“আমার ঘরেতে আর নাই সে”


আমার ঘরেতে আর নাই সে-যে নাই,
অন্তর মম ভবেরি দোরেতে
বেদনার গীত তাই।
আমার ঘরেতে আর নাই
সে-যে নাই।
থর থর কায় খর বায়ু বায় দিগন্তে দিশা,
হেরি পথে হায় লহু ধারা বয়
ঘন তমানিশা।
শিশু মাতা কাঁদে ঘন অবসাদে বারুদেতে প্রাণ,
বহ্নির দেশে হৃদ মম ভেসে
রোদনের গান।
কেমনেতে রই আপন আলয়ে গৃহকোণ করি আলো,
পুকারিছে মাতা ভগ্নী ও ভ্রাতা
আবেশেতে ধরা কালো।  
তাই নাই আর আলয়েতে মোর বারিকো ক্ষণিকো মোহ,
তপ্ত করাল হৃদয় আজিকে
লহু ঝরা আর দ্রোহ।
আমার ঘরেতে আর নাই সে-যে নাই,
অন্তর মম ভবেরি দোরেতে
বেদনার গীত তাই।
আমার ঘরেতে আর নাই
সে-যে নাই।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদ
“My consciousness is not in my home”


My consciousness is not in my home, it is not there,
Rather it runs across the world entire
To sing the song of pain observing
The terrible misery that I could see here.
All they are tumbling in great fear,
Fairy air is not blowing there
Blackish hell engulfs the air.
The kids, the mother are crying profusely
My heart and soul flown away
To that fervent land of fire
With a lament heart
That I bear.
How could I stay in my home
With the glory of Mars?
When they are calling me continuous.
So my heart is fiery in anger
To earn a revolt there.
My consciousness is not in my home, it is not there,
Rather it runs across the world entire and
I sing the song of pain observing
The terrible misery here.


(গানে গানে দিগন্ত-২)
“হে মোর দেবতা ভরিয়া এ দেহ প্রাণ”


হে মোর দেবতা ভরিয়া এ দেহ প্রাণ
অরূপ রতন সিন্ধু মাঝারেতে
কিবা করিতেছ মন্থন।
সিঞ্চিত বারি করুণাধারায় বিগলিত মোহ
পার্থিব সুখ বিজারিত দুখ
জাগে প্রাণে দ্রোহ।
বিহগ কূজণে মাধুরিত ধরা শত আশা ছিল প্রাণ
ঘর পরিবার স্বজণে কূজনে
মুখরিত ছিল মন।
হে মোর দেবতা ভরিয়া এ দেহ প্রাণ
অরূপ রতন সিন্ধু মাঝারেতে
কিবা করিতেছ মন্থন।
আজি এ হৃদয় ফল্গুধারায় অমৃত গান গীতি,
ঘর সে দুয়ার আকাশ মিলেছি
বসুধায় প্রাণ প্রীতি।
হেরি সে নীলিমা দিগন্তে দিশা মানবের করি আরাধন,
প্রেম প্রীতি আর ঘুরি দ্বারে দ্বার
তাহাতে সপেছি প্রাণ।
হে মোর দেবতা ভরিয়া এ দেহ প্রাণ
অরূপ রতন সিন্ধু মাঝারেতে
কিবা করিতেছ মন্থন।


জাগরণ


একটা ঝাঁকি মারতে এবার
জাগতে হাজার প্রাণ-
দিতেই হবে দম দমা দম
হুকোয় দিয়ে
টান।
হুঁকোমুখি হুতুম প্যাচা
শাসন যন্ত্র অন্ধকার-
দম ঘুট হয় বদ্ধ হাওয়ায়
রক্ত গঙ্গা দেশ মান
আর।
সিন্ডিকেটের রাজ জগতে
মা বোনেরা কাঁদছে রে ভাই,
রং তামাসা হিংসা দ্বেশে
রাজজোটকের লজ্জা
নাই।
হুতুম প্যাচার জামাই রাজা
লুটছে দেশের দশের প্রাণ-
একটা লাথি মারতে কষে
চাইছি জন জাগ-
রণ।
অরুন আলোক শুভ্র ঝোড়া
ঝর্ণাধারা বইতে সে প্রাণ-
সোনার আলোয় ভরিয়ে দিতে
রক্ত আমার দিচ্ছে রে
শাণ।
আর দেরী নয় শান্তিসোপান
গড়তে সোনার দেশ-
চল আগুয়ান সকল জওয়ান
ধরতে বীরের
বেশ।
রক্ত হোলী তুলবো তুফান
হুতুম প্যাচার দেশে-
চল আগুয়ান জয় মা বলে
মুষ্টিতে প্রাণ
হেসে।


আরে ব্বাব্বা!


আরে ব্বাব্বা! দাদুর গুন আহামরি
আর কয়টা বউ নেবে!
আমি তো ভাই একটা নিয়েই
আম ছালা হইছি
কবে।
আরতদারি দাদু তোমার
আরক কিছু খাও নাকি!
আমি তো ভাই তোবা তোবা
আঁন্ধার দেখি আমার
আঁখি।
আজ তোমায় বাধাই দিব
আষ্টেপিষ্টে বাঁধব কষে,
আর ছোলা বাঁশ গুঁতায় দিব
আজকে তোমায় রসে
বশে।