"আমার কন্ঠ হতে গান কে নিল ভুলায়ে"
(খেয়াল আর কয় দিন পর শেষ হয়ে যাবে। তারপর শুরু হবে "গানে গানে দিগন্ত", এরকম ছোট ছোট একটা দুটো গান দিয়ে লেখা হবে তা)


আমার কন্ঠ হতে গান কে নিল ভুলায়ে,
আঁখির পাতে শ্রাবণ ধারায়
আপন তারি নিলয়ে,
স্তব্ধ হৃদয় স্বপন সম ফল্গুধারার বরিষণে
বাক রুধিল কন্ঠহারা, পূর্ণতারি
সেই সোপানে।
আমার কন্ঠ হতে গান কে নিল ভুলায়ে,
আঁখির পাতে শ্রাবণ ধারায়
আপন তারি নিলয়ে,
খুশির প্লাবন নয়নধারায় কনক বারির পরশে,
দিব্য লয়ে প্রেম সে সুধা
হৃদ কমলে হরষে।
দিব্য র্চ্ছটা প্রেমের জটা হৃদ মননে বেণীতে,
আজ সে ফাগুন রঙিন বানে
প্রেমের অরূপ দানিতে।


বাসন্তিকা


মিথ্যা কথায় চলন মিঠু
মিতালিকে বলেছিল,
ময়দানেতে ফুচকা খাবে
মালাই মারা অনেক
গুলো।
মিতালি তাই বিকাল বেলা
ময়দানেতে গিয়েছিল,
ময়রার মেয়ে বাসন্তিকা
মিঠুর পথ রুখে
দিল।
মনের সাথী অনেকগুলা
ম্যানেজ কী আর হয়,
ময়দানেতে আর মিতালি
মৃদু মন্দ হাওয়া
খায়।
মরছে এবার বাছাধন
মন্দ কপাল তার,
মিঠুর সাথে মন মিতালির
মলম দেওয়া কঠিন
দ্বার।


"এ প্রবাহ চলছে, চলতেই থাকবে"


ব্যতিক্রম জীবজগতের উন্নতির সোপান। একই ভাবে একই ধারায় একই নিয়ম নীতির শৃঙ্খলে আবদ্ধ জাতি কখনই তার বাহিরের জগতের আস্বাদ গ্রহন করতে পারে না। প্রবাহিত গন্ডালিকার মাঝে কখনো কখনো ব্যতিক্রমী কিছু সে সকল শৃঙ্খল পার করে যায়। অনাস্বাদিত ঘ্রাণে সিক্ত হয় অঞ্চল। জ্ঞান সিন্ধুর অপার বারিধারার সিঞ্চনে উর্বরা হয় সে মৃত্তিকা, ডালে ডালে শাখে শাখে আসে মঞ্জুরি। ক্রমে ক্রমে তা পরিনত হয় সুগন্ধি পুষ্পে। এটাই কালের অমোঘ নিয়ম। ব্যতিক্রম ব্যতিরেকে বিবর্তন অসম্ভব। আদি প্রাণ থেকে সর্বোত্তম মানব জাতি ব্যতিক্রমের ফসল। এই ব্যতিক্রম বা বিচ্যুতি ঘটে "ডি এন এ"-তে। তৈরী হয় নতুম প্রজাতির "ডি এন এ" এবং তৎস্বরূপ নতুন প্রজাতি। কিন্তু খুব সহজেই কি এই ব্যতিক্রম মেনে নিতে পারে মানবকূল। না, কখনোই নয়। তাই বিদ্রোহ ছড়িয়ে পরে ব্যতিক্রম কে পদদলিত করবার অভিপ্রায়ে। যুগে যুগে বহু প্রমান রয়েছে এ ঘটনার। প্রাচীন কাল হতে অদ্যাবধি বয়ে চলেছে সে ধারার প্রবাহ। তাই তো দাবড়ে পদললিত করে কুচলে দেওয়া হয় বহু ব্যতিক্রমী প্রতিভাকে। এ প্রবাহ চলছে, চলতেই থাকবে।