এ লেখা যদি শেষ না হয়.................................।


গতকাল খেয়ালে প্রকাশিত গীতাঞ্জলির ৮ নম্বর কবিতাটি "রাজার মতো বেশে তুমি সাজাও যেও শিশুরে", কবিতাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদ মূল কবিতা সহ প্রকাশ দিলাম।


রবি ঠাকুরের লেখাটি এইরূপঃ -
"রাজার মতো বেশে তুমি সাজাও যেও শিশুরে"


রাজার মতো বেশে তুমি সাজাও যেও শিশুরে
পরাও যারে মণিরতন হার-
খেলাধুলা আনন্দ তার সকলি যায় ঘুরে,
বাস-ভূ্হণ হয় যে বিষম ভার।


ছেঁড়ে পাছে আঘাত লাগি,
পাছ জ্ধুলায় হয় সে দাগি,
আপনাকে তাই সরিয়ে রাখে সবার হতে দূরে,
চলতে এলে ভাবনা ধরে তার-
রাজার মতো বেশে তুমি সাজাও যে শিশুরে,
পরাও যারে মনিরতন-হার।


কী হবে মা অমনতরো রাজার মতো সাজে,
কী হবে ঐ মণিরতন-হার।
দুয়ার খুলে দাও যদি তো ছুটি পথের মাঝে
রৌদ্রবায়ু-ধুলাকাদার পাড়ে।
সেথায় বিশ্বজনের মেলা
সমস্ত দিন নানান খেলা,
চারি দিকে বিরাট গাথে বাজে হাজার সুরে,
সেথায় সে যে পায় না অধিকার,
রাজার মতো বেশে তুমি সাজাও যেও শিশুরে
পরাও যারে মণিরতন হার।


আমার লেখাটি এইরূপঃ-
“রাজার মতো বেশে তুমি সাজাও যে শিশুরে”
রাজার মতো বেশে তুমি সাজাও যে শিশুরে,
দেখতে কি পাও পথের ধূলায় কতই শিশু লুটায় রে।
নাই তো ধরা বেশ তাহারা খাদ্য কণা খুটে,
লুটায় তারা অবহেলে রয় যে তারা ফুটে।
দুঃখ কি প্রাণ জুড়ায় নাকো হৃদ কি পাষাণ তব,
খেদ কি দিয়ে পরান কাঁদে শ্মরণ করে ভব।
অবহেলায় অনাদরে ঘুরতে তারা দ্বারে দ্বারে,
হিসেব কি তার রাখো! জ্বলতে পরান ভবের দোরে
কান্না কি গো মাখো!
নাই দিলে দান দাবব মানি মানবতার নাই ঠিকানা,
ভবের দেশে অনেক পেলে চক্ষু দুটি করলে কানা।
ওরে কানাই কি দিলি তুই মানবতার সাঁজে,
ধন দিলি তুই দুহাত ভরে, মন দিলি না লাজে।
তোর কি ধরা অন্যায়েতে বইতে চিরকাল,
বঞ্চনা আর শোষনেতে কাঁটতে হেতায় তাল।
তাল দিলি রে তাদের ধরা ফুটপাতে কি যায়না চোখ,
দুঃখ কানাই তোর ওই গড়া, গড়তে এমন
ভবলোক।
আজ রে কানাই, কানায় কানায়, পুর্ণ আমার মতি,
আজকে তোরে শাণাই বাণে-তুই রে
মন্দ অতি।
কবিতাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদ:-
“You always keep your kids”


You always keep your kids as like as the king
Ever did you thought that there are so many kids
Are neglected and leading a poor life
Into the street.
Nor they have a home not a dress well.
The food they eat are very very poor
They eat the food which
You have wasted and
Thrown away in the dustbin.
Did you ever thought of them
Ever you gave any good food
To gift them to eat.
Did you ever pray to God
To pull them up in the society.
You are not a human but the monstar.
You have no humanity in you.
The God almaighty has given you
A lot of treasure and wealth but
You are blind in your heart and soul.
Oh my God! What a creation you did!
But you made the heart and  soul so poor!
Are you not getting shy, my lord.
You pay attention to the rich people only.
You never look at the misery and the
Poor section of the society.
What a curious creation you did, my lord
Oh my lord.


গতকাল খেয়ালে প্রকাশিত গীতাঞ্জলির ৯ নম্বর কবিতাটি "আর আমার আমি নিজের শিরে বইব না" , কবিতাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদ মূল কবিতা সহ প্রকাশ দিলাম।


রবি ঠাকুরের লেখাটি এইরূপঃ-
"আর আমার আমি নিজের শিরে "


আর আমার আমি নিজের শিরে
বইব না।
আর নিজের দ্বারে কাঙাল হয়ে
রইব না।


এই বোঝা তোমার পায়ে ফেলে
বেড়িয়ে পড়ব অবহেলে,
কোনো খবর রাখব না ওর
কোনো কথাই কইব না।
আমার আমি নিজের শিরে
বইব না।


বাসনা মোর যাবেই পরশ
করে সে,
আলোটি তার নিবিয়ে ফেলে
নিমেষে।
ওরে সেই অশুচি, দুই হাতে তার
যা এনেছে চাই নে সে আর,
তোমার প্রেমে বাজবে না যা
সে আর আমি সইব না।
আমায় আমি নিজের শিরে
বইব না।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-
“আজ আমায় আমি নিজের শিরে বইব না”


আজ আমায় আমি নিজের শিরে
বইব না, আমার শিরে শিয়র থানে
তিনি স্বয়ং, আমি কইব না।
কইব না , কইব না , কইব না।
কইতে গেলে পরান মণি
ব''কিই শুধু তারে,
ফরমান সে হাজার ধরে
দাড়াই তারি
দ্বারে।
কান্না ঝরা সেই কাহিনী,
যেথায় যখন হৃদ সে শুনি
কইতে তারে কান্না ঝরে,
ঝাকাই তারে বারে বারে,
হৃদয় আমার দেয় যে দোলা,
ভব সাগরের
পারাবারে।
কইব না, সাজায় ডালি দুঃখ দ্বারে
তারে আমি কইব
না।
অনেক কাঁদাকাদির শেষে,
অরূপ রতন তাহার দেশে
ভাসতে আমি কালো,
হে ঈশ্বর পরান পাতে
গা না'রে তুই
আলো।
রোজ কি লাগে ভাল,
দিতেই তোকে সন্দেশ,
আজ ভেসে যায় তোর সে ধরা
প্রান্ত সে প্রান দীনের
বেশ।
বেশ তো আছিস, ব্যস্ত আছিস
ধন গলিতে পাল তুলে ঐ,,
তোর সোপানে কান্না কানাই
গাইতে সে প্রাণ
হিংআ ও দ্বেষ।
আজ রে কানাই শুন রে তুই
তোর দ্বারেতে আর না মুই,
তোর দেশেতে বঞ্চনা আর
শোষক ধরে, কান্না পভু
রবেই তুই।
তোর জমানা আজকে নিব
শাসন ধরার ভার রে, ।
দেখিয়ে দিতেই কোন সে রবে
ভাসিয়ে দিতেই দেশ
রে।


কবিতাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদ:-
“Today I will not go according my will”


Today I will not go according my will
Thou, my lord you will tell today
On behalf of mine.
I will not tell today, I will not.
I always rebuke thy each and every time
If I talk and I put to you
Long list of want. My lord, Oh my lord.
I show my cruelty upon you
The tale of misery of the
Poor people of the world.
What I can do my lord,
You have given me a soft heart and soul
I could hardly see the great misery
Of the people around mine.
Today I will not tell my lord
I will not.
I always mark and show you
The black and odd things
That you created around mine.
I feel pain in my soul to
Rebuke you each and every day,
My lord.
You are indifferent  all the time,
You pay attention to rich people only
My lord.
If you are not able to maintain the
Equaility in your reign,
Please handed over it to me,
I will show you,
How to operate the world and
The society here.


আজ দুপ্রহর 2/49 মিঃ পুনঃ রচিত হলো রবি ঠাকুরের লেখা গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ১১ তম কবিতাটি।
তাহার লেখাটি এইরূপঃ
"ভজন পূজন সাধন আরাধনা"


ভজন পূজন সাধন আরাধনা
সমস্ত থাক পড়ে।
র্যদ্দ্গদ্বারে দেবালয়ের কোণে
কিন আছিস ওরে।
অন্ধকারে লুকিয়ে আপন মনে
কাহারে তুই পুজিস সংগোপনে,
নয়ন মিলে দেখ দিখি তুই চেয়ে
দেবতা নাই ঘরে।


তিনি গেছেন যেথায় মাটি ভেঙে
করছে চাষা চাষ-
পাথর ভেঙে কাটছে যেথায় পথ,
খাটছে বারো মাস।
রৌদ্র জলে আছেন সবার সাথে,
ধুলা তাঁহার লেগেছে দুই হাতে;
তারি মতন শুচি বসন ছাড়ি'
আয় রে ধুলার 'পরে।


মুক্তি? ওরে মুক্তি কোথায় পাবি,
মুক্তি কোথায় আছে।
আপনি প্রভু সৃষ্টিবাঁধন 'প রে
বাঁধা সবার কাছে।


রাখো রে ধ্যান, থাক রে ফুলের ডালি,
ছিঁড়ুক বস্ত্র, লাগুক ধুলাবালি,
কর্মযোগে তাঁর সাথে এক হয়ে
ঘর্ম পড়ুক ঝরে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-"ভজন পূজন সাধন আরাধনা"
"ভজন পূজন সাধন আরাধনা"


ভজন পূজন সাধন আরাধনা
আয় রে সখী আর ললনা,
সাধতে মানব দল,
দল মেতে আয় আজ ধরাতে
মিলতে শত দল।
দশ দিশাতে কান্নার রোল
বেদন হরণ করতে রে ভাই,
মন্দির আজ দূর রেখে দে
আজ মানবের পূজন গাই।
জানিস কি'রে নাফ নদী ওই,
বানের জলে বইছে লহু,
জানিস কি'রে বুদ্ধ সে দেশ
করতে কোতল মারতে
বহু।
আজ দেবালয় রাখ না দূরে
ভজন সাধন আরাধনা,
দেব কি দিবে! ডুবকি যে দেয়
দিতেই কেন তারেই ধূনা।
তার মতি সে গন্ধমোদন
না রে ভাই, নাই রে রোদন,
পাপের ঘরায় মাপতে ধরা
করতে কেন তার আরাধন।
আজ মাতি চল মানব গানে
দুঃখ ধরা প্রান্তরেতে
আজ আকাশে প্রেম সে ভরাই
দেবালয় দূর সে রেখে।


Let us worship the suffering humanity
Oh my dear and all.
Join with me in group and group
To worship the humanity.
Please leave the temple today
Can you not hear the sound of weeping
All and each direction of the world.
So why to worship the God today.
What will he do!
Could you see the river Naf
Is flooed with the blood and
In the country of Bhagawan Buddha
They has became so wild that
The are killing the inocent people at random.
Why to temple today to worship the
Idol of God.
What could he do!
We have to show our capacity
In the field where humanity are
Are in great danger.
Come and Join with me today
To serve the suffering humanity
And to spread the message of love
Throughout the world today.


আজ দুপ্রহর 3/34 মিঃ পুনঃ রচিত হলো রবি ঠাকুরের লেখা গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ১০ তম কবিতাটি। "যেথায় থাকে সবার অধম দীনের হতে দীন"
তাহার লেখাটি এইরূপঃ


যেথায় থাকে সবার অধম দীনের হতে দীন
সেইখানে যে চরণ তোমার রাজে
সবার পিছে, সবার নীচে,
সব-হারাদের মাঝে।


যখন তোমায় প্রণাম করি আমি,
প্রণাম আমার কোনখানে যায় থামি,
তোমার চরণ যেথায় নামে অপমানের তলে
সেথায় আমার প্রণাম নামে না যে
সবার পিছে, সবার নীচে,
সব হারাদের মাঝে।


অহংকার তো পায় না নাগাল যেথায় তুমি ফের'
রিক্তভূষণ দীনদরিদ্র সাজে-
সবার পিছে, সবার নীচে,
সব-হারাদের মাঝে।


ধনে মানে যেথায় আছে ভরি
সেথায় তোমার সঙ্গ আশা করি-
সঙ্গী হয়ে আছ যেথায় সঙ্গীহীনের ঘরে
সেথায় আমার হৃদয় নাকে না যে
সবার পিছে, সবার নীচে,
সব-হারাদের মাঝে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ "যেথায় থাকে সবার অধম দীনের হতে দীন"
"যেথায় থাকে সবার অধম দীনের হতে দীন"


যেথায় থাকে সবার অধম দীনের হতে দীন
সেই খানে মন, সেথায় কাঁটাই দিন,
দীন হতে দীন দীনের মাঝে,
নিত্য রে প্রাণ অনেক কাঁদে
সেথায় ফল্গুহীন।
নাই রে ধারা ধনের বাড়া
অশ্রু অন্তহীন।
নাই রে কানাই নাই রে দিশা,
শুধুই আঁধার তমানিশা,
ধরতে তবু বীণ...
ওরে প্রভু তোরেই পূজে
নিত্য সারা দিন।
দীন দুঃখীর নাই রে ঘরে
আশিস ভবের এক কণা টুক,
জানিস কি তুই পরান আমার
নাই রে ওদের একটু দুখ।
সেলাম জানায় কানাই তোমায়
কান্না ঝরি আমি,
এমন তাদের সেলাম ঠুকি
ওরে আমার স্বামী।
তুই কি দয়া পারিস দিতে,
তাদের ওই দুখের ভিতে,
ওরে কানাই আমায় বল,
নইলে সে বল আমায় দে'রে
ঝরতে শতদল।
যেথায় থাকে সবার অধম দীনের হতে দীন
সেই খানে মন, সেথায় কাঁটাই দিন,
দীন হতে দীন দীনের মাঝে,
নিত্য রে প্রাণ অনেক কাঁদে
সেথায় ফল্গুহীন।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
I spent my day with the poorest


I spent my day with the poorest
Section of the society, my lord.
I cry a lot having seen their
Terrible pain and sorrow each
And every moment.
My lord, I spent my day with them.
They sunk in poverty and
No hope at all, there.
You did not gave your blessings them, my lord.
You did not bless them at all.
But I romanced and would like to
Inform you that all the time
They worship thou with their
Weeping heart.
In spite of their great misery
They love thy and worship!
What a great surprise, my lord,
What a great surprise my lord.
They forgot their misery to
Worship you, thee.
I would like to salute them
Instead you thee.
Can you not give them a little
Of you mercy to them.
Can you not?
Please tell me, tell me, tell me
Why not my lord.


প্রিয় কবি খলিলুর মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "এ কেমন ভাষা" কবিতার উত্তরে আমার লেখা গীতিকাব্য "ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু" (প্রথম অংশ)
"ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু"


ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু,
যেতেই পথে হারিয়ে গেলাম
কভু,
নীচ নীচতা হরণ যদি প্রাণ,
দেশ জাতি রব হলই
অপমান,
রুক্ষ ধরা তাপেই যদি কালো,
নাই মানেরই ধনেই যদি
আলো,
ক্লান্ত হিয়া বাজতে বিষের বীণ,
হলই যদি হৃদয় হত
ক্ষীণ,
মর্মে যদি বাজাতে নাতো হিয়া,
প্রখর তাপে বিহগ রোদন
দিয়া,
বক্ষ তলে নাচতে দানব দল,
পাঁপরি মেলা হারায়
শতদল,
কাঁদতে যদি পাষাণ হল ধরা,
তরিৎ বেগে হানল করাল
কারা,
কারাগারের সোপান তলে প্রাণ,
কান্না তারি গাইল যদি
গান,
এই দীনতা, করতে ক্ষমা প্রভু,
ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো
প্রভু,
যেতেই পথে হারিয়ে গেলাম কভু,
নীচ নীচতা হরণ যদি
প্রাণ,
দেশ জাতি রব হলই অপমান,
কান্তি আমার ক্ষমা করো
প্রভু,
কান্তি আমার ক্ষমা করো
প্রভু।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "তাঁরা চির সবুজ" কবিতার উত্তরে আমার লেখা গীতিকাব্য "ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু" (দ্বিতীয় অংশ)


"ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু"
ক্লান্ত সে প্রাণ সোপান তলে ধরা,
চাইতে দিশা আলোক দিলই হারা,
নয়ন যদি চাইলো নদীর বান
হাজার তারা চক্ষু মুদে ধ্যান
করাল গ্রাসে তার সে আরাধন।
গগন তলে লক্ষ ফণা ওঠে
জুই শিউলী নাই বা যদি ফোটে,
ক্লান্ত পরান হাজার নাগের বিষ,
নাই যদি প্রাণ ধন্য সুভাশিস,
গগন হটাৎ হলোই গহন কালো,
নাই দিশা প্রাণ নাই রে রবের আলো।
নৃত্য যদি ছাইলো তমানিশা,
রুদ্ধ গতি পরান আমার পিতা,
ধা কুররর বজ্র এলো তেড়ে,
হারিয়ে সে প্রাণ লক্ষ লোকের ভিড়ে।
বেদন ভরা রোদন মহাকাশ
প্রলয় বায়ু নিম্নে মনোকাশ।
হৃদয় যদি গেলই আমার ভেসে
নীচ দীনতা আসলো প্রানের দেশে।
ক্লান্তি যদি দিতেই রবে প্রভু,
এই দীনতা, এই দীনতা ক্ষমা করো প্রভু,
ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু।


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "শেষ বিছানা শ্মশান ঘাটি", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“ক্লান্ত মাঝি”


ওরে ওই ক্লান্ত মাঝি আর দিশাতে বইতে র'লি
দেখলি নারে মানব সাধন
মোহেই মেতে ধন
জমালি।
বৈতরণীর ওই ভেলাতে আজ বিকেলে সন্ধা সাঁজে,
কি পেলি'রে কী বা দিলি
এলোকেশীর ভাঁজে
ভাঁজে।
বৈঠাখানি বইতে মাঝি আর পারাবার ভাসলি সাগর
ধন রতি আর কামনাতে
বিষয় আসয় আর সে
ডাগর।
ডাগর ডাগর নাগর খেলায় প্রাণ মিতালি ধনের গান
ধন্য কি'রে হলোই ধরা
বাঁধতে তোর ওই
জীবন গান।
ভাগাভাগির এই দরিয়ায় ভাগ দৌড়ে বইলি মাঝি
আর দরিয়ার ওই পারেতে
যাস রে কেন প্রাণটি
আজি।
আজ হতে তাই প্রভুর গান দীন দুঃখীর গাইতে সাধ,
দু কর জোড়ে মানব মাঝে
তোর ওই জীবন আজকে
বাঁধ।


প্রিয় কবি রীনা বিশ্বাস (হাসি) মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "মাতৃ ভাষার শ্রদ্ধাঞ্জলি", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“জয় বাঙালি”


হিতাক বারি বাংলা ভাষা ধিতাং ধিতাং বোল,
উব্ধে গগন নিম্নে পাতাল-আকাশ
কলরোল।
রব মাঝেতে ধন্য ভাষা ধন ধান্য ধরা,
রফিক সালাম আর বরকত
দেশের সিতারা।
জয় মুজিবের ধন্য গানে মাতলো হাজার প্রাণ,
বিশ্বালয়ে ধন্য মাতার-স্বাধীনতার
গান।
জয় বাঙালি জয় বাংলা হর হর বোলে মেতে,
প্রাণ মেদিনী মুষ্টি ধরে-রক্ত
মা'কে দিতে।
সেলাম দিল বিশ্বলোকে মাতৃভাষায় গাইতে গান,
এই দিনেতে সেলাম ঠেকায়
গাইতে বাংলা দেশের
নাম।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের একটু আগেই প্রকাশিত "কথা অমৃত-১৯২", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“অন্তরতর”


অন্তরো তর করো অন্তরোতর হে,
হৃদয়ের চক্ষুতে দেখ ধরা
বাসো হে।
ভালোবাসা প্রেম হাসি হুল্লোরে ধরো হে,
উন্নত প্রাণ করো-উন্নত
সোপানে সে।
হিংসাতে মতি নাই বলবান ধনে নাই,
ধরা আছে প্রেম গীতে
অন্তর উঁচু
তাই।
তাহি গাহি মানবেতে দীন জনে কাছে টানি,
রব দিয়ে হুঙ্কারে-ছুড়ে ফেলে দেই
গ্লানি।
অন্তরো তর করো অন্তরো তর হে,
হৃদয়ের চক্ষুতে দেখ ধরা
বাসো হে।


প্রিয় কবি শ ম শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ভাষা-২", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে কিছুক্ষণ আগেই লেখা কবিতা।
“রামায়ন”


সেই সুর সেই বাংলা গানে,
লালন ফকির ওই যে টানে,
চিত্তে জাগে ধরা।
সুর মনোরম প্রেম্ মনোরম
বাংলা দেশে ভরা।
জাত বাঙালি শক্তি ধরে,
ভক্তি ধরে হৃদে,
রফিক সালাম আর বরকত
বাংলা ভাষার দেশে।
আর গাইতে গুণের কথা,
কইতে যদি রই,
রামায়ন আর মহাভারত
হয়ে যাবে
সই।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের গতকাল প্রকাশিত "নির্ভেজাল বাংলা বলো!", কবিতার উত্তরে আজ কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“তেজ”


নানা তো ভাই ক্ষেপে গিয়ে
নানির ওপর ঝাপ দিল যেই,
না, না, বাটাম না ভাই
নাকটি চিপে নানির
সেই!
না রে ভাই কাঁদে নাই
নানির সে কি তেজ,
নানায় দিল ধাক্কা জোরে
নানা গুটায়
লেজ।
নানা নানির কীর্তি কথা
না'রে ভাই হাসি নাই,
নানার দমে দবদবিয়ে
না'রে ভাই কাঁদিও
নাই।
নানা তো ভাই লেজ গুটিয়ে
নানির পায়ে লুটায় পরে,
না'রে ভাই আর পারিনা
না হেসে আর থাকতে
ওরে।


যারপরনাই ক্ষুব্ধ মামি
যেমন তেমন নয়,
যা'রে! বাব্বা!ঝাটার ঘায়ে
যেমন চোরকে
পিটায়।
যব করতে নানা তখন
যবের যেন ছাতু,
যেমম তেমন না হয় ভাই
যবযবানী
ভীতু।
যাই বলে সেই হুঙ্কারেতে
যেমন ডাকে বাঘ,
যবনিকাপাত হলো রে ভাই
যা রে নানা
ভাগ।


প্রিয় কবি সোমেন রায় মহাশয়ের সেদিন প্রকাশিত "সুতনয়ার চিঠি ও আমার প্রলাপ", কবিতার উত্তরে শুরু হয়েছিল পথচলা। পৃধিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ আধুনিক কবিতা লেখার পালা। প্রতিদিন এতখানি করেই লেখা হবে। ১০০০ লাইনের আগে কবিতা শেষ হবে না।
"সুতনয়া"


সুতনয়া চেতনার দ্বার গোড়ে আঘাত করো আজ
একদিকে বয়ে চলে সুজন মাঝির সোনার তরী,
আরপারে হত দরিদ্র পর্ণ কুটির।
সুতনয়া এখনো বয়ে যায়নি বেলা,
ওই যে ওই ডাকে, সুতনয়া,
ওই যে ডাকছে সুজন মাঝি।
হেসে ওঠো সুতনয়া, হেসে ওঠো
জুই শিউলী মুক্তকনা,
অধর তোমার হয়ে উঠুক চঞ্চল,
সুতনয়া হেসে ওঠো, সুতনয়া
হেসে ওঠো আজ।
সুতনয়া, তোমার চোখে অশ্রুর বারি,
অপলক নেত্রে কি লেখা তোমার,
সুতনয়া, কাঁদছো কেন তুমি,
ওই তো দাঁড়িয়ে সুজন মাঝির
বৈতরণী।
হেসে ওঠো সুতনয়া, হেসে ওঠো আজ।
রুধির ধারায় বিদায় দেব তোমায়,
আমার অঞ্চলে লিখে দেব
রক্তের রঙিন রঙে।
আকাশ ভাসিয়ে দেব বান।
সুতনয়া হাস, হেসে ওঠো
আজ।