(আজ খেয়াল শেষতম পর্ব, যারা এতদিন আমাকে উৎসাহ দিয়ে গেছেন প্রতিদিন তাদের জন্য আমি প্রনাম ও শ্রদ্ধা নিবেদন করি। কাল থেকে শুরু হবে' গানে গানে দিগন্ত, একটা দুটো গান থাকবে সেখানে)


“ঔদার্য্য”


ঐশ্বর্য নহে ঔদার্য্য চাহি মধুবনে সমাপিত,
বাস্তু বিহারে প্রাণেরো সমিপে
দ্বারেতে উৎঘাটিত।
দেব যোনি জাত মানব রহিম আজিকে মহামূঢ়,
শানিত প্রবলো ঘাত আঘাতেতে
ঐশ্বর্যে প্রণীত মোহ।
মোহিত সে দ্বার ধন ও ছল গুপ্ত রাহেতে মতি,
ঢঙ্কা শঠতা ছল প্রকরনে
আকাশ রচিল মাতি।
দামামা রণেতে বাজিল নিনাদ অধিষ্ঠানের পতি,
ক্রন্দন তাই বহিতে ধরায়
তরিৎ বাণেতে মতি।
আজিকে দুয়ার রুদ্ধ গগন হতাসায় বহে প্রাণ,
আজিকে সোপান দ্বন্দ্ব তলেতে
ধ্বংস রচিতে গান।
ঐশ্বর্য নহে ঔদার্য্য চাহি মধুবনে সমাপিত,
বাস্তু বিহারে প্রাণেরো সমিপে
দ্বারেতে উৎঘাটিত।


“হিম হারামী”


আমের মুকুল যেই দিল বোল
চোখ রাঙ্গানী শুরু,
আকাশ বাতাস সেই রাগিনী
করল গুরু
গুরু।
গুরু তোমায় বলব কি আর
শিল শিলানী শুরু,
শিলের ঘায়ে আম্রমুকুল
বুকটা দুরু
দুরু।
দুর ছাই ভাই বৈশাখেতে
কবিগানের পালা চলে,
আর হাওয়াতে হলকা গরল
দিন রাত্তির পাখার
তলে।
ইলেকটিরি কয়েক হাজার
তপ্ত বায়ু বইতে মাথা,
বৈশাখ আর জৈষ্ঠ রে ভাই
হিম হারামী উপ-
কথা।


(সুতনয়া হেসে উঠেছে, তাই খেয়াল এর সাথে সাথে সুতনয়া পর্বও সমাপ্ত হলো)
সুতনয়া


সুতনয়া তুমি হাসছো, তুমি হাসছো!
তোমার চোখে বিজয়ীর হাসি,
ওষ্ট পরশ ভালোবাসা,
সুতনয়া, রুদ্ধ হলো কন্ঠ আমার,
দৃষ্টি আমার দিশা,
পরান আমার পর্ণ কুটির
ঘুচতে তমানিশা।
সুতনয়া, আজিকে প্রভাত আঙ্গনেতে,
বইতে কনক ধারা,
আজিকে ফাগুন রুদ্ধ দ্বারে
স্বর্ণ কমল ঝরা।
সুতনয়া, হাস্যে তোমার সুধার বারি
কাঞ্চন তপোবন, আজিকে শশী
জ্যোসস্না ধারায় বিহগ
কলতান।
আজ আকাশে মুক্তা ঝরে মুক্ত হীরক কণা,
আজ বাতাসে নাই সে রোদন
স্বাগত প্রিয় তমা।