দুপ্রহর 2/33 মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হল রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের 59 তম কবিতাটি। এই–“যে তোমার প্রেম, ওগো”


তাহার লেখাটি এইরূপ:-


এই যে ওমার প্রেম, ওগো
হৃদয়হরণ।
এই-যে পাতায় আলো নাচে
সোনার বরণ।
এই-যে মধুর আলস-ভরে
মেঘ ভেসে যায় আকাশ-'পরে,
এই-যে বাতাস দেহে করে
অমৃতক্ষরণ।


প্রাভাত-আলোর ধারায় আমার
নয়ন ভেসেছে।
এই তোমারি প্রেমের বাণী
প্রাণে এসেছে।
তোমারি মুখ ওই নুয়েছে,
মুখে আমার চোখ থুয়েছে,
আমার হৃদয় আজ ছুয়য়েছে
তোমার চরণ।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-


এই -যে তোমার প্রেম, ওগো
নিত্য আমার দ্বারে,
শুধাই তোরে আজ সে কানাই
কেন ঝরিস ওরে।
তোর সে সুধা কমল যেন
পুষ্প শতদল,
উঠতে লহর প্রেম সে কানন
বাতাস সুবিমল।
শ্রুভ্র প্রাতে শুচি মনে
গাইতে রে তোর গান,
সা রে গা মা, পা ধা নি সা
আকাশ ধরে তান ।
গাইতে বিহগ তোর ওই গলে
স্নিগ্ধ মধুর বোলে,
ঢালতে মধু কন্ঠে যে মোর
হলকা গীতির দোলে।
এই-যে তোমার প্রেম, ওগো
দয়াল মতি,
চাইলে তুমি ছাড়তে আমায়
দুখীর করো গতি।
গাইতে কানাই দুখের দেশে
ছাড়তে যদি মোরে,
নাই দুখ নাই নাই রে কানাই
আমার হৃদয়
দোরে।


আর আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদ এইরূপঃ-
“I know I know”


I know I know that my lord
Thy love me and pay attention to me
Each and every moment.
I would like to know my lord
What is the significance of your movement
In the form of poetry!
You are creating wonderful creations
As like as marvelous flower like lotus.
The air get refreshes with the touch with these
And the wave of the sea rises up high.
As soon as I awoke up you start singing
Nice melody like the bird
Sa re ga ma, pa da ni sa,
I know I know that my lord
Thy love me and pay attention to me
Each and every moment.
I like it, I like it very much, my lord.
But, but my lord I frequently comes down
In heart observing the poor suffering
People around me.
I would like to request you to do something
To remove their misery.
I hardly could see it. I hardly could see it.
My lord please please please
Please arrange some remedy of it.
If you have to leave me to pay attention
To them, you can, you can, my lord.
I will not cry at all.
I will not cry at all my lord.


দুপ্রহর 2/17 মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হল রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের 62 তম কবিতাটি। এই–“রঙ্গিন খেলনা দিলে ও রাঙ-আ হাতে”


তাহার লেখাটি এইরূপ:-


রঙিন খেলনা দিলে ও রাঙা হাতে
তখন বুঝি রে বাছা, কেন যে প্রাতে
কেন এত রঙ মেঘে, জলে রঙ ওঠে জেগে,
কেন এত রঙ লেগে ফুলের পাতে-
রাঙ-আ খেলা দেখি যবে ও রাঙ-আ হাতে।


গান গেয়ে তোরে আমি নাচাই যবে
আপন হৃদয়-মাঝে বুঝি রে তবে,
পাতায় পাতায় বনে ধ্বনি আত কী কারণে,
ঢেউ বহে নিজমনে তরলরবে,
বুঝি তো তোমারে গান শুনাই যবে।


যখন নবনী দিই লোলুপ করে
হাতে মুখে মেখেচুকে বেড়াও ঘরে,
তখন বুঝিতে পারি স্বাদু কেন নদীবারি,
ফল মধুরসে তারি কিসের তরে,
যখন নবনী দিই লোলুপ করে।


যখন চুমিয়ে তোর বদনখানি
হাসিটি ফুটায়ে তুলি তখনি জানি
আকাশ কিসের সুখে আলো দেয় মোর মুখে,
বায়ু দিয়ে যায় বুকে অমৃত আনি-
বুঝি তা চুমিলে তোর বদনখানি।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-“রঙ্গিন খেলনা দিলে ও রাঙ-আ হাতে”
“রঙ্গিন খেলনা দিলে ও রাঙ-আ হাতে”


রঙ্গিন খেলনা দিলে ও রাঙ-আ হাতে
মাধব নিলি রে হৃদয় কেড়ে,
বানায় আমায় কবির কলি
কল কাঠি তুই দারুন
নেড়ে।
মাধব-ও মাধব ওরে!
তোর দিশাতেই বইতে পরান
দিন যে আমায় ঘোর সে রয়,
আর লাগে না কিছুই ভাল
কাব্য গাঁথায় রইতে সয়।
ভাবের দেশে হারিয়ে যে যাই
তোর ওই ধূল মেখেই আঁখি,
ঘোর তমা চার দিশাতেই
তোর রাহাতল আলোক
মাখি।
প্রাণ পাখি মোর হারিয়ে দিতেই
ফাঁদ পেতে ওই হৃদয় দোরে,
প্রভাত কি'বা রাত দরবার
প্রাণ মেতে ওই-মাধব
রে।
তোরেই হাসি কান্না অনেক
ব'কতে তোরে লাগে ভাল,
কান্না হাসির এই দরিয়ায়
শ্রুভ্র প্রভা তমার
কালো।
তাও কি দিশা ভালই কানাই
দুঃখ সুখে বইতে ভব,
সুখের দিনে জড়াই তোরে
দুখের দিনে গালির
রব।
তুই কি কানাই বুঝিস মোরে
করিস না'তো একটু কালো,
যতই ব'কি ধমক ধামক
করিস আমার আকাশ
আলো।
রঙিন খেলনা দিলে ও রাঙা হাতে
মাধব নিলি রে হৃদয় কেড়ে,
বানায় আমায় কবির কলি
কল কাঠি তুই দারুন
নেড়ে।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
“Oh my lord!”


Oh my lord! Oh my lord!
You have given me the pen and the heart
To make me poet,
What a great conspiracy, thy.
Oh my lord! Oh my lord!
I, I, I overwhelmed and
Got mixed with thee to create
Poetry each and every time
All day and night long.
I  am forgetting each and everything
Besides poetry and thee.
I have sunk down into that stream
And I do not feel good anything
I have lost my interest in each and entirely
Besides thy and the poetry.
Blackout of sin took place entire the world,
All day and night long I am
Trying to enlighten them by thy message
Of love and affection.
Oh my lord! Oh my lord.
I am loosing my consciousness and getting mixed
With thy, I laugh, I cry, all it is
Expression of thy.
In time I come to me, I rebuke you
For your poor creation around mine and
In day of Joy I praise you but
Curse you in day of mourn.
Each and all time when
I come to me.
You never shower anger to me
With such of my rough behavior, my lord.
I know, I know, that you have the power to
Understand me, my lord, my lord.
Oh my lord! Oh my lord!
You have given me the pen and the heart
To make me poet,
What a great conspiracy, thy.
Oh my lord! Oh my lord!


দুপ্রহর 1/39 মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হল রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের 61 তম কবিতাটি। এই–“খোকার চোখে যে-ঘুম আসে”
তাহার লেখাটি এইরূপ:-


খোকার চোখে যে-খুম আসে
সকল-তাপ-নাশা-
জান কি কেউ কোথা হতে যে
করে সে যাওয়া-আসা।
শুনেছি রূপকথার গাঁয়ে
জোনাকি-জ্বলা বনের ছায়ে
দুলিছে দুটি পারুল-কঁড়ি,
তাহারি মাঝে বাসা-
সেখান হতে খোকার চোখে
করে সে যাওয়া-আসা।


খোকার ঠোঁটে যে হাসিখানি
চমকে ঘুমঘোরে-
কোন দেশে যে জনম তার
কে ক'বে তাহা মোরে।
শুনেছি কোন শরৎ-মেঘে
শিশু-শশীর কিরণ লেগে
সে হাসিরূচি জনমি ছিল
শিশিরশুচি ভোরে-
খোকার ঠোঁটে যে হাসিখানি
চমকে ঘুমঘোরে।
খোকার গায়ে মিলিয়ে আছে
জে কচি কোমলতা-
জান কি সে যে এতটা কাল
লুকিয়ে ছিল কোথা।
মা যবে ছিল কিশোরী মেয়ে
করুণ তারি পরান চেয়ে
মাহুরীরূপে মুরছি ছিল
কহে নি কোনো কথা-
খোকার গায়ে মিলিয়ে আছে
যে কচি কোমলতা।


আশিস আসি পরশ করে
খোকারে ঘিররে ঘিরে-
জান কি কেহ কোথা হতে সে
বরষে তার শিরে।
ফাগুনে নব মলয়শ্বাসে,
শ্রাবনে নব দীপের বাসে,
আশিনে নব ধান্যদলে,
আষাঢ়ে নব নীরে।
আশিস আসি পরশ করে
খোকারে ঘিরে ঘিরে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-“খোকার চোখে যে-ঘুম আসে”
“খোকার চোখে যে-ঘুম আসে”


খোকার চোখে যে-ঘুম আসে
আজ কি আর আসতে আলো,
আজ কি খোকা পরান দ্বারে
আজ কি আর
থাকতে ভাল।
থাকবে কি'রে নাফ নদী রে
কান্না ঝরে বুকে,
পাষাণ সে দেশ আজকে খোকার
কান্না আজি দুখে।
এই পৃথিবী ঘুমায় খোকা
করিস নারে দ্বেষ,
দে'না দে'না আর খেলনা
শান্ত পরিবেশ।
খোকা আমার ঘুমায় নারে
রব সে দ্বারে ব্যথা,
মা যে মৃত নাই বোঝে নাই
খুজতে দুধের হোতা।
কাঁদছি রে আজ কান্না ঝরে
আঁখির দ্বারে টপ টপ টপ,
ঝরছে রে বান রুধির ধারা
মুছতে কেমন বল!
রুদ্ধ ধরা অবাক চাই! চাই রে মানবতা,
এক পৃথিবী ঘুম যে খোকার
করিস না আর হেথা।
মানব না'কি দানব তোরা
কাঁড়লি খোকার মাতা,
ভগনী কাঁদে অবসাদে
হায় রে হায়! হায় বিধাতা।
গড়তে তোর ওই স্নিগ্ধ ধরা
জ্যোসস্না দিতেই ভব,
কি বানাতে কী বানালি!
করতে অনুভব।
নাই কি'রে তুই দেখিস না'রে
লাগবে খোকার 'হা,
বলছি তোরে ও'রে কানাই
তুই তো আছিস, বাঃ!
তোর ওই বুকে হৃদয় কি নাই,
শুধুই তমানিশা,
চক্ষু দ্বারে অন্ধ কি তুই
রক্ত তোর ওই নেশা।
ভক্ত আমি ভক্তি ধরি
হায় রে হায়! এই পরিনাম
কেনই তোরে করবো পূজন
গাইব কেন তোর ওই নাম?
আজ জবাব চাই বিধাতা,
আজ জবাব চাই।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
“The kids are also not safe today”


The kids are also not safe today with the
Cruel activities now-a-days.
How they could, you know,
The river Naf is flowing with blood,
The cruel country seized the
Peace of the child too.
I would like to pray to all to be
Quiet and calm for an
Country of peace where child could
Sleep with their pleasure.
I would like to pray to all to pay
Attention to the child and
Take care.
Look at that child who can't understand
That mom is not alive any more and
In search of mild sucking
Her breast.
How pathetic the scene is!
How could I resist the flow of tears
In my eyes?
It is not the tears but the blood
Of my heart and soul.
I would like to appeal to all
To come in humanity.
Not to be cruel enough as like
As monster.
Today the entire world is weeping
Watching the cruelty and the torture
That are going on with our
Mother and the sister.
Oh my lord!
What, what a great world! And the human
You have created with the motive to
Make an excellent one!
You have to pay attention immediately
Otherwise the curse of the child
You have to pay, my lord, my lord.
I am astonished that you are indifferent
Looking such a scenario! How could!
Do you having a heart!
The devil are you?
Are you in search of blood only?
I am your follower and honour you, my lord.
I honour you, but looking the scenario
And your coldness in such a situation
You are in question, my lord.
Oh my lord.
Why should I sing your song, my lord?
Why should I?
You have to answer me, my lord.
You have to answer it.  


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "জোছনা ঝরা রাত", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


জ্যোছস্নার আলোকেতে ভুলেছিনু দুখ মাতে,
সোনা রঙ-এ ভেসেছিনু-লহরেতে
লহরেতে।
বাঁশি বেনু বেজেছিল হৃদ মনে শতদল,
মেলেছিল দ'লে শত-ভালোবাসা
কলোরোল।
ভেসেছিনু আকাশেতে সখী প্রাণ উদ্বেলে,
স্বপ্ন সে দেখেছিনু-হৃদ প্রাণ মন
মেলে।
মিলে নাই কলি সে'তো কান্নায় বহে প্রাণ,
অশান্ত সাগরেতে-হরি তুমি নিলে
প্রাণ।
নিভে গেল আলো সবে প্রভা দিল চাঁদ মু'দে,
বল প্রাণ ভগবান-নিলে কি'বা
অপরাধে।
জ্যোছস্না তো দিয়েছিল আলো তার শত প্রভা,
উজলিত দশ দিশা, গেয়েছিল তারি
বিভা।
আজ তারা জ্বলে নাই কান্না সে মতে প্রাণ,
না জানি কি ছলনাতে-মেতে রও
ভগবান!
জ্যোছস্নার আলোকেতে ভুলেছিনু দুখ মাতে
সোনা রঙ-এ ভেসেছিনু-লহরেতে
লহরেতে।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মর্ত্যের মিথ্যাস্বর্গ কাঁদে", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্স লেখা কবিতা।


উপশম প্রশমন মানবতা কিনারম
বিধাতায় দোষ নায় ইবলিস
রহে মন।
পিঠে বোঝা এক্গাদা যেই ফুটে আধা কলি,
যুদ্ধের আবহেতে চলে রবে
স্কুল গুলি।
কলি বাবা ফোটে নাই দিলে কই তারে পল,
রঙ তার বাহারেতে হয়ে গেল
কাঁদা জল।
বই পড়া বিদ্যেতে মানবতা আহে নাকো!
এরকমই কদাকার চোখে তারা
কালো আঁকো।
ধ্যাৎতারিকা! কারে আমি কি'যে কই সব শালা যন্ত্রেরই,
জান আছে মন নাই, শালা সব
ফিটকিরি।
সমাজটা আগে নিতে নীতি জ্ঞান আগে দাও,
পড়াশুনা স্কুলেতে বিদ্যে সে
যত নাও।
যত্তসব হালার পো, হ্যালা বিদ্যান মস্তান, মান নাই মস্তানি!
রাগে রব রগে টান মনে হয়
কান টানি।
টানাটানি করে কিছু হবে কিনা ভাবি ভাই,
তলানীতে ঠেকে গেছে আজ
হনু জাতিটাই।
আজ যাই।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "শ্রীরামকৃষ্ণ", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


দ্যাখ রে বুল কবি আজি ধইরলো গিয়া কবিরাজি,
দ ধ ছাইড়া শ্রীরামকৃষ্ণ-উল্টা দিছে
ডিগবাজি।
হওয়ার ছিল হইছে যা কৃষ্ণ রাধা বুলিতে,
আর না পরাণ কেউ মানে না-
আজ রে নাক
ডলিতে।
ঢুলিতে সাপ, বাপ রে বাপ-সেই কি তার ফনা!
হিংসা দ্বেষ জ্বালায় রে প্রাণ-আগুন সে'কি
গনগনা।
রামকৃষ্ণ ব্যাপাখ্যাপা আজকে আর গল্প নাই,
ঢ্যামনা পনা ছ্যামরা গুলান-
আজ কে কবি
কল্পনাই।
তাই বলি কি বুলবুল তুই কানে কানে 'ক না ওরে,
বাপের বাপ বাবা গুলান-হেতাক পানে
জেলত মরে।
বউ মাইয়া মাইরলো গুতান বিতান তলে ধিং,
হেই কবি তুই সইড়া দারা-গজাস
না'রে শিং।
সিংঘ দুয়ার খুইলা যাব লাগাই দিমু সি আই ডি'রে,
এমত তেমন ছিল নাত! রামকৃষ্ণ-
তার সে ভীরে।
কি 'ক বুল! ঠিক কইছি না!


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কথা অমৃত-১৮৭", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে একটু আগেই লেখা লেখা কবিতা।


আহা! আহা! দ্যাখ রে বুল-সবাই রে ভাই ডড়ায় তোরে,
কইল কবি কি? শিষ বাজিয়ে অমর হবি!
তুই তো নাকের ঘি!
ঘিরতে পারিস মানুষ জনে ডর দিতে পাঁক দড়ি,
দুই পয়সা দাম নাই রে-তর ওই হাতের
ছড়ি।
ঘুরায় শুধুই বন বন রে-দূর হোতি দেয় তালি,
ঘরত তোর রোশনাই বাপ-বাহির ধরা
গালি।
গালি রে বাপ গালি।
আজ হোতি তুই শুধরে যা রে-আয়রে আমার পাঁক,
হেতাক অনেক মান পাবি রে-হৃদয়
ব্যাবাক।


প্রিয় কবি সোমেন রায় মহাশয়ের সেদিন প্রকাশিত "সুতনয়ার চিঠি ও আমার প্রলাপ", কবিতার উত্তরে শুরু হয়েছিল পথচলা। পৃধিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ আধুনিক কবিতা লেখার পালা। প্রতিদিন এতখানি করেই লেখা হবে। ১০০০ লাইনের আগে কবিতা শেষ হবে না।
"সুতনয়া"


সুতনয়া রুধির ধারায় সিক্ত হয়েছে ধরা,
মায়ের কোলের সন্তান কেড়ে নিয়েছে
দানবের দল।
রক্তে ভেসে যায় অঞ্চল,
নাফ নদীর বুকে বয়ে চলে লোহিত ধারা,
ধর্ষণে মেদিনী হয়েছে ছিন্নভিন্ন,
লক্ষ লক্ষ মানুশ খোলা আকাশের নিচে
অসহায়, কান্নায় কান্নায় আকাশ বাতাস
মুখরিত, পাখিরা ভুলে গেছে মধুর স্পন্দন,
মাদল বাজে ধ্বংসের।
পথে ঘাটে উন্মত্ত হিংসার সারি,
সারিবদ্ধ লাসের গন্ধে গৃদ্ধ দল
মাতম মানায় রাজকীয় উল্লাসে।
হায়নার দলে আজ বিজয়ের ধ্বনি।
কতটুকু?
কতটুকু কষ্ট তুমি ভোগ করেছো সুতনয়া!
একূল ভেসে ও কূলে পেয়েছো ঠাই।
তাদের কষ্টের তুলনায় তোমার!
এক বিন্দু নস্যি সম!
তবে কেন হাসতে পারবেনা সুতনয়া।
তবে কেন? কেন, কেন, কেন।
সুতনয়া হাসো হাসো হাসো,
হাসো সুতনয়া হাসো।
একটি বারের জন্য হলেো হাসো সুতনয়া,
হাসো।
তোমার হাসিতে হাসবে সারা বিশ্ব,
রিক্ত মায়ের অঞ্চলে ফুটে উঠবে আশার আলো,
ভাইহারা বোনের মুছে দেবে চোখের জল,
বিহগ ফিরে পাবে মধুর সুরোতান,
আকাশ বাতাস উচ্ছসিত,
জ্যোছস্নার আলোকে উদ্ভাসিত হবে ধরা।
সুতনয়া হাসতেই হবে।
হাসো সুতনয়া হাসো, একটি বারের জন্যে
হলে হেসে ওঠো সুতনয়া-
হাসো সুতনয়া, হাসো আজ।