দুপ্রহর ১/1৯ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো  রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলী কাব্য মালঞ্চের 50 তম কবিতাটি "আমি ভিক্ষা করে ফিরিতেছিলেম"।


রবিঠাকুরের লেখাটি এইরূপঃ-


আমি ভিক্ষা করে ফিরতেছিলেম
গ্রামের পথে পথে,
তুমি তখন চলেছিলে
তোমার স্বর্ণরথে।
অপূর্ব এক স্বপ্নসম
লাগতেছিল চক্ষে মম-
কী বিচিত্র শোভা তোমার
কী বিচিত্র সাজ।
আমি মনে ভাবতেছিলেম,
এ কোন্ মহারাজ।


আজি শুভক্ষণে রাত পোহালো
ভেবেছিলেম তবে,
আজ আমারে দ্বারে দ্বারে
ফিরতে নাহি হবে।
বাহির হতে নাহি হতে
কাহার দেখা পেলেম পথে,
চলিতে রথ ধনধান্য
ছড়াবে দুই ধারে-
মুঠা মুঠা কুড়িয়ে নেব,
নেব তারে ভারে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-"আমি ভিক্ষা করে ফিরতেছিলেম"


আমি ভিক্ষা করে ফিরতেছিলেম
ভব দুয়ারে আনাচ কানাচ
আমি ভিক্ষা করে ফিরতেছেলেম
ভালোবাসা প্রেমের ছোঁয়াচ।
সেই দিশাতে হারিয়ে পরান
দুঃখ শুধুই পাই,
পল পল প্রাণ কাঁদতে হৃদয়
গহীন অতল হারিয়ে যাই।  
দশ দিশাতে হিংসা ঝরে
মানবতার নাইকো ছোঁয়া,
দ্বেষ বিদ্বেষ বন্যা হেথায়
কান্না হৃদয় বইয়ে দেওয়া।
ভিক্ষা মাগো পাইনি পরাণ
পরাগ রেনু ঝরতে চলে,
মা'গো ধরায় বইছে লহু
কান্না তব চরণ তলে।
রবের দেশে দু'কর জোড়
চাইতে সে ভিখ প্রভু,
প্রাণ ঢেলে দাও রঙ ঢেলে দাও
দিতেই সে ভিখ ধন্য
কভু।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
I was begging


I was begging in path of the globe,
I was begging in path of
The Earth.
I was begging love and affection,
In each corner of the
Path.
I found the pain only.
I found the pain only,
So I got morosed and get lost
In that direction of
Sorrow.
I could hardly find humanity,
Each and every corner is
Full with jealousy and
The cruelty
Floods of hatred is blowing on,
It give tears to my heart and
Happiness goes
down.
No! No! I could not find it,
The pollen of my heart
Broken down.
Oh my lord if you be kind enough to me
To give an alms,
Please please pleas give me
The colors of love
To turn the world in the direction of
peace.



You the princes’


You the princes’ lovely in nature
I love you all, all your
Feature.
You are the singer voice melody,
I pray to God to come in you
The almighty.
Win the globe with your song,
You the cheerful,
Let God gift you this day
Hundred years
Long.


প্রার্থনা


আজি প্রাণ ফাগুনেতে ধারা বহে আঁখিপাতে,
মাগো, দুই কর জোড় হাতে
দিও ধারা ধারাপাতে।
জানি নাই কেন প্রাণ মন মেলে কাব্যেতে,
তুহি মাতা হৃদে মম-দিবানিশি
ধরা তাতে।
করুনা সে মাতামহী দেহ মোরে কর দান,
আর কিছু নাহি চাহি-কাব্যেরই
গাহ গান।
মাতাময়ী বীণাপানি শুভ্র সে ধরো হৃদ,
লিখে দিতে আঁখিপাতে-ধরা গান
সঙ্গীত।
আজি ধরা কাঁদে মাতা লহুস্রোতে যায় ভেসে,
দিকে দিকে রবধ্বনি-বেদনার
কান্না সে।
গাহ গান মাতাময়ী দয়া ধরো লেখনীতে,
কাঁদি প্রাণ ধারা সনে-পূজি মাতা
আজি তোহে।


সুন্দরী


স্মৃতিমেদুরতায় হলেম উদাস
দূর ভেসে গেল প্রাণ,
তারা হয়ে স্মৃতি জ্বলে
হৃদয়েতে অম্লান।
সে দান কি আছে মনে
অপরূপা সুন্দরী,
এসেছিল প্রাণে দোলা,
চঞ্চলা বিভাবরী।
লহরেতে লহরেতে
বেদনা কি স্মৃতি পটে,
উদাসীন ঘুরি ফিরি
ভিক্ষা সে ঝুলি হাতে।
আজি প্রাণ কান্নাতে
রবধ্বনি নাই সুর,
ডানা ভাঙ্গা পাখি সে যে,
বেদনা বিধুর।


হল্লাবোল


কাকঠোকরা যাবে কোথায়
হেই কথাটা ভাবিছো কি!
হে তো তার বানায় বাসা
হের বেশি আর
করে কি?
তুই মানুষ দুষ্ট অতি
গোড়ায় মারিস বাড়ি,
মূল কেঁটে দিস বানাস শ্মশান
তোদের ঘর
বাড়ি।
লজ্জা কি নাই বোল ফুঁটেছে
হল্লাবোলে কাব্য লিখা,
বৃক্ষ মোরা দেই আশ্রয়
ভালোবাসি কাক-
ঠোকরা।


কামাই


হায় রে হায় পরাণটা যে, দুঃখে গেল ভরিয়া,
লক্ষ্মী মাতা ভাবতে চলে-পেন খাতা
ছাড়িয়া।
আরে বাবা সরস্বতী ছাড়বি  কি তুই আমারে,
নাইলে আমায় দে না ট্যাহা-উঠায় দে'না
পাহারে।
দ্যাখ রে বুল রবিঠাকুর লিখেই কত কামাই নিল,
দেশ দুনিয়া সেলাম ঠেকায়-সবাই চায়
পায়ের ধূলো।
দে না মা'রে দে আমারে ওই রকমই চাই যে আমি,
ছাড়ছি না'রে ছাড়ব না'রে-যতই বলুক
কলমখানি।


আঁখিধারা।


হায় রে মন পাখি কেন তুই,
উড়ে দূরে যাস চলে,
বিষয় আর ধনে মেতে,
তুই পাখি
যাচ্ছলে।
মা'কে ফেলে দিছি কবে
দূরে গেনু বহু ধরা,
আজি প্রাণ সায়াহ্নে
বয়ে চলে আঁখি
ধারা।
নরকেতে নাই স্থান
স্বর্গ তো বহু দূর,
আজি প্রাণ ঘন ধরা-
বেদনা বিধুর।
ক্ষমা করো ধরা মোরে
জীবনেতে বহু
পাপ,
ক্ষমা কি'গো দেবে প্রভু
মুছে দিতে শোক তাপ।
জোড় করে মাগিনু সে
ক্ষমা চাহি পিতা মহ,
অবোধ যে প্রাণ মোর
ডুবে ছিনু ধরা
মোহ।


আরাধন


ভাবি তাই ভব নদি ভেসে যাবে সবে প্রাণ,
কেন করে বিষয়েতে কেন করে
আরাধন।
জীবনটা পূষ্প ঝরে যাবে সে'তো দীন,
কেন মালা হয় নাকো মন্দিরে নয়
লীন।
মাতা ভ্রাতা শাশুমা সে আপনারই জন সবে,
কেন নারী বোঝে নাকো
মুখরা সে কলরবে।
ভাবি প্রাণ মেলে দি মা'য়েরই আঙ্গিনাতে,
জায়া জ্বালা দূরে টানে হীন তার
ভাবনাতে।
আজি প্রাণ উতলা সে আমি কবি যাই বলে,
সব ফেলে যেতে হবে-ধরনীর
পাদতলে।


"বেকারের প্রেম"


হাঃ হাঃ হাঃ ভালোবেসে দুঃখ পেলাম
ধনের ইমারত,
তোমায় সখী চিনতে পেলাম ব্যর্থ
মনোরথ।


পালিয়ে গেলে আমায় ভুলে
প্রেম কি ফুলের কলি,
ফুল ফুটে যায় প্রভাত কালে
কাল সে গেলে
ভুলি।


পায়ের তলায় মারিয়ে যেতে
ঘ্রাণ সে দ'লো ক্লেশে,
দুঃখ অনেক পেলাম সখী তোমায়
ভালোবেসে।


প্রিয় কবি শ. ম. শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "হারুদার কান্ডকারখানা-৪" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


জিন্দাবাদ
টাল রে টাল-বেতাল!
হারুদাদা জিন্দাবাদ
দু'চার বোতল আজকে কোতল,
তোমার পিছে এলাম আমি
আজকে পেতেই বুকের
বল।
হারুদাদা জিন্দাবাদ
কাম কি হবে মিছিলে,
রক্ত যারা চুষেই বেড়ায়
মারতে হবে চড়
কিলে।
হারুদাদা জিন্দাবাদ
আজকে নেশা মাথায় তুলি,
বন্দুক আর তরবারিতে
আজকে পরাণ ধ্বংসে
মেলি।
হারুদাদা জিন্দাবাদ
দু'চার বোতল আজকে কোতল,
তোমার পিছে এলাম আমি
আজকে পেতেই বুকের
বল।
টাল রে টাল-
বেতাল!