দুপ্রহর ৩/৩৩ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ৪০ তম কবিতাটি “সুন্দর বটে তব অঙ্গদখানি”
“সুন্দর বটে তব অঙ্গদখানি”


তাহার লেখাটি এইরূপঃ-


সুন্দর বটে তব অঙ্গদখানি
তারায় তারায় খচিত,
স্বর্ণে রত্নে শোভন লোভন জানি
বর্ণে বরণে রচিত।


খড়গ তোমার আরো মনোহর লাগে
বাঁকা বিদ্যুতে আঁকা সে,
গরুড়ের পাখা রক্ত রবির রাগে
যেন গো অস্ত-আকাশে।


জীবনশেষের শেষ নাগরণ্সম
ঝলসিছে মহাবেদনা-
নিমেষে দহিয়া যাহা-কিছু আছে মম
তীব্র ভীষণ চেতনা।


সুন্দর বটে তব অঙ্গদখানি
তারায় তারায় খচিত-
খড়গ তোমার, হে দেব বজ্রপাণি,
চরম শোভায় রচিত।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-“সুন্দর বটে তব অঙ্গদখানি”
“সুন্দর বটে তব অঙ্গদখানি”


সুন্দর বটে তব অঙ্গদখানি
সে বীণ সুরোতান,
কখনো বিহগ উছলিত গীত
আবার কখনো ব্যথা
বেদনার
গান।


সুন্দর বটে তব অঙ্গদখানি
ভব সাগরে তান সে শুনি,
ঝন ঝন ঝন ভাঙ্গতে হৃদয়,
কখনো বা সুর তাল
সুখের সে পল  
ফাল্গুনী।


বাজাই তালি দুহাত করে
আশায় জেগে প্রাণ,
অনক ভাসি সুখ সরোবর, আবার কভু
জল ভরে যায়,
দু'নয়ন।


কাল যে ছিলেম ব্যথার গরল
আজ সে ঝিলিক চোখে,
পরান ঠাকুর গাল বেয়ে জল
ঝরতে অনেক
দুখে।


আজ আকাশে পাল তুলেছি
ধন্য প্রভু তুমি,
নয়ন ঝরে কৃপায় তোমার
গাইছি তোমায়
আমি।


সুন্দর বটে তব অঙ্গদখানি
সে বীণ সুরোতান,
কখনো বিহগ উছলিত গীত
আবার কখনো ব্যথা
বেদনার
গান।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদ
What an wonderful thy wristlet is!


What an wonderful thy wristlet is!
Sometimes it give melody and
Sometimes the pain acute.
What an organ it is!
I clap  and cheer up , sometimes weep
What a melody of happiness and sorrow
You have made with this organ! my lord.
Sometimes I float in air
Sometimes goes to the hell
With your classical music.
Sometimes I fall in love and even fall down to
Hate.  
That music of your organ sometimes rise me  
Up above the sky and
Sometimes run down me ruthless.
What an wonderful your instrument it is!
I cried a lot yesterday but I have got
Lovely tune of your organ  thee, today.  
Today I sang the song of happiness.
I have got the grace of your music,
My lord and so,
Thinking, what an wonderful thy wristlet is!


প্রিয় কবি এম এ সালাম মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বাঙালি বাঙালি ভাব", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"চাচা! আপনি যাবেন না?"


আপন ধারায় বাঁচতে ধরায় ডাল ভাত আর মাছ,
জাত বাঙালি ধন্য তারা, ছোঁ মারে যে
বাজ।
বাঁচতে চাই, বাঁচতে তাই বীর বাঙালি মাতম মানায়,
শোক দুঃখে, নাই রে নাই, কেউ নাই'রে
ঘরের কোনায়।
ছল ছলনা তাই যে চলে, রব ওঠে রে ছ্যাচরামী ওই,
দেশের পরান কাঁদলে রে ভাই-জাগতে ওঠে ঐ
জাতিটাই।
রফিক সালাম আর মুজিবের, ধরতে সে গান নাই রে দ্বিধা,
চোর বাটপার বায় বাঙালি-ধরতে মশাল
আলোক প্রভা।
আজকে ডাকি বাণ সে ধনু, আয় কাঙ্গালী আয় রে তোরা,
মারবো আজি এই ধরাতে-বাজের ছোঁবল মারছে
যারা।
চোর বাটপার নই যে মোরা, আজকে প্রমাণ দিতেই ঢল,
আয় রে আয় বীর বাঙালি, চল রে নিধন কোতল
তল।
চাচা! আপনি যাবেন না?


প্রিয় কবি মূলচাঁদ মাহাত মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "জন্মভূমি", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা।
"বাসস্থান"


বাংলা আমার আদি প্রাণ তাই বাংলা গানটি গাই,
হৃদ প্রাণ মন জ্যোর্তিময়ী-জয়োগানে তার,
সুখ যে পাই।
প্রপিতামহ তার বাড়ি, বাংলার ওই উল্লাপাড়ায়,
যমুনা সেথা উছল ধায়-নাড়ির টান সেথা,
চোখ ভেসে যায় জলের ধারায়-
পালিয়ে ভারত
আসা।
ফেরত চাই সে ভূম মোর, বইছে ধারা চোখে,
কাপুরুষ নই যে আমি,
বইছে গরল হৃদয়খানি,
লজ্জাতে মোর
প্রাণ।
গাইতে মা'গো তো'রি গান,
দে না মা'রে তোরি ভুবন
আমার বাসস্থান।


প্রিয় কবি সমীর প্রামাণিক মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অবিচল", কবিতার উত্তরে
কথপোকথনে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"অম্লান"


এ রূপ কি ধরা ভবে, ধারাপাতে বয়ে যাবে,
এ রূপ কি চিরকাল অম্লান
তব র'বে।
আজকের আঁখিজল কালকের রব ধ্বনি,
আনন্দে হাসি গানে-যেন প্রাণ মনে
শুনি।
বাসন্তী বয়ে যায় বসন্ত কুঞ্জেতে,
আঁখিধারা শ্রাবণেতে-গুঞ্জনে
প্রাণে মেতে।
আয় সখী বিদ্বেষে বিষ কেন অনলেতে,
সময় তো ভেসে যাবে-ধরা গান
কাল স্রোতে।
আজি প্রাণ প্রেমে মেতে, তারি গাহি জয়োগান,
কাব্যেতে লেখা মঝু-করো মোহে
অম্লান।
দিনান্তে পথো মাজে-যবে রব নাহি ভবে,
যেন প্রাণ ভেসে যায় কবিতারি
কলরবে।


(বি।দ্রঃ মঝু মানে 'আমার', মোহে মানে 'আমাকে', ব্রজবুলি ভাষা)


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "আমারে ব্যথা দাও বারে বারে", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"জয়োগান"


ব্যথার সাগর এ ভবসাগর, ব্যথিত হৃদয় প্রাণ,
দিয়েছো এ অন্ধ কূপেতে ফেলে
তবু গাহি তব
জয়োগান।
হে মোর পরান প্রভু, চাই নি তো সুখ কভু,
চাইনি রতন চাইনি মানিক
হীরে জহরথ
কভু।
চাইনি দয়া করুণাও নহে, হে নিখিলো মহাপ্রাণ,
গেয়েছি মানব গেয়েছি দীনের
যেথায় তোমার
অধিষ্টান।
ব্যথার সাগরে নিমজ্জিত, আজিকে হে প্রভু শোন,
চাইনি মূরত পাষাণ বিগ্রহ
গাহি আমি মানুষেরি
জয়োগান।
রজ্জুতে তব নট নদী পালা তোমার সে দেশে মহারাজ
চাইছি সে বল হৃদ মাঝারে,
সে বল দিও
আজ।
কর্মেতে লীন ভাগ্য গড়িতে বল দিও মোর হৃদে,
অনেক কেঁদেছি অনেক কান্না
বিনা দোষ
অপরাধে।
রাধে রাধে সেধে যাই দুই কর জোড়ে প্রাণ,
দিও বল, দিও বল
হৃদ মাঝারেতে
ভগবান।


প্রিয় কবি শ ম শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "হরিলুটের দেশে", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"জুতা"


ওরে মারবো জুতা,করবো রে সোল ক্ষয়,
দেশের মানুস জাগতে রে পল
একটু করিস
ভয়।
নাকান চুবান খাইয়ে দেব জুতার দিব বাড়ি,
আর দূর নাই-আর বেশি দূর
তোদের বাড়াবাড়ি।
নুন আনতে পান্তা ফুরায় তোরা চুষিস দেশ,
হিংসা এবার জাগতে পরান
করতে তোদের
শেষ।
ভয় কি রে ভাই জানি নাতো খেলব এবার হিংসা রে,
ভাঙতে গড় তোদের পাপ জ্বালিয়ে দিতে
প্রাণটা বে।
ওই বুলবুল কই গেলি রে চপার টাকে দেনা হাতে,
আহা! মারতে সে প্রাণ, মারবো রে কোপ
তোদের মুলাকাতে।


প্রিয় কবি আনোয়ার আলি শেখ মহাশয়ের "হ্যাপি ফ্রেন্ডস ডে", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা। (আজকাল বই মেলায় সবাই ফুচকা খেতে আর সেলফি তুলতেই যায়)
"ফুচকা"


আহা! বড় মেলা বড় মেলা
হরেক রকম বই,
চলনা সখী ফুচকা খাব
চল না রে ও
সই।
বড় মেলা বড় মেলা
চল না সখী চল,
ঘুরবো সেথায় সেলফি তুলে
ফেসবুকেতে
ঢল।


সখী
বই মেলায় ফ্যন্সি ডিজাইন
যায় না জানু দেখা,
বই কিনে আর করবো কি'রে
ওরে প্রাণের
সখা।
তার চেয়ে বরং ভরং যাই
অন্ধ দুয়ার পার্কে ঐ,
বই এর মেলায় প্রাণ নাই রে
হলফ করে
বলতে
সই।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ঝাড়ু!", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"ঝর ঝর"


ঝর ঝর ঝর লিখতে হলে
ঝড়ের গতিতেই,
ঝগড়া ঝাটি মাথায় রেখে
ঝঞ্ঝা মনের দুখ সে দেখে,
ঝানু হাতে সেই পটুতা,
ঝড় ঝঞ্ঝা ছবি
কথা।


ঝলক দিয়ে কলম বাড়ি,
ঝলসে দিতেই হৃদ ব্যাপারী,
ঝম ঝম ঝম বাঁজতে কানে
ঝালাই করুন গানের
ব্যথা।


ঝাজরা করে বেড়ি হাতা,
ঝাল টক সব আসন পাতা।
ঝলমলিয়ে ঝরঝরিয়ে,
ঝড়ের বেগে ভরতে পাতা,
আসরটাতে
সই।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মান-হুস!", কবিতার কমেন্ট বক্সে কথপোকথনে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"ওপর-ওয়ালা!"


ওপর-ওয়ালা! মহাশয় উপরবালা,
দিতেই মোরে গরল
ঢালা-


সে গরলে উছল পানি,অন্ধ হ'ল চোখ দু'খানি,
বইতে ধারা গরল পানি,
দব দব দব দবদবানি, হৃদয়
পারাবার।


দে না ওরে দে মহারাজ,
দে না গরল দেখব আজ,
সাহস আছে
মন।


ও জানেমন ভাবলি কি'রে
মরতে মরম হৃদয়পুরে,
আজ আছিলায় ভুলব পরান,
গাইতে নারি তোর ঐ
গান?


চাই যে রবে তোর ঐ পানে,
ভরিয়ে ভুবন গানে গানে,
অবাক চা'রে
তুই।