কী ভাবে কবিতা লেখা যায়! মনে রাখবেন প্রিয় কবি, কবিতার ভাষা আবেগ, যুক্তি ও বস্তুনিষ্ট। কবিতা মানে হৃদয়ের উপলব্ধি সাহিত্যের ভাষায় ছন্দে গেথে ফেলা। আগেই বলেছি, অনুভব করতে শিখতে হবে অপরের সুখ দুঃখ ভালো মন্দ। কিভাবে শেখা যায় তা আগেই বলেছি। মনকে তার মনের সমানুপাতিক স্তরে আনতে হবে, অনুভব করতে হবে তার দুঃখ , ক্রোধ বা আনন্দ ইত্যাদি। কবিতা সুখের হতে পারে, দুঃখের জলেও লিখতে পারেন বা দ্রোহ বা বিরহ ব্যথা। হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে পারলে তার কথাগুলিই আপনার হৃদয় থেকে বার হয়ে আসতে থাকবে। যেমন ধরে নি ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে কেউ সে লোন শোধ দিতে পারে নাই। তাই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ অনেক পুলিশ নিয়ে এসে তাকে ও তার পরিবার কে ঘার ধাক্কা দিয়ে বার করে দিচ্ছে। তার মনের পরিস্থিতি তখন কেমন হতে পারে। লিখতে চেষ্টা করে দেখি।


স্বপ ছিল গড়বো মহল দুই মঞ্জিল ঘর
আর পরিবার রইবে সুখে, তাদের
সুখের তর।
কপোত সুখে রইতে তাদের ঋণের বোঝা নেই
মাইনে যা পাই ঘর চলে যায়, সুদের টাকা
নাই।
দিন চলে যায় মাস বৎছর লাল চিঠিরই খামে
সুদ আসলে ফেরৎ যে চায়, আর নাহিকো
মানে।
ছোট্ট সে পদ অফিস আমার কোথ্থেকে পাই ধন
হৃদয় ভাঙে যখন আমার নিতেই
আবাসন।


আপনি হয়তো এভাবে এগোবেন তবে আমি কিন্তু এ রাস্তায় যাব না। কিছুটা রূপক কিছু অনুভূতি আর সাহিত্য। যেমনঃ-


শূন্য হৃদয় আঁখি তারা-সে তো আজি খসে পরে
প্লাবনেতে ডুবন্ত-আঁখি তারা
আবাসনে।
আশ ভাষ কিছু নাই নিরবেতে আসু ঝরে
দীনতার বেদনাতে প্লাবনেতে ঘরে
দোরে।
আপনার গৃহ ভূমে নাই আর মোর দ্বার
পরিবার সকলেতে ভেসে জলে
মল্লার।
প্রাণান্ত হীনতারই বাস বহে সমীরণ
বিজিত সে প্রজা তারি সীমাহীন
ক্রন্দন।
আমানতে ধরা গৃহ আমানতকারী সবে
কেড়ে নেয় বাস ধাম কেহ নাহি আজি
ভবে।
কোথা আজি ঈশ্বর আল্লাহ খোদা প্রভু
প্রলয়েতে আজি বাস প্রাণ সবে নিভু
নিভু।


আশাকরি কিছুটা বোঝাতে পারলাম। একটা কথা না বলে পারছি না, লেখবার সময় আমার কপোল বেয়ে ধারা বইছিল। আরও কিছুটা হয় তো লেখা হতো তবে তা আর হয়ে উঠল না, ক্লায়েন্ট এসে গেছে একজন।


নিবেদনে আপনাদের প্রিয় সঞ্জয় কর্মকার।