কবিতা লিখতে যেটা সবার আগে দরকার আবেগ আর তা কী ভাবে রপ্ত করতে হয় আজ তা বলবো।


ধরুন কোনও মেয়ের নতুন বিয়ে হয়েছে। পণ এর জন্য শ্বশুর বাড়ির চাপ। নিত্য গঞ্জনা শুনতে হচ্ছে তাকে। তার বাবা ছেলের বাড়ির দাবি মেটাতে পারছে না। স্বাভাবিক ভাবেই মানসিক তো বটেই শারীরিক লাঞ্ছনাও তাকে সহ্য করতে হচ্ছে।


আপনাকে ভাবতে হবে তার জায়গায় থাকলে আপনার মানসিক পরিস্থিতি কেমন হতে পারত। আপনার হৃদয় কে তার সমানুপাতিক হতে হবে।


এখানে একটা কথা মনে এলো। সেটা হল শ্রীরামকৃষ্ণ ঠাকুরের ইতিহাস। দূরে কেউ ছোট বাচ্চাকে বেত দিয়ে মারলো। ঠাকুর এতটাই কষ্ট পেলেন যেন বাড়িটা তার লেগেছে। যথারীতি তার শরীরের সে জায়গায় বেতের বাড়ির দাগ ফুটে উঠলো। এটা সাইন্টিফিকালি সত্য এবং হতে পারে। আমিও মানি সেটা। অনেক অনেক ঘটনাতেই আমার চোখে জল চলে আসে। কপোল দিয়ে ধারা বইতে থাকে। অনেক লেখার সময়ও আমি কাঁদি বা কাঁদতে কাঁদতে লিখতে চলি।


যেটা বলছিলাম, অনুভব আত্তীকরণ করা শিখতে হবে আগে আর তা কী ভাবে রপ্ত করা যায় সেটা আগেই লিখেছি।


এবার আবার সে প্রসঙ্গে চলে আসি।


দুঃখ ভূষণ আজ আমার ই গোলাম যে এই ভবে
এ দোর হতে ও দোরেতে, বোঝাই সবাই
ভাবে।


মানে মেয়ে ছেলেটি এর বাইরে আর কী চিন্তা করতে পারে এমন মুহূর্তে, বলতে পারেন।


ভাব নেই মোর স্বাধীন আমি নাই কো সে পল মোর
নিত্য রবে কূ ভাষণে ঘনায় আঁধার
ঘোর।


এভাবে এগিয়ে চলবে তার কাহিনী। সৃষ্টি হবে সাহিত্য, কবিতা।


হার্দিক শুভকামনা সহ আপনাদের প্রিয় সঞ্জয় কর্মকার।


সংযোজনঃ-


প্রেম সে দুয়ার রুদ্ধ আজি ভাষণ সে কূ শুনি
শূন্য যে মোর হৃদ প্রাণেতে , ধনের সে রব
ধ্বনি
আর লাগেনা ভালোই ধরা আকাশ পানে চাই
নিত্য সে রব গঞ্জনাতে, শান্তি আমার
নাই।
তাই করেছি দিতেই দারি জীবন সে মোর ফাঁসে
যাবই ছেড়ে এই ধরাতল, বাঁচতে জীবন
ত্রাসে।
মেয়ের জীবন আর দিও না ঠাকুর আমার প্রাণ
চাই যে আমি এই টুকুন ই, ঠাকুর রেখো
মান।
আসছে নতুন মাতবো প্রাণে পুরুষ ধরা ভবে
মাতবো হৃদয় ছন্দ কথায়, পুরুষ
অনুভবে।


মানে মেয়েটি ফাঁসি দিল এসব বাসনা নিয়ে। আগের জন্মে সে আর মেয়ে হতে চায় না পুরুষ হতে চায়।