নব আঙ্গিকে রচিত হল রবিঠাকুরের লেখা হে তরু, এ ধরাতলে


রবিঠাকুরের লেখা কাব্যটি এইরূপঃ
হে তরু, এ ধরাতলে


হে তরু, এ ধরাতলে
রহিবে না যবে
তখন বসন্তে নব
পল্লবে পল্লবে
তোমার মর্মরধ্বনি
পথিকেরে কবে,
"ভলো বেসেছিল কবি
বেঁচে ছিল যবে।"


আর আমার লেখা এরকমঃ
হে তরু, এ ধরাতলে


হে তরু, এ ধরাতলে
সুনীলো প্রশান্তি স্নিগ্ধ ঘন কায়া,
হেরি তব অপরূপ
দীঘল প্রসারি্ত
ঘনছায়া।
কান্তি তব সুনীলো আকাশ
হেরিছে বসুধা মাতা
ফুলে ফলে পহ্লবে, নব নব
সঙ্গীতে, নব নব রূপে
আঁকা।
হরিৎ ক্ষেত্র বহিতে লহরো
পবনো গাহিতে গীতি,
ধন ধান্য পত্র পুষ্পিত
তব পরিচিতি।
নন্দনো কাননো দৃষ্টি প্রসারিত মম
ধরিতে হৃদয় শস্য শ্যমলো
প্রাণ বায়ু অতিশয়,
নব নব অঙ্কুরে অলি কলি গুঞ্জনে
নিবিরো বহিতে রয়।
হে তরু, এ ধরাতলে
প্রাণোবায়ু বহিতে অম্লান,
প্রসস্থি গাহি তব
ভুলি নাই অবদান।
বিহনে তব বঞ্জর প্রাণ,
খঞ্জর বিঁধিতে হৃদে
জাগিতে শঙ্কা বাজিতে ঢঙ্কা
জীবন চরিত দ্বীপে।
হে তরু, এ ধরাতলে
সুনীলো প্রাশান্তি স্নিগ্ধ ঘন কায়া,
হেরি তব অপরূপ
দীঘল প্রসারি্ত ঘনছায়া।


প্রিয় কবি  laxman bhandari মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "হৃদয়ের স্পন্দন আমার কবিতা (কবির ৮৫০তম প্রয়াস) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখ কবতা।


কেয়ামত


দিকে দিকে ধর সাঁজ আজিকে উঠিব রণেতে মেতে,
জালিয়াতি আর ছল কপটতা কল কারখানা
আর ধানক্ষেতে।
সোনার ফসল ফলান যে চাষী কেড়ে নিতে মহাজন,
চলো আজি হাল ধরিতে ধরাতে-
লেপে দিতে অঞ্জন।
তিমির রজনী ঘন কালো ছায় দিশাহীন শ্রমিক ও কৃষক,
আজিকে ত্বরিতে করিতে ভূপাতিত
ধনের যাহারা পৃষ্টপোষক।
কালো হাত চলো আজিকে গুঁড়াই-লিখে দিতে হিম্মত,
আজিকে ধরাতে রক্ত কালিতে
বয়ে আনি কেয়ামত।
বানেরো জলেতে আজিকে ডুবাতে তুফান আঁধিতে আজি,
শয়তান আছে যতো দানবো সাঁজেতে
সমাজেতে কূল কাজি।
আজিকে কূলের ভেঙ্গে গেছে বাধ মুষ্টিতে আজিকে বাঁধিতে সোপান,
চলো চলো সবে আগুয়ান আজি
কৃষক শ্রমিকো প্রাণ।
ধ্বংস সোপানে গাহিতে আজিকে জীবনেরো জয়োগান
গড়িতে সাম্য রচিতে সৌম্য
হরিৎ প্রাণের গান।


প্রিয় কবি জয় ভাদুরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কথা ছিল" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


কথা ছিল


কথা ছিল প্রেম জ্যোছনায় আকাশ ফাগুন রঙ টি পলাশ
কথা ছিল ছড়িয়ে দিয়ে প্রেম অপরূপ গান টি তলাশ।
কথা ছিল দিল দরিয়ায় গোলাপ কুসুম ঘ্রাণটি মিলে
কথা ছিল ভাসতে পরাণ প্রেমের সাগর লহর তুলে।
কথা ছিল নীল জ্যোছনায় আলিঙ্গনে প্রাণ হারাবে
কথা ছিল কূজন পাখির চঞ্চু মিলে রইতে ভবে।
কথা ছিল তারায় তারায় আকাশ আলোক মিলিয়ে যাব
কথা ছিল স্বপ্ন ভুবন প্রেমের সায়র গাইতে রব।
গাইতে রব। গাইতে রব। গাইতে রব।
কথা ছিল ব্যথার সাগর অশ্রুনীলে ডুবতে মানা
কথা ছিল গাইতে জীবন ময়ূরপঙ্খী সেই ঠিকানা।
কথা ছিল চোখের তারায় সাগর নীলে মন হারাব
কথা ছিল বেহাগ সুরে হৃদয় বেঁধে জীবন তব।
হারিয়ে গিয়ে সেই ঠিকানা অশ্রুতে প্রাণ ভাসছি আজি,
কাঁদতে মানা গাইতে জীবন তোমার তরে পরান বাজি।
ধূসর প্রাণে দুঃখ ধরে জীয়ন নদে-
অপেক্ষাতে রইতে তোমার সাধ সেধেছি
ব্যথার ভবে।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকামা মহাশয়ে আজ প্রকাশিত "খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি"-(ব্যঙ্গ) কবিতার উত্তরে লেখা কবিতা।


রুটি কাপড়া আর মকান


রুটি কাপড়া আর মকান চাহিদা জীবনের
স্নেহ মমতা আর ভালোবাসা,
সবাকার মিটে আশ-এই আশাতেই-
সমাজের তলে আশা।
নিয়ম নীতি শৃঙ্খলা বিধি বন্ধন
সুষম বল্টন সম্পৃতি কামনাতে,
মানবেতে রচিল সে প্রাণ ধন
ইন্ধন।
আজিতে ধরাতে ভুলেছে মানবে-
রীতি আর সামাজিক ঞ্জান,
ধনেতে মাতিয়া
রতি আর সুখ কামনাতে,
আজিকে হয়েছে
অঞ্জান।
পশুতার নীচ ধরমো করমো ন্যায় নীতিহীন,
আজিকে ধন লুটিবারে কতিপয়
হলো সে বল্গাবিহীন।
শোষণেতে মেতে মানবের বেশে লুন্ঠিত আজি ধরা,
দীন অধোগতি দানবেতে মতি-
নাই নাই নাই-প্রাণ
মনোহরা।


ময়ুর পঙ্খী


ময়ুরপূচ্ছ লাগিয়ে কাক
       বাধায় গন্ডগোল,
ভাবখানা তার রাজার রাজা
   ভাবতে আনমোল।
তাই ভাবনায় রূপ দেখাতে
       সবার পিছে পরে,
ঠোকর দিতে জবরদস্ত
    সবার দ্বারে দ্বারে।
ঠোকর খেয়ে কেউ যদি কয়-ইস!
    গন্ডগোল হই চিল্লায়
  মাতান দশ দিশ।
   সবারে চোখ তার দিশাতে
     দেখতে ময়ুর পঙ্খী,
  রবটা দিলে কা কা রবে
    বোঝে ষরযন্ত্রী।
   এমন মানুষ দু পায়াতে
    ঘুরছে আশে পাশে,
   `কন্ঠ দেখে চিনবে তারে
    নয়কো তার
      আঁশে।