০৯/৪৬ মিঃ রাত পুনঃ নির্মান হলো ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রবিঠাকুরের "হৃদয় আকাশ" কবিতাটি।


"হৃদয় আকাশ"


সখী এ কোন ছলনার বুলি
তব হৃদয় আকাশ শুনি,
আজিকে পরাণ কাঁদিতেছে মোর
বেদনাতে গীত
বুনি।
হৃদয় আকাশে বাধিনু তরীখানি তব
কন্ঠ রুধিত ভাষা,
এ কোন অকূলেতে ভাসালি তরীখানি
এ কেমন ভালোবাসা।
লহুতে লহুতে কণা উচ্ছাসে গাহে গীতি-
তব দরশনে আকুলো নয়নো মোর,
জাগরিত প্রেম ভাও
প্রীতি।
যাপিত রজনি অক্ষিদুয়ার সিঞ্চিত প্রেম বারি,
সিন্ধু সে রচে বিন্দু বিন্দু-
প্রেম সে তোহারি।
আকূলো ভাসিনু ব্যাকুলো পরাণ
গাহিনু সে হৃদ পারাবার,
লহরেতে মেতে ফল্গু সে ধারা
ভাবি নাই হারাবার।
সখী এ কোন ছলনার বুলি
তব হৃদয় আকাশ শুনি,
আজিকে পরাণ কাঁদিতেছে মোর
বেদনাতে গীত
বুনি।


আমার লেখা খেয়াল ষষ্ট পর্বে প্রিয় কবি সামিয়া ইতি মহাশয়ার কমেন্টের উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


শয়তান


লিপিতে তুলিতে আঁকিতে ভুলিতে জীবনের জয়োগান,
আজিকে ধরাতে আলোকো ধারাতে  
বিধি ভাম শয়তান।
দিকে দিকে বন্যতা হৃদয়ত শূন্যতা ক্রুরতার অবশেষ,
পঙ্কিল হৃদয়েতে শঠতা ও ছলনাতে-
হিংসা ও বিদ্বেষ।
পদে পদে পলে পলে লহুঝরা বাণী রব,
দেশে দেশে ঘন ধরা-
যুদ্ধের কলরব।
দশ দিশা তমানিশা অন্ধ সে অলি গলি,
গুঞ্জনে নাহি ওড়ে-ফুলে ফুলে
কুঁড়ি অলি।
বহি প্রাণ জঞ্জিরে ব্যথা শত দোলা দেয়,
দেখে দেশে দিকে দিকে-
প্রহশনে অন্যায়।
প্রদীপ্ত শিখা নাই জ্ঞান হরা দিশাহীন,
আমি কবি দিতে ঘাত-
লিখে যাই
নিশিদিন।


প্রিয় কবি ড. শাহানার মশিউর মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "পৃথিবী তোমারে চায়" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


পূর্ণতা


উত্তাল ধরনী তলে জীবনের জয়োগানে
গাহিতে মধুরো সঙ্গীত,
ঊষারো আলোকে হেরিতে পূবেতে
হয়ো নাকো ভয়ভীত।
কালো মেঘ ধরা অশান্ত ঘূর্ণিত
খর বায়ু গতি ধায়,
পাঁক বেয়ে কুন্ডলে-অশনিত বজ্রেতে
দশ দিশা কুয়াসায়।
তারি মাঝে বেলা বহে বালুকার শুস্কতা,
কেড়ে নিতে চাহে প্রাণ-জলোবায়ু
আদ্রতা।
দিকে দিকে ফনা তোলে বিষাক্ত লকলকে,
উদ্যত করে দিতে-জীবনের রঙ
ফিকে।
নাহি ভয় নাহি ভয় সাহস সে বুকে বল,
প্রদীপ সে জ্বেলে জ্ঞানে-প্রদীপ্ত
উজ্জ্বল।
কুলুকুলু ধ্বনি বহে-জলোবায়ু আদ্রতা
জ্ঞান ধর বুকে বল-জীবনের
পূর্ণতা।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "আশা দু'হাজার আঠারো" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


বাতায়ন


শতাব্দী বয়ে যায় নব নব কামনায়
নব উদ্যমে দিশা,
দূর দূর দূর হেরি-চৌদিকে
তমানিশা।
দিন বহে সপ্তাহ মাস গলে বৎসরে,
ভৎসনা গালি রব-শমনের
দ্বারগোরে।
দিশাহীন গতি ধায় যুদ্ধ সে রব ধ্বনি,
মানবতা হত প্রাণ-জাত জাতি
টানাটানি।
কামনায় ঈশ্বরে নব শুভ বরষেতে,
হিংসা ও দ্বেষ বিষ-যেন হৃদ
দূর হতে।
শান্তির বাতায়ন গাহি গান ভগবান,
জোড় করে প্রনিপাত-দয়া ধরো
করো দান।


প্রিয় কবি খলিলুর রহমান মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বুঝিয়ে দিও আমায়" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


রব বাণী


সুখ দুখ হাতে হাত-ধরা জীবনের ধ্বনি,
দোহে মিলে মিলেঝুলে গেয়ে দেয়
রব বাণী।
দুখের সাগরে ভূতলে পতনো-
কণা সম সুখেরি দিশা,
গাহিতে অনন্ত ধরিতে গানেতে
দূর হতে তমানিশা।
সুখ সে নাহিকো বারিকো অনুভবে পল,
যেথা অনন্ত সীমাহীন বয়ে চলে-
বয়ে চলে অবিরল।
রজ্জু সে এক কুন্ডলে বোনা-
দুঃখ সুখের সারি,
সুখ দুখ হাতে হাত ধরা-
নাহিকো রিরামো
দারি।
সুখ দুখ হাতে হাত-ধরা জীবনের ধ্বনি,
দোহে মিলে মিলেঝুলে গেয়ে দেয়
রব বাণী।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কথা অমৃত ১৪২ কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


কূপমন্ডুক


কূপমন্ডুক যারা পরিনাম দুর্গতি,
যুগে যুগে কালে কালে
ক্ষীণতায় আঁখি
মাতি;


দরিয়া সে নিখিলেতে-ভাবে নাই পরিহাসে
যাপিত সে পল,
ইতিহাস রচে তাহা-
কাহিনী বিফল।  


প্রিয় কবি সুবোধ কুমার শীট মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বেদনার প্রেম" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ঠিকানা


অ এর পর ল জ্য ফলা
নগত লাগাই দিতি-
পাই না রে বুল তোব্যা তাল,
ক্যামনে দিব জবাব
এতি।
স্বপ্নে প্রেম বেশ ভালো না
কি যে লি্হি রি!
বাংলা টাইপ শিখন লাগে
ধরতে দাদাগিড়ি!
খুজ না বুল কোথাই পাই
মাস্টারের ওই
ঠিকানা।
শিক্ষা লইয়া হালুম মালু্ম,
বাজাই দিমু শিঙ্গা
খানা।  


প্রিয় কবি মুহাম্ম্দ জে.এইচ (রপ্পি)-উদাসী ও রেঁনেসার (কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "যদি থাকে সাধ্য" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


কানকাটা


দিছে রে কানাই দিছে-ভান্ড সে ফুঁড়িয়া,
কান্ড কি ভাই গোড়া মূল-
দিছে ভাল মুড়িয়া।
বসনেতে দিছে টান আসনটা খিঁচে নিছে,
ঘুলমিলে কালি কালো-ভাল করে
লেপে দিছে।
শিক্ষাতে সিঁদ কাটা গল্পটা কানকাটা,
ফাটাফাটি রব ধ্বনি-খিঁচে টান
পিষে বাটা।
ভান্ডটা ফুঁড়ে দিছে মুখোসের আড়ালটা,
কবিগানে মেলে দিছে-আজকাল
জীবনটা।