রাত ৬/১৪ মিঃ পুনঃ নির্মান হলো ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রবিঠাকুরের "উদাসীন" কাব্যটি।


"উদাসীন"


আজ কিছুতে মন নেই মোর
কান্না ঝরা প্রাণ,
আজ সখী তুই আসলি বেলা
গাইতে প্রেমের
গান।


তোর ফাগুনে তোর আগুনে
জ্বলছি পরাণ হৃদি,
ত্রিলোক ভুবন আর দেখিনে
তোরেই নিরবধি।
ছল ছলনা গাইলি গীতি
দুই তরীতে বাঁধলি প্রাণ,
স্তব্ধ সখী আজকে হৃদয়
গাইতে রই ব্যথার
গান।


আজ উদাসীন মন যে মোর
ধন্ধে ভরা প্রাণটি আকুল,
তোর আঁচলে প্রাণটি বেঁধে
জীবন আমার হতেই
ব্যাকুল।


কান্না ঝরে তুই কি দেখা
দেখতে পাবি বল,
তুই সখী মোর কঠিন হৃদয়
ছলনারই
পল।


কঠিন জীবন ধরতে সাধন
তোহায় দিলাম সঁপে,
সাধলি রে তুই ছল বলেতে
নিক্তি মেপে মেপে।
জীবন অঝোর বইতে ব্যথা
শূলের তলে প্রাণ,
আজ উদাসিন শূন্য বুকে
যেমন দিলি
দান।


তোর ডানাতে অনেক উড়ে
ঋণের বোঝায় বইতে নারি,
তোর স্মৃতি সে মলিল ফিকে
দিব্যি দেব ফেরৎ
তারি।


যা পাখি যা উড়তে আকাশ
ফাগুন রঙ এর দিশা,
ধরবো প্রাণ বিষাদ মেখে
গহন তমানিশা।


প্রিয় কবি ড.শাহানার মশিউর মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "হয়নি মলিন" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


অম্লান


যুগান্তরের ঘূর্ণিপাঁকে জীয়ন নদের আকেবাকে,
পদ্ম শালুক গোলাপ বকুল-স্নিগ্ধ আলোক
কিংবা পাঁকে।
আকাশপানে চাইতে দেখি সেই দিশাতেই হারিয়ে খেই,
অস্ফুট সে কান্না বুকে স্মৃতির আবেশ
জড়িয়ে রই।
ফুটফুটে সে দিনগুলি কই জ্যোছনা ধরা আতরেতে,
হরিৎ ধরা স্নিগ্ধ কোমল-কান্নার রোল
উঠতে বুকে।
বিষয় আসয় দিন গড়ালো-গরল ধরি বুকে,
ভব সাগরের কূল কিনারায়
ভাঙ্গতে হৃদয় শোকে।
প্রাণ অফুরান জীবন ছিল আলোক জোয়ার প্রাণ,
কন্ঠ মিলে ওষ্ঠ তলে গাইতে জীবন
গান।
ধন্য সখী অপার কৃপা তোমায় জানাই আজ আঝোরে,
ভুলতে নারি তোমার গাথা-বইছো তুমি
হৃদ মাঝারে।


প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ভোরের আলো মুছিয়ে দিলো" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ছেলেধরা


আজ সকালে বেলতলাতে কান্ড কি সে রব ধ্বনি,
পরলো ধরা ছেলেধরা লিখতে চলি
সেই কাহিনী।
কলুর বলদ খাটেন মিঁয়া পূব পানে তার ঘরখানি,
পাটের ক্ষেতে সরু আলে রাত বিরাতে
ভয়ের খনি।
গেলাম ছুটে সেই দিশাতে চোর তো নয় গুজব রে ভাই,
মিঁয়ার বাড়ি কাল রাতেতে চোর নেয়নি
কিছুই তাই।
কাটলো বেড়া বাঁশের গড়া উলট পালট ঘর সে করা,
পাশের ঘরেই শুয়ে ছিল ফুটফুটে তার
কন্যা তারা।
তার কাঁদনেই ভাঙ্গলো ঘুম চোর সে পলান দিছে
বলছে সবাই ছেলেধরা-যদি তারা'য়
নিত পাছে।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "খুঁত ধরা-(ব্যঙ্গ)" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


রমণী


ওরে বাবা কয় কি রে হেনমতি ছলনা,
কেঁদে কেঁদে সারা হল
রমণী সে ললনা।
দাম্ভিক পুরুষের অহং সে হামবড়া,
দেখে দেখে দিকে দিকে
রমলা সে দিশেহারা।
প্রাণহরা বেদনাতে দেশে দেশে কমলা সে,
বহু ঝড় লহুস্রোতে দুখ ভরা
প্রাণোকাশে।
মূক ধরা আঁখিধারা অনন্ত বেদনাতে,
ধরা মাতা পুরুষেরি যেন নারী
অবলা সে।
ইন্ধন প্রাণধন রমণীর রচা গৃহ,
গৃদ্ধ সে উড়ে ঘুরে
সুখ নাহি দেহে
কেহ।
আমি কবি কবিতায় লিখি তারি কান্না,
হৃদ হরা কাহিনী সে-শতদলে
বেদনা।
নারীপ্রাণ জেগে ওঠো রুহ ধর কালিকা
দিকে দেশে অস্ত্রেতে বাঢ় করো
বালিকা।


প্রিয় কবি প্রবীর কুমার সিকদার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মৃত্যু" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ইতিকথা


মৃত্যু শ্বাশত চিরন্তন
গতি সবার একটাই,
অম্বানি কি গাঁয়ের
পচা রতন।
রাজা মহারাজাধিরাজ কি
মন্ত্রী নেতা কেতা,
ধনপতি কুবের কি কংস
মৃত্যুই শেষ
ইতিকথা।


প্রিয় কবি জুবায়ের শিহাব মহাশয়ের একটু আগেই প্রকাশিত "কষ্টের হালখাথা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


প্যাক


কষ্টের এক মহাসাগরে
হাবুডুবু খাঁবি খাচ্চি রে বুল
বুলি তুই কোথায় গেলি,
শুনেই আমার গা টা গুলায়,
গলার কাছে ঠেকছে
গুলি।
হায় ভগবান এই দরিয়ায়
কষ্ট বিনে লোক কি নাই,
কেমন করে দেখেন কবি-
বাজায় দিল সেই
সাঁনাই।
বুলবুলি তুই শিষ বাজা না
ঈশ্বরকে প্যাক মেরে দি,
কেমন তেমন গড়লো ধরা-
কষ্ট দিয়ে ভব
নদী।