(গানে গানে দিগন্ত-০৭ তম)
“পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে”


পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে
রইতে সখী তোমার বীণে;
হাওয়ায় নাচে চিত্ত পানে
ভালোবাসার অমোঘ টানে
বইতে ধরায় অমৃত আজ
অমর প্রেমের তোমার
গানে।
ফাগুন দোলে পুর্বাচলে
রাগ রাগিনীর অরূপ দোলে
পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে
রইতে সখী তোমার
বীণে;
রইতে সখী তোমার বীণে;
আজ প্রেয়সীর সুধাজড়া ভালোবাসি মধুর হাসি,
বাদল দিনে পরশ তোমার
অঝোর ঝোরা ভালো-
বাসি।
আজ নয়নে নয়ন তোমার ভাসব আপন ভূম,
আজ তনুপ্রাণ বাদল কায়ে মিলতে
তোমায় চূম।
চূর্ণ লাজে পূর্ণ রাগে চন্দ্রবিহারেতে,
আজ কায়াতে মিলতে কায়া
প্রেমের দরিয়াতে।
সেই দরিয়ায় ভাসাই তরী
দারুন বিহ্বলতা,
নাই প্রাণে আজ নাই গো সখী
হীন সে দীনতা।
হাওয়ায় নাচে চিত্ত পানে
ভালোবাসার অমোঘ টানে
বইতে ধরায় অমৃত আজ
অমর প্রেমের তোমার
গানে।
ফাগুন দোলে পুর্বাচলে,
রাগ রাগিনীর অরূপ দোলে।
পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে
রইতে সখী তোমার
বীণে।
পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে
রইতে সখী তোমার
বীণে।


“সরোবর ফুটেছে কমল”
(গানে গানে দিগন্ত-০৮ তম)


এক সরোবর ফুটেছে কমল অন্তর পারাবার,
নেহারি দৃষ্টি অলকো কুসুম
মোহনাতে হারা-
বার।
এসেছি ধরায় কালের প্রবাহে কালেতে হব লীন,
ত্বরাতে সে পল বুব্দুদ সম
রইতে কেমনে
দীন।
দিন বয়ে যায় মাসও গড়ায় বৎছর যুগ কাল
ভস্ম সম ধূলায় মিশায়
বিষয় আসয়
তাল।
হিংসা দ্বেষের কেনই বাড়ি হৃদয় কেন ক্ষয়,
খর বায়ু প্রাণ পাহাড় প্রমান
ব্যর্থ হৃদয়
বয়!
যুদ্ধ সোপান হয় যূযুধান বিদ্বেষ আর বিষ,
শান্তি রহিত এক ধরা প্রাণ
বাতাস অহঃ-
নিশ।
তাইতো রচি দিবস রাতি অন্তর দেই প্রাণ,
গাইতে সে গান জ্ঞানের আলোক
মানবতার
গান।


“আহাম্মকি”


ধর্ম যে জন ধার্মীক প্রাণ চাইতে না'রে দেব,
প্রশান্তিরি আলোক তলে
হর হর মহাদেব।
ভস্মতে প্রাণ দৌড়ে ছুটে মানব পরিসেবা,
তার চে আপন রইতে ধরায়
তার চেয়ে আপন দেবা।
দেবারতি নাই সে গান মানব সেবায় প্রাণ,
ধরম মানব করম মানব
মানবতার গান।
আজ ধরাতে মিছিল চলে ধর্ম আহাম্মকি,
রত্তি নাহিক সেবার ব্রত
চর্তুদিকেই দেখি।
আমায় কবি পরান দিলেন ধরতী মাতা প্রাণ,
গাইছি সে গীত গাইতে সে রব
মানব সেবার গান।


“পার্থিব সুখ”


জন্ম বিবাহ মৃত্যু এই কি জীবন,
সেই সত্য সতত মানি
মানব করিছে রণ।
সাধিতে আপনো নিরবধি প্রাণ সুখের সায়েরি,
সাধিছে আনাহিত অনাহুত রব
হিংসা দুখেরই।
আমি কবি গাহি মহাকাল স্রোত প্রাণ সে নিরন্তর,
যুগ যুগ কাল প্রবাহি তরঙ্গ
সৃষ্টি প্রলয়ো ঝড়।  
মুরখ মানব জীবন মেনেছে পার্থিব সুখ,
সুখেরই ধারাতে জীবন ভুলেছে
হানিতে প্রকারো দুখ।
আজি সে সোপান গড়িতে আদিতে,
এস হে মানব জাত,
যুদ্ধ নাহিকো প্রেমের বুলিতে,
হাঁকিতে বুলিতে প্রাত।
হানাহানি নাহি প্রেমেরো বাণী উছল ফল্গু ধারা,
বন্ধন সে গড়িতে মানব,
দিব্য মনোহরা।


“নানীর গান”


হায় হায় হায় নানা তোমার
হাতাও কেন চোনা,
হার জির জির এমন শরীর
হাড্ডিগুলি যাচ্ছে
গোনা।
হাল মানেতে মাত্র কদিন
হাতটা আমি ছেড়েছিলাম,
হায় রে কপাল, এক'দিনেই
হারিয়ে গেল নানীর
গান।
হতচ্ছারা শালার ব্যাটা
হাত উড়িয়ে নিলই নানী,
হতাস হলাম নানা আমি
হাল হকিকত চোক্ষে
পানি।
হারামজাদা আগুন দিল
হাওরা ব্রিজের দোল,
হার মেনে নাও নানা এবার
হাতে উঠাও
খোল।