গত ১১/১২/২০২২ তারিখে কলকাতা টালিগঞ্জ অশোকনগর স্থিত প্রখ্যাত মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী এন্ড মার্টার যতীন দাস মেমোরিয়াল হলে অনুষ্ঠিত হলো বাংলা কবিতার উৎসব আয়োজন।


মূলত প্রিয় কবি গৌতম রায় মহাশয় অনুরোধে যদিও এমন যে কোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করি আর সেখানে উপস্থিত হতে কোনও কার্পণ্য রাখি না, সৌভাগ্য হেতু সেখানে আমন্ত্রণ পেয়ে যারপরনাই খুশি হয়েছিলাম আর উৎসবের একদিন আগেই সেখানে উপস্থিত হয়েছিলাম। কাঁথিতে অনুষ্টিত বাংলা কবিতার আসরের অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে একদিন আগেই গিয়েছিলাম কারণ এত দূর থেকে সারা রাত জার্নি করে সকালে পৌঁছে সকাল ১০ টার অনুষ্ঠানে সঠিক সময়ে উপস্থিত হওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে তাই।


চমৎকার অভ্যর্থনায় অভিভূত আমার থাকার ব্যবস্থা সেই হলেই তারা করে দিয়েছিলেন তবে আমার রাতের তাতে বিঘ্ন ঘটবে সেখানে থাকলে তাই আমি বিনীত অনুরোধে সেখান থেকে দু স্টপেজ দূরে হাজরা মোর কালিঘাটে একটি হোটেলে উঠি। যথারীতি প্রিয় কবি গৌতমদা আমাকে হোটেলে ছেড়ে যান।


পরদিন সকাল সারে নয় টায় অনুষ্ঠানে সঠিক সময়ে পৌঁছে যাই। এক ঘন্টা পর সব কবি এলে প্রথমেই হলের দোতালায় প্রাতরাশ চলে প্রায় আধা ঘণ্টা। পুরি আর ছোলার ডালের স্বাদে ডুবে যাই প্রাত কালেই।


তারপর শুরু হয় অনুষ্ঠান।


প্রথমেই খাদা পড়িয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয় মঞ্চে উপবিষ্ট সভাপতি সহ অন্য গুণীজনেদের। তারপর একে একে সম্পাদক সভাপতি আমন্ত্রিত অথিতির বক্তৃতার পর শুরু হয় কবিতা পাঠের আসর।


একে একে ৫০ জন কবি তাদের কবিতা পাঠ করেন সে অনুষ্ঠানে। আমি প্রায় প্রথম দিকেই ডাক পেয়েছিলাম। সেখানে কবিতা উৎসব বইতে প্রকাশিত আমার ফুল মতি কবিতাটি সেই বই দেখেই পাঠ করেছিলাম।


ব্যবস্থাপনা এতটাই সুচারু ছিল যা বলতে গেলে আশাতীত। এতটাই ডিসিপ্লিনড যে কল্পনার বাহির। অনুষ্ঠান চলাকালীন কেহই চেয়ার ছেড়ে উঠেন নাই তেমনই কবিতা পাঠ অন্তে হাততালি আর শুভেচ্ছাতে ভরিয়ে দেয় সকল কবি অন্তরকে।


মধ্যাহ্নভোজন ছিল রাজসিক।


ওখানে সমগ্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে আর যেহেতু একদিন আগের থেকেই তাদের সাথে আমার চলাফেরা তাতে বেশ ভালোই বুঁজতে পেরেছি যে অনুষ্টানটি অনুষ্ঠিত হয়েছে শুধুমাত্র ডোনেশনের টাকায়। পূর্বের দিনই অফিসে আমার সামনে ফোনে কনফার্ম করেছিলেন চার হাজার টাকার ডোনেশন। দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজনের পর সবাইকে কাশ্মিরী পেয়ারা এসেছিল ডোনেশনে।


কবিতার আসরের সদস্যদের মতবিরোধ আর নানান বক্তব্য তখন যেন তীর বিঁধে যাচ্ছিল অন্তর যা অবান্তর সমস্ত মনে হচ্ছিল সে ক্ষণ।


যাই হোক এমন একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আমি নিজেকে গর্বিত বোধ করছি আর স্বদেশী যোদ্ধাদের দ্বারা এমন স্থাপিত একটি প্রতিষ্ঠান যা কী না তাদের সপূত্র বা আত্মীয় দ্বারা আজও স্বদেশের প্রেম বহন করে সমাজ কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে তাদের প্রতি অনেক শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এখানেই ইতি টানলাম এ লেখা।