(আজ ছিল ব্যাস্ততম দিন তার ওপর কয়েক দিন ধরে নেট বিভ্রাট। ভাবি নাই খেয়াল প্রকাশ দিতে পারব। ভগবানের আশেষ দয়ায় হয়ত সম্ভব হলো)


দুপ্রহর ১২/৪৭ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্কিকে পুনঃ রচিত হলো রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্যমালঞ্চের প্রথম কবিতাটি  "আমারে তুমি অশেষ করেছো"
রবিঠাকুরের লেখাটি এইরূপঃ


আমারে তুমি আশেষ করেছো
এমনি লীলা তব।
ফুরায়ে ফেলে আবার ভরেছ
জীবন নব নব।


কত যে গিরি কত যে নদীতীরে
বেড়ালে বহি ছোটো এ বাঁশিটিরে,
কত যে তান বাজালে ফিরে ফিরে
কাহারে তাহা কব।


তোমারি ঐ অমৃত্পরশে
আমার হিয়াখানি
হারাল সীমা, বিপুল হরষে
উথলি উঠে বাণী।


আমার শুধু একটি মুঠি ভরি
দিতেছ দান দিবসবিভাবরী,
হল না সারা কত-না যুগ ধরি,
কেবলি আমি লব।


আর আমার লেখাটি এইরূপ।
"আমারে তুমি অশেষ করেছ”


আমারে তুমি অশেষ করেছো
দিয়েছো মানবতা হৃদয়েতে ভরি,
দিবানিশি তাই আরাধনে তব
মানবেরই জয়োগান
ধরি।
অকুল পারাবার ধাম সিন্ধুতে প্রাণ
করুণাসাগর পিতা,
যা কিছু পেলাম ভবে যা কিছু হারালাম
তোমারই জ্বাল
জটা।
ধূম্র সে জ্বাল জীবনো বয়েছি
অকূল পারাবার
যা কিছু পেয়েছি তোমারি গেয়েছি
নাহি কিছু আর
হারাবার।
তোমারি দানেতে ধনী আমি
ঞ্জানের আলোকো শিখা,
পলে পলে অনুভবে তাই
কবিতার দেই
দিশা।
আমারে তুমি অশেষ করেছো
জ্বালিতে আঁধারে আলোকের বারি,
অন্তহীনেতে গাহিতে বহিতে
গাহি সে গান উছলো তরঙ্গ
সোপান হৃদেতে
ধরি।


আমার লেখা কবিতাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদ:
(ইংরাজি কবিতাটি আমার মেঝ মেয়ে "মন্দিরা কর্মকার" গানে বেঁধেছে। শীঘ্রই আবৃতি বিভাগে প্রকাশ দেব তার গান।)
You have made me endless


My lord you have made me endless
Has given me the humanity
Filled in the heart,
So all day and night I worship you
And sing the
Human.
You are the father of entire world and
Your mercy as big as
Occan.
Whatever I get here and lost
All of yours nothing  
Mine.
I pass the bay of smokey life
And whatever I get I sung yours
So nothing me to
Loss.
I'm rich in your donation
With the knowledge and flame,
So I feel like rolling
Poetry direction.
You have made me endless
To lighten the darkness,
So I song and waves up randomly
In the stairs holding
Heart on.


ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রাত ৯/৩৭ মিঃ পুনঃ  রচিত হল "ন্যায়দন্ড" কাব্যটি।
রবিঠাকুরের লেখাটি এইরূপঃ
"ন্যায়দন্ড"


তোমার ন্যায়ের দন্ড প্রত্যেকের করে
অর্পন করেছো নিজে। প্রত্যেকের 'পরে
দিয়েছ শাসনভার হে রাজাধিরাজ।
সে গুরু সম্মান তব সে দুরূহ কাজ
নমিয়া তোমারে যেন শিরোধার্য করি
সবিনয়ে। তব কার্যে যেন নাহি ডরি
কভু কারে।ক্ষমা যেথা ক্ষীণ দুর্বলতা,
হে রুদ্র, নিষ্ঠুর যেন হতে পারি তথা
তোমার আদেশে।যেন রসনায় মম
সত্যবাক্য ঝলি ঊঠে খরগসম
তোমার ইঙ্গিতে। যেন রাখি তব মান
তোমার বিচারাসনে লয়ে নিজ স্থান।
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে,
তব ঘৃণা, যেন তারে তৃণসম দহে।


ভিন্ন রূপে আর ভিন্ন আঙ্গিকে আমার লেখা কবিতাটি এইরূপ)
ন্যায়দন্ড


তোমার ন্যায়ের দন্ড প্রত্যেক করে,
আজি গাহিনু সে গীতি
মাগিনু আজিকে জাগুক পৃথ্বী,
প্রাণে প্রাণে সম্পৃতি।
আজিকে সোপান গাহিতে সে গান,
রক্ষপুরের দেশে, আজিকে পরান
উছলিত প্রাণ ধর্মের ধরা
বেশে।
ধার্মিক জনে ধর্ম দামামা
রুধিতে বিনাশ তারি,
আজিকে কৃপাণ হাতে লও প্রাণ
কোতল করিতে
বাড়ি।
আগুয়ান আজি ঘূর্ণি সে ঝড়
ফরিয়াদ ধর মেতে,
নিরব কান্না আজি সরবো কলরবে
ঘাত সে কোতল
গীতে।


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কাব্যশ্রী কবিসম্মান" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


কবি প্রণাম-২


কবি তার বাণী তার দিকে দিকে ছোটে,
আলো হয়ে জ্বলে তারা
ফুল হয়ে ফোটে।
পুষ্পিত কাননেতে গোলাপের সমাহার,
আসরেতে কবিতার-কণা কণা
মণিহার।
বুদ্বুদে বুব্দুতে রাশি রাশি প্রেম তাহে,
বিহঙ্গ ধ্বনিরবে-হৃদ হরা
গান গাহে।
কলি কলি কুঞ্জেতে ভ্রমরের গুঞ্জন,
আলোরিত হয় সদা-ভরে ওঠে
মন প্রাণ।
গুণী জনে বন্দনা করে কবি লক্ষ্ণণ,
ভান্ডারী জ্ঞানী গুণী-প্রণামেতে
জুড়ি প্রাণ।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কথা অমৃত-" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


দুর্জনা


কেউ থামতে চায়না এই দরিয়ায়,
অমৃত পানে মত্ত।
দিকে জাগে ধরা গানে
মৌধরা নৃত্য।
চাঁকে মধু জমা কত
তাও লাগে আরো,
মৌতাতে দিকে রব-
কষে কষে যত
পারো।
মৌচাক আপনার
খায় মধু আর জনা,
কি হবে কি কাব্যেতে
বুঝে কি গো
দুর্জনা?


প্রিয় কবি শ. ম. শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বিমূঢ়" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


কানা


হাঃ হাঃ হাঃ কত্তা বুঝেন বেশ ভালই অতি,
স্পিকটি নট কইতে মানা,
দেখেন যদি ফুটফুট চোখ-ভাইবা নিবেন
আপনি কানা।
কানাহুলার ভেষ ধরে বেশ জীবন যাপন করুন না,
চায়ের দোকান কফি সপে
তুলতে তুফান নাইকো
মানা।
আঙ্গুল যদি তোলেন তবে পাবেন নাকো শ্বাসটি ভারি,
দেখায় দিতে রাস্তাপানে
বাপের আর শ্বশুর
বাড়ি।
বুঝলেন কি!


প্রিয় কবি প্রীতিশ চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বর্ষপূর্তিতে একজন অকবির অনুভব" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


অম্লান


আধুনিক কবিতা আপনিও লেখেন প্রিয় কবি
কিন্তু কত সুন্দর।
মন ভরে যায় হৃদয়ের দ্বার যায় খুলে
আর আমিও লিখতে
ধুধুম্মার।
তাই তব বন্দনা গাহি প্রান,
সৃষ্টি তব্ বহিতে ধরাতে
কবিতাতে
অম্লান।