(সম্পাদনা বাকি আছে)


সকাল ১১/২৪ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ৩৬ তম কবিতাটি "তব কাছে এই মোর শেষ নিবেদন"


রবি ঠাকুরের লেখাটি এইরূপঃ


তব কাছে এই মোর শেষ নিবেদন-
সকল ক্ষীণতা মম করহ ছেদন
দৃঢ়বলে, অন্তরের অন্তর হইতে,
প্রভু মোর।


বীর্য দেহো সুখের সহিতে
সুখেরে কঠিন করি। বীর্য দেহো দুখে,
যাহে দুঃখ আপনারে শান্তস্মিতমুখে
পারে উপেক্ষিতে।


ভকতিরে বীর্য দেহো
কর্মে যাহে হয় সে সফল, প্রীতি স্নেহ
পুণ্যে ওঠে ফুটি।


বীর্য দেহো ক্ষুদ্রজনে
না করিতে হীনজ্ঞান, বলের চরণে
না লুটিতে।


বীর্য দেহো চিত্তেরে একাকী
প্রত্যহের তুচ্ছতার উর্ব্ধে দিতে রাখি।


বীর্য দেহো তোমার চরণে পাতি শির
অহনিশি আপনারে রাখিবারে স্থির।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-তব কাছে এই মোর শেষ নিবেদন
তব কাছে এই মোর শেষ নিবেদন


তব কাছে এই মোর শেষ নিবেদন-
হীনো জ্ঞানে ধরাতলে হে প্রভু
নাহিকো করিতে
রোদন।
মানবেতে দয়া ধরি জীব প্রেমে যেন মন,
নাহি ক্ষেদ নাহি ক্রোধ হিংসাতে
মনপ্রাণ।
হিংসা ও বিদ্বেষে নাহি জড়াজড়ি করি,
জোড় কর প্রার্থনা, নাহি যেন
হৃদ হরি।
আজি প্রাণ ধরাতলে কাঁপে দ্রোহে দ্বেষ বিষ,
লেখনীতে লেখনীতে প্রভু মম-
সুধা দিস।
সেই সুধা করণেতে যেন জাগে দশ দিশা,
দূর হতে দূরে যেতে-হৃদ হরা
তমানিশা।
তব কাছে এই মোর শেষ নিবেদন-
অকূলো উছলো তরঙ্গ তলে
ভব সাগরেতে-করিতে
অবগাহন।
রুধিত কন্ঠ যেন, নাহি হীন গতি ধায়,
বিকশিত কর প্রভু, প্রাণ মোর
শতধায়।
কাঞ্চনে দিও বারি যেন প্রাণ অন্যায়,
বঞ্চনা শোষনেতে-যেন দ্রোহ
গতি ধায়।
কপটতা ছলনাতে যেন পারি গর্জনে,
ধ্বংসেতে মেলে দিতে-সুধাবারি
অর্জনে।
দীন জনে ধরি দয়া সাধ্য সে হয় প্রাণ,
যেন পারি প্রাণ ঢেলে-তাদেরই
আরাধন।
মানবতা সীমানাতে উজ্জ্বল যেন রই,
আলোকেরি দিশা যেন-উচ্ছল
প্রাণে বই।
তব কাছে এই মোর শেষ নিবেদন-
অকূলো উছলো তরঙ্গ তলে
ভব সাগরেতে-করিতে
অবগাহন।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
This is my prayer to thee


This is my prayer to thee,
O Lord, please give me your blessings,so that
I could be able to sail my life  
Whatever the situation;
and not fall down to
Mourn.
I could be able to love the humanity
And be able to keep myself aside from
hate and jelousey. O lord,
O my lord,
Please bliss me.
Presently the world is full in sin and
Hate is swearing upon the life and
The humanity.
Please please please my lord
Come In the writings to enlighten
The world by its flashings.
O my lord please give me the strength
That I could resist the exploitation,
Could be able to destroy
The devil and be able
To roar against
Hypocrisy.
Could be able to sacrifice myself for the
Poor section of the society.
I could hold on the humanity.
This is my pray to thee, my lord
To sail my life  
Unswerving.


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মহান ২৬শে জানুয়ারী" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


গর্ব


পূর্ণ স্বরাজ পুকারিল মাতা সন্তান বীর সবে,
অমর সে বীর গাঁথা, চির অমলিন
হৃদয়ে প্রথিত
রবে।
বীরবর সে গান্ধী জনক, হিংসা রহিত সোপান তলে,
দেশ জাতি প্রাণ ঢল নামিতে
অধীনতার অস্তাচলে।
তীক্ষ্ণ সে বোল ঝরিতে আগুন ভিত কাঁপিতে ব্রিটিশ রাজ,
স্বাধীনতার লগন প্রাণে, ধরতে আগুন
রণ সাঁজ।
বিদ্রোহেতে প্রাণ সে মেতে হতেই শহীদ বলিদান,
দেশের তরে আগুন হাতে, ফাঁসির কাঠে
ক্ষুদিরাম।
জয় স্লোগানে আকাশ ধরা, মাতৃ বন্দনায়,
বিনয় বাদল দিনেশ তরুন-
রাইটারর্সের
আঙ্গিনায়।
ন্যায় নেতাজী আজাদ হিন্দ শক্ত বুনিয়াদ,
রক্ত গানে মাতলো সে প্রাণ
আকাশ ভেদী
বজ্রনিনাদ।
সেই আগুনে পুড়ল তারা দিতেই দারি ভারতমাতা,
গর্বেরে প্রাণ আকাশ ওড়ে-লিখতে তাদের
কতকথা।


প্রিয় কবি মনোয়ারুল আলম মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "সদ্য পল্লবিত (অণু কবিতা) র উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


অনুদান


বেদনায় ভরে মন, রুদ্ধ হল গতি
হৃদ ও মনন শোকেতে আকুল
তমসার প্রতি
ভাতি।
কি রঙ্গ কি ভববান ভব সাগরেতে দিলে ঢালি,
শয়তান রূপে কেন-কেন তারে
তুলে নিলি।
রক্ষ কি ভক্ষক যেন হৃদে অনুভবে,
মায়া তোর ছলনা কি-ধরা শেল
বুকে বিঁধে।
অবোধ কি মর্ম সে ভবলীলা তুহি প্রাণ,
ব্যথা দিয়ে গড়া ধরা-ভাবি,
কি-বা অনুদান!


প্রিয় কবি শ. ম. শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "হাতি" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


সাঁনাই


আর কি কব দুখের কথা
চায়ের কাপে চলছে দেশ,
নিত্য নতুন হাকাহাকি
জবরদস্ত দেন
আদেশ।
হুরা্হুরি পাড়াপাড়ি
ছুটতে দেশের জনগন,
পায় না রুটি পায় না ভাত
বলেন তিনি পায়েস
খান।
আরে দাদা বলব কি আর
ছ্যানাপোনার শিক্ষা নাই,
তিনি রবে শিঙ্গা ফুঁকেন
ডিজিটালের বাজান
সাঁনাই।


প্রিয় কবি শাহিনুর রহমান সোহাগ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "আপন জন" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


গরল


নদী প্রাণ ভুবন মোহিনী, জল কাঁদা আর বালি,
চিক চিক চিক জলের ধারা
দুকূল বুকে
ঢালি।
কুল কুল কুল বইতে চলে নগর শহর গঞ্জ,
বইতে চলে আপন বলে-সরল
মনোভঞ্জ।
আহা! একূল ভাঙ্গে ওকূল গড়ে অনেক আশা বাঁধি,
পা ধরে সাধ মন মানবের-সুস্থ জীবন
মাগি।
না মানে না মানুষ জনে, গরল করে পানি,
সরল জীবন কঠিন করে-প্রবল
হানাহানি।
দুঃখে পরাণ মোহনাতে স্বাদ সে লবন ধরে,
হেথায় মানুষ আকাশের চাঁদ
ধরতে ফানু্স
ওড়ে।


প্রিয় কবি জয়শ্রী কর মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "পঞ্চকলি (১৩৫-১৩৬) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ভোজ


রে বুলবুল দ্যাখ রে দ্যাখ, বায়না
কেন করিস রোজ,
বাসের থেকে ফেলায় দিবে
মাটির সঙ্গে মহা
ভোজ।
ভোজ কি আর সেই তেমনি
কুত্তা মুখ চাটবে খানি,
যদি ওয়াক করলি রে বুল,
করিস যদি একটু
খানি।
না'রে বুল কই কইলাম,
কইল তো রে দিদি-মুনি,
তাই কই কি খাইস না মদ
দিন দুপুরে অনেক
খানি।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের একটু আগেই প্রকাশিত "কথা অমৃত-১৬৬" র উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


মাহাত্ম


তিনি সজ্জন ইমান তারি
দেয় যে ভগবান,
তার পরোয়া নাই কিছু নাই
ডরেন নাকো
অনুক্ষণ।


তাই হিসেবি যারা ধনের
করেন কারবার,
তাদের সনে মাতেন রণে-
হৃদয় পারাবার।


তার হৃদয়ে শতেক গাঁথা
লিখতে চলি কলি,
তার মাহাত্ম ঈশ্বর সম
তারই কথাকলি।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "যক! (ব্যঞ্জন বর্ণ) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


মুড়ির টিন


যখের ধনের গল্প শুনে
যজ্ঞু ভায়ার সেই কি নেশা,
যম যেন তার শিয়র থানে
যব ক্ষেতেতে কোদাল
ঘষা।
যত্তসব আজব খেয়াল
যারপরনাই যজ্ঞু ভায়া,
যার তার সে কাজ তো নয়
যাগ দিয়ে ওই মাটি
খোঁড়া।
যবযবানী খুঁড়লো মাটি,
যাপিত পুরো দুইটি দিন,
যজ্ঞু ভায়ার চোখ ছল ছল
যব ক্ষেতেতে মুড়ির
টিন।