প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কবি-সম্রাট" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


শ্রদ্ধাঞ্জলি


বিধাতা লিখিতে বিধান কবিগান দিল গলে,
দিবানিশি আরোধনে বেঁধে দিতে
শৃঙ্খলে।
হরণেতে নিল মোর সত্তা সে প্রাণ মতি,
রচে দিতে দিবানিশি মম হৃদে
ভানুমতি।
ফল্গুর ধারা দিল অমৃত বাণী কথা-
হুকুমেতে হুকুমেতে লিখে চলি
তারি গাথা।
মান যত প্রাপ্য সে যিনি মোর হৃদে রন,
জোড় করে প্রণামেতে আঁখিধারা
বরষণ।
তোমা সবে ধর হৃদ লাবণ্যে মহানতা
ধারা সনে হৃদে বহে তোমাদেরি
প্রীতিলতা।
অখন্ড অব্যয় তোহে কোকোনদ সম হৃদ
প্রণামেতে জোড় কর মাগিনু
শুভাষীশ।


৮/২৫ রাত ভিন্নরূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ নির্মান হলো রবি ঠাকুরের "আমার কাছে শুনতে চেয়েছো" কবিতাটি।


"আমার কাছে শুনতে চেয়েছো"


আমার কাছে শুনতে চেয়েছো
গানের ওই কথা,
হায় রে অবোধ-
নাহিকো বারিকো জানি গানেরো
ইতিকথা।
না জানি সা নারে ধা, না নি পা মা,
ওমা! ক্ষান্তি দাওগো আজিকে
দাও নিরুপমা।
না অক্ষর না বৃত্য-না জানি মাত্রা,
তাল লয় গতি কাল-না দেয়
বার্তা।
আমি শুনি ঈশ্বর-ধ্বনি রব হৃদ প্রাণ,
লেখনীতে লিখে যান-স্বয়ং
ভগবান।
নাহি জানি রতি কনা-গাহিতে সে ব্যকরণ,
ছন্দ সে ধরে হাসে-ঈশ্বর
স্বয়ং।
আমার কাছে শুনতে চেয়েছো গানের কথা,
হায় রে অবোধ নাহিকো বারিকো জানি
গানেরো ইতিকথা।
ভাবেরো দেশেতে মিলি ছন্দ সে তার,
লিখে দেয় লেখনীতে-আদরেতে
বারে বার।
দিবানিশি ঝরে বাণী কল্প সে দেয় ধরা,
অধরেতে মধু ঢেলে-ধরা দিতে
মনোহরা।
মম চিত্তে ব্যকুলো সে-গলে দিতে মনিহার,
দ্বীপ জ্বেলে উছলেতে-আলোকো সে
দান তার।
গাই প্রাণ অন্তরে-রব ওঠে প্রান্তরে,
ধ্বনি রব বহে হৃদে-যন্তরে
মন্তরে।
কর জোরে দিশা পল-নেশা যেন জ্বাল বোনে,
নাহি জানি ব্যকরণ-ছন্দেতে কলি
গানে।
আমার কাছে শুনতে চেয়েছো
গানের ওই কথা,
হায় রে অবোধ-
নাহিকো বারিকো জানি গানেরো
ইতিকথা।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "শূন্য বাঁচা" কবিতার উত্তররে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


জ্বাল


এ জগৎ মোহময় অনন্ত ছলনার ভূম,
আশারো কিরণো ধরি বুকে সদা
ধূম্র সে জ্বাল ধুম।
বাসনার নাই শেষ আশাহত হই সদা,
লালসা ও দ্বন্দেতে দেশ জাতি
ঘর বাঁধা।
অনন্ত হুতাশন যেন প্রাণ বহে নাই,
পিপাসার অনলেতে গরলো সে
কান্নাই।
ঘুরি ফিরি দিকে রব কিরণেতে রবি কই!
লভিতে অভিষ্ট লাভ-তামসিক
হৃদে রই।
ঈশ্বরে প্রনিপাত মাগি ধন আহ্লাদে,
ভুলে যাই শান্তি সে বিজন সে
শ্মশানেতে।


প্রিয় কবি খলিলুর রহমান মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ভিখেরির ভয়" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


জ্ঞানচক্ষু


ভবের হাটে করতে আশা ধরতে জীবন নাই,
জ্ঞানচক্ষু উন্মিলনে সৎ ভাবনায়
চলতে তাই।
আশার কিরণ দ্বীপ সে জ্বালা
প্রেম ভাবনায়
হৃদ,
ভাবতে ধরা আপন সে জন-
নাইবা পেলাম সুজন
সুহৃদ।
দুঃখ জানি ভূষণ ভবে কান্না জানি প্রাণ,
ব্যথার বীণে অশ্রুঝরা-আবেগ
জড়া গান।
তাই কুলকুল বয় যে নদী স্নিগ্ধ জলের ধারা,
আকাশ ভাসি কান্না হাসি-রূপ সে
মনোহরা।
দুঃখ জয়ের সোপান তলে উজার করে প্রাণটি মেলি,
খেয়ালেতে ভাবের দেশে-ফাগুন রঙ এর
কথাকলি।


প্রিয় কবি সমীর প্রামাণিক মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ঠিকানা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


তিনটি কলি


১)
কে বলে ঘর ভূমি্র তলে
সসাগরা উড়িতেছে-
মহাকাশ পাদ
তলে।
২)
অবকাশ কাঁদে প্রাণ
অনন্ত ভৈরবে
শেষ নাই শেষ নাই
পুরু আর
কৌরবে।
৩)
আশা তার শেষ নাই উঁচু ধরা শির,
মাতঙ্গ দিশাহীন-ধন বাঢ়
ভীড়।


প্রিয় কবি ডলি পারভীন মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মানবতা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


রঙ্গ


বিচিত্র মানুষ তার বাড়া বিচিত্র তার স্বভাব,
যত পায় আরো চায়-কভু
মেটে নাকো অভাব।
তপ্ত সে বায়ূ বহে গনগনে লকলকে,
লালসায় নাল বায় ঝকমকে
চোখে মুখে।
শান চাই ধন চাই মান সে তো ভঙ্গ,
বাড়ি গাড়ি নারী চাই
গোপনেতে রঙ্গ।
আকাশেতে মাথা উঁচু ধরাতল দেখে নাই,
শূন্যেতে ভেসে ভেসে চাঁদ তারা
ঠিকানাই।
কাল বয়ে যায় বেলা পরন্ত বিকেলেতে,
অনন্ত প্রাণ কাঁদে তামসিক
বিকারেতে।
অঝোরেতে বারি ধারা নেমে আসে ধরাতলে,
দাবানলে ছারখার জরাকালে
তাল তোলে।
অদূরেতে শ্মশানেতে মন্দিরে ঢং ঢং,
যত দুখ মিটে যায়-যাহা কিছু
ভঙ চং।


প্রিয় কবি রিঙ্কু রায় (আবৃত্তিকার) মহাশয়ারা আজ প্রকাশিত "বাঁশি বিভ্রাট" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


বাঁশুরী


ছলকে ছলকে ছলনাতে কাঁদে রাধা
যমুনাও দিল কেঁদে,
মোহনাতে এলো জল-
বাঁশুরী সে
অবসাদে।


প্রিয় কবি প্রশান্ত কুমার ঘোষ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "হাইকু-২" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


হাইকু।


দ্যাখ কানাই-
কবিতা!