একদম পারি নাই সম্পাদনা করতে। প্রকাশ দিলাম। এখনি কিছুটা সাজিয়ে দেব। শুভকামনা।


দুপ্রহর 3/30 মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হল রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের 66 তম কবিতাটি। এই–“"জীবনে যা চিরদিন"
তাহার লেখাটি এইরূপ:-


“জীবনে যা চিরদিন”রয়ে গেছে আভাসে
প্রভাতের আলোকে যা
ফোটে নাই প্রকাশে,
জীবনের শেষ দানে
জীবনের শেষ গানে,
হে দেবতা, তাই আজি
দিব তব সকাশে,
প্রভাতে আলোকে জা
ফোটে নাই প্রকাশে।


কথা তারে শেষ ক'রে
পারে নাই বাঁধিতে,
গান তারে সুর দিয়ে
পারে নাই সাধিতে।
দী নিভৃতে চুপে চুপে
মোহন নবীনরূপে
নিখিল নয়ন হতে
ঢাকা ছিল, সখা, সে।
প্রভাতের আলোকে তো
ফোটে নাই প্রকাশে।


ভ্রমেছি তাহারে লয়ে
দেশে দেশে ফিরিয়া,
জীবনে যা ভাঙাগড়া
সবই তারে ঘিরিয়া।
সব ভাবে সব কাজে
আমার সবার মাঝে
শয়নে স্বপনে থেকে
তবু ছিল একা সে-
প্রভাতের আলোকে তো
ফোটে নাই প্রকাশে।


কত দিন কত লোকে
চেয়েছিল উহারে,
বৃথা ফিরে গেছে তারা
বাহিরের দুয়ারে।


আর কেহ বুঝিবে না,
তোমা-সাথে হবে চেনা
সেই আশা লয়ে ছিল
আপনারই আকাশে,
প্রভাতের আলোকে তো
ফোটে নাই প্রকাশে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ “জীবনে যা চিরদিন”


জীবনে যা চিরদিন
               ছিল মোর বাসনা,
বাঁশি বাজে রবে ধনু
             দিবানিশি আরাধনা।
সাধক কি হই নাই
         তারি দ্বারে দয়াময়,
রতি কাম দূরে ফেলে
             ধরি তারে ভাবনায়।
বাপান্ত শোনে নাতো
             রবে দেই প্রাণ মেলি,
দিবানিশি কাব্যেতে
           তারি সনে খেলাখেলি।


কানামাছি ভো ভো
          যাকে পাবি তাকে ছোঁ,
ছোঁ মেরে তুলে তারে
          পার করে দাও ওগো।
রব তুমি শোন কি গো
           রব ধ্বনি কান্না সে,
দিকে দিকে বয়ে চলে
             আকাশেতে বাতাসেতে।
ফল্গুর ধারা কিগো
            নাই তব দেশে প্রাণ,
দিবে কি গো, ওগো প্রভু
           ওগো প্রাণ ভগবান।


যুক্তি দ্বারগোরে তব কৃপা মাপি নাই,
        জোড় করে আরাধেতে
বানী মোর রব
                    নাই।


হৃদয়েতে ধরি তোরে
             ওগো হরি প্রাণ বোল,
বুলি তোরে অম্লেতে
            ব'কি তোরে হরি বোল।
জাদু টোনা পাই নাই
                পেয়েছি গো তোরে হরি
প্রান মনে অনু তলে
                তুই মোহে ছড়াছড়ি।


দড়াদড়ি করি শত হরি তুই কান্না রে,
            কাঁদা মেখে ঘোলা জলে
লাভ কি রে পাস  
                   ওরে।


তাই বলি রোদনেতে মেদিনীর পানে চা'রে,
          দুই চার দশ পাঁচ-প্যাচ খুলে
               দে'না ওরে।
ইনসান বুকে ধর-দে'না হৃদ অগুন্তি,
              বাসন্তি গোলা দে'না-আর দে'না
                    প্রেম প্রীতি।


শুনিতে কি পাশ ওরে ভব তোরে ডাকি প্রাণ,
        ঢেলে দে'না বসন্ত, ফাগুনেরি
                    আরাধন।
আজি মাগি তোরে মাঝি-কাহাইয়া দেবে ভুলি,
          ঢেলে প্রাণ আনমনে-তোরি সাথে
                    কথাকলি।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদ।


It was my desire in my life,thee
That I will devote mine to
To you thy and will sing the
Song of thy with nice melody,
To spread the love and affection
Throughout the world, my lord,
It was my desire.
It is fulfilled now and presently
I got mixed with you and playing with you
My lord, I rebuke you,I  laugh at you
And telling a lot lot, the great misery
Of the people of the earth and to
Get a remedy on and from thy.
Thou, has became my dearest and
Nearest friend now.
Tis my desire thou.
Tis my desire thou.
I would like to inform you thou
All world is weeping and would like to
Request you to be kind enough to
Rescue them. Thou thou
You, you, the best of my friends.
I don't want to listen any reason
I believe in you and I believe that
You, you, you the good one
Whom could I believe.
I don't want a magic to reform the society
I do believe in and would like to pray
Oh my lord, Oh my lord,
Please , please please reform it.
Reform it urgently, my lord.
I observed it my lord, I observed it that
Thou  letting the situation to go worse and
You find much pleasure out of it.
What kind of pleasure it is, my lord,
What kind of pleasure it is!
I am telling you please not to do so and
The the traps that you have sowed in
In earth, please remove it
Urgently, please, please my lord
Oh my lord.
It was my desire in my life,thee
That I will devote mine to
To you thy and will sing the
Song of thee with great melody,
To spread love and affection
Throughout the world, my lord,
It was my desire.
But what it is my lord! I could see
Getting mixed with you, my lord,
Oh my lord!


দুপ্রহর 2/24 মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হল রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের 64 তম কবিতাটি। এই–"কাশের বনে শূন্য নদীর তীরে"
তাহার লেখাটি এইরূপ:-


কাশের বনে শূন্য নদীর তীরে
আমি তারে জিজ্ঞাসিলাম ডেকে,
একলা পথে কে তুমি যাও ধীরে
আঁচল-আড়ে প্রদীপখানি ঢেকে।
আমার ঘরে হয় নি আলো জ্বালা,
দেউটি তব হেথায় রাখো বালা।


গোধুলিতে দুটি নয়ন কালো
ক্ষণেক-তরে আমার খুখে তুলে
সে কহিল,'ভাসিয়ে দেব আলো,
দিনের শেষে তাই এসেছি কূলে।'
চেয়ে দেখি দাঁড়িয়ে কাশের বনে,
প্রদীপ ভেসে গেল অকারণে।


ভরা সাঁঝে আঁধার হইয়ে এলে
আমি ডেকে জিজ্ঞাসিলাম তারে,
'তোমার ঘরে সকল আলো জ্বেলে
এ দীপখানি সঁপিতে যাও কারে?
আমার ঘররে হয় নি আলো জ্বালা,
দেউটি তব হেথায় রাখো বালা।'


আমার মুখে দুটি নয়ন কালো
ক্ষণেক-তরে রইল চেয়ে ভুলে।
সে কহিল, 'আমারে-যে আলো
আকাশপ্রদীপ শুন্যে দিব তুলে।'
দেয়ে দেখি শূন্য গগনকোণে
প্রদীপখানি জ্বলে অকারণে।


অমাবস্যা আঁধার দুই-প্রহরে
জিজ্ঞাসিলাম তাহার কাছে গিয়ে,
'ওগো, তুমি চলেছ কার তরে
প্রদীপখানি বুকের কাছে নিয়ে?
আমার ঘরে হয় নি আলো জ্বালা,
দেউটি তব হেথায় রাখো বালা।'


অন্ধকারে দুটি নয়ন কালো
ক্ষণেক মোরে দেখলে চেয়ে তবে,
সে কহিল, 'এনেছি এই আলো,
দীপালিতে সাজিয়ে দিতে হবে।'
চেয়ে দেখি ল ক্ষ দদীপের সনে
দিপখানি তার জ্বলে অকারনে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ “কাশের বনে শূন্য নদীর তীরে”
কাশের বনে শূন্য নদীর তীরে


কাশের বনে শূন্য নদীর তীরে
একদা সে ভিরে গেল তরী,
দড়াদড়ি ধরি বনিক সে কূল
ছাড়িল প্রমোদ ভেরী।
একদা সে বনে শূন্য নদীর তীরে,
গেয়েছিনু সে গীতি,
প্রভাত আলোক দিশা লগনেতে
হয়েছিল প্রেম প্রীতি।
হীরক বদনো জ্যোছনার রঙ
উছলি প্রাণের ডালি,
উছলো সে সজ্জিত কাননেতে
ঝরেছিল বনমালি।
দুর্বার প্রাণ তীব্র সে ঘ্রাণ
প্রেমের গানেতে বাঁধা,
কাশের বনেতে শূন্য নদীর তীরে
পেয়েছিনু রাধা।
লোচন কমলো দীঘল আঁখি
সাগর উথলো বোল,
শুভ্র ধবলো তনু সে তাহারি
তরঙ্গো উতরোল।
বক্ষযুগলো আকাশের মণি
অরূপো রতনো আঁকা,
বেণীতে তাহারি দোললচাঁপায়
দোদ্যুলো আঁকাবাঁকা।
নাভিতে পদ্ম শতদল তাহে
গ্রীবাতে মাল্যদল,
অধর তাহারি চঞ্চল প্রাণ
কোমল তাহারি দল।
চরন যুগলো পুষ্পের কলি
হেরিতে অপরূপা,
হেরিনু সে অপরূপ অপলক
হল দিশা।
সুবাস বহিতে হৃদয় কোলেতে
বিগলিত ঘ্রাণে,
কহিলাম তায় ওহে সখা মোর
আসিতে কি প্রাণে।
ওষ্ঠ লাজুক মিঠা সে হাস
হাসিলো সে বারি,
দুলাইয়া বেণী কহিতে ঈশারায়
নাহি নাহি নাহি।
কাশের বনে শূন্য নদীর তীরে
একদা সে ভিরে গেল তরী,
দড়াদড়ি ধরি বনিক সে কূল
ছাড়িল প্রমোদ ভেরী।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদ এইরূপঃ-


On the bank of the river in between the long grasses
I stop my boat and tried to glitter my life by getting
the the unique creation in very low price.
I find my love there.
She was the marvelous creation of the earth and
She was as fairy as the anjel.
She was glittering like diamond.
She was a divine fellow.
Her attraction was so great that I spellbound entirely
And thought that she is my person
And is made for me.
Her eyes was big and that was like a lotus
It seems the oceans dip into her eyes.
She was whitish in complexion.
And her stature was strongly bright.
She was like the waves of the sea.
She was very very sexy in nature.
It was a beautiful leaf like structure
Her feet was
It was a high time for me and
I got amazed and
Having look at a stretch for
Quite sometimes.
I lost my sense of thinking & fall in her love
With the wonderful creation of the earth.
She has been made for me,
Only for mine! And afterwards
When I came to mine conscious
I propose her and asked
Whether she is agree with my proposal.
Having a amazed look to me
Shyly and smile significantly,
Rather telling a single word
She undulate her head
Side to side to mean
That she is not agree at all.
On the bank of the river in between the long grasses
I stop my boat and tried to glitter my life by getting
the the unique creation in very low price.
But I can and moved away.


দুপ্রহর 1/22 মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হল রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের 63 তম কবিতাটি। এই–"কত অজানারে জানিলে তুমি"
তাহার লেখাটি এইরূপ:-


কত অজানারে জানিলে তুমি
কত ঘরে দিলে ঠাঁই,
দূরকে করিলে নিকাত, বন্ধু,
পরকে করিলে ভাই।


পারানো আবাস ছেড়ে যাই যবে
মনে ভেবে মরি দী জানি কী হবে,
নুতনের মাঝে তুমি পুরাত্ন,
সে-ক \থা যে ভেলে যাই।
দূরকে করিলে নিকট, বন্ধু,
পরকে করিলে ভাই।


জীবনে মরণে নিখিল ভুবনে
যখনি যেখানে লবে,
ইরজনমের পরিচিত ওহে,
তুমিই চিনাবে সবে।


তোমারে জানিলে নাহি কেহ পর,
র্নাহি কোনাও মানা, নাহি কোনো ডর,
সবারে মিলায়ে তুমি জাগিতেছ
দেখা যেন সদা পাই।
দূরকে করিলে নিকট, বন্ধু,
পরকে করিলে ভাই।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ "কত অজানারে জানিলে তুমি"
"কত অজানারে জানিলে তুমি"


কত অজানারে জানাইলে তুমি
ওগো দয়াময়, মাইয়া মোহে
দরিয়ায় ভবে ভরিলে
কানায় কানাই।
কাহনাইয়া তুই উষার আলোক
মঙ্গল গীতিমালা,
তোহারি দানেতে ডালিতে মোহারি
দ'লে দ'লে মধু ঢালা।
ঢালিতে অঙ্গ মোহে রূপালী সে বান,
জ্যোছনা রঙ্গে উছলো ভবেতে
রঙ্গে কত'না মোহারি অঙ্গে
তোহারি সে অবদান।
গাহিতে সে গীত তব সঙ্গীত
উছলি লহরো-কান্তি সে দেবময়,
ভ্রান্তি ভবেরো দেশেতে আলোকো
ছড়াই ওগো প্রভায় তোহার।
অলীকো নহেকো ধরা হিংসা ও দ্বেষ হরা,
গাইতে প্রভুরো বন্দনা গীতি
রোদন অবসানে প্রসস্তি গানে
স্নিগ্ধ আলোকো priti।
কত অজানারে জানাইলে তুমি, ওতো দয়াময়,
দানিতে আলোকো প্রদীপো বাণিতে
শানিত প্রভাময়।
দ্বীপ সে তোহারি অঙ্গে ধরিনু
প্রভাতো গাহিনু ফেরী,
প্রণাম করি সে দয়াল প্রভু
ওগো দানেশ্বরী।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ
"You made me"


You made me to know a lot which I
Knew not, thou!
You made me to know a lot, my lord
Which could I hardly think so!
Oh my dear lord you are the great,
What a donation you have given, thou to me
That I could able to write these lovely
Poetry and songs instantly
All day night long.
Oh my lord, you are the great.
Thou, thou, thou is the reason behind it
I can write well and can spread
Your message in the form of lyrics
Towards the world entire.
It is not a dream that we could able to make
The world heavenly like and could live
In calm and peace everywhere.
We are able to stop and end the cruelty and
And come on inhumanity entirely
If we wish to be.
It is not a day dream, my lord
My lord, I am able to understand and spread
Your message in form of lyrics.
It is not a dream.
You made me to know a lot which I
Knew not, thou!
You made me to know a lot, my lord
Which could I hardly think so!


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কথা অমৃত-১৮৮", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


রঙ চঙা আজ দুনিয়াদারি গাধা পিটায় ঢোল
লিপিস্টিক আর হাত কা মারি
শরীর দিয়ে
দোল।
আরে দোলা হচ্চে রে তো ময়দানেতে রেলে,
বাস কি গাড়ি-এম্বাসেডার-কান্না
সে রোল
তুলে।
তুই মডেলে যৌন অতি-পুরাই তো দিস দেখা,
আজ গগনে আঁধার কালো-সমাজ
আঁকাবাকা।
ঠনঠনা তো হৃদমাঝারে-চাপর চাপর বুলি,
কইছি কি'না ঠিক 'ক রে -সাধের
বুলবুলি।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "গুরুমন্ত্র-(ব্যঙ্গ)", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


হেই কথাটাই হেব্বি বুঝিলে কানাই-ছলাকলা।
“কলের তোড়ে চলছে গাড়ি
গড়াগড়ির দ্যাস,
দ্যাখ রে কানাই দ্যাখ না মদন
কেমন দিল
বেশ।
বাঁশ রে কানাই বাঁশ!
“মুরলী কি আর বাজায় কানাই
মোরল বাজায় দ্যাস,
ঠেসাঠেসির ঠাঁট মাদলে
ন্যাতায় মারে
বেশ।
মারামারির এই দুনিয়ায় অন্ধভাবে ভোট-টা দিস,
ন্যাতার পুঙ্গ ধরধরিয়ে গড় গড়িয়ে
পা-এই পরিস।
না খাওয়া তো জুটবে ভাল-কপাল যাব ভইরা,
ন্যাতার চ্যালা হইলে দ্যাসে
ধনে যাবি
উইরা।
ফ্যাল ফ্যালাবি দুই চাইরখান বড় লোকের হোতা রে,
আর ভাবনা ভাবছি কবি-কাব্য লেখা
ছাড়ুম রে।
হেই ভগবান শুনেই না'রে কালার মতই থাকে,
আর ন্যাতার চ্যালার হেলার বাড়া
থাকে থাকে
থাকে।
থাক দারি দেই কাব্যগাঁথায় অহন কানাই চল,
ধরতে চলি পুঙ্গ অদের
বানাই দল-
বল।
তাইলে জাই কত্তা!


প্রিয় কবি লক্ষ্ণন ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বিশাল তরুর সবুজ ছায়ায়", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


প্রাণের দোলায় হৃদয় হারায় গ্রামে সে মধ্যমনি,
আর সরোবর তাল পাড় তার
গ্রামটি সোনামনি।
সোনামনির আঁচল তলে জুই শিউলী গোলাপ বকুল,
হাস্নেহানা দল মেলে চায়-প্রাণটি দোলায়
করতে ব্যাকুল।
অকূল ধারা কল কল কল স্নিগ্ধ মনোরম,
অজয় ধারা আর বয়ে যায়
প্রশান্তিতে
গ্রাম।
পুণ্যধাম মাতার মাতা রাজেশ্বরী রূপ যে তার,
শাল বিতানে আর পিয়ালে
চলতে শালিস
দরবার।
রাজ রানী সে রাজার রাজা গ্রামখানি সে বাড়া,
কোমর দোলে হালকা চালে
বঁধুর কাঁখে
ঘড়া।
ঘর ঘরামী আর দোকানী মধুর বোলের তান,
সকাল সাঁজে রূপ আকাশে
অতীব মনোরম।
কান্না হাসি প্রেমের দোলে দোদুল তুলি রব,
কৃষক ক্ষেতে সোনার ফসল
শান্তি কলরব।
মহিন মিঁয়া জ্বাল ফেলে সে ধরতে চলে মাছ,
অজয় মোদের প্রাণোধারা
আরে বিতানে
গাছ।
ময়ূরপঙ্খী নৌকা চলে মাঝির গলে গান,
আর পারা বার অজয় জলে
বৈঠা টানে শাণ।
তালদিঘি তল গাঁয়ের শোভা সোনামনির প্রাণ,
আর বলদে গরুর গাড়ি
প্যাচ প্যাচ তার
তান।
আয় মামনি দেখবি নাকি সোনামনির সত্যি হাসি,
এই ধরাতে সবার সেরা-
গ্রামখানি মোর
ভালবাসি।


প্রিয় কবি মোঃ ফিরোজ হোসেন মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "নিসর্গে জীবনচক্র", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


সবই বিধাতার নিয়মে চলে কিন্তু মানুষ চলে,
নিজের নিয়ম নিজেই বানায়
আপনার দেশে আপনার রীতি
বলে।
নিষ্ঠুরতা বর্বরতা আদি হিংসাত্মক কার্যক্রম
জানোয়ারে করে কি! ক্ষুদার তারণা বিনে;
করে মানুষ আর মানুষ, যাদের মান ও নাই
হুষ পাবে করে গুনে।
বিধাতা দিয়েছে প্রাণ আর খাদ্যশৃঙ্খলে বেঁধেছে প্রকৃতি,
মানব গান গেয়ে দেয় মেকি সমাজ গড়ে,
সমাজের নামে বজ্জাতি।
একদা হিন্দু সমাজের সতীদাহ প্রথা,
আধুনা তালিবানি!দানবেতে প্রাণ মেতে করে আহাম্মকী। ।
তালি দেই, তালি দেই, তালি দেই
তামাষায়! আগুন জ্বালাই
প্রাণে প্রাণে,
গড়িতে সমাজ বজ্জাতহীন
গাহিতে সাম্যের গানে।  
তমাল কি শিমুলেতে গরল কি অধরেতে,
বুকে বিঁধে শেল আজি-প্রাণ মরি
মর্মেতে।
জানি জাত যোনি নাই মানবতা কিনারেতে,
তাই ধরা হতাসায়-আজি দুষি
ব্রহ্মেতে।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বদমাস!", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


বা! বা! বাহ  রে বাহ!
বাপের বেটা তুই তো বেশ!
বাল ধরে বেশ খাঁমচি মেরে
বাবার নানার নাক
কাটস।
বাহ রে বাহ এখন কেমন
বাটিত নানার চোনা ডলা
বারিক কণা নানার হৃদে
বাপ বলে রে ধরলো
গলা।
বাহ রে বাহ ও নানাজি
বাল কেটে ওর নাঙ্গা কর
বলতে আমার পাচ্ছে হাসি
বাপ রে বাপ
কেমনতর।
বাহ রে বাহ নাপিত ভায়া
বাল কেটে তোর হটাৎ টাক
বলছি তো ভাই হাসছি আমি
নানা নাপিত
জিন্দাবাদ।


প্রিয় কবি সোমেন রায় মহাশয়ের সেদিন প্রকাশিত "সুতনয়ার চিঠি ও আমার প্রলাপ", কবিতার উত্তরে শুরু হয়েছিল পথচলা। পৃধিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ আধুনিক কবিতা লেখার পালা। প্রতিদিন এতখানি করেই লেখা হবে। ১০০০ লাইনের আগে কবিতা শেষ হবে না।
"সুতনয়া"


সুতনয়া দেখো, দেখো, আজ বসন্ত,
বাসন্তিক হাওয়ার দোলে দোদুল
দোদুল্যমান দুলছে মেদিনী,
ফুলে ফুলে গুঞ্জনে অতি,
শতদলে সহাস্য সরোবর,
ময়ূর পেখন ধরেছে আজ,
শিউলী বকুল হাস্নেহান আর
আর গোলাপের গুলাবী রঙে
সিক্ত হয়েছে ধরা।
মানব মনো পল্লবীতে খুশির মাদল
আকাশে শঙ্খচিলে অবিরাম উড়ান।
আনন্দে উদ্বেল বসুন্ধরা।
সুতনয়া আজ ও কি হাসবে না তুমি!
আজ ও কি হাসবে না।
রং লাগে নাই কি তোমার অঞ্চল,
সুতনয়া, দেখো দেখো গুলাবী মেঘে
ডেকে যায় বসুন্ধরা, ওষ্টে ওষ্টে আজ
হাসির শৃঙ্খল, প্রেমিক আলিঙ্গনে
বাধা প্রেমিকা, অভিসারে মত্ত যৌবন,
ক্রিরায় মত্ত জলজো অভিসারিনী,
সুতনয়া, একবার, শুধু একবার
হেসে ওঠো মেদিনী, সুতনয়া,
সুতনয়া হাসো, হাসো,
হেসে ওঠো একবার,
একবার হেসে ওঠো প্রিয়তমা।


প্রিয় কবি প্রবীর চ্যাটার্জী


হেই কত্তা, কন কি! ভাসাই দিছি জল,
গিন্নি কহে লিখবা জুদিই
পাইসা দিবে
কল।


মুই কই কত্তা জানেন, কইতে লাগে লাজ,
কয়্যা দি ভুলায় অরে-
দিব রে ট্যাহা
রাজ।


জেই দিনত বুজভে অরা আমি লিহি কি!
সেই দিনত বোঝা বোঝা
কুথায় রাখ-
বি?


প্রিয় কবি প্রবীর চ্যাটার্জী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "শায়েরি-৪", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ঠিক বলেছেন ঠিক বলেছেন,
কি কস ভাই বুলবুল,
মরা গাঙ-এ জোয়ার দিতে
একদম চাঙ্গা
বুল।


বুল মানে কি জানত তো!
আরে বাবা ষার রে,
তাই তো খাই দিন ঢলেতে
হর হর বোল-ডন
হোতে।