"ক্ষতি"


খোকা খাবে পান্তা ইলিশ
মায়ের চোখে জল,
বাপ যে তার গরিব অতি
কোথায় পাবে
বল!


তাই কী খোকা মানেই নাকী!
দিতেই তাকে হবে,
ইলিশ ছাড়া কোনও কিছুই
বলছে সে না
খাবে।


কাঁদছে খোকা কাঁদছে মা তার
দুখের সে পল অতি,
দাও না ওদের একটু, ও মা!
কী আর হবে
ক্ষতি।


“এলেবেলে”


আমিও ছিলাম, তুমিও ছিলে
চলতে গিয়ে এলেবেলে
টলমলেতে পায়!
এর কোলেতে ওর কোলেতে
আদুল তনু
কায়।


“হেল”


তেল ঘটিতং কার্য কারণ
চকচকে শান মারা,
তাহার বিনে শুনেন দাদা
হবেন সর্বহারা।


চাকরি কী বা বাকরি বলেন
বকরি হবেন সবখানে,
দুঃখ দরদ বাধবে বাসা
বিরহ গীতি বাজবে প্রাণে।


সর্ষে ফুল ঐ চারদিকেতে
তাহার বিনে দেখি,
বস হয় গো বেজার ভীষণ
নখরা দেখায় সখী।


ঘর বারেতে দশ দিশাতেই
মাখতে চলো তেল,
নইলে জীবন করুণ তোমার
হবেই যেমন
হেল।


“কাঁছা”


আজকাল ভাই পাল্টে গেছে
প্রেম পিরিতির বুলিটাই;
ফেসবুকেতে জমাট বাধা
ঠাকুর মার ওই ঝুলিটাই।
দেখা শোনা ডেটিং এ তে
ফিটিং সবাই হয়;
ধান্দাপানি রাঙ্গা পানি
প্রেমের কথা কয়।
শেষের সে দিন করুণ অতি
নরুন দিয়ে চাঁছা;
যা খুশি তাই করুক না দা
আমরা বাধি
কাঁছা।