“জানিনা কি অভিপ্রায়ে”


কাছে থেকেও মনে এলেনা প্রীয়া, জানিনা কি অভিপ্রায়ে,
লুটায়ে দিয়েছি জীবন আমারি
প্রেমের সরোবরে।
জানিনা কি অভিপ্রায়ে।
সেদিন দুজনে কূজনে গেয়েছি বর্ণিল গাঁথামালা,
হৃদয় সোপান আকাশ উড়েছি
দুলেছি দোলাতে মেলা।
কালের স্রোতে কাল সে ক্ষয়েছে হৃদয় বর্তিকা,
আসমান জল সাগর ভেসেছে
প্রেমেতে কুজ্ঝটিকা।
তুফান আঁধি তমস কালো বেনোজল মাঝি,
বৈঠা ভেঙেছে পাল সে ছিঁড়েছে
খর বায়ু আজি।
জানিনা, জানিনা, কি অভিপ্রায়ে,
প্রীয়া সে প্রেয়সী দিগন্তে আজি বেদনার তীরে,
তরী সে বাঁধিল গুঞ্জনহীন
শতেকো যোজন দূরে।
কাছে থেকেও মনে এলেনা প্রীয়া, জানিনা কি অভিপ্রায়ে,
লুটায়ে দিয়েছি জীবন আমারি
প্রেমের সরোবরে।
জানিনা কি অভিপ্রায়ে।


(গানে গানে দিগন্ত - ৪)


“কদম কদম বাড়ায়ে চল”


কদম কদম বাড়ায়ে চল
স্বপ্নরাজির ঝরতে ঢল
রইতে সদাই চঞ্চল প্রাণ
কর্ম আর জীবন গান।
কর্ম আর জীবন
গান।
বইতে সদাই স্নিগ্ধ প্রাণ
মানবতায় অধিষ্টান
চলকে বারি সেই সোপানে
দীন দুঃখী জনের গান।
দীন দুঃখী জনের
গান।
কদম কদম বাড়ায়ে চল
স্বপ্নরাজির ঝরতে ঢল
রইতে সদাই চঞ্চল প্রাণ
কর্ম আর জীবন গান।
কর্ম আর জীবন
গান।
কি হবে রে হিংসা দ্বেষে
প্রাণ যে যাবে আকাশ ভেসে,
দিন দুদিনের দুনিয়াদারি
শ্মশান পানে অবশেষে।
শ্বশান পানে
অবশেষে।
চলকে বারি তুফান আঁধি
পার করে দি সাগর নদী,
চলরে অরুণ তরুণ দল
জীবন খেলা আজ খেলে দি।
জীবন খেলা আজ খেলে
দি।
কদম কদম বাড়ায়ে চল
স্বপ্নরাজির ঝরতে ঢল
রইতে সদাই চঞ্চল প্রাণ
কর্ম আর জীবন গান।
কর্ম আর জীবন
গান।
কদম কদম বাড়ায়ে চল,
কদম কদম বাড়ায়ে
চল।


মর্মব্যথা


অনন্ত ভান্ডার জ্ঞান সাগর মহামতি,
বিন্দুর রূপ সিন্ধু গগন
লগন স্বরূপ ভাতি।
অন্তহীনের প্রকাশ ব্যোম দীপ্তিতে হয় লীন,
জ্যোর্তিময়ী আলোকগঙ্গা
পুষ্টিতে হই ক্ষীন।
অজ্ঞতারই সাগর খুঁড়ি জ্ঞানপাপী রই ভব,
বইতে ধরায় আকাশ ধরি
গৃদ্ধ কলরব।
হাসতে প্রভু জীবন কাহন সৃষ্টিপতি আদি,
সৃষ্টি সোপান প্রলয় সে থান
লয় তুফানে আঁধি।
গড়তে ধরা শ্যামল সৃজন ভাঙতে ধরা বাজ,
নাই যে প্রাণ তার ঠিকানা
ধরতে ধরায় রাজ।
আজ কলিতে ঘোর কালিতে লিখতে ইতিকথা,
প্রলয় আজি সঙ্কট প্রাণ
দারুন মর্মব্যথা।


“তিরুপতি গন্ধম”


হায় হায়! দিন যায় মতিগতি মন্দ
শেকলের ঝনঝনি আরু
পূতি গন্ধ।
তিরুপতি গন্ধম ঝাল তেল রন্ধন,
রসুন আর পেয়াজেতে
ঝাঝে ঝালে ক্রন্দন।
দিন যায় বেলা বাড়ে কোলাহলে শৃঙ্গম
শৃঙ্গার হলাহলে, নাই প্রাণ
সংযম।
ট্যাকাকরি গাঁটি বাঁধি আলোছায়া নৃত্যম,
বাদ আর বাদী গানে, ধরা জানি
ভৃত্যম।
হায় হায় শ্যাসকালে যাতাকলে পিষ্টং,
ব্যাং হ্যালা লাথি মারে
জরাপ্রাণ কষ্টম।
হায় হায়! দিন যায় মতিগতি মন্দ
শেকলের ঝনঝনি আরু
পুতি গন্ধ।


“দাদু গো দাদু”


দ্বীজে বাজাই তাইলে তাক, দুমা দুম দুম,
খা্সি হইল দাদু আমার
দিদার গেল
ঘুম।
তাক দুমা দুম দুম!
ও দাদু, রস কি তোমার ঝরে নাকো,
নাকো, নাকো, নাকো!
মালার চাদর দিয়া চাঁন্দে
হাপুস নয়ন
কান্দ!
কান্ড রে বাবা, কান্ড!
ও দাদু, দাদুগো দাদু!
দাদু তোমার ৬৫ দিদার ৩৫।
রামকৃষ্ণ ব্যামাক্ষাপা
আর তো আর
গীরিশ!
ও দাদু! দাদু গো দাদু!
দিদা যাবে পগার পার,
কোকিল ছ্যানা নিবে নাকো,
লায়লা তার তোমার দ্বারে
বুড্ডা তুমি বুঝো
নাকো।
নাক কচলান দিব নানী
নাকের তলে সুঁড়সুড়ি,
থাকতে সময় বলছি দাদু
গুটায় নাও ডালের
বড়ি।  
দাদু গো দাদু।