আমি আমার আগের লেখাগুলিতে বার বার বলে এসেছি। দিশা ঠিক করেও যা ইচ্ছে তাই প্রথম লাইনটা লিখে ফেলতে হয়। যদি দিশা ঠিক করা থাকে তো ভালো কিন্তু দিশা ঠিক না করেও প্রথম লাইটা একটুকু সাহিত্যের ছোঁয়ায় যা ইচ্ছা কল্পনা করে লেখা যায়।


যদি ওয়াইল্ড গেস করে প্রথম লাইনটা লিখে থাকি তো তার পরের লাইনে দিশার খোঁজ চালু হবে মস্তিষ্কে। প্রথম লাইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটু ভাবনায়ে লিখলেই তখন দিশা পাওয়া যায় আর আমি আমার আগের লেখাতে ওয়াইল্ড গেস করে প্রথম লাইন লিখে পুরো একটি কবিতা সম্পন্ন করে তা দেখিয়েছি।


এর পরের কাজ। দিশা পেয়ে যাবার পর কাজ যেটা হলো তা হলো একাগ্রতা। সে দিশায় লীন হয়ে যেতে হবে নিজেকে আর সে ভাবনার বিস্তারে যেতে হবে।


দিশা যদি দুঃখের বা বিরহের হয় তবে মনকে সে স্তরে নামিয়ে আনতে হবে আর সে দিশাতে মনকে নামিয়ে আনতে পারলে আপনি দেখতে পাবেন, আপনার চোখ ছলছল করছে। আর যদি হর্ষ বা আনন্দের হয় তো লিখতে লিখতে আপনি হাসবেন, সুরেলা হলে সুর ধরে নেবেন। এটাই একাগ্রতা।


সে স্তিতিতে কবিতা তো আপনা আপনি লেখা হয়ে যেতে থাকে। তবে, এটা অবশ্যই খুবই দরকারি, স্টক অফ ওয়ার্ড, সমার্থক নানা শব্দ আপনার নখদর্পণে থাকতে হবে আর তার জন্য লাগবে অবশ্যই অনুশীলন। শিখে নেবার আগ্রহ।


কবিতা একপ্রকার ভাবে ভেসে লেখা হয়ে থাকে। সে ভাব আনন্দের হতে পারে বা দুঃখ বিরহ বা ব্যঙ্গ বা দ্রো্হ দ্বেষ আর লিখবার সময় যদি আপনার অভিধান ঘেটে শব্দ নিতে হয় তো আপনার আবেগ ক্ষুন্ন হতে বাধ্য আর তাই সে লেখা খুব একটা ভালো হবার নহে।


যদিও প্রোফেশনে আমি কবি নই ব্যাবসায়ী। কবিতা আমার মন আর হৃদয়ের খোরাক তাই লিখি আর লিখতে গিয়ে যেসব অনুভূতি আমার প্রাপ্ত হয়েছে তাই আমি শেয়ার করলাম।


এ নেশায় আমার অনেক দরকারি কাজ নষ্ট হয়, আর্থিক ক্ষতি স্বীকার করতে হয় তবুও আমি পারি না এ আসর ছেড়ে যেতে। আমার মনে হয় এটাকেই বলা হয় অধ্যাবসয় মানে মানুষ যে কাজে সন্তুষ্টি পায় সে কাজ দিন রাতেও তাকে কোনও পীড়া দিতে পারে না।


আমার আগের লেখাগুলি পাঠ করলেই , থিওরী অফ এলিমিনেশন কী , বুঝতে পারবেন। আর সে থিওরী আত্মগত করতে পারলেই পারবেন বিন্দুতে মন সিন্ধু ধরতে। যারা সে লেখা পাঠ করেন নি, সংক্ষেপে বলে দি, আমি একটা লেখা লিখছি আর আপনি দুম করে এসে চিৎকার চেচামেচি করতে থাকলেন। আমি সেই মুহুর্তে আপনাকে এলিমিনেটঁ করলাম, মানে মন একবিন্দুও দিলাম না আপনার চিৎকার বা বিষয়েতে। আমি আগে আমার একাগ্র মনে আমার লেখা শেষ করেই আপনার দিকে চাইব আর জিজ্ঞাসা করবো কী হয়েছে। এটাই আমার এলিমিনেশন থিওরী। শারীরিক আঘাত ও আমি এলিমিনেট করতে পারি।


যাই হোক, প্রথম লাইন যা ইচ্ছে তাই লিখে আমাকে দিন, আমি দিশা ঠিক করে বিস্তারে গিয়ে একটা কবিতা নিমেষের মধ্যে লিখে দিব।


হার্দিক শুভকামনা সহ আপনাদের প্রিয় সঞ্জয় কর্মকার।