রে ভাই
ধরা জুদি পরলি জেলে,
ধাপ ধাপিয়ে দিলই জুদি
ধাঁর সে বেত তোর
কপালে।
ধা তিন না, ধা তিন না
ধরবি রে গান ও মাগো মা
ধপাস করে পরবি বসে
ধন্য জীবন হবেই
না।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কথা অমৃত-১৮৩", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।  
“মরিচিকা”


অন্তর চোখে দেখা যা সত্য অতি,
বাহ্যিক রূপ আভরনে-
কি'বা মান
গতি।
মরিচিকা প্রহেলিকা কাঁদায় অন্তর,
যা দেখি বহিরঙ্গে-সে'তো
ধূ ধূ প্রান্তর।
কাক কি কোকিলা-রুহ মেপে দড়,
মেপে নিতে তারে কোলে
দেখে নিতে
স্বর।
কালো তার ভূষনেতে আলো তারি হৃদে,
অন্তর নাই যারি-শত বাণ রূপে
বিঁধে।
তাই আজি পণ ধরো কহি আমি কবি,
অন্তর হৃদ গাহো-তা'রি আঁক
ছবি।
গাহ গুনে জয়োগান নাহিকো বারিকো ছলা,
রূপ তারি অঙ্গেতে-ভুলিতে তাহাতে
কোরো নাকো-ছেলে
খেলা।


প্রিয় কবি সোমেন রায় মহাশয়ের সেদিন প্রকাশিত "সুতনয়ার চিঠি ও আমার প্রলাপ", কবিতার উত্তরে শুরু হয়েছিল পথচলা। পৃধিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ আধুনিক কবিতা লেখার পালা। প্রতিদিন এতখানি করেই লেখা হবে। ১০০০ লাইনের আগে কবিতা শেষ হবে না।
“সুতনয়া”


সুতনয়া, হাসো হাসো।
তোমার হাসিতে লটকে আছে আমার গান,
চৈতীর ক্ষরানে অবশানে,
বৃষ্টির কনক ধারায়, হরিৎ ক্ষেত্রে
ঢেউ খেলে যায় ফসলের বারি।
দীন কৃষক গান গেয়ে ওঠে
পরমপিতার পানে,
আকাশের পানে চেয়ে।
সুতনয়া হাসো, তোমার গানে
বিহঙ্গ কূল গানে গানে মেতে ওঠে,
থেমে যায় যুদ্ধের কোলাহন,
হলাহল হয়ে ওঠে অমৃত কণা।
ভালবাসায় সিক্ত হয় মেদিনী,
রিক্ত প্রাণে জেগে ওঠে,
হাজার ওয়াটের মেগা বাল্পের
আলোকো রশ্মি।
পিপইলিকার সারি থমকে দাঁড়ায়,
ফেরোমেনে তার হারায় গন্ধ।
পাহাড়ের গাম্ভীর্য পদতলে
বীর্যস্খললে  মাতোয়ারা ফল্গুর ধারা,
মৈথুনে চমকে ওঠে,
স্খলন হয় বাদুরের দোল দোলানী,
মেদিনী চমকে ওঠে।
শিহরণে প্রাণে লাগে দোলা,
সুতনয়া, হাসো, আজ হাসতেই হবে
তোমাকে।
সমগ্র বিশ্ব আজ তোমার হাসির
অপেক্ষায়।
শ্রাবণে বারিধারা নাই বসন্ত গুলাবী,
ফাল্গুনে ঝরে না পাতা
উদাস বৃক্ষকূল,
সুতনয়া-পারবে কি না!
পার কি"না তুমি!
বিশ্ব মেতে আছে কপট হাসির ছলে,
সুতনয়া, একটি কপট হাসিই
না হয় দিলে।
বজ্রপাতে ঘন কালো মেঘ
বৃষ্টি ঝরাবে অঞ্চলে।
কৃষকের মুখে ফুটবে হাসি,
গানে গানে সুমধুর হবে
বসুন্ধরা।
সুতনয়া, একটি বার সহাস্যে বল
আজো আমি হাসতে ভুলিনি,
ভুলিনি সে
হাসি।