দুপ্রহর 1/২৩ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ২৫ তম কবিতাটি, "মাঝে মাঝে কভু যবে অবসাদ আসি"


তাহার লেখাটি এইরূপঃ "মাঝে মাঝে যবে অবসাদে আসি"


মাঝে মাঝে কভু যবে অবসাদ আসি
অন্তরের আলোক পলকে ফেলে গ্রাসি,
মন্দপদে যবে ভ্রান্ত আসে তিল তিল
তোমার পূজার বৃন্ত করে সে শিথিল
ম্রিয়মান-তখনো না যেন করি ভয়,
তখনো অটল আশা যেন জেগে রয়
তোমা-পানে।
তোমা-'পরে করিয়া নির্ভর
সে ভ্রান্তির রাত্রে যেন সকল অন্তর
নির্ভয়ে আহ্বান করি। প্রানপন বলে
ক্লান্ত চিত্তে নাহি তুলি ক্ষীণ কলরব
তোমার পূজার অতি দরিদ্র উৎসব।


রাত্রি এনে দাও তুমি দিবসের চোখে
আবার জাগাতে তারে নবীন আলোকে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ "মাঝে মাঝে যবে অবসাদে আসি"
"মাঝে মাঝে যবে অবসাদে আসি"


মাঝে মাঝে যবে অবসাদে আসি
তীক্ষ্ণ দহণ প্রবল জ্বালায় প্রাণ,
জ্ঞানেরো আলোক মিলে ধরি হৃদ
গাহি তোমারি জয়োগান।


জানি আমি দেব রাত যাবে কেঁটে
ঘন তমানিশা লয় পাবে
প্রভাতের আভাসেতে,
গাহিবে গুঞ্জনে বিহগ কলতান
মাতিয়া উঠিবে ধরা।


সৃষ্টি ও বিনাস প্রভাত ও করাল
তোমারি দেশেরি চরাই ও উৎরাল,
কভু আনন্দ গানে ধরা
কভু বেদনা গাহিতে সে গান।


তাই ঝেড়ে ফেলি অবসাদ
তমা সে নিবির,
গাহিতে তোমারি আনন্দ সুধা
প্রাণ ধরি সুনিবির।


As and when I feel depressed
Like a sharp burning fire,
I come to wisdom of my heart and
Sing the song of thee.


I know that it will be over as like as
The dark of night and the sun
Will be rises up into my
Life, soon.


I know that the creation and the destruction,
The day and the night,
The pain and sorrow is the eternal fact
Of your creation,
Lord.


So I don't care it
Whatever the Situation it may be and
I feel the sense of joy to
Encounter such like situation and
Always sing the lovely song
Thy.
I feel joy, thee
My lord.


দুপ্রহর ২/১৩ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ২৬ তম কবিতাটি, “সে যে পাশে এসে বসেছিল"।


তাহার লেখাটি এইরূপঃ


সে যে পাশে এসে বসেছিল
তবু জাগি নি।
কী ঘুম তোরে পেয়েছিল
হতভাগিনী।


এসেছিল নীরব রাতে,
বীণাখানি ছিল হাতে,
স্বপনমাঝে বাজিয়ে গেল
গভীর রাগিণী।


জেগে দেখি দখিন হাওয়া
পাগল করিয়া
গন্ধ তাহার ভেসে বেড়ায়  
আঁধার ভরিয়া।
কেন আমার রজনী যায়
কাছে পেয়ে কাছে না পায়,
কেন গো তার মালার পরশ
বুকে লাগে নি।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ


সে যে পাশে এসে বসেছিল
নিরব আঁখি নিরালাতে,
বিস্ময় শিহরণ খেলে গিয়েছিল আঁখিপাতে,
সে যে পাশে এসে বসেছিল
নিরব আঁখি নিরালাতে।


আঁখিপাত হয়ছিল দুজনাতে
কূজন গীতি গুঞ্জন গান,
নিরবে সময় গিয়েছিল বয়ে
অধরে নাহিকো বারিকো প্রাণ।


সেদিন গাহিনু সে প্রাতে
সে যে পাশে এসে বসেছিল
নিরব আঁখি নিরালাতে।


স্বপ্ন সে পল নিরব নিথর
নিরবেতে হয়েছিল কথা,
হৃদয়ে হৃদয় গিয়েছিল ভেসে
প্রনয়ের গাঁথা।


সে মালা বেঁধেছি গলে
সেদিনের পরিনয়,
আজিকে বহিতে জীবনো সাগরে
আজি মুখরিত লয়।


She came and sat beside me with the
Silence of the silent eyes,
I felt thrill of my heart to put
My eyes into her.


Both we took a look to each another
With our silent eyes but
It seems like that the time stooped its flowing
At that time and we heard
Each other with our heart and soul but
Not our voice.  


We started to love each other
On and from that day
She came and sat beside me with the
Silence of the silent eyes.


On that day we talked silently and
Both of us float down into the
Spring of love.


The garlands of love that
We weaved on that day
Silently,
It has became
The huge noise today
With the ceremony of our
Marriage.


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কথা অমৃত-১৯৫", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
অবাক পৃথিবী!


অবাক! অবাক পৃথিবী! অবাক করলে তুমি!
জন্মেই দেখি দাদা জ্যাঠামুনি-
বিষয় আসয়ে লিপ্ত সে বল,
দিতেই ধরায় বিষের ছোবল-
বিদ্বেষ আর হানাহানি।
অবাক পৃথিবী! অবাক করলে তুমি!
তাদেরি লাগিয়া ভাবিয়া মরিনু,
অশীতিপর বৃদ্ধ তারা,
কিসেরি লাগিয়া বিষয়েতে মাতি
আজি প্রান দিশেহারা।
ক্রোধ আর হিংসাতে মেতে মাতম উল্লাসে
আর জন কেড়ে নিতে ভূমি;
অবাক! অবাক পৃথিবী!
অবাক করলে তুমি।
অবাক! অবাক পৃথিবী!
অবাক করলে তুমি!
জন্মেই দেখি দাদা
জ্যাঠামুনি!


প্রিয় কবি লক্ষ্ণন ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "আসিল ফাগুন আজি (গীতি কবিতা)'র উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা গীতি কবিতা।
“আজ ফাগুনে আগুন রঙে”


ফাগুনেরই ওই মাদলে
মাতল পরান হৃদয়দোরে,ফুলের আঙ্গিনায়,
ওই ভেসে যায় শুভ্র সারি
কুন্ডলিত মেঘের বারি
আকাশ দরি-
য়ায়।
ঊলুধ্বনি বাজলো দোরে
বাদ্য গীত আর সঙ্গীতে,
আজ ভুলে সে হিংসা দ্বেষ
আয় রে সখী মন
মেতে।
আজ ফাগুনে আগুন রঙে
প্রজাপতির ডানায় ও'রে,
কুঞ্জ বিতান শাখায় শাখায়
লাল পলাশে স্নিগ্ধ
রে।
ভাসিয়ে দে'রে পরান নদী,
আজকে ঊষার রবির গান,
উছল শশী জ্যোসস্না ভবে
আজ খুশিরই
আরাধন।
মন মদিরায় স্নিগ্ধ মলয়
বাতাস ও 'রে মন্দ রে,
আজ অবসান রুক্ষ ধরা
আজকে সবুজ শ্যামল
রে।
কান্তি ধরা সেই মদিরায়
কুঞ্জে কুঞ্জে অলির দল,
পুষ্পে পত্রে সজ্জিত আজ
আজ ফুটেছে
শতদল।
ফাগুনেরই ওই মাদলে
মাতল পরান হৃদয়দোরে,ফুলের আঙ্গিনায়,
ওই ভেসে যায় শুভ্র সারি
কুন্ডলিত মেঘের বারি
আকাশ দরি-
য়ায়।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "শূন্য তাপ-শোক", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“মহাপ্রান”


উন্নতির শিখরেতে মহাপ্রান মানবের
ধ্বংসের জয়োগান,
শিখরেতে চরে আজ হিংসা ও
দ্বেষ প্রান।
দেশ গতি মতি হীন
বেশ ভূষা বলি আর,
ছাল আর বাকলের-
আর বাকি কিছু
তার।
মুঠে ধরা বিশ্ব নিমেষেই গতি ধায়,
আর তার পিছে তারি
মতি ভ্রম গতি
পায়।
মহাকাশ আর তারা
দূর আর দূর নাই,
গবেষণা শিখরেতে-
আর দেশে ভাত
নাই।
ঔষুধের বাহারেতে
শৃঙ্গ সে জয় তারি,
অনুবোমা নাদ তোলে-
ধ্বংসের কার-
বারি।
উন্নতির শিখরেতে মহাপ্রান মানবের
ধ্বংসের জয়োগান,
শিখরেতে চরে আজ হিংসা ও
দ্বেষ প্রান।


প্রিয় কবি মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান মহাশয়ের আজ প্রকাশিত (কাব্য কণিকা-১৫) অভিশাপ কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“মরুগ্গা”


জলুগ্গা, পুড়ুগ্গা, মরুগ্গা,
মুরব্বিতে মাতলে মোরল গরল মতি ধায়,
ধা ধা তিন নাচন দিল-আমায়
আঙ্গিনায়।
পুড়লো যূদি হিংসা দ্বেশে হলকা দিল বাণ,
ছল বলেতে মানায় মাতম
কাঁড়তে যুদি
প্রাণ।
লাভ নাই ভাই টায় টায় ফিস ঘচাং ফু এর দ্যাস,
জ্বলে পুড়েই মরবে তারা-
আমি রব
বেশ।
জলুগ্গা, পুড়ুগ্গা,
মরুগ্গা।


প্রিয় কবি ডা শাহানার মশিউর মহাশয়ার আজ প্রকাশিত অবচেতন মন কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“দিশা”


অভ্যাস আর অধ্যাবসয় মানুষ গড়ে কাজ,
আজ দিনেরই ফরমানেতে
কাল সে ধরে
সাজ।
সাঁজের বেলা বিকার হেলায়
জীবন কাহন গাঁথলে যদি,
নাই পারাবার কূল না পাবে
বইতে রবে গরল
নদী।
তাই কি বলি আজ হতে ভাই
অনুশীলন মন মেতে নাও
সত্য রাহা দিশা,
ফুটবে কমল জীবন নদে
রইবে না
হতাসা।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের গতকাল প্রকাশিত "শালংকারা নারী", কবিতার কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।  
“ষাট ষাট শালা বাবু”


শালা আর বলব কি রে
শাক দিয়ে মাছ ঢাকা,
শালা নানির কির্তনেতে
শর তূণেতে
আঁকা।


শোরগোল সে লাগলো ধূম
শনশনানি খবর রে ভায়,
শালা নাকি নানির সাথে
শরবতের তুফান
ছুটায়।


শালা আর বলব কি'রে
শালের বাটাম আর নানা
শালার মাথায় এক সে বাড়ি
শালায় নানায় কান্ড
খানা।


ষাট ষাট শালা বাবু!
ষষ্টি মাসের ঘোলের দুধ,
ষষ্টপদী পূর্নিমাতে
ষর রিপুর আছে
ঔষধ।
ষারের চোনা ছয় রত্তি
ষন্ডামার্কা মামা কাত,
ষারের মতই শক্ত ওষুদ
ষষ্ট ঘাতেই কুপো-
কাত।
ষান্মান্সিক হিসে্ব নানি
ষট কর্ম ফট করিস,
ষারা-ষারি মন ভরে ভাই
ষাট করে তুই সরে
পরিস।


অপূর্ব সুন্দর উপলব্ধি ও লেখা।


প্রিয় কবি বিভূতি দাস মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কষ্ট (কাব্য কনিকা-১১)", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“ভূষণ”


কষ্ট! সে তো আমার ভূষণ-ভালোবাসি জে’ন,
গরল ধরেছি কন্ঠে মোর
অমৃত সম।
সে সাগর লহর-উছল হলাহল দেয় বাড়ি,
বৈঠা টানিতে বিষেরো সাগরে
দিতেই অরূপ
পারি।
জীবন নশ্বর মা'গো দিয়েছিলে কভু দানে,
গাহিতে সাগরো বিষাক্ত লহরো
দিতে রই প্রতি-
দানে।
দুর্গম পথ দিতেই পাড়ি অশান্ত সাগরেতে,
পরাজয় কভু মেনে নিব মা'গো
বীরের সম্মা-
নেতে।


প্রিয় কবি বিশ্বজিৎ শাসমল(স্বপ্নচর) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "পাড়ার হাবু", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(একটা কথা না লিখে পারছি না। ডাকাবুকা মস্তান মার্কা ছেলেপেলেদের আমরা কতই না গাল দি কিন্তু তারাই একসময় ত্রাণকর্তা রূপে পরিত্রাণ করে আমাদের, এমনও সমাজে দরকার আছে বৈকি!)
“আপন”


সেই দিনেতে গভীর রাতে বাবার সে'কি টান,
হাসপাতালে নিতেই হবে-
নইলে রে
সটান।
সটান মেরে ডুবকি দিয়ে বাবা যাবে তরী,
ত্বরিৎ গতি ভাবতে নারি-
সবারে ফোন
ধরি।
কালা নাকি কেউ না শোনে ঘন্টি বাজে শুধু,
হটাৎ মাথায় খেয়াল হলো
মস্তান ওই
হাবু।
অরে লাগাই শুনেই দৌড় কি হইছে কত্তা,
রইতে আমি বাপ আপনার
হইব না বে-
পাত্তা।
দৌড় ভেগে হাসপাতালে হাবুর সে'কি রাগ,
ডাক্তারেরে ধইরা কলার-কয়
চিকিৎসাতে
লাগ।
লাগলো মানে সেই লাগলো পাপা গেল বেঁচে,
ভাবি আমি হাবুর চেয়ে-আপন
আছে কে
যে!


প্রিয় কবি শ ম শহীদ মহাশয়ের কোনও এক কবিতায় কথাপকথনে কমেন্ট বক্সে আজ লেখা কবিতা।
“গুতা”


যুগকাল খুব খারাপ কত্তা
সাবধানেতে থাকা ভাল
এইক্ষনেতেই ভূত-দুইখান
ন্যারা মাথা মুইড়া
ফেল।


ভূত পেত্নীর কাহিনিতে
রক্ত আমার মাথায় ওঠা,
হেই কত্তা আমার হইয়া
দ্যান না আর দুইটা
গুতা।


প্রিয় কবি সোমেন রায় মহাশয়ের সেদিন প্রকাশিত "সুতনয়ার চিঠি ও আমার প্রলাপ", কবিতার উত্তরে শুরু হয়েছিল পথচলা। পৃধিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ আধুনিক কবিতা লেখার পালা। প্রতিদিন এতখানি করেই লেখা হবে। ১০০০ লাইনের আগে কবিতা শেষ হবে না।
(আজকের পর্বটি প্রিয় কবি মনোজ ভৌমিক(দুর্নিবার কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "তেইশের এক চাঁদনী বসন্ত রাতে", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা)


"সুতনয়া"


সুতনয়া তুমি কি আজ কন্ঠহারা,
যে কানন ঝিলমিলিয়ে উঠত বিহগ কলতানে,
যে গানে প্রশান্তিতে ভরে যেত ভুবন,
যে গানের সুরে মেঘ ধরে রাখতে পারতোনা,
মুক্ত কণা হয়ে ঝরে ঝরে পড়ত,
সে কন্ঠ সে গান সুতনয়া,
কতটা কষ্ট কতটা বেদনা দিয়েছে তোমায়
সুজন মাঝির স্বর্ণে গড়া তোমার
সে স্বপ্ন মহল।
সুতনয়া, তুমি কি চিৎকার করে কেঁদে
ঊঠে পার না, তুমি কি পার না
সুতনয়া।
তোমার স্মম্ভিত অন্তর, তোমার নিরব আঁখিপাতে
উছলিত বেদনার তরঙ্গ ভূমি,
লহুস্রোত যেন বইছে মেদিনী,
আজ আজ এই পর্ণ কুটিরের দ্বারগোরে,
সুতনয়া, যেন একটি আগ্নেয়গিরি,
তবে কি সুপ্তই থেকে যাবে সে আগ্নেয়গিরি,
সুতনয়া জাগো, জাগো, জাগো।
জেগে ওঠো সুতনয়া,
সুতীব্র চিৎকারে জেগে ওঠো সুতনয়া,
তোমাকে জাগতেই হবে,
জাগতেই হবে আজ,
সুতনয়া।