লতিকা প্রকাশনীর বাংলা ও ইংরেজি সংস্করণ-এর যে গীতাঞ্জলি বইটি আমার কাছে আছে তার দ্বিতীয় তম লেখা রবিঠাকুরের “তুমি যখন গান গাহিতে বল " কবিতাটি দুপুর 11/47 মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গি কে লিখিত হল।


রবিঠাকুরের লেখাটি এইরূপঃ


তুমি যখন গান গাহিতে বল,
গর্ব আমার ভরে ওঠে বুকে;
দুই আঁখি মোর করে ছলছল,
নিমেষহারা চেয়ে তোমার মুখে।


কঠিন কটু যা আছে মোর প্রাণে
গলিতে চায় অমৃতময় গানে,
সব সাধনা আরাধনা মম
উড়িতে চায় পাখির মতো সুখে।


তৃপ্ত তুমি আমার গীতরাগে,
ভালো লাগে তোমার ভালো লাগে,
জানি আমি এই গানেরই বলে
বসি গিয়ে তোমারি সম্মুখে।


মন দিয়ে যার নাগাল নাহি পাই,
গান দিয়ে সেই চরণ ছুঁয়ে যাই,


সুরের ঘোরে আপনাকে যাই ভুলে,
বন্ধু ব'লে ডাকি মোর প্রভুকে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-তুমি যখন গান গাহিতে বল


তুমি যখন গান গাহিতে বলো
হে সখী মম,
হৃদয় দুলিতে প্রাণেরো ঢুলিতে
বেদনা ভুলিতে আলো।
পরশো আলোকো জ্বালিতে প্রদীপ
বেসুরো বেহাগ রাগে,
গাইতে সে গান মর্মর তান
হৃদ সে অনুরাগে।
বইতে সে নদ উছল পরাণ
হারিয়ে গহীন প্রাণ,
জীবন অরূপ বইতে ধরা
পাখির কলতান।
ঊষার আলোক ঝর ঝরনার
লহর তুফান ছোটে,
প্রেমের আলোক মন মদিরায়
হাজার কুঁড়ি ফোটে।
ভাসতে সে প্রাণ আকাশ নীলে
মিলিয়ে দিতেই ডানা,
বিহঙ্গের ওই চঞ্চু তলে
সুরের আনাগোনা।
স্নিগ্ধ সে পল হারিয়ে যেতেই
নীল সে গগন তল,
রূপ অপরূপ গাইতে তোমায়
নইকো হীনবল।
তোমায় সখী বিভায় মেতে
জ্যোছনা লোকের দেশে,
গাইতে সখী বললে আমায়
তান সে ভালোবেসে।


কবিতাটির ইংরাজিতে আমার করা অনুবাদ (যেহেতু অনুবাদ বৈধ এখানে)
When you ask me to sing


When you ask me to sing
Oh my darling sweet,
my heart got filled up with joy and
I could forget pain and
The sufferings of life.
I romanced and start firing
With my hoarse voice,
But an affectionate
Heart and mind.
I feel myself like a flowing river
And enter deep into my soul,
I feel like a bird.
It seems sun rises in my life
And the light of love comes true.
My mind began floating in sky
Wth the wings of birds and
My heart bloom up to sing
High.
My mind got blend in you
In your delightful glamour
Which I able to manage all.
I want you to go with
In the country of full moon,
If you commendest me to
Sing.


আমার লেখা খেয়াল ২৫ তম পর্বের উত্তরে প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের কমেন্টের উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


এমন বোলো না


এমন বোলো না বন্ধু কাঁদতে লাগে প্রাণ,
দুচোখ ধারা বইতে থাকে
অশ্রু অবিরাম।
আমি কবি মনটি ভরাই সুখ দুঃখ শোকে,
ভাবের দেশে উড়তে দিশা
মিলতে তাহার লোকে।
চাই না মান,না চাই মেডেল শুধুই ভালোবাসা,
মনটি মিলে লিখতে ভালো
ধরতে প্রাণের দিশা।
আজ ধরাতে কান্না ঝরে লহুস্রোতের বান,
দীন দুঃখী প্রাণ কেঁদে যায়
জীবন অবসান।
দিক বিদিকে ছল চাতুরি দ্বেষ বিদ্বেষ হিংসা ঝরা,
দিলেন প্রভু কলম হাতে-লিখেন তিনি
তারই গড়া।
নাই জানিনা কেনই দিলেন নিলেন আমায় বেছে,
আজ কেঁদে যাই দুচোখ ধারা-
কান্না ধরা দেশে।


প্রিয় কবি খলিলুর রহমান মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "শব্দটা প্রিয়" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


নমস্য


যাও চার আনা আট আনা,
তাও রবে বলে শুধু
দেখ না!দেখ না!
যে দান দানিতে দেখাতে লেখা
সে দানে মূল্য কি'বা!
আসল সে দান নিরবেতে জন
ধরিতে মানব সেবা।
উচ্চমার্গে বহিতে ফল্গু
নিরবেতে নিভৃতে,
দুঃখ দরদ হরণ করিতে
কাতরের বেদনাতে।
সিক্ত সে প্রাণ রিক্ত হৃদে
রচিতে সে আলপোনা,
মলিনতা দূর করে সদা
শুভ্র আলোকো অর্চনা।
ধন্য সে জন পূজিত দেব
নমস্য অতিশয়,
রব সে দূর জোয়ার মিলে
হৃদয় গাহিয়া যায়।


প্রিয় কবি মনোজ ভৌমিক (দুর্নিবার কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "জন্মদিনে বাবার আশীর্বাদ" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


স্নেহাশিস


ঊষার আলোক ঝরুক প্রাণে রঙ বেরঙ-এ ঝলমলি ওই,
কোকোনদের দল খেলে যাক-হাস্নেহানা
গোলাপ জুঁই।
সকল বাধা দূর সীমানায় ঝরঝরে প্রাণ বইতে দিশা,
দূর বহুদূর দূর হয়ে যাক-অন্ধ পথের
তমানিশা।
হাসিখুশি কাটতে জীবন স্বপ্ন পূরণ রাশি রাশি,
ধন ধান্যে ঢেউ খেলে যাক-
সদাই ধরায় ধরতে
হাসি।
জোড় করেতে ঈশ্বরেতে মাগতে চলি দোয়া,
দিনটি আসুক বছর শতেক-হে ঈশ্বর
আর কিছু না
চাওয়া।


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "গাঁয়ের মাটিতে গাছের ছায়ায়" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


নাগরিক


নগর পানে উছল ঢেউ গ্রাম হতে ঢল আসে,
গঞ্জ শহর ছোট ছোট দূর বা
ধার কাছে।
দূর্বাদলের নাই নিশানা পথ সে বাঁধা পিচে
দুই ধারেতে পথচারীর পথ সে
পিছে পিছে।
রব কলরোল হল্লা ধ্বনি বইতে চলে প্রাণ
মঞ্চ গড়ে চেঁচান নেতা রাজনীতি
ঢল বান।
সাওতালী আর রাজবংসি দীন মজুরে মিছিল বড়
রাস্তা রুখে যান জটেতে নগর ডাগর
সড়গড়।
নাগরদোলা উছল দোলে শীতকালেতে নাগর ধূম
সাইলেন্সার যন্ত্র এটে রব সে বিকট
দুম দুম দুম।
হাজার হাজার লোক যেন স্রোত নদীর ধারা বহে
পক্ষী বাবা দেখতে গেলে কাকটা
কথা কহে।
আর কির্ত্তন নাই করলাম বুকটা যাবে ফেঁটে
আজ এখানেই হাত জুড়ছি গামছা
বেঁধে পেটে।


প্রিয় কবি রীনা বিশ্বাস (হাসি) মহাশয়ার আজ  প্রকাশিত "অশ্রু মোছাবে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ধ্যুৎ-তারিকা


ছলে বলে ছলনাতে শঠতা ও মিছা বোলে,
ধরাতলে ধরাতলে ধরাতলে বয়ে চলে
বয়ে চলে বয়ে চলে
ভালবাসা অনুদান।
উটকো সে প্রেমে মেতে আগুয়ান মেপে মেপে,
ঝরে বান বাক্যেরই-ধ্যুৎ-তারি!
এক ডালে শাখা দুই-তিন চার পাঁচ ছ্য গল্প,
বলে শেষ হবে নাকো-আরে বাবা!
নয় সেতো স্বল্প।
হাসি গানে মশগুল চুলবুলে বুলবুল,
ভুলভূলে ধরা ফাঁদে-কান্না!
ধ্যুৎ-তারিকা!


প্রিয় কবি আ. ফ. ম. মশিউর রহমান মহায়ের আজ প্রকাশিত "এমন একটি কবিতা লিখতে চাই" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


সুহৃদ


মা ভৈরব মাটির টান পিতা অনন্য,
ভ্রাতা আর সহোদরা-সহিত
জীবন ধন্য।
ধান্য আর ধন মেতে সব করতে হানাহানি,
মা আর ভ্রাতা, ভগ্নি পিতা
আর পারেতে মানি।
রজ্জু দিল রাখির বাঁধন ভগ্নি সহোদরা,
রাখতে মান জীবন দান
কার্পণ্য নাই যে
ধরা।
মস্তক মোর পিতামাতা ভ্রাতা মোর হৃদ,
নাই নাই নাই-নাই জগতে
তাদের বাড়া আর
সুহৃদ।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কথা অমৃত-১৬০ কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


আলাপ


আহা! পরাণ গেল ভরিয়া,
দুর্জন আর সুজন ভবে
ভান্ড দিল ফুঁরিয়া।
ও ননদি তোর ওই রূপে
কসটিউম আর গন্ধ
গোলাপ,
আর না করুম তোর ওই কালো
মিথ্যা প্রেমের জমাট
আলাপ।
কাজলা কালো তাওরে ভাল
হৃদ গুলাবি রঙ সে বহে,
রঙ্গ রূপে নাই সে গান
তাও রে ওরে ধরবো
রে!


প্রিয় কবি শ. ম. শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "দু'ভাই তারা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


বালাই ষাট


বাহ রে বা্হ!
বালাই ষাট ও সোনা
আর কেঁদোনা আর কেঁদোনা
হাওয়াই মিঠাই
দিব।


হেই মিঠাই খাইয়া উইড়ো
দুবাই যাইয়া
ঘুইরো।