সাঁজ ০৬/৪৮ মিঃ পুনঃ নির্মান হলো ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রবিঠাকুরের "যখন ছিলেম পথেরই মাঝখানে" কাব্যটি।
রবিঠাকুরের লেখা কাব্যটি এইরূপ।


যখন ছিলেম পথেরই মাঝখানে
মনটা ছিল কেবল চলার পানে
বোধ হত তাই, কিছুই তো নাই কাছে-
পাবার জিনিস সামনে দূরে আছে।
লক্ষ্যে গিয়ে পৌঁছব এই ঝোঁকে
সমস্ত দিন চলেছি একরোখে।
দিনের শেষে পথের অবসানে
মুখ ফিরে আজ তাকাই পিছু-পানে।
এখন দেখি পথের ধারে ধারে
পাবার জিনিস ছিল সারে সারে।
সামনে ছিল যে দূর সুমধুর
পিছনে আজ নেহারি সেই দূর।


আর আমার লেখাঃ
যখন ছিলেম পথেরই মাঝখানে


যখন ছিলেম পথেরই মাঝখানে
জীবন অরূপ অমূল্য ধন,
গেয়েছিনু গীত স্নিগ্ধ মধুরো-
মজ্জা ও অস্থি নিমগ্ন অতি,
করেছিনু প্রেমেরই
আরাধন।
কূজনো গেয়েছি প্রাণেতে বহেছি
হৃদয়ে বহেছি গীতি,
আকাশ উড়েছি বিহঙ্গ সে গতি
নির্ঘুম রজনি শত, অবশেষে
পরিচিতি।
স্বপ্নের ডালি সাধিতে মনেতে
বাঁধিতে জীবনো তরী,
প্রিয়ারো আঁচলে পরাণ বাঁধিতে-
নয়নেতে জলপরী।
ছলকে ছলকে উছল তটিনী
আঁকাবাকা আঁকাবাকা,
নয়ন যুগলো অধরে বেধেছি-
তুলিতে রঙ্গেতে
আঁকা।
পরমো আপনো মেনেছি তাহারে
হৃদয়ের বন্ধনে,
সে পাখি ডানা মিলে গেল উড়ে-
পথেরই মাঝখানে।
চূরচূর ভাঙ্গিতে সে কূল
চোরা স্রোতে অনিবার,
বান সে প্রবলো গরলো ছোবল
নাহি ভুলিবার।
পরমো সে গীতি মরমো মরিনু
স্বার্থ বুঝিনু সার,
জীবন তাহার চরণে সঁপিনু
সাধিনু অকৃতদার।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ঘৃত রঙ্গ-(ব্যঙ্গ)" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ঘন্টি


মেকি মেকি আর কি!
মেকিতেই নাড়া মেকিতেই সাড়া,
আর কি!
দলে দলে সুরভিত-কুসুমো কাঞ্চন কলি,
মেকিতেই রস ভরা-মেকিতেই
চলি।
যাহা কিছু রসে বসে-দেখি ধারে কাছে পাসে,
নয়নের ধারাপাতে-মেকিতেই
সুখ আসে।
আহা! সন্দেশে দেশ কই! কর কেন হৈ চৈ,
ন্যাপা থাবা মারে নাই-আছে কিগো
দেশ ঐ।
তবু কেন কান্না শীষ দিয়ে ধরনা,
কেন ওগো পিছে পর-
কেন জল ঝরনা।
নিক্তিতে কেন মাপ ভেজালের পরিমাপ,
আরশিতে চোখ মাপ-ধরে নিতে
বড় গ্যাপ।
ধরনীতে ধরা আজ দানব সে হৃদে রয়,
মানুষের বেশভূষে রক্ষ সে
কথা কয়।
দেশে দেশে দিকে দিকে চূনপোড়া হতভাগা,
সিঁদুরে সে মেঘ দেখে-ভয়েতেই
ছুটে ভাগা।
বুলি নাই কালা সবে ভয়ে প্রাণ মৃতপ্রায়,
ঘন্টি সে বাঁধিবে কে-রুধিবে কে
অন্যায়?


প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "রবিবারে হাট বসেছে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


হাট


হাট বসেছে হাট বসেছে অজয় নদীর পাটে,
উচ্ছে মুলো পটল লাউ শাক বিচালি
বাঁটে।
গাঁয়ের লোকে যায় সে হাটে অনেক কোলাহল,
কুলুকুলু বইতে ধারা অজয় নদীর
জল।
খোকা খুকুর মেলার হাট বাঁশের সরু বাঁশি,
আকাশ বেলুন কল খেলনা দোকান
রাশি রাশি।
দাওনা মাগো একটা আমায় খোকা খুকির রব,
বায়না আজ করতে জিদ কান্না
কলরব।
ঢেউ বয়ে যায় লহর উছাল অজয় নদীর জল,
আলোয় ভরা গাঁয়ের হাটে-হরেক রকম
ফল।
দায় দোকানি বিকিকিনি মুলাই দড়ে গাঁয়ের বঁধু,
বাজার নহে হাটে এলাম-দূর হতে ভাই
শুধু শুধু।
বইতে বেলা কলের খেলা অজয় নদীর হাট,
পশ্চিমেতে ওই পাড়েতে-জ্বলছে শ্মশান
ঘাট।
দিনের আলো যায় সে মুদে দ্বীপের আলোক জ্বলে,
হাস্য বদন গ্রাহক সবে-অজয় নদীর
জলে।
পার হয়ে সব যায় সে সারি একতারাতে বাউল গায়,
রবিবারের অজয় ঘাটে-হাটের মেলা
শান্ত হয়।


ড. প্রীতিশ চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মৌনতা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ও সখী লো


ও সখী লো প্রাণের কথা কইতে নারি ওষ্ঠ মম হারিয়ে গেল,
ও সখী লো বুঝলে না প্রান-বাসলে নাগো
নধর ভাল।
নাগর দোলায় এই দরিয়ায় ভাসতে পরাণ কান্না বুকে,
ও সখী লো সইতে নারি-ধরতে জীবন
ঘূর্ণিপাঁকে।
রক্ত লহু শিরায় শিরায় কান্না অনেক ধরতে প্রাণ,
পাইনা বল ওষ্ঠে কেন-ধরতে নারি
প্রেমের গান।
চাওনা সখী নয়ন তারা দিতেই প্রাণে আদ্র হাওয়া,
কূজন পাখির দাওনা ঢেলে-শীতল পরশ
গানটি গাওয়া।
সখী লো তোর হাতটি ধরি সাগর দিতে দূর সে পাড়ি,
কন্ঠ আমায় দেয়নি যে সুর-সেই কথাটি
বলতে পারি।
ও সখী লো প্রাণের কথা কইতে নারি ওষ্ঠ মম হারিয়ে গেল,
ও সখী লো বুঝলে না প্রান-বাসলে নাগো
নধর ভাল।


প্রিয় কবি সুমিত্র দত্ত রায় মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা "সাবাস কেনা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


কেনারাম বেচারাম


কেনারাম বেচারাম শালা উভয়েই বেশরম,
জানে নাকো মানে নাকো-
নশ্বর ধরাধাম।
এইকূল যবে গড়ে ওইকূল ভাঙ্গে,
উভয়েই বুঁদ রহে নেশা আর
ভাঙ-এ।
আহা! জীবনেতে প্রবাহেতে কেনারাম বেচারাম,
কেনাবেচা হয় শেষে সবে ধরে
হরি ধাম।


সবে বলো হরি বোল,কেনারাম বেচারাম
কিনে বেচে হলো
গোল।


প্রিয় কবি মোঃ আনোয়ার সাদাত পাটোয়ারী (মঞ্জুবাক কবি)র আজ প্রকাশিত "কৃপা কর শুভ জন্মদিনে(৪৪ তম জন্মদিনে নিবেদিত লেখা)" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


জন্মদিনে


জন্মদিনে জানাই শুভ কামনাতে মন,
দিনটি আনুক ঘুরে ফিরে
লক্ষ মানিক ধন।
পূবের আকাশ ঝলমলে তান
গাইতে রবির গীতি,
জীবন বাঁধুক প্রেম ভাবনায়
গার্হস্থ্যে সম্পৃতি।
লক্ষ মানিক ঢেউ খেলে যাক
সমুন্দরের ওই দিশাতে,
বছর শতেক রং ঢেলে যাক
প্রশান্তি আর
স্নিগ্ধতাতে।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কথা অমৃত-১৪৭" কবিতার উত্তরে একটু আগেই কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


জোয়ার


সন্দেহ একটি অসুখ বৈকি কিছুই নয় আর,
ছাড়খাড় করে সাম্রাজ্য এ রোগের হলে
বিস্তার।
গৃহিনী করেন সন্ধ কর্তার-গতিমতি,
পান হতে চূন খসলেই
মহা বিপত্তি।
তুমুলে গড়ায় হাতাহাতি প্রায়
বন্ধ প্রাণের দোর,
কর্তা বাজায় খোল করতাল হতেই
নেশাখোর।
আর পাড় নাই নিম্নগতি ঢঙ্কারেতে ভাঙ্গে,
সাধের গৃহ জল ভেসে যায়
জোয়ার উঠে
গাঙ-এ


প্রিয় কবি ফারহাত আহমেদ মহাশয়ের এইমাত্র প্রকাশিত "কান কথা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে এক্ষুনি লেখা কবিতা।


কানটা


বাহ রে বাহ! দ্যাখ বুলবুল
গল্প চিলের শুনবি যদি,
কানটা নিছে আর দৌড়াস
চিলের পিছে পার হোস
নদী।
হায় রে হায়! বুদ্ধি কি নাই
কানটা রে বে দে না হাত,
পাইলি যদি স্বস্থানে তা-
পাতিস কেন চিলের
পাত।


প্রিয় কবি মুহাম্মদ মনিউজ্জামান মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মোল্লা বাড়ির বউ (গীতি কবিতা) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


শিহরণ


কি কইলেন কবি তুমি
রূপের ছটাখানি,
অহন আমার অঙ্গে বহে
শুধুই শিহরণি।
বুল রে তুই কোথায় গেলি
আমায় একটু ধর না
বে!
অহন প্রেমের ঝর্ণাধারায়
মাথা আমার ঘুরছে
রে!