“আজ কবিতা দিবস তাই মানা নাই কবিতায়”,”আঁধার রাতি”


“আঁধার রাতি”


কেবল দিবস! আমার তো ভায়; তেলেস বাতি
কাব্য গাথায় ডুবতে ভালো, দিবস নহে
আঁধার রাতি।
জ্বালতে বাতি আঁধার যেথা; দীপ্ত সেথায় শিখা
দিবস লোকে আলোক ধারায়, যায় না তো
ভাই দেখা।
জেমুন ধনী ধন্য ধনে মূল্য সেথায় খাদ্য কি!
হেলায় ফেলায় চলতি রাহে; আর্ত জনায়
চিনলো নি।
তাই তো রাতি আঁধার তমা; কবিতার ঐ বাসর ঘর
যেথায় আলোক উৎস কথা; কাব্য গাথাই
আপন পর।


চলুন তাদের জন্য কিছু লিখি (ব্যানকৃত)
- সঞ্জয় কর্মকার
করোনা আজ সারা বিশ্বে তার বিভীষিকা ছড়িয়ে দিয়েছে। অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছে সে মারণ রোগে। দিকে দিকে হাহাকার। সমগ্র বিশ্বে প্রলয় ধ্বনি নিনাদিত। সরকার থেকে আপামর জনতা ভয়ে আতঙ্কে ঘর বন্দি। নানা প্রকার স্বাস্থ্য বিধান মেনে চলতে হচ্ছে আপামর জন সাধারণ কে। নিকট জনের মৃত্যু হলেও শেষ বিদায়, একটুখানি স্পর্শ করা যাবে না। শুধুই চোখের জল। কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না। দূরে সরিয়ে রাখতে হচ্ছে নিজেকে।


সেই পরিস্থিতিতে যারা ডাক্তার নার্স আর স্বাস্থ্য কর্মী নিজের জীবন হাতে নিয়ে দিন রাত একাকার করে যাচ্ছেন।
চলুন আমরা কবিকূল তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তাদের জন্য সবাই কিছু লিখি।


"অগ্রগামী"


সবাই যখন মুখ লুকায়ে সেবার ব্রতে অগ্রগামী
চিকিৎসকের মহানতায়; ভাবনা হৃদে
ধন্য আমি।
ধন্য তারা ধরার মাঝে দূর লুকায়ে যায় না তারা
সবার আগে জীবন হাতে; তাদের সেবায়
ধন্য ধরা।
আর যাহারা স্বাস্থ্য সখী রাত্র দিবা একাকার ই
তাদের তরে সেলাম আমার, দু কর আজি;
জোড় ধরি।


ধন্যবাদ ও শুভকামনা।


“সালাম”


সালাম তোমায় সালাম হে বঙ্গবন্ধু হে মুজিবর রহমান;
দীপ্ত তোমার কণ্ঠ তোমার উচ্চ তোমার শির
অমর তুমি শ্রেষ্ঠ তুমি হে বাংলার বীর।
মন্ত্র দিলে সাধন ব্রত বজ্র দিলে বাণী
ভাবতে দিলে হৃদ সাগরে অধীনতার গ্লানি।
জয় বাংলা শ্লোগান দিলে স্বাধীনতার হাক
চমকে ওঠে শত্রু শিবির হটিয়ে দিলে পাক।
রুধির ধারায় লিখিত হলো স্বাধীনতার গান
মৃত্যু তোমার হয় নি যেনো অমর তোমার প্রাণ।
দীপ্ত তোমার কণ্ঠ তোমার উচ্চ তোমার শির
অমর তুমি শ্রেষ্ঠ তুমি হে বাংলার বীর।
সালাম তোমায় সালাম হে বঙ্গবন্ধু হে মুজিবর রহমান


“বাজ”


চাই, শুধু চাই! দিতেই মানা; স্বার্থ রহিত কাজ!
নাই করে না, কেউ করে না, করতে চলে রাজ।
ধান্দা পানি
গঙ্গা জানি,
দান দখিনা নাই তো জানা, দিতেই মাথায় বাজ।


"পারে নাই"


যুগে যুগে কালে কালে, মেতে ছিল প্রলয়েতে
ধ্বংসের বীজ বুনে জীবনের বলয়েতে।
পারে নাই, পারে নাই; প্রাণ সে তো মুছে দিতে
সসাগরা মনোহরা প্রশান্ত
অবনীতে।


“মানুষের মত চলি”


ধ্বংসের কলোরোলে হাহাকারে ধরা দিক
জোড় করে সবে আজি জীবনের চাহি ভিখ;
সম স্বরে সমতাতে ধনী কি বা গরিবেতে
সাম্যের রব ধ্বনি আজি শুনি
করোনাতে।


এসো আজি সবে মিলি সাম্যতা সুর তুলি
করোনাতে লব্ধ যা; শিক্ষা সে নাহি ভুলি।
বিসমতা বিষ ভাব আজি হতে পায়ে দলি
ভেদ হীন সমাজেতে, চলো;
মানুষের মত
চলি।


“জানি”


করোনার থাবাতে গো, জনে জনে অস্থির
নাই জেনো ছাড়াছাড়ি হোক না সে
বড় বীর।
আমেরিকা ইতালি; সব দেশই হ]লো বলি
তাই চলো সাবধানে যুগটা যে
ঘোর কলি।
দেহ হতে দেহতেই, চলে সে তো হানা দেয়
তাই শোনো ভিড় হতে; যত দূরে
থাকা যায়।
কান নাক মুখে হাত, দিও নাকো কক্ষনো
সাবানেতে বারে বারে, হাত ধোও
বলি শোনো।
হাঁচি কাশি লালাতেই বিস্তার হয় সে তো
রুমালেতে মুখ বাঁধো; বাহিরেতে
অবিরত।
সাবধানে থেকো ভায়া ভয় ভীত হয়ো নাকো
জ্বর জ্বারি হলে পরে কোরো নাকো
তুকতাক ও।
এদেশেতে ঘরে ঘরে কোণে কোণে চলো মানি
সময়ের হের ফেরে, পুনঃ; সবই ঠিক
হবে জানি।


“কঠিন সময়”


বড়ই কঠিন সময় বিশ্বময়, হাহাকার ধ্বনি রবে
বিষাদ ও বেদনা করিতেছে রাজ, সুখ আজ
নাহি ভবে।
প্রলয়ো নিনাদে থর থর থর কাঁপিতেছে ধরা
মৃত্যু সেথায় মাতম করিছে নাই নাই
মনোহরা।
মন্দিরে নাই আহুতির রব মসজিদ গির্জায়
হাহাকার ধ্বনি ধ্বনিত প্রলয়ে দিকে দিকে
দিকে হায়।
প্রভাতীক সুখ স্বপনের রাতি কুপিত গরল ধরা
করোনার বিষ দশ দিশা ছায়ে বেদনার
বহে ধারা।
ওহে কৃপাময় পরম পিতা হে, তোমাতে সঁপিনু প্রাণ
নেমে এসো আজ রুধিতে তাহারে, রেখো হে
তোমার মান।


“রূপ”


থেমে নেই শুধু হিংসার গান; বিদ্বেষ ভরা বিষ
হলাহলে নাই ক্ষণিক বিরাম, রব শুধু
হিস হিস।
তবু থেমে নেই গরল সে পল বহ্নি জ্বালার ঢল
থেমে গেছে সব থামিছে না তা, বহিছে
অবিরল।
ধন্য মানব দুহাত জুড়ি হেরিয়া আত্ম গ্লানি
হায়েনার রাজে গৃদ্ধের বোলে; চতুর
চপল বাণী।
কোথা আছো রব এসো গো ত্বরায়; সৃষ্টি তোমার দেখো
কিরূপ বিরূপ কদাকার রূপ; ক্রোধিত
বুলিতে হাকো।
রুষ্ট কি তাই হৃদয় তোমার ডালিতে এসেছো সাজি
ধ্বংসের বোলে উদ্যত তুমি; করোনার
রূপেতে আজি।


“করুণা”


করোনাতে করুণা, না না না, কোনও স্থান নাই
দিবা রাতি মগ্ন সে তাজা
খুন চাই।
কাহাকেও ছাড়ে নাকো তার পাতা ফাঁদ
দিকে দিকে হাহাকার আর
অবসাদ।
রূপে গুণে গুপ্ত সে প্রাণ টাই রসনা
উদ্দাম তপ্ত সে; মারাটাই
বাসনা।
তবু বলি গুড়ে বালি সে তো;  পড়বেই বলে যাই
মানুষের বাণেতেই, তারে চলো
মারি ভাই।