(আসরে প্রকাশিত ১২০০ তম কবিতা)


সন্ধ্যা ৫/৪৯ মিঃ পুনঃ নির্মান হলো ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রবিঠাকুরের "জ্বালো নবজীবনেব" কাব্যটি।


রবিঠাকুরের লেখাটি এইরূপঃ
"জ্বালো নবজীবনেব"


জ্বালো নবজীবনেব
নির্মল দীপিকা,
মর্তের চোখে ধরো
স্বর্গের লিপিকা।
আঁধারগহনে রচো
আলকের বীথিকা,
কলকোলাহলে আনো
অমৃতের গীতিকা।


(নবজীবনেব-এটা ভুলে রবিঠাকুর র এর পুটলি দিতে ভুলে গিয়েছিলেন বা দিয়েছিলেন কোনোও কারনে মুছে গিয়েছিল।আমি যেটা সবসময়েই বলি তারা যা করবে তাই নিয়ম হয়ে যায়। তাই আমি এই ভুলটা করবো না। "জ্বালো নবজীবনের" বলেই আমার কবিতা প্রকাশ দিলাম।)
আর আমার লেখা এইরূপঃ
জ্বালো নবজীবনের


জ্বালো নবজীবনের আলোকো শিখা প্রদীপ্ত উজ্জ্বল গীতি,
অরুনো প্রভাতে তরুণো দলে ভাব ধারা সম্পৃতি।
জাগো প্রাণ উজ্জ্বল কাঞ্চনো ধারা সনে,
আজিকে লিখিতে অমর সে গীতি
আঁখিধারা বরিষণে।
জাগো প্রাণ জাগো, জ্বালিতে সে দ্বীপশিখা,
বিকশিত অন্তর দূর করো
তমানিশা।
দিকে দিকে লহস্রোত বিষাক্ত নিঃশ্বাসে,
আজি ধরা কাঁদে মাতা গরলো সে
বিষ ভাপে।
পুকারিছে মাতা তোহে গাহিতে মঙ্গলো গীতি,
আজি প্রাণ দেশ মাগে, আজি তব
পরিচিতি।
বায়স কি সারমেয় বাজ কিবা গৃদ্ধ,
কোথা তোহা হৃদ কথা-কোথা
অবরুদ্ধ।
হায়না কি শকুনেতে চাস তোরা আঁখিপাতে,
কেন লহু ঝরে ধারা-আজি প্রাণ
দিবারাতে।
স্বপনেতে নাই কেন কুসুম সে কথাকলি,
ধর্মের দামামাতে-সারেগামা
অঞ্জলি।
পুকার কি শোন রব প্রমান সে আজি দিতে,
মানব কি সারমেয়-আজি ধরা
চারিভিতে।
জ্বালো নবজীবনের আলোকো শিখা প্রদীপ্ত উজ্জ্বল গীতি,
আজি প্রাণ প্রমাণেতে-দিতে তব
পরিচিতি।


প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মন্দিরেতে দেবতা নাই" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


আবাসন


ধরতে দিশা প্রাণের আলোক বাঁধতে জীবন গান,
কান্না ছাড়ো কর্ম ধরো জীবন
প্রতিষ্ঠান।
মন্দির নয় মসজিদ নয় গির্জায় নাই ধন,
পার হতে ভাই জীবন সাগর
মানব করো গান।
সেই দিশাতে বইতে তরী পার হতে এই বৈতরণী,
অন্ধ জনে আলোক দানে, দূর করো আজ
হানাহানি।
মন্দির নয় মসজিদ নয় গির্জা নহেন তিনি,
হৃদমন্দির ঠাঁই যে তারি
তাহার আবাসনই।
সেই আবাসে ধরতে পূজা মূর্তি করি জ্ঞান,
মানব সেবায় মন ঢেলে দাও
হিংসা অবসান।
এক পৃথিবী কাঁদছে ধরা কাছে টেনে নিতেই আজ,
অন্ন বস্ত্র বসত দিতে-ধরব আজি
প্রাণের সাঁজ।
এই পণেতে আজ রণেতে মাতিয়ে দিতেই ধরা,
আজ মানবের জয় জয়োগান
গাইতে মনোহরা।


শ্মশান ঘাট


রে বুলবুল শিষ বাজা না ছয়খানা আজ লিখতে হবে
তাইলে পরে শূন্য ঘরে পাত পাততে
ছড়া যাবে।
রাত বিরাতে তাল কেটে যায় দু চার পেগ পরলে পেটে
বন্ধ কেন শিষ বাজানি ভাবলি নাই
বুদ্ধি ঘটে।
তুই মেলাতে শিষ বাজিয়ে চপেটোঘাত ভালই খেলি,
আজ আগুনে লাল ফাগুনে আজকে আমি
খেলবো হোলি।
তাই বলি কি চিপাগলি চপচপানি তোর ওই বুলি
না বাপু না তোর সাথে না কক্ষোনো নয়
বুলবুলি।
তার চেয়ে ভাল কথাকলি আঙ্গুল চালি তুলতে রব
লিখতে চলি ভালই আমি এখন কেন
কলরব।
জানিস বুল অশ্রু বারি কান্না অনেক বুকের মাঝে,
চোখ দেখি রে সর্ষে ফুল মন লাগেনা
কোনো কাজে।
আজ আসরে তুলতে তুফান পকেট রে ভাই গড়ের মাঠ,
এমন তরা চললে রে ভাই দূর নাই আর
শ্মশান ঘাট।


প্রিয় কবি অনীক মজুমদার মহাশয়ের আসরে প্রকাশিত "উন্নয়ন? কাগজে কলমে" কবিতার উত্তরে কথাপকথনে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ক্রন্দন।


মানবিক উন্নয়ন তথা আত্মার শুদ্ধিকরণ হয় নাই,
দিগম্ত প্রসারিত বিষ ভাব বাস্পতে
ঝলমলে রোশনাই।
রঙ্গ সে ঝকমকে বিষান্ত অন্তর,
দ্বেষ আর হিংসাতে, ধূ ধূ
ধরা প্রান্তর।
বঞ্জর ধরা ভুমি লতা গাছ নাই রুহ,
রসে বশে ফলে নাই-ছায়া ঘেরা
মহীরুহ।
কাঁদে প্রাণ চৌদিকে ঘন ধরা তমসাতে,
ফাল্গুনী আভা নাই-ধরা ভাসে
লহুস্রোতে।
মানবতা দিগন্তে বিহঙ্গ গাহে নাকো,
জীবন আর মরনটা-আজি ধরা
ছোট সাঁকো।
অশনিত বজ্র সে-প্রদীপ্ত শিখা নাই,
জান্তব কুশলতা-ঘিরে প্রাণ
কান্নাই।
মাতা ভ্রাতা সহোদরা কেঁদে ফিরে বহে প্রাণ,
আমি কবি কবিতায়-দিবারাতি
ক্রন্দন।


প্রিয় কবি ড. শাহানারা মশিউর মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "স্বপ্নপাখির শুভযাত্রা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


হৃদয় দোর


এমন উড়ান দিলেই ডানা অবশ বিকল হবেই হবে,
কুয়ার ব্যাং সাগর পাড়ি হেন
দশা পাবেই পাবে।
আকাশের চাঁদ আকাশে ভাল নয়ন সুধা ঝরা,
তাই দেখে বুক ভরলে ভালো
ধরতে কালো তারা।
হাতের কাছে রইতে ডানা প্রজাপতির অপরূপ,
রামধেনু ভাই ধরতে গেলে পথ সে বিকট
দারুন বিরূপ।
তাই বলি বুল শিষটি বাজা ঘর পানে ভাই বউখানি তোর,
রাস্তাপানে চন্দ্রবদন খুলবে নারে
হৃদয় দোর।


অনুভব (সত্য কাহিনী)
(আসরে প্রকাশিত ১২০০ তম কবিতা)


চ বুলবুল ১২০০ তম কবিতাটি খুব জঘন্য করে লিখি
যার না থাকবে ছন্দ না তাল না কথার জমাট বুনোন
ভাব ধারা গতি লয় ইত্যাদি ইত্যদি।
শিষ বাজালি পারব না দেখ তাইলে লিখছি আমি
গাধা গরুর গল্প সে এক দারুন রকম সেই কাহিনী।
তখন আমি ছোট্ট খোকা দুধের দাঁত ও পরেনি,
দিনটি কেবল খেলে বেড়োই স্বপ্ন দেখি রাজারানি।
দাদুর বাড়ি বিহার গেলে দিদির পিছে ছুটতে চলি
ছোট দাদুর বাড়ি যেতে ধরতে হয় সরু গলি।
কখন সেথায় ঢুকলো দিদি দেখতে তো ভাই পাইনি,
ছুট ছুটতে চলতে থাকি ভয় খেয়ে বুক দুরদুরানি।
অনেক দূরে হারিয়ে গেলাম তখন আমি করব কি!
ট্যাফিক পুলিশ দেখতে পেয়ে বলেই ফেলি হারিয়েছি।
পুলিশটা ভাই ছিল ভাল আমার রাখে গোল ঘরেতে
সারাটা দিন ডিউটি করে খেতেও দিল মিষ্টি পাতে।
ওইদিকেতে হই হুল্লোর সবাই ভাবে ছেলেধরা
ধরে নিছে আমায় ঠিকই চোখ সবারই ছাঁনাভরা।
ঠিক সাঁজেতে আমায় নিয়ে খুঁজতে চলে কর্মকার
এই পাড়াতে ওই পাড়াতে হরিদাস কে দরকার।
এক বাঙালি চিনল শেষে হদিস দিল ঠিকানার
রিক্সা নিয়ে সেই রাতেতে করলো গিয়ে দরবার।
আমি শিটকে ভয়েই ছিলাম পরবে বোধহয় দু-চার কিল,
কাঁদছে সবাই হাউ মাউ খাউ বাপরে বাপ কি মুস্কিল।
সেই দিনটি জীবনভর ভুলতে নারি আজও রে
এখন আমি বেশ বুঝি ভাই কেন ওরা কাঁদল বে।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "এ কোন রাজা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ইয়ারকি


মাথা ঘুরে গেছে প্রিয় কবি
চোখ ছায়া ছায়া,
আর কন্ঠ অবরুদ্ধ প্রায়,
এমন রাজা না খায় গজা
না নেয় কর-
হ্যা! আমায় মারতে
চান কি!
বুলবুলি চল আসর ছাড়ি-
কেমন তেমন
ইয়ারকি!


প্রিয় কবি মোঃ আব্দুল কাদের মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অংক নিয়ে কাব্য" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


তরবার


নারে বুল সাধ্য নাই অঙ্ক কষিবার
অঙ্ক যেন মারছে শুলি
শাণিত তরবার।
নমস্কার।