দুপ্রহর 1/49 মিঃ নব রূপে নব আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো রবি ঠাকুরের "জগতে আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ", কবিতাটি।


তাহার লেখাটি এইরূপঃ "জগতে আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ"
"জগতে আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ"


জগতে আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ।
ধন্য হল ধন্য হল মানবজীবন।
নয়ন আমার রূপের পুরে
সাধ মিটায়ে বেড়ায় ঘুরে,
শ্রবণ আমার গভীর সুরে
হয়েছে মগন।


তোমার যজ্ঞে নিয়েছ ভার
বাজাই আমি বাঁশি।
গানে গানে গেঁথে বেড়াই
প্রাণের কান্না হাসি।


এখন সময় হয়েছে কি?
সভায় গিয়ে তোমায় দেখি
জয়ধ্বনি শুনিয়ে যাব
এ মোর নিবেদন।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ "জগতে আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ"


জগতে আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ
আজ এসেছে সে পল গুনি, আজ
সে মহেন্দ্রক্ষণ।
ওই যে ডাকে ওই মেদিনী
হৃদ প্রাণেতে সে গান শুনি,
ডাক এসেছে রব সে উছল
বাজছে মাদল সেই ধরাতল,
ডাকছে আমায়
কাছে।


পূরব হতে পশ্চিমেতে
প্রাণ মেতেছি প্রেমের স্রোতে,
গান বেঁধেছি ভালবাসা
স্বর্ণলতায় বুনি,
আজ প্রাণেতে সে ডাক শুনি
ডাকছে আমায় মা
মামনি।
আজ জগতে আনন্দ যজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ,
আজ এসেছে সে পল গুনি, আজ
সে মহেন্দ্রক্ষণ।


নাচ গানেতে ভাসতে ধরা,
প্রেম সে কলি বসুন্ধরা,
পুষ্প কমল দল শতদল
ভরিয়ে বিতান তল।
সোনার আলোক ছড়িয়ে আজি
প্রেমের সোপান আজ সে
ভূতল।


দ্যোদুল দোলে দোল মেদিনী,
দশ দিশাতে প্রেমের বাণী,
শুদ্ধ হবে ধরা।
আজ ফাগুনে প্রেমের রঙে
রঞ্জিত মনোহরা।


আজ সে পল গাইতে রবি,
চাঁদ জ্যোছনা ছড়িয়ে মধুর,
আনন্দেরই রব সে প্রবল
দশ বেদনা দূর সে বিধুর
প্রাণের জয়োগান।


দীন দুঃখীর আজ সে ধরা,
সাম্যতারই বিতান তল।
শোক বেদনার নিপাত লয়ে
নাই আজিকে দহণ
দলন,
প্রেম গতিতে ধরা;
আজ এসেছে ডাক সে প্রাণে
মধুর বসুন্ধরা।
জগতে আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ
আজ এসেছে সে পল গুনি, আজ
সে মহেন্দ্রক্ষণ।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
“Today I am invited to this world festival”


Today I am invited to this world festival
Today it is the day, I was
Waiting for.
I can hear the call,
They are calling me by their heart
And soul, to join with them there.
Today I am invited to this world festival.
Both East and West today are are in love
With me.
They love my lyrics that I have written
They are in love with the message of it
Whic I convey by these lyrics.
They are calling me.
Today, the day I was waiting for.
The entire world realizes the message of love
And they are in joy.
The entire environment is greatly pleased today.
They are dancing, singing the song of love
Today, the day, the world entire
Realizes the meaning of love and compassion and
Comes in a single platform of love.
They are singing the song of love and equility.  
All the direction of the world
Is full in Joy.
Today, the day, the end of the
Pain and sorrow, all and entirely
On and from the world.
I could see the luster of love and
Equality in each corner of the world.
Today, the day I was waiting for and
That was my want on and from the world
To come in peace and tranquility and
That’s why I produced these lyrics
With the message of God almighty and
Was engaged to spread it throughout the
World, Day and night, continuously.  
Today I am invited to this world festival
Today it is the day, I was
Waiting for.


বিকাল ৪/৪৫ মিঃ নব রূপে নব আঙ্গিকে পু : রচিত হল রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ২১ তম কবিতাটি, "এবার ভাসিয়ে দিতে হবে আমার এই তরী”


তাহার লেখাটি এইরূপঃ-


এবার ভাসিয়ে দিতে হবে আমার
এই তরী।
তীরে বসে যায় যে বেলা,
মরি গো মরি।


ফুল-ফুটানো সারা ক'রে
বসন্ত যে গেল স'রে,
নিয়ে ঝরা ফুলের ডালা
বলো কী করি।


জল উঠেছে ছলছলিয়ে
ঢেউ উঠেছে দুলে,
মর্মরিয়ে ঝরে পাতা
বিজন তরুমূলে।


শূন্যমনে কোথায় তাকাস?
সকল বাতাস সকল আকাশ
ঐ পারের ঐ বাঁশির সুরে
উঠে শিহরি।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-“এবার ভাসিয়ে দিতে হবে এই তরী”


এবার ভাসিয়ে দিতে হবে এই তরী
জল ছলকে উছল রবে,
বিশ্বদুয়ার দ্বার সে
ভবে
আপন নিলয় বিশ্বমাঝার
জন জনে সে কইতে
রবে।
রইতে না আর রুদ্ধদুয়ায়
ভাসিয়ে দিতেই আমার তরী,
দেশ ছেড়ে মান দিক দিকেতে
জ্বালতে শিখা
বিভাবরী।
অংশুমালীর প্রেম সে আলো
ছড়িয়ে দিতেই বিশ্বরবে,
বিশ্বালয়ে ভাষাণ যে আজ
বিশ্বপিতার বাণী
ভবে।
আজ ভাসালাম গানের ধরা
উচ্চ গগন লহর মেতে,
আজ ছড়ালাম তাহার বাণী
রব সে ধরা
গড়িমাতে।
তার গড়িমায় গড়তে ধরা
ভাসিয়ে দিতে আর না দেরী,
আয় ললনা আয় রে সখী
চল ধরি আজ
প্রভাত ফেরী।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
“I have to launch out my boat today”


I have to launch out my boat today
Towards the rest of the world
With the glory of my lyrics and
Have to make my home
In each corner of the world.
I will not keep myself within the boundaries
Of my near and dear only.  
I have to spread the luster of the message of
The God almighty to the farthest
Corner of the world.
I have to launch out my boat today.
His message are glittering as like as sun and
I have to spread the luster of it
Towards the sinking humanity. .
I have to launch today.
So, I launched and come out of home
To sail the humanity with the high lighted
Beam and glory of the lyrics of
His messages.
Oh my dear brother and sister
Please come out of home
And join with me to make a
World better today.


দুপ্রহর ২/০৭ মিঃ নব রূপে নব আঙ্গিকে পু : রচিত হল রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ১৯ তম কবিতাটি, "ওগো মৌন, না যদি কও, কবিতাটি।


তাহার লেখাটি এইরূপঃ-"ওগো মৌন, না যদি কও"


ওগো মৌন, না যদি কও
না-ই কহিলে কথা
বক্ষ ভরি বইব আমি
তোমার নিরবতা।
স্তব্ধ হয়ে রইব পড়ে,
রজনী রয় যেমন করে
জ্বালিয়ে তারা নিমেষ-হারা
ধৈর্যে অবনতা।


হবে হবে প্রভাত হবে
আঁধার যাবে কেটে।
তোমার বাণী সোনার ধারা
পড়বে আকাশ ফেটে।


তখন আমার পাখির বাসায়
জাগবে কি গান তোমার ভাষায়?
তোমার তানে ফোটাবে ফুল
আমার বনলতা।


আর আমার লেখাটি এইরূপাঃ- "ওগো মৌন, না যদি কও"


ওগো মৌন, না যদি কও কথা,
না যদি দাও একটু পরশ
একটু প্রাণের
ব্যথা।
ব্যথায় ভারি বক্ষ তোমার
একটু আমার দাওনা ওগো,
জীবন তরী ভাসিয়ে পরান
চরণ তলে তোমায়
দেব।
ওগো মৌন, না যদি কও
বক্ষ ফাটাও দুখে,
কেমন তুমি বাসতে ভালো
আমার সুখে
দুখে।
ওগো মৌন, না যদি কও কথা,
হৃদখানি মোর কাঁদে,
দুঃখে তোমার নীরব আঁখি
তোমার অবসাদে।
পরান মোদের স্বপ্ন তরী
এক সুতাতেই বাঁধা,
কইবে কি'না দুঃখের কারণ
ওগো আমার
রাধা।
পারিজাতের সুবাস মাতি
ভবনদীতে বৈঠা বই,
তোমার আমি আমার তুমি
তাইলে কেন মৌন
সই!
আজ ভাসিয়ে দিলেম হৃদ
হৃদ প্রাণ সব উজার দাও,
দুঃখ তোমার করতে শোষণ
আজ তো মোরে সুজোগ
দাও।
ওগো মৌন, না যদি কও কথা,
না যদি দাও একটু পরশ
একটু প্রাণের
ব্যথা।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
“Why you are so silent”


Why you are so silent, my dear
Why are you not sharing your grief
With me?
I see, you are full in sorrow,
Please, please share with me
What is the reason behind of it?
I am ready to face any worse
Situation whatever it may be.
I could donate my life too
For your happiness.
So Why? My sweet darling
You are not sharing your pain
To get a relieve from it.
I hardly could see your pain and sorrow
We are weaven in the same thread
So, what may be the reason?
You will not share pain with me.
Once we promised that both
We will sail in the same boat in vogue
Of life in pain and joy, the situation,
Whatever it may be.
Today I would like to remind it and
Would like to ask you
What is the reason behind your
Pain and sorrow.
Let me to do my task now
Towards you, my lovely.


দুপ্রহর ১/৪৯ মিঃ নতুন রূপে নব আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলে রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ১৭ তম কবিতাটি, "প্রেমের হাতে ধরা দেব"


তাহার লেখাটি এইরূপঃ-"প্রেমের হাতে ধরা দেব"


তোমার হাতে ধরা দেব
তাই রয়ছি বসে;
অনেক দেরি হয়ে গেল
দোষী অনেক দোষে।


বিধিবিধান-বাঁধনডোরে
ধরতে আসে, যাই যে সরে,
তার লাগি যা শাস্তি নেবার
নেব মনের তোষে।
প্রেমের হাতে ধরা দেব
তাই রয়েছি বসে।


লোকে আমায় নিন্দা করে,
নিন্দা সে নয় মিছে,
সকল নিন্দা মাথায় ধরে
রব সবার নীচে।


শেষ হয়ে যে গেল বেলা,
ভাঙল বেচা-কেনার মেলা,
ডাকতে যারা এসেছিল
ফিরল তারা রোষে।
প্রেমের হাতে ধরা দেব
তাই রয়েছি বসে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-“প্রেমের হাতে ধরা দেব”
"প্রেমের হাতে ধরা দেব"


প্রেমের হাতে ধরা দেব
পরান খুশি তাই,
প্রেম যে আমার সোনার তরী
স্বর্ণ কমল
ভাই।
প্রেমের হাতে ধরা দেব
পরান খুশি
তাই।
নিত্য আমি দুই প্রহরে
আঁখির পাতে সোনার কমল,
গাইতে তারি সাধতে তারি
পাইতে সাধি তার ওই
আঁচল।
অঞ্চল আজ চঞ্চল ভাই
চঞ্চুতে রব তারি,
প্রেম সে আজ দেবেই ধরা
সন্দেশেতে ম'রি,
আম'রি!
আজকে উছল বইতে ধরা
আনন্দেরই কলতানে,
আজ পারিজাত স্বর্ণ কানন
আজ ধরা সেই মোরে
বিতানে।
হাসবে কলি জাগবে লতা
তরুসকল গাইতে গীত,
গাইবে ধরা আনন্দেরই
প্রেম ভাও আর
শান্তি প্রীত।
আকাশ উড়ে মেঘবালিকা
কুঞ্জে আমার আশে,
বসতে পাসে দিব্য প্রভায়
আমায় ভাল-
বেসে।
প্রেমের হাতে ধরা দেব
পরান খুশি তাই,
প্রেম যে আমার সোনার তরী
স্বর্ণ কমল
ভাই।


আমার লেখাটির আমার লেখা ইংরাজি অনুবাদ এইরূপঃ-
“I will give myself up today”


I will give myself up today
Into her hands of love.
She is the beautiful creatures of
The earth and glitters as like as
Gold.
She is my golden ship in the vogue
Of life. She is all to me.
Each and everyday I pray to God,
The almighty to give her hands of
Love into mine.
Today I am romanced that
She will come to me with the
Message of love.
So, I am very much pleased and
Overwhelmed with the message
Of the love, she has sent to me.
It seems like heavenly all and each direction
Around me.
With the golden touch of her messege,
The flowers
Will bloom up and the trees and herbs
Will start singing with enormous joy
As soon as she come.
All the environment is charmed with
Great pleasure with
Her message of love.
Today she will come to my home
To give me the divine touch and
I will give myself up into her
Golden hands.


রাত ১১/১৩ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ২২ তম কবিতাটি। "আজি শ্রাবন-ঘন-মোহে"


তাহার লেখাটি এইরূপঃ- "আজি শ্রাবন-ঘন-মোহে"


আজি শ্রাবন-ঘন-মোহে
গোপন তব চরণ ফেলে
নিশার মতো নীরব ওহে
সবার দিঠি এড়ায়ে এলে।


প্রভাত আজি মুদেছে আঁখি,
বাতাস বৃথা মেতেছে ডাকি,
নিলাজ নীল আকাশ ঢাকি
নিবিড় মেঘ কে দিল মেলে।


কূজনহীন কাননভূমি,
দুয়ার দেওয়া সকল ঘরে,
একেলা কোন পথিক তুমি
পথিকহীন পথের 'পরে।


হে একা সখা, হে প্রিয়তম,
রয়েছে খোলা এ ঘর মম,
সমুখ দিয়ে স্বপনসম
যেয়ো না মোরে হেলায় ঠেলে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ "আজি শ্রাবন-ঘন-মোহে"
"আজি শ্রাবন-ঘন-মোহে"


আজি শ্রাবণঘন-গহন-মোহে
চপলিত মোর উছল কাননে
বাজিতেছে গীতি গহীনে রননে
ডুমুরো ডুমুরো
ধ্বনি।


চমকিত ধরা বেগে বায়ু বহে
ঘন বরিষণ, কালো আঁধারিতে
চমকিতে চমকিতে অশনিত বিদ্যুতে
প্রেম ধারা বহে
মন।


ফল্গুর ধারা অন্তর বহে হৃদয়ের স্পন্দণ,
দ্রুত হ'ল আজ, নাহি সখী লাজ
অন্তর নিবেদন।


ছুটে আসো বেগে হৃদয়েতে মম
অভিসারে মাতি ক্রীড়া,
ছমকিত ছমকিত ছন্দেতে আলোরিত
প্রাণ মাতি আজি
ধরা।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
“It is the month of July”


It is the month of July and
The sky is covered in dense cloud
I am feeling romantic
In such a cloudy day
I am overwhelmed in love
My heart is beating high.


The roaring and flashing is going on
The air is flowing in high velocity,
And it is the shower of rain
Falling continuously.
The feeling of love is flowing
In my heart and soul
In such a scenareo of
The season


Today is the day of love and
To come close together to
Play in love. Oh my dear,
Oh my dear.


Please come to me in a hurry,
We will play in love today
Into the flashing and roaring
Of the clouds.
In such a atmosphere,
Today.


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের "বাংলা আমার মায়ের ভাষা", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


সেলাম মাতা বঙ্গভূমি সেলাম মাতা তোরে,
হাজার বরষ যপ তপ মা
এলাম তোর ওই
দোরে।
তোর বুকে মা শস্যশ্যামল স্বর্ণকমল ফোটে,
ময় মরালী সরোবরে
উছল সাঁতার
কাঁটে।
বসন্তের ওই কুঞ্জবিতান ভ্রমর খেলে অলি,
আকাশ বাতাস ঢেউ খেলে যায়
সাগর সোনার
বালি।
মা'গো তোমার বক্ষে ধরা হাজার বীরের গল্পগাঁথা,
গরবে যে মা বুক ফুলে যায়,
বাংলা মায়ের
রূপগাঁথা।
দামাল ছেলে জাব্বার ভাই আর বরকত রফিকেতে,
জয় বাংলা জয় মুজিবর
ভাষার তলে জীবন
মেতে।
রক্ত স্রোতে বইতে বিতান প্রাণ দেব যে মা'গো আমার,
নাই ভয় নাই মা'গো তোমার
বইছে লহু বীরের
আমার।
শান্তি সোপান প্রেমের গান মুখর রবির কলি,
নজরুল প্রাণ বিদ্রোহেতে
রব সে কথা
বুলি।
মা'গো তোমার বিতান তলে হাজার গল্পগাঁথা,
মা'গো তোমায় অনেক বাসি,
ভালোবাসি তোমার
ব্যথা।
তোমার ব্যথায় পরান কাঁদে অনল জ্বালে লহু,
রক্তে মেতে কৃপাণ তলে
মাতব সে রণ
বহু।
মহাবলী বাংলা ভাষা বিশ্ব দিতেই মান,
আজ মা'গো জোড় করেতে
গাইতে মা সে
গান।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মাছের দরদাম-(ব্যঙ্গ)", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


হেন মতি দুর্গতি কত্তা কেন বুঝেন না,
দুলকি চালে হলকা বোলে
মান আর তার রাহেন
না!
দেশ জনগন নিম্ন অতি ন্যাতা দেশের বাড়া,
রঙ্গ শালায় ব্যথায় দলায়
আজ জনগন দিশে-
হারা।
দশ দিকেতে ফন্দি ফিকির নুন আনতে পান্তা ফুরায়,
দ্যাস ন্যাতা মান তাকায় না'রে
জীবন জ্বারণ ওদের
জ্বালায়।
তাও যুদি ভাই খাওরার খোঁটা দিতেই যুদি কাব্যে রণ,
মাছ বাঙালি বাঁচতে কেমন
আটার ভূষি খাইতে
কন!
তাও তো মোরা রফিক সালাম জাব্বার আর বরকত,
নিম্নে অধম চাইলে গতি
দিতেই প্রাণের
হরকত।
নই যে মোরা ভিতুর ভিতু রক্ত লহু দিতেই জানি,
দেশ জন 'মা ডাকল যদি
প্রাণটি হাতে
কোরবানি।


প্রিয় কবি যাদব চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ফেরা", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“একদিন তো যেতেই হবে”


একদিন তো যেতেই হবে ভব নদীর কিনারাতে,
দিন কি'বা রাত তপন শশী,
হিলবে না'তো
বিকারেতে।
একদিন তো যেতেই হবে ভব নদীর
কিনারাতে!


কাটতে বেলা দিন বয়ে যাই
স্বপ্ন মধুর কলির
গানে,
একতারাতে বাউল বাজে
জড়িয়ে মধুর মিষ্টি
তানে।


তাই না ভয়, ভয় করিনা দুঃখ আদি যন্ত্রণা,
দিতেই ফলা প্রাণের বাড়ি
আসল নকল
মন্ত্রণা।


একদিন তো যেতেই হবে ভব নদীর কিনারাতে,
দিন কি'বা রাত তপন শশী,
হিলবে না'তো
বিকারেতে!


প্রিয় কবি সঞ্চয়িতা রায় মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "হাপি বার্থ ডে", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


আই হ্যাপি ভাই হ্যাপি হ'বি
জীবন কমল পদ্মপাতে,
গোলাপ বকুল আর খেলিতে
ধন্য জীবন সুবাস
মেতে।
উছল ধারায় দীপ্ত রবি
জ্যোসস্না দেবে স্নিগ্ধ মতি,
আর ধন মান রব দেবে 'সে
করতে জীবন মধুর
অতি।
সরস্বতী বান দেবে সে
বীণা পানি হস্তে লয়ে,
আর কার্তিক শান যে দেবে
বইতে জীবন আলোক
লয়ে।
জন্মদিনের শুভ দিনে
দিতেই তোমায় আশিস মম
জীবন কমল উঁঠুক ফুটে
দীপ্ত অংসুমানের
সম।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "লাস্যময়ী", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


লাজে মরি ভাগ্নে আমি
লাল হয় মুখ লজ্জা,
লাফ দিয়ে সে টপকে পালাই
লাজুক মুখে নেই
সজ্জা।
লাভ নেই ভাই নানার বাড়ি
লম্ফঝম্প বয়েই চলে,
লাল রক্তে ভাসে কখন
লজ্জাস্কর পুলিশ
বলে।
লাজলজ্জা বির্ষজন
হোতাক নানার বাড়ি
লাল শাড়িতে নানি আবার
লাস্যময়ী
ভারি।
লাভ নাই ভাই কামাই দেই
লাটাই গুটায় নানা
লাথ মেরে ভাই কখন ভাগায়
লাল শালুকের
দানা।


প্রিয় কবি সোমেন রায় মহাশয়ের সেদিন প্রকাশিত "সুতনয়ার চিঠি ও আমার প্রলাপ", কবিতার উত্তরে শুরু হয়েছিল পথচলা। পৃধিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ আধুনিক কবিতা লেখার পালা। প্রতিদিন এতখানি করেই লেখা হবে। ১০০০ লাইনের আগে কবিতা শেষ হবে না।
"সুতনয়া"


সুতনয়া যদি একান্ত হাসতেই না পার
চিৎকার ক'রে কেঁদে ওঠো সুতনয়া,
তোমার সুতীব্র চিৎকারে জেগে উঠবে মেদিনী,
বাতায়ন খুলে যাবে ঘরে ঘরে,
আঁখিপল্লবে আঁখিপল্ববে অঙ্কিত হবে
তোমার বেদনার রুক্ষ বঞ্জর ভূমি,
রক্ত প্রবাহিত তোমার অঞ্চল,
চঞ্চল হয়ে উঠবে বসুন্ধরা,
শীতল পরশ বয়ে যাবে প্রাণে প্রাণে।
বিদ্রোহে বিদ্রোহে উত্তাল হয়ে উঠবে ধরা,
হাজার হাজার অনুবোমা হবে বিষ্ফোটিত,
হলকা বাণে ভেসে যাবে সুজন মাঝির
সোনার তরী আর তাকে জড়িয়ে
সুন্দরী ললনার সারি।
অত্যাচারের হবে অবশান,
ধ্বংসের শেষে এক ধরা পৃথিবী
গেয়ে উঠবে প্রেমের জয়োগান,
রুক্ষতার অবশানে বিহঙ্গের সুমধুর কলতানে
হেসে উঠবে অবনী,
অগনিত প্রাণে হবে সুশীতল প্রেমের সঞ্চারণ।
সুতনয়া কাঁদো, কেঁদে ওঠো সুতনয়া,
চিৎকার করে কেঁদে ওঠো সুতনয়া,
কেঁদে ওঠো সুতনয়া আজ,
কেঁদে ওঠো।