দুপ্রহর ১১/৫২ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো মন মাতানো ঢঙ-এ রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলী কাব্য মালঞ্চের ৪৫ তম কবিতাটি "তোরা শুনিস নি কি শুনিস নি তার পায়ের ধ্বনি"।


রবিঠাকুরের লেখাটি এইরূপ:-
তোরা শুনিস নি কি শুনিস নি


তোরা   শুনিস নি কি শুনিস নি তার পায়ের ধ্বনি,
       ওই যে আসে, আসে আসে।
যুগে যুগে পলে পলে দিন রজনী
সে যে   আসে, আসে, আসে।


গেয়েছি গান যখন যত
আপন মনে খ্যাপার মত
সকল সুরে বেজেছে তার
আগমনী-
সে যে   আসে, আসে, আসে।


কত কালের ফাগুন-দিনে বনের পথে
সে যে   আসে, আসে, আসে।


কত শ্রাবণ অন্ধকারে মেঘের রথে
সে যে   আসে, আসে, আসে।


দুখের পরে পরম দুখে,
তারি চরণ বাজে বুকে,
সুখে কখন বুলিয়ে সে দেয়
পরশমণি।
সে যে  আসে, আসে, আসে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-
তোরা শুনিস নি কি শুনিস নি


তোরা শুনিস নি কি শুনিস নি তার পায়ের ধ্বনি,
চরণ যুগল ঠেকিয়ে মাথায় নিস নি আশীস গুনি।
তোরা শুনিস নি কি
শুনিস নি।
হিল্লোলে তার বইছে ধরা প্রাণ মনোহর অবাক করা,
বিহঙ্গের ওর ওই গুঞ্জে গুঞ্জে ফুলের মধুর কলি,
শ্রাবণ ধারায় বসুন্ধরায়-কুঞ্জে কুঞ্জে অলি।
তোরা শুনিস নি কি-তার সে
কথাকলি।
তোরা শুনিস নি কি শুনিস নি তার পায়ের ওই ধ্বনি,
চরণ যুগল ঠেকিয়ে মাথায় নিস নি
আশীস গুনি।
সাগর লহর পুঞ্জে তোলে, পাহার উঁচু আকাশ তলে,
বাতাস বহে শন শন শন-সুরের রিনিঝিনি,
তোরা চিনিস নি কি
চিনিস নি।
কান্না হাসি রব দুনিয়ায় প্রেমের সাগর এই দরিয়ায়
ভাসতে পরাণ গগন বিহার তার ওই মধুর ধ্বনি,
তোরা শুনিস নি কি
শুনিস নি।
তোরা শুনিস নি কি শুনিস নি তার পায়ের ওই ধ্বনি,
চরণ যুগল ঠেকিয়ে মাথায় নিস নি
আশীস গুনি।
কইতে কথা রব সে বাণী সাঁজ সে ধরা নয়নমণি,
বইতে ভবের সাগর লহর-তার সে রবই
শুনি।
হাসতে ধরা কান্না ধারা বেদনারই করুন রসে,
জানিস না কি স্থান সে ধরা, হৃদ ধরা সেই
মনোকাশে।
দু কর জোড় করতে তারে-ডাকিস নি কি তোদের দ্বারে,
মিলতে তার ওই অসীম দয়া-কান্না ধরা ভব সাগরে।
তোরা ডাকিস নি কি,
ডাকিস নি।
তোরা শুনিস নি কি শুনিস নি তার পায়ের ওই ধ্বনি,
চরণ যুগল ঠেকিয়ে মাথায় নিস নি আশীস গুনি।
তোরা শুনিস নি কি
শুনিস নি।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরেজি অনুবাদঃ-
Did you not heard


Did you heard the sound of his silent steps,
Did you got his blessings
Can you listen?
World the entire has been running with his indication
And the surprising life too,
Sweet honey in the flower and the insects
All all by his flavor.
Can you listen?
The ocean and the hills high,
In the blowing air, with nice melody
San San San.
Can you hear him?
In the pain and sorrow, in happiness
In love and compassion,
Can you recognize him?
I talk; I write poems and perform in family
I always realize him.
The almighty.
In my gladness, in cry and in any bad patch
I can recognize him, there he dwell
The heart is.
Did you call him at your door
Devotedly?
To get his blessing to sail tough life
In the ocean of time.
Can you listen the sound of
his silent steps.


প্রিয় কবি লক্ষ্ণন ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "গাঁয়ের পাসে অজয় নদী" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


পথিক


অজয়ের ঘাটে হারিয়ে সে পথে হেরি অপরূপ,
কিরণো র্চ্ছটা রবিরো প্রভাত
গাহিতে তাহারি স্বপ্নিল
রূপ।
ঝির ঝির ঝির ঝির বহিতে সে জলোধারা,
লহরেতে পুঞ্জিত, ফেনারাশি
মন ভরা।
একতারা বাউলেতে দোতারাতে সুর ভোলে,
মাঝি তার মল্লার বহিতে সে
পাল তুলে।
মন ভুলে দৃষ্টিতে সারি সারি বৃক্ষ সে,
বিহঙ্গ কলরবে রূপে তারি
গেনু ভেসে।
হেরি প্রাণ পথো পানে বধু সবে যায় কাঁখে,
অজয়ের ধারা সনে মনোরম ছবি
আঁকে।
ছিপ জালে ধরে মাছ নুলিয়া কি জেলে সবে,
ধীরে ধীরে দিগন্তে-প্রাণ ধারা
রবি বহে।
আনন্দ কলতান ধীরে ধীরে শান্ত সে,
আমি রাহা পথ ভুলে-রাহী একা
পথিক রে।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয় বিনা নোটিশে গুম। তাই লেখা।
গোপালবাবু


রে বুলবুল গোপালবাবুর,নেই ঠিকানা পাচ্ছি না রে,
নোটিস বিনে আসর কামাই-মানছি না-রে
মানবো না বে।
কি হালটাই হলো দশা ব্যঙ্গ লেখা পাচ্ছি না বুল,
রকেট লেখা লিখে দিয়েই-হতেই তিনি
ডুমুর ফুল।
তাও ভাল বে থাকুন তিনি সুস্থ যেন ভাবছি মনে,
এমন তরাও হতে পারে-সাধুর ভেষে
গেলেন বনে।
আরে বাবা রণে বনে জল কাঁদাতে যাবেন ক্যান,
বেশ কয়দিন হয়েই গেল-এবার আসর
নজর দ্যান।
আমরা কবি অপেক্ষাতে আমরা ফল খাচ্চি দাদা,
সুস্থ থাকুন ভলো থাকুন-ঈশ্বরেতে
গাইতে সাধা।


প্রিয় কবি মনোজ ভৌমিক (দুর্ন্বার কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "দেবতা কী ঘুষ নেয় এখানে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


সাতকাহন


হ হ কত্তা হেইডাই ভাবিতেছি-
দ্যাবতার সাতকাহন,
ধন যারা পূজা দেয়-
উনি তারে ঢেলে দ্যান।
শয়তান।


আগুয়ান হও সবে
দীন দুখী জরা ভাবে,
রইবনা এই ভবে, চলো গাহি
জয়োগান।


মন্দির নয় মসজিদ নয়
গির্জা নহে প্রাণ,
পথের ধূলোয় চাষার দেশে
তাহার অবস্থান।
কি! ঠিক কইছি না,
কত্তা।


প্রিয় কবি ডা. প্রদীপ কুমার রায় মহাসয়ের আজ প্রকাশিত "জগত পয়সাই সব" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


পাইসা


হ্যা প্রভু পাইসা দাও! পাইসা দাও!
কাব্যে হেথায় লবডঙ্কা,
হোথায় গিন্নি চেতায় কহে-
কি সব লিখা ছাতার
মাথা।


কই কি প্রভু কানে কানে
তাবিজ কবজ লইব কি,
মন্ত্র পড়া ফুস তাক তাক-
কাব্য গাঁথা ভুলতে
পাখি।
পাইসা! পাইসা! জয়গুরু।


প্রিয় কবি এম. ওয়াসিক আলি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "চলো খুঁজি" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


রসের হাড়ি


চলুন আজিকে ধরাতে ত্বরাতে
খুজিতে রসের হাড়ি,
জগৎ আজিকে পশুর মেলায়-
বিষয়ে ধনেতে মরি।


আ'মরি, চলুন আজিকে করুণো ধরাতে,
গাহিতে মঙ্গলো গীতি,
বন্ধনে বাধিতে পরাণ ইতিকথা
ভালোবাসা আর প্রেম প্রীতি।


লহুধারা ধরা, বহিছে বেদনা
রিক্ত আজিকে প্রাণ,
প্রীতিরো সোপানে আজিকে গাহিব-
মানবের জয়োগান।


প্রিয় কবি মোঃ আব্দুল কাদের মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কাব্য ধাঁধাঁ" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


গাছ পাঠা


কাঁঠাল দাদা কাঁঠাল কাঁটতে গেলেই আঠা,
মধুর রসের হাড়ির চুবন
সর্ষে তেলের মাথা।
হেই কথাটা গিন্নিরে কন কিনলে গাছ পাঠা,
আছে কি গো কত্তা হেলায়
এমন বুকের পাটা।
পাটার বাড়ি শিলের নুড়ি এক ঘায়েতে কুপোকাত,
জানটি হাতে জলদি ভাগেন
কিনতে কাঁঠাল তুরন্ত
হাট।


প্রিয় কবি শ ম শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "হারুদার কান্ডকারখানা কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ইনকিলাব জিন্দাবাদ


গরীব গরীব গরীবনা কাঁদতে যাচ্ছেতাই,
দারুর নেশায় অনেক কিছুই
বলেন হারু ভাই।
কাল কলকে ছুটলে নেশা কাঁধটা ঝুলে পরে,
যেমন কত্তা রাত্রি গেলে-গিন্নি মাথায়
ওড়ে।
তাই কত্তা জিন্দাবাদ রাত্রি ধরেন ভেনু,
দু-চার ব্যারেল মদ ডেকে নিন
মাংস কাবাব মেনু।
ঠিক কইছি কত্তা শুনেন ইনকিলাব জিন্দাবাদ,
জিন্দা রবে সেই তত দিন-মদের হবে
মুক্ত আবাস।