(আসরে লেখা ১৪০০ তম কবিতা)


দুপ্রহর ২/১৭ মিঃ  ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হল রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ৭৯ তম কবিতাটি, "যদি তোমার দেখা না পাই প্রভু"
"যদি তোমার দেখা না পাই প্রভু"
তার লেখাটি এইরূপঃ-


যদি তোমার দেখা না পাই প্রভু,
এবার এ জীবনে,
তবে তোমায় আমি পাই নি যেন
সে-কথা রয় মনে।
যেন ভুলে না যাই, বেদনা পাই
শয়নে স্বপনে।


এ সংসারের হাটে
আমার যতই দিবস কাটে,
আমার যতই দু হাত ভরে ওঠে ধনে,
তবু কিছুই আমি পাই নি যেন
সে কথা রয় মনে।
যেন ভুলে না যাই, বেদনা পাই
শয়নে স্বপনে।


যদি আলসভরে
আমি বসি পথের 'পরে,
যদি ধুলায় শয়ন পাতি সযতনে,
যেন সকল পথই বাকি আছে
সে-কথা রয় মনে।
যেন ভুলে না যাই, বেদনা পাই
শয়নে স্বপনে।


যতই উঠে হাসি,
ঘরে, যতই বাজে বাঁশি,
ওগো যতই গৃহ সাজাই আয়োজনে,
যেন, তোমায় ঘরে হয় নি আনা
সে-কথা রয় মনে।
যেন ভুলে না যাই, বেদনা পাই
শয়নে-স্বপনে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-“যদি তোমার দেখা না পাই প্রভু”
“যদি তোমার দেখা না পাই প্রভু”


যদি তোমার দেখা না পাই প্রভু
স্বয়নে স্বপনে মোর,
রুধিত যদি দিলেই করে
তোমার অরূপ স্বর্ণ
দোর।
দোল দুলানি দুলতে যদি
নাইতে যদি, নাই বা দিলে,
কান্না পরান দিলেই যদি
ভব সাগরের
সংসারে।
ছিনেই যদি নিলেই প্রভু
দিব্য ধারা আমার চোখে,
ফল্গু ধারা হৃদয় আমার,
কাব্যধারা মিলায়
তাতে।
গাইতে প্রভু তোমার গান
বইতে তোমার জীবন তরী,
মানব প্রেমে মাতব ধরা
অন্যায়েতে তরবারি।
ঘাত সে প্রবল হবই সবল
কান্না কভু ধরব না'রে,
পাইতে তোয়ায় কান্না ধরে
রইব না'তো বসেই
পরে।
যদি তোমার দেখা না পাই প্রভু
স্বয়নে স্বপনে মোর,
রুধিত যদি দিলেই করে
তোমার অরূপ স্বর্ণ
দোর।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজিতে অনুবাদঃ-
“If I can not meet with thee”


If I can not meet with thee, My Lord
If you shut up your door
In my dream and
Collapse my heart and soul
In my ability to meet with thy,
If you stop your wave to me
By means of which I undulating with you
All and entirely
At present.
If you rob the divine light
Of my heart and soul which
You have given me which I always
Express by rhythm of poetry,
To fall me down deep into the sorrow
In the ocean of life.
I will not cry at all, my lord,
I will not cry.
Rather I will sacrifice myself to serve
The suffering humanity.
Where there I found a depravity
I will not hesitate, Oh my lord
To indulge me to
Fight against them with an
Open sword.
If you shut up your door
In my dream and
Collapse my heart and soul
In my ability to meet with thy.


প্রিয় কবি অচিন মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মনুষ্যত্বের দাবি", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“কালিকা”


আজও নারীর দুর্দশা ঘোচে নাই,
হলাহল বয়ে চলে,দিকে দিকে
কান্নাই-
দানবেতে ভেষে, হুংকার ছলে বলে-
গরলো সে শক্তিতে,
মেতে ওঠে পুরুষেরা
নাই নারী ভক্তি
সে।
ভেকধারী ছলা কলা উদ্যত ফনা দিতে,
দিকে দিকে নারী মাতা,
রক্ত সে ছোবলেতে।
কবে মান দিতে ধরা, রুধিতে এ লোহিতের,
কবে প্রাণ মলিনতা-মুছে দিতে
হৃদয়ের?
আমি কবি ডেকে যাই জাগো মাতা দিকে রবে,
দশভূজা রূপে জাগ,রুহ ধরো
কালিকাতে।
শনশনে কৃপাণেতে করো ঘাত লকলকে,
জাগ জাগ জাগ মাতা
উদ্যমে ধরা
তাতে।


প্রিয় কবি ফাইয়াজ ইসলাম ফাহিম মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "পতিতাদের মূল্য দিন", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“দশভূজা”


পতিতা মানে পতন স্খলন হয়েছে যার,
তাহারা মা দূর্গার
অবতার।
তাদের চরণে দিবেদনে প্রাণ প্রফুল্ল ধরা গীতি,
পতিত জনে সে দেয় যে আলোক
তাহাদের দুর্গতি।
তাহারা শোষক রতি কাম শত, মোহ পুরুষের,
দূর্গা সে দশভূজা, প্রানোধারা
সমাজের।
তাই মাতা দশভূজা, মাটি নেন তারি ভূম,
সামাজিক স্খলনতে, দানবেরে প্রশমিতে
গাহি কবি তারি
গুন।


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অজয়ের নদীচরে", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“অজয় নদী”


অজয় নদী অজয় নদী পুণ্য তোমার ধাম,
কুলু কুলু বইতে ধারা,
তোমায় প্রণাম।
তোমার গীতি গাইতে গান উছল রবে সুরটি তুলি,
অজয় নদী অজয় নদী-তোমার ধারায়
প্রাণটি মিলি।
তোমার গতির ধারাসনে যেমন তুমি পদ্মাবতী,
মিলতে তোমায় গাঁয়ের মানুষ
হৃদয় দিয়ে জ্বালতে
বাতি।
সোনার রবি কিরণ মেলে তোমার ছলক উছল জলে,
হাজার জোনাক জ্বালতে আলোক
সেলাম ঠুকি জয় মা
বোলে।
তোমার হৃদয় নজরুল প্রাণ দিব্য কাব্য গাঁথা,
সোনার সে ভূম দিব্য ঝলক
তোমার কতকথা।


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অজয়ের নদীচরে", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
লেখাটির আমার করা ইংরাজিতে অনুবাদঃ-
“The holy river Ajay”


You are flowing so pleasant
You, the Holy River Ajay.
The holy land that you have created,
In our village, by means of your virtue,
We all worship it,
Oh dear river you are.
We sing your song with pleasure and
We dedicated ourselves to you.
To us, you are our mother
You are The Padma, The Ganga,
Oh! Oh, my dear mom.
We love you with our heart and soul.
The luster of sun get mingled with you
Thousand and thousands firefly
At the night.
You are the land of great poet
The beloved Nazrul.
We salute you, we salute you
The holy mom
You are, the
Ajay are.


প্রিয় কবি শ ম শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "প্রতিশোধ", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(আসরে লেখা ১৪০০ তম কবিতা)
“দস্যু”


লক্ষ লক্ষ প্রাণ দিল সে, বঙ্গ বাঙ্গালী,
দেশের তরে হৃদয় বেঁধে
রক্তে রাঙ-আ লি।
জয় বাংলা জয় মুজিব, ডর নাই তো প্রাণ,
মুক্ত মাতা করবো তোমায়,
গাইতে তব গান।
বাংলা সোনার গড়তে প্রেমে, জীবন দিলি বাজি,
আজ কাঙ্গালী দস্যু কেন
ভাব রে সে রাত
আজি।
চুলার তলে জাগতে পরাণ লজ্জা কি পাস ওরে!
কেনই মাতা কাঁদছে রে বোন-
তোদের দ্বারে
দ্বারে।
আজ জাগা সে পরাণ মতি রফিক সালাম গান,
আয় রে আয় বলছি কবি
গাইতে মাতার
গান।
বুঝলেন জনগন।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কথা অমৃ-১৭৭", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“ধনমালা”


কর্ম গড়ে ভাগ্য তুমি কাঁদছো কেন রব,
ঈশ্বরেতে দোষ দিলে কি
দিবেই ধরা
ভব।
ভবলোকেতে কাঁদন রোদন কেউ না দেয় দাম,
যখন তোমার দিনের আলোক
দিলেই নাকো
দাম।
ফুর্তি করে ফানুস উড়ে আকাশ গেলে উড়ে,
চাইলে না পল রত্তিখানিক,
কি হবে রে
পরে!
এখন কানাই রব দিলে তো, শুনতে রবে কালা,
যতই গাল দেও না তুমি
পাবেই না-ধন
মালা।


প্রিয় কবি লক্ষ্ণন ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অজয়ের নদীচররে", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“আরতি”


অজয় আমার প্রাণের ধারা
ঝর ঝর ঝর পানি,
স্বয়ন স্বপন আঁখির পাতে
তাহার আগমনী।
পদ্মা আমার গঙ্গা আমার
আমার ভগিরথী,
ছল ছ্ল ছ্ল উছাল পরাণ
দিতেই আরতি।
ছোট্ট যখন ছিলেম তখন
জাল দিয়ে মাঝ ধরা,
ডুবতে লহর ডুবকি দিয়ে-
জলকে স্নান করা।
ধন্য মাতা প্রণাম ধরি,
হৃদ প্রাণেতে তোরই গাঁথা,
দিস রে মা'রে চরণ তো'রি
গাইতে উপকথা।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "নেতার প্রেম-(ব্যঙ্গ)", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“ফষ্টিনষ্টি”


আর কি আর আরোও আছে
এইখানেতে দারি কেন?
ন্যাতা স্যাতা গুন বাণী সে
বাদ পরলো ওনেক
যেন।


আহা! আহা! বোল সে ফোটে
ন্যাতার মুখে-করুণ কাহিনীটা,
দুঃখে যেন বুক ফেঁটে যায়
যখন ক্ষরা
বন্যাটা।


খই ফুটিয়ে বেচেন কথা
ক্ষয়রাতিতে মারেন টান,
চনচনা চন চামচাগুলি
আখের গুনে ত্রাণের
দান।


হেই কথাটা দিব্যি দিলাম
কইতে আমি কানে কানে,
হেলার ব্যাটার গুষ্টি মারি
ফষ্টিনষ্টি করবো
গানে।


প্রিয় কবি মূলচাঁদ মাহাত মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "প্রেমের জাতীয় দিবস", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“ভ্যালেন্টাইন”


বাহ রে বাহ! বুল-বুলি তুই গেলি কই,
ভ্যালেন্টাইন দিবস টাতে,
লটকে আবার গেলি নাকি
ঝোপের ধারে ওই
খাতে।


জোড়ায় জোড়ায় আজকে ঝরা,
প্রেম মাধুরির আলিঙ্গনে,
পার্ক কিবা ওই গাছের পিছে
রমরমিয়ে চলছে
বনে।


জুলিয়েট আর রোমিয় রে
জমাট বাধা রোমান্স বে,
ওরে ওরে করিস কি'রে
শিষ বাজানি বন্ধ
করে।


আজকে চুমায় চুমায় ভেসে
আকাশ ধরা আজকে দিন,
টক ঝাল আর মিষ্টি গানে
আজকে আদর আদুল
দিন।


দোল দোল দোল দোলানি
দিব্যা কিবা ফেলানি,
ঝুল ঝুল ঝুল ঝুলছে দ্যাখো
টল টল টল
টলানী।


প্রিয় কবি সঞ্চয়িতা রায় মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ভোট এলো", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“ভোট”


ও-মা-রে!
ভোট এসেছে ভোট এসেছে বাদ্যি বাজে তাই,
ন্যাতা স্যাতা দ্বারে দ্বারে
হাত দু'টো জোড়
তাই।
তাই তাই রে! ধাই ধাই ধাই রে,
পই পই রে বাণী,
বাণীর ঘাতে প্রাণের দ্বারে
হাল না রে পাই
পানি।
পানি রে পানি-ধা-পা-নি!
ও-মা-রে!
ভোট এসেছে ভোট এসেছে বাদ্যি বাজে তাই,
গরীব সরিব মদ খেয়ে ভাই
মিছিল করে
তাই।
মদ যে জোগান আজ দাদারা,
দেদার প্রাণের মতি,
ঝান্ডা তুলে হল্লা বোলে, তাদের
ক্যারামতি।
ও-মা-রে!
ভোট এসেছে ভোট এসেছে বাদ্যি বাজে তাই,
ন্যাতা স্যাতা দ্বারে দ্বারে
হাত দু'টো জোড়
তাই।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ঠাকুমা", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“মশা'ই”


ঠাস করে ওই মারতে মশা
ঠুকলি রে সই আমার গালে!
ঠকাস নাকি আমায় তুই
ঠায়, থুরি গান মিথ্যা
বোলে।


ঠ্যাং ভাঙবো লাঠি দিয়ে
ঠাকুরমারই শক্ত ওই,
ঠাকুর ঘরের ওই কোনাতে
ঠায় দাঁড়িয়ে দেখিস
সই।


ঠকঠকানী কাঁদবি রে তুই
ঠুকলি তুই আমারে,
ঠাস করে তুই মারলি গালে
ঠুকতে রবে মশা'ই
বলে।