০৮/৫৪ মিঃ রাত পুনঃ নির্মান হলো ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রবিঠাকুরের "আলো তার পদচিহ্ন " কবিতাটি।


রবিঠাকুরের মূল অণু কাব্যটি এইরূপঃ-
"আলো তার পদচিহ্ন "


আলো তার পদচিহ্ন
আকাশে না রাখে;
চলে যেতে জানে,
তাই চিরদিন থাকে।


আর আমার লেখাঃ-
"আলো তার পদচিহ্ন


আলো তার পদচিহ্ন আঁধারেতে নয়নেতে,
জাগি প্রাণ দুনয়নে আজি ধরা
প্রাণে মেতে।
উজ্জ্বল হয় দিশা দূর হয় তমানিশা স্পন্দণে বিদ্যুৎ,
শিহরণে জেগে উঠি হেরি তারি
প্রদ্যুত।
বিকশিত হয় কলি শতদল জাগে দলে,
উল্লাসে ধরা জাগে-শিহরণে দলে
দলে।
হিরকেতে জাগে তনু আলো তার চিহ্ন,
তুহি হৃদি প্রাণ মম-নহি মোরা
ভিন্ন।
নিশিদ্ধ পুরি হতে আহ্বান গীতি ধ্বনি,
যেন রব কল্লোলে-আজি প্রাণে
মম শুনি।
ফাল্গুনি সিঁদুরেতে আদুরেতে ঘন দিশা,
আলো তার চিহ্নতে-দূর হয়
তমানিশা।
ওগো ভানু শোন রব হৃদয়েতে গাহ গীত,
আজি ধরা চঞ্চল-আজি গাহো
সঙ্গীত।


প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ছোট আমাদের গায়ে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


অজয়ের কূলে


গুঞ্জনে ভ্রমে অলি ফুলে ফুলে ওড়ে,
ছায়া ছায়া তরু গাছে
অজয়ের কূলে।
ঝুম ঝুম নূপুরেতে বঁধু কাঁখে কলসীতে,
ধীরে ধীরে ছোট পায়ে অজয়েতে
জল নিতে।
ধূপ ছায়া করে খেলা আকাশেতে কালো মেঘে,
মাঝে মাঝে দমকা সে মন্দ সে
বায়ু বেগে।
একতারা বাউলেতে ডুগডুগি ধরে তান.
তারে ঘিরে খোকা খুখি করে সবে
কলতান।
কুলুকুলু কলরবে অজয়েতে বহে পানি,
ছিপ নিয়ে গুতোগুতি রাম শ্যামে
টানাটানি।
খুকি সবে গামছাতে ছেকে ছেকে মাছ তোলে,
ছোট ছোট গুঁড়ি মাছ অজয়ের
মিঠা জলে।
মতি মিঁয়া বড় ডিঙ্গি উঁচু তার জ্বাল খানি,
বাঁশ আর জাল দিয়ে জল করে
টানাটানি।
বঁধু জল ভরা হলে গল্গেতে মাতামাতি,
মাছ ধরা শেষ হলে ঘরে ফিরে
যায় মতি।
ধীরে ধীরে আলো যায় অজয়েতে ডুবে রবি,
পাড়ে বসে অপরূপ আমি লিখে যাই
কবি।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মাকরশার জাল-(ব্যঙ্গ) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


গুণী


দিকে দিকে অশান্ত খর বায়ু বেগে বহে,
ছলনাতে শত ফাঁদে-ঘুঘু সবে
কুঁহু কহে।
শকুনির দৃষ্টি সে অশান্ত ঘূর্ণিত,
লহরেতে লহরেতে বায়ুবেগে
প্রবাহিত।
প্রদাহিত জীবনেতে কান্না সে রব ধ্বনি,
শত ফাঁদে অবসাদে-ধরা গান
দিকে শুনি।
সড়া জ্ঞানে তারা গোনে ধনী ধন ধান্য,
শোষণেতে মেতে যারা-তারা
গুণী মান্য।
স্তাবকেরা জ্বাল বোনে দিকে দিকে দিকে দিকে,
পেষণের চাকি আটা-জীবনের
রঙ ফিকে।
জীবনের গতিধারা তারা প্রাণ রঙ্গীন,
শোষণ আর বঞ্চনা-সাধারণে
সঙ্গিন।
বুলবুলি বাজে নাতো গোলাপেতে নেই ঘ্রাণ,
কেড়ে নিতে অবনীতে-মান্য সে
শয়তান।
দিকে রব ধ্বনি তোল ভেঙ্গে দিতে ছাড়খাড়,
অনেক অনেক অনেক অনেক তো হলো-
মুষ্টিতে করো
বাঢ়


প্রিয় কবি ড. শাহানার মশিউর মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "সাদা গায়ে কাদা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


পাথেয়


মানসিক দৃঢ়তা আর অনমনীয় কঠোর আত্মবিশ্বাস,
ত্যাগ তিতিক্ষা কঠিন সঙ্কল্প
জীবনে চলার পথের
পাথেয়-
যে জন করে ভক্তি
সে পায় শক্তি সাধিবারে
পন,
মাটি জল বায়ু ভূতল ও গগন
রহে অম্লান।
স্নিগ্ধ সে স্রোত বহে-কুলুকুলু ধ্বনি তার,
পূজ্য সে ধরাধামে-অন্তরে
আপামর।


প্রিয় কবি ড. প্রীতিশ চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কালনাগিনী" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


কালনাগিনী


দেখ রে বুল কয় কি কবি কালনাগিনী ওরাই নাকি,
প্রেমের ছলনাতে ওরে বলছে কবি
দিতেই ফাঁকি।
তাই কি বলি এই ধরাতে শান্তি কেন আসেই না,
রব ধ্বনিতে কাঁপতে ধরা সব ঘরেতেই
কান্না।
শিষ দিয়ে তুই যতই বাস-ওদের যতই ভালো,
ভৈরবেতে তান দিয়ে ভাই-ভিতর ওদের
কালো।
গর্জে ওরা বাজের মতই শেল দিতে ওই প্রাণ,
কলা আর ছলায় মেতে ধরতে প্রেমের
গান।
তুই বুলবুল ডুবেই যাবি বলছি খাঁবি খাবি,
শিষ বাজানো বন্ধ হবে-বলছি আমি
কবি।
নমস্কার।


প্রিয় কবি দীপ্তি রায় মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "টাঁক (ছড়া) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


সোপান


টক টকানি টাকের কথা চকচকানি তেল মারা,
তাক ধিনা ধিন তাক ধিনা ধিন-
যাদের টাক মাথা ভরা।
তাল তলাতে বেল তলাতে-যাবেন নাকো হুক্কো হাতে,
পরলে বেল কিংবা তাল-মাতাল হবেন
সেই দিশাতে।
প্যাক প্যকানি গল্পখানি বেলতলার ওই সেই কাহিনী,
জাতার কলে পরলো বুড়ো-
বেতাল হলো জীবনখানি।
রক্তখানি গড়লো অনেক ট্যাহার শ্রাদ্ধ
অনেক খানি।
তাই কি বলি সঙ্গোপনে নয়ন রাখুন উব্ধপানে-
নইলে সোপান ধরতে উপর-পরতে দারি
জীবন গানে।