“জাগো”


আজিকে সময় জাগো হে জাতি
বন্ধনে মিলি প্রাণ,
হাতে হাত ধরো আজিকে গাহিবো
প্রাণেরই জয়ো-
গান।
দীনতায় অতি মূঢ়তায় নহে
অজ্ঞান নহে চিত্ত,
শৃঙ্খল আজি ভাঙিতে সোপান
সামাজেতে গড়া
বৃত্য।
দুর্বিত্ত দুরাচারী দহন দলন অতি,
লহু সে শোষণে জীবনো সোপানে
সমাজ সাধিতে
পতি।
আজিকে লহ রে বাহুতে বাহুতে
বজ্র কঠিন পণ,
সড়া জ্ঞান যারা করিছে ধরাতে
ধ্বংসের পানে তাহাদের গানে
আজিকে সাধিতে
রণ।
আজিকে সময় জাগো হে জাতি
বন্ধনে মিলি প্রাণ,
হাতে হাত ধরো আজিকে গাহিবো
প্রাণেরই জয়ো-
গান।


“চিরন্তন”


কালের প্রবাহ বয়ে যায় সদা
নিরন্তর সে স্রোত,
সাধিতে নাহিরে সাধ্য জ্ঞানের
জড়ায় হৃদয়ে অমৃত লয়ে বিবিধায়
ওতপ্রোত।
সৃষ্টি ও লয়ে অযুত নিযুতো
নীহারিকা বহমান,
কালে্র স্রোতেতে লয়েতে ধাবিত
কাল সে প্রবাহ-
মান।
অযুত ধেয়েছি নীহারিকা মাঝে
নিহারি আপনো প্রাণ,
কালের স্রোতেতে হাজার বয়েছি
গাহিতে কাব্য-
গান।
গড়িতে কতনা ধ্বংস প্রলয়ে
শ্বাশত চিরন্তন,
আদি নাই কিবা অন্ত তাহারি
জীবন চরিত
গান।
কালের প্রবাহ বয়ে যায় সদা
নিরন্তর সে স্রোত,
সাধিতে নাহিরে সাধ্য জ্ঞানের
জড়ায় হৃদয়ে অমৃত লয়ে বিবিধায়
ওতপ্রোত।


“সুতনয়া”


সুতনয়া আজ কমল খিলেছে শতদল,
গোলাপ তার মিলেছে পাঁপড়ি,
জুই শেফালী ভরেছে অঙ্গন,
সুতনয়া, তোমারি অপেক্ষা,
তোমার বিরহী সুরে
সুর মিলতে চায় অঙ্গন,
তোমার প্রদায়ে ভেসে যেতে চায়
অঞ্চল,
কবি খাতা খুলেছে কথাকলি,
সুতনয়া, জাগ্রত আগ্নেয়গিরি, সুতনয়া,
আঁখির পহ্লবে তোমার বিপ্লব,
নিশ্বাসে তোমার তোপধ্বনি, সুতনয়া,
তোমার হৃদেতে সমগ্র বসুধা,
মাতা আর ভগ্নী,
আশার কিরণে জাগ্রত বসুধা,
সুতনয়া, ওই ভেসে যায় অর্ধগলিত
সুজন মাধির সমাধি তরী, সুতনয়া,
বাঢ় করো, বাঢ় করো,
অস্থিমজ্জা করো হিমায়িত,
যেন যেন, যুগযুগান্ত বহে তব
পদতলে, সুতনয়া, বাঢ় করো,
বাঢ় করো, বাড় করো
ত্রিনয়নে,
বিদ্ধস্থ হোক রণতরী, সিংঘ বাহিনী,
জাগুক আজিকে প্রান্ত হতে প্রান্ত,
ভ্রান্ত সমাজ মিলে যাক দরিয়ায়,
সুতনয়া, ভোরের আকাশ হয়েছে লাল,
দীপ্ত ঊষার আগমনী, সুতনয়া,
পর্ণ কুঠির আজ জ্বেলেছে অগ্নিশিখা,
শত সুজন মাঝির অহঙ্কারের
সমাধি,
সুতনয়া, হাসো সুতনয়া, হাসো, সেদিনের মত
শিউলী ঝরা সকাল,
সহাস্যে কল্পদ্রুম,
হাসো সুতনয়া, হাসো, একবারের জন্যে হলেও
হেসে ওঠো আজ, সুতনয়া, হাসো
হেসে ওঠো
আজ।