সম্পাদনা প্রকাশের পর করে দেব।


বিকাল ৫/৫৪ মিঃ নব রূপে নব আঙ্গিকে লেখা হল রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ২৯ তম কবিতাটি, "আমার নামটা দিয়ে ঢেকে রাখি যারে"


তাহার লেখাটি এইরূপঃ আমার নামটা দিয়ে ঢেকে রাখি যারে


আমার নামটা দিয়ে ঢেকে রাখি যারে
মরছে সে এই নামের কারাগারে।
সকল ভুলে যতই দিবারাতি
নামটারে ঐ আকাশপানে গাঁথি,
ততই আমার নামের অন্ধকারে
হারাই আমার সত্য আপনারে।


জড়ো করে ধুলির 'পরে ধুলি
নামটারে মোর উচ্চ করে তুলি।
ছিন্ন পাছে হয় রে কোনোখানে
চিত্ত মম বিরাম নাহি মানে,
যতন করি যতই এ মিথ্যারে
ততই আমি হারাই আপনারে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ আমার নামটা দিয়ে ঢেকে রাখি যারে
“আমার নামটা দিয়ে ঢেকে রাখি যারে”


আমার নামটা দিয়ে ঢেকে রাখি যারে,
সদাই ঘুরি তারই দ্বারে,
সেই তো বাজায় বীণের বাঁশি
আমার অন্তরে।
আমার নামটা দিয়ে ঢেকে রাখি যারে।


তার ওই ধ্বনি তার ওই বাণী,
ওষ্ঠে আমার মধুর বোল,
দিন কিবা রাত গাইতে রই
দুলতে রই দ্যোদুল
দোল।


দোল দুলানী দুলানী,
তুই ই দেবের দিব্য যোনি
তোর ঈশারায় লিখতে চলি
তোরই কথা তোরই
বাণী।


আমার নামটা দিয়ে ঢেকে রাখি যারে,
সদাই ঘুরি তারই দ্বারে,
সেই তো বাজায় বীণের বাঁশি
আমার অন্তরে।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
“I always play into his home”


I always play into his home
Whom I enclose by my name
I do not write but
He plays the lyrics
Always.


It is not me into my lyrics but
All is the voice of thy,
All are the messages
Which he wants to spread.
I am flowing up and down
Day and night, the entire
As he wish to.


He is none but the God almighty
I am just like a doll only and
I do that
Which he asks for.


I always play into his home
Whom I enclose by my name
I do not play but
He plays the flute
Always.


বিকাল ৬/৩৩ মিঃ নব রূপে নব আঙ্গিকে লেখা হল রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ৩০ তম কবিতাটি, "একলা আমি বাহির হলেম"


তাহার লেখাটি এইরূপঃ “একলা আমি বাহির হলেম"


একলা আমি বাহির হলেম
তোমার অভিসারে,
সাথে সাথে কে চলে মোর
নীরব অন্ধকারে।


ছাড়াতে চাই অনেক করে
ঘুরে চলি, যাই যে সরে,
মনে করি আপদ গেছে
আবার দেখি তারে।


ধরণী সে কাঁপিয়ে চলে,
বিষম চঞ্চলতা।
সকল কথার মধ্যে সে চায়
কইতে আপন কথা।


সে যে আমার আমি, প্রভু,
লজ্জা তাহার নাই যে কভু,
তারে নিয়ে কোন লাজে বা
যাব তোমার দ্বারে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ- “একলা আমি বাহির হলেম"
“একলা আমি বাহির হলেম"


একলা আমি বাহির হলাম
বিশ্ব দিলেম ডাক,
আয় রে আয় আমার সনে
আজকে বাজাই
ঢাক।


ঢাক ঢুলি সব আনরে আজ
আজ হানিব শাণিন বাঢ়,
আজ ধরাতল মুক্তি দেব
কৃপাণ নিয়ায় তরল
ধার।


কূপমন্ডুক আছে যারা
ধর্ম নিয়ে মাতছে ছল,
আজ দুনিয়া বদলে দেব
আজ ছলকে আমার
চল।


আজকে বাড়ি দিতেই ধরা
উগ্রতারই ধরব বেশ,
আজ ধরাতে আগুন লাগাই
রইবে না আর হিংসা
দ্বেষ।


আয় রে আয় কৃপাণ তলে
উব্ধে গগন নিম্নে তল,
আজ লহু প্রাণ বইতে ধরা
গড়বো আজি আগুন
দল।


আজ ফাগুনে আগুন ধরাই
বিশ্বপিতা শোন রে কানু,
নাই বা দিলি আশিস তব
জ্বালবো মোরা জ্যোজুল
ভানু।


একলা আমি বাহির হলাম
বিশ্ব দিলেম ডাক,
আয় রে আয় আমার সনে
আজকে বাজাই
ঢাক।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ
“I came out alone”


I came out alone and
I called for the world entire
To come and join and
Play with
me


Come out of home with the
Arms and ammunition.
Today we will go forward
To attack them
Those who are corrupt and
Playing with the cast,
Creed and religion.
Today we will change
The world entire with
The destruction of
Them.  


Today we will be very much aggressive
To fire and kill them,
To finish their brutal activities
On and from the
world.


So please come and join me today
With an open sword
To make the world
Better.


And my lord, listen
You have done nothing towards
Peace and tranquility.
We need no more, thy.
We will make our fate ourselves.
We are able, we are able,
My lord, listen
It.


I came out alone and
I called for the world entire
To come and join and
Play with
Me


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "সুখের সংসারে জ্বলবে আগুন", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“দরবার”


কান্না ঝরা সজল ভূমে
এক ধরা প্রাণ মাতম মানায়,
বিশ্বালয়ের কোণায় কোণায়
আর্তি করুণ বাঁচার
জানায়।


সেই সুরে গান করুণ অতি
হাহাকারের বাদল মেঘে,
মাদল বাজে যুদ্ধ সে রব
বইছে খর বায়ুর
বেগে।


মান মানুষে হুস নাই রে
জ্বালতে দানোবতার ছল
এক পৃথিবী রোদন তলে
রক্ত লহু বইছে
তল।


ভূতল গোলক ধাধায় ভরা
ধন্দে আজি মানব রে,
মানবতার জয় স্লোগানে
কেনই আজি কান্না
বহে।


ওরে কানাই কোন দেশে তুই
কোন কোণাতে বইতে র'লি
জনাব তোর ওই পায়ের তলায়
মানব পরান ডলতে
র'লি।


আজ জেগেছে শঙ্কা মনে
বৈতরনী পার করে ওই
আজ রে কানাই মিলতে তোরে
দরবারেতে ধরতে
সই।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "সমাজ ও সমুদ্র", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"বিবর্তনের চাকা", নামটি শ্রদ্ধেয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের দেওয়া।


পুরান যা হয় পুরান সে'ত, নতুন যাহা নতুনই,
নব্য ধারায় বইতে ধরায়
লিখতে গাঁথা
জীবনী।
কালের স্রোতে ভাসতে পরান নিত্য নব বন্দনা
নব্য ধারায় শ্রুভ্র প্রভায়
বইতে প্রাণ মন্দ
না।
আজ যে নতুন কাল সে পুরান কালের মহাস্রোতে,
কালের চাকা ঘুরছে বেতাল
রং ফাগুনে তরিৎ
মেতে।
বিবর্তনের হাত ধরে ভাই আজ সে মানব জাতির গান,
মান আর হুশের সম্মিলনে
ঘুরতে চাকা প্রেমের
দান।
প্রেম দানিতে সে ফুল রাখো সুবাস যাহার ঘ্রাণ অতি,
মন্দ যাহা পুরান সুরান
দূর হটাতে প্রাণটি
মাতি।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কথা অমৃত-১৯৭", এর উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“পারাবার”


ধন বল নয় চিত্ত ধরা গুণীর অতিশয়,
মানব প্রেমে জীবন বিতায়
দৃষ্টি বিধাতায়।
অরূপ রতন হৃদয় তাহার সম্মানেতে ভারি,
ধন চোষা ওই রক্ত হৃদয়
পাড় না দিতে
তারি।
লুপ্ত আজি সে সব জনা ধন কামনায় মাতম সবে,
আজ দুনিয়া রক্ত লহু-হিংসা ঝরা
প্রবল ভবে।
ওরে কানাই স্কন্ধে তোর হিংসা পারাবার,
চক্ষু কি নাই দেখিস নারে-
ভবের দেশের
পাড়।
দেখলি যদি নাই কেন হৃদ কেমন বানালি,
মন মানবের দানব গড়ে-ওরে
বনমালি।
হিসেব চাই হিসেব চাই নইলে তোর মন্দিরে,
সাধব রে সাধ ধূলায় মিটায়
ধ্বংস তোর ওই
ফন্দি রে।


প্রিয় কবি ড শাহানারা মশিউর মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "অসীম নীলের অধিকারী", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"নিধি"


উদারতা বিলীন হলে নীল কিবা আর লাল!
লঙ্কা আর তার কি ভব
নাই যদি রয়
ঝাল।
মানুষ গড়া মান আর হুষে হুষ যদি না রয়,
ব্যপ্ত হলেও ধন গরিমায়
মানুষ সে'তো
নয়।
মানব যে সে দান দয়াতে ধরতে বিধান বিধি,
উদার মনে ক্ষুদ্র জনও
বৃহৎ পরান
নিধি।


প্রিয় কবি বিভূতি দাস মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "তরলিত সুখ (৮০০ তম)", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"অন্ধ"


ভবের দেশে রইতে কানাই অন্ধ কানা সেজে,
লাভ কি আর খুজতে দিশা
অন্ধ কানু সে
যে।
রব কি বাণী চটকামারি গোবিন্দের ওই পাদতল,
হরিবোলের গান সে গলে
আর বাজাতে
করতাল।
দু'চার পাকে জড়িয়ে বুকে কান্না বেয়ে অশ্রুতলে,
আর গোবিন্দ যপের মালা
হর হর ধ্বনি হরি
বোলে।
ভবের দেশে রইতে কানাই অন্ধ কানা সেজে,
লাভ কি আর খুজতে দিশা
অন্ধ কানু সে
যে।


প্রিয় কবি অনিমেশ দন্ডপাট মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "হোলি", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"আজ হোলি এসেছে"


রঙ লেগেছে আজ ফাগুনে বসন্তেরই দোরে,
আজ সখী আয় আজকে মাতি
দীপ জ্বালিয়ে,
ও'রে।
রঙ সে ফাগুন পরম অতি মানবতার গাইতে গান,
আজ সখী আয় পরান মাতি
প্রেম দানিতে অরূপ
দান।
দশ দিশাতে রঙ ঢেলে দি শ্বেত শুভ্র কপোত সুখ,
চল সখী আজ দূর করে দি
এক ধরা ওই রোদন
দুখ।
আজ লেগেছে রঙ হৃদয়ে খেলতে হোলি আজকে ধরা,
রং ফাগুনে জল কামানে
করতে হরিৎ
বসুন্ধরা।
আজ হোলি এসেছে, আজ হোলি
এসেছে।
রঙ লেগেছে আজ ফাগুনে বসন্তেরই দোরে,
আজ সখী আয় আজকে মাতি
দীপ জ্বালিয়ে,
ও'রে।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের গতকাল প্রকাশিত "সাধ্য নেই", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে আজ লেখা কবিতা।
“বীর পালোয়ান”


সাবাস নানা বীর পালোয়ান
সাবাস তোমার গতি,
সেই দিনেতে দৌড়ে গেলে
সাপের মতই
ছুটি।
সহ্য তোমার দারুন অতি
সাহস কি তার মামি রে,
সব ব্যাপারেই হস্ত সিদ্ধ
সবাই কয় মন্দ
রে!
স্বপ্ন দেখে শালার শুধু
স্বস্তি নাই রত্তিখানি,
সাবাস নানা শালার মাথা
সেই ফাঁটানি দিলে
তুমি।
সেই গল্প ষর রিপুর
সহ্য কি আর হবে মামা,
সত্যি কই শালা তোমার
সাত সত্যি আনছে
চোনা।
সাত কথা কই নানা আমার
সত্যি বলে ওষুধ ক'বে,
সাত সকালে খেও না নানা
সব ডুববে নানিও
যাবে।  


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "হাকিম!” কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"হার হাভাতে"


হা'রে বুল গেলি কই
হাকিম নাকি এই দেশেরই
হা করে ভাই খাচ্ছে
দই।
হার হাভাতে ওরা নাকি
হায়না যেমন চায়,
হা পিত্তেস হাকিম গুলি
হার হারামি
হয়।
হিতাক বারি নানার চোনা
হায় রে হায় নাপিত খায়,
হায় হায় হায় কম্ম নানির,
হেলায় নানার মান
যায়।
হেলার ছিল একটা শালা
হোদল কুতকুত,
হেলা নানির খায় শরবত
হোল দোল নাই
এতটুক।
হেলার পো'রে শিক্ষা দিতেই
হাকিম ধরে নানা,
হায় রে হায় কইব কি আর
হাকিম খাওয়ায় নানায়
চোনা
হায় হায়।


প্রিয় কবি শ ম শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "চুপকথা", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"ল্যামন রসের ভান্ড"


হেই কত্তা ঠিক বুঝিছেন
বুলবুলি তুই ক!
অহন শান্তি ঘুমান কত্তা
উল্টাক না
খ!
ধরে জুদি নাই রইল
মস্তক আর মু!
তাইলে কত্তা ক্যামন কইরা
জোর সে
চিল্লামু।
থাক না ধরা চলছে যেমন
ল্যামন রসের ভান্ড,
গাইতে গীত ভাঙতে ধরা
রব দিয়ে সেই
কান্ড।
কান্ড রে বাবা কান্ড!
গোড়া মূলেই পোকার বাস
জাইরা পোলাপান,
আর কি কই, কত্তা চুপ
গাইয়েন না অদের
গান।
গান রে বাবা
গান।
কিছু কি মাথায় গেল
কত্তা!


প্রিয় কবি সোমেন রায় মহাশয়ের সেদিন প্রকাশিত "সুতনয়ার চিঠি ও আমার প্রলাপ", কবিতার উত্তরে শুরু হয়েছিল পথচলা। পৃধিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ আধুনিক কবিতা লেখার পালা। প্রতিদিন এতখানি করেই লেখা হবে। ১০০০ লাইনের আগে কবিতা শেষ হবে না।
(আমার লেখা "খেয়াল ৬৬ তম পর্বে" প্রিয় কবি সঞ্চয়িতা রায় মহাশয়ার উত্তরের উত্তরে কমেন্ট বক্সে আজকের পর্বটি লেখা।)
"সুতনয়া"


সুতনয়া জাগো, জাগো, সুতনয়া জাগো,
তোমার বন্ধা শিরা উপশিরায়
জাগিয়ে তোল ব্যর্থতার আগুন,
রোষের অনল জ্বালাও সুতনয়া,
ওই বয়ে যায় সুজন মাঝির সোনার তরী,
তুষের অনলের মত ধিক ধিক করে
জ্বলছে তোমার পরান।
নিরব কান্নায় মুখরিত আকাশ বাতাস
সমগ্র বসুধা। সুতনয়া,
জেগে ওঠো সুতনয়া, জাগো জাগো জাগো।
মা কলিকার খর্গ তুলে নাও কৃপাণ,
আসুরিক শক্তিতে ঝাপিয়ে পড়
অপবিত্র ক্ষেত্রে।
তরিৎ বাণে জ্বালিয়ে দাও সোনার মহল,
সুতনয়া আজ এ বিশ্বমাতার
দরবারে, তোমাকে ভীষণ দরকার।
দরোগায় ভুলে যাও মন্দির,
ভুলে যাও মানবি তুমি।
অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতই ছড়িয়ে দাও
দাবানল, সে আগুনে পুড়িয়ে ছাই কর,
এ সমাজের সুজন মাঝি দের।
সুতনয়া জাগ জাগ জাগ।
আজও কি তুমি সুপ্ত রয়ে যাবে সুতনয়া,
শুধুই কি অশ্রু বইবে
তোমার জীবনের মূল্য। সুতনয়া,
আর দেরী নয়, আর দেরী নয়,
জাগ সুতনয়া, জাগ জাগ জাগ
জেগে ওঠো আজ।