লতিকা প্রকাশনীর বাংলা ও ইংরেজি সংস্করণ-এর যে গীতাঞ্জলি বইটি আমার কাছে আছে তার তৃতীয় লেখা রবিঠাকুরের  “তুমি কেমন করে গান কর যে গুণী"
কবিতাটি গতকাল রাত ২/৫৭ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গি কে লিখিত হয়েছে।


রবিঠাকুরের লেখাটি এইরূপঃ-


তুমি কেমন করে গান কর যে গুণী,
অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি।
সুরের আলো ভুবন ফেলে ছেয়ে,
সুরের হওয়া চলে গগন বেয়ে,
পাষান টুটে ব্যাকুল বেগে ধেয়ে
বহিয়া যায় সুরের সুরধুনী।


মনে করি অমনি সুরে গাই,
কন্ঠে আমার সুর খুজে না পাই।


কইতে কী চাই, কইতে কথা বাধে,
হার মেনে যে পরান আমার কাঁদে,
আমায় তুমি ফেলেছ কোন ফাঁদে
চৌদিকে মোর সুরের জাল বুনি।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-তুমি, কেমন করে গান কর হে গুণী,


তুমি, কেমন করে গান কর হে গুণী,
অনুরাগের আলতো রাগে
সুর দ্যোতনায় হারিয়ে পরাণ
স্নিগ্ধ পুরির ধ্বনি।, তুমি,
কেমন করে গান করো হে গুণী।


তুমি, কেমন করে গান করো হে গুণী
প্রশান্তিরই স্নিগ্ধ ছায়ে অবাক নয়ন শুনি।


আকাশ কলরব জ্যোছনা হারায় ভব,
কিরণ মুদে আঁখি, রব সে ভোলে পাখি,
অবাক নয়ন চায়, সুরের দ্যোতনায়।


কোন সে মদিয়ায় মাতাল হাওয়া বয়,
মাদল বাজে প্রাণ, কান্না অবসান,
ধরলে সুরের তান, উঠতে জেগে প্রাণ।


কমল খুলে দল, বলনা সখী বল-
কোন সে মায়াজ্বাল গাইতে শতদল।


তুমি, কেমন করে গান কর হে গুণী,
অনুরাগের আলতো রাগে
সুর দ্যোতনায় হারিয়ে পরাণ
স্নিগ্ধপুরির ধ্বনি।,তুমি,
কেমন করে গান করো হে গুণী।


আমার লেখা কবিতাটির ইংরাজিতে আমার করা অনুবাদ


I don't know, how the singest


I don't know, you the singest,
How can you sing in such a voice?
It’s surprising and just amazing.
To the calmness,
In the direction of peace.
The sky forgets its blue and
The sun closes its eye
The moon dissolves the shine and
The bird spellbound with wonder
And question, who the marvelous
Singer is!
It seems like insensible scene and
All the pain goes away and the
Lotus hurries up to bloom its petals.
What what that magic there
In your melody are!
I don't know, you the singest,
How can you sing in such a voice?
It’s surprising and just amazing.
To the calmness,
in the direction of peace.


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "আমার গাঁয়ে গাছের ছায়ে" কবিতাটির উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


পুণ্য ধাম।


গ্রামখানি গম্ভীর যেন ধ্যান করে মুনি,
অপরুপা কায়া তারি স্নিগ্ধ সে
রান ভূমি।
ঘন ঘন তরুরাজি আম জাম পিয়াশাল,
অজয়ের জলোধারা আরদিশা
ছোট খাল।
বিস্তৃত পাড় ভূমি চিক চিক বালুরাশি,
মেঠো পথ আল ধরে প্রাণ ভরে
ভালোবাসি।
কনক সে রাশি রাশি মাঠে মাঠে ঢেউ তোলে,
স্নিগ্ধ সে মনোরম সবুজেতে
মন ভোলে।
ভোলা গান একতারা বাজে সুর বাউলেতে,
সোনা ফল ধরে গাছ চারিভিতে
ক্ষেতে ক্ষেতে।
দৃষ্টি সে নন্দনো পুকুরেতে বেলে হাস,
প্যাক প্যাক ধ্বনি তোলে মাথা উঁচু
রাজহাস।
গোবিন্দ থানে মেলা খিঁচুরি সে মহাভোগ,
জাগ্রত অতিশয় পূজা দিলে
সারে রোগ।
দূর দূর হতে লোকে-ঘন ধরা রাশ ভারি,
পূব পানে ফাকা মাঠে সারি সারি
বহু গাড়ি।
রবিবার অজয়েতে ধারে বসে মেঠোহাট,
হই চই বিকিকিনি সাঁজ কাল
হতে রাত।
ক্যাচ ক্যাচ রব তোলে গরু দিয়ে বাঁধা গাড়ি,
ফিরে সবে নিজ ঘরে পসরাতে
ভরে হাড়ি।
মনোরম স্নিগ্ধ সে প্রশান্তি ভরা গ্রাম
নয়নাভিরাম মাতা সে যে-
পুণ্য  সে ধরা
ধাম।


প্রিয় কবি এম, এ, সালাম মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "তোর চেনা হাসিটা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


জীবন কাহিনী


কিছু স্মৃতি মনের মণিকোঠায় চির অম্লান রয়ে যায়,
কিছু সুখের কিছু দুঃখের-কভু সুবাস বহে
কভু বেদনা এঁকে দিয়ে
যায়।
স্বপ্নের উড়ান এ জীবন প্রাণ ধাবিত প্রবাহ সদা,
আঁকেবাকে আনাচ কোনাচ-সরল সাধারণ কভু
আবার কতনা ভূলভূলি পথ
যাতনাতে প্রাণ
ধাঁধা।
স্বপ্নপূরণে কতনা ভেসেছি বিহঙ্গ কলরব,
আবার কতনা আশাহত দিবশ রজনী-
ডানা ভাঙ্গা
ঝটপট।
কালেরো স্রোতেতে ভেসে গেনু ধরা আনন্দ মোচ্ছবে,
খাদের কিনারা কতনা গেয়েছি-বেদনার
কলরবে।  
হাসিতে গাহিতে বহিতে প্রাণেতে মেনেছি প্রভুর বাণী,
শক্ত সে হাত মুষ্টি ধরেছি-কান্না বা হাসি উভয়ই
মানিতে জীবন
কাহিনী।


প্রিয় কবি ইন্দ্র মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা "অণুকবিতা-২" এর উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


আমি মানুষ হতে চাই


কেন! মানুষ হলে কি আপন হতে দোষ আছে,
দেবতারাই তো আপন হতে পারে না-
কত পূজা কত অর্চনা
তাও তাদের মন
ভরে না।
না রে বাছা না, দেবতা নহে
আমি মানুষ হতে চাই,
তাহি গাহি জয়োগান, মানুষের
কবিতাই।


প্রিয় কবি শ.ম.শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "হারুদার কান্ডকারখানা-১" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


তাক ধি না ধিন, ধিন


হারুদাদার ছালছাড়ানি
টক ঝাল ঝাল সেই কাহিনী,
বেজায় খুশি মনটি নাচে
    তাক ধি না ধিন, ধিন।
চা বেচেই বসলো খুড়ো
খাচ্ছে দিন দেশের মুড়ো
আসছে আচ্ছে দিন।
    তাক ধি না ধিন, ধিন।
রাজনীতির ওই ঘুঘুর বাসা
গয় গঙ্গায় ডুবতে বসা
খাচ্ছে খাঁবি ভাবতে লোকে
    দু-দশ বছর সময় দিন।
ঝা চকাচক চুল উঠে টাক
হারুদাদার ঝাল টক টক
খাচ্ছে দারু বলছে হারু
চটকে ঘার পিন্ডি দিন।
    তাক ধি না ধিন, ধিন।