আমি কর্মকার; কর্ম আমার অধিকার
মাঠ ঘাট পথে করি অহরহ চাষ তার।
শ্রমিকের হাতুরে, দিল্লি বা লাতুরে
মজুরের কোদালেতে লোহা সম
ধাতু রে।


কৃষাণের লাঙলে, হাল বেয়ে যাই চলে
কামারের হাপরেতে উড়ে চলি পাখা মেলে।
মুচি ডোম মেথরের কাজ করি
অবহেলে।


শহর বা বন্দর, নগর কি জেটি গ্রাম
দুই হাতে শ্রম ঢেলে গড়ে তুলি মনোরম।
মদিরাতে যারা মাতে সুউচ্চ ইমারতে
প্রতি ইঁটে লেখা জেনো আমার ওই
সাধু নাম।


শ্রম তারই গাহি গান, নাই গ্লানি নাই মান
কর্মেতে লীন সদা জেনো মোরে
শবনম।


মানবতাবাদী লেখা, “মা”


মা ওই দেবী , মা ওই স্বর্গ
মর্ত পাতাল তল;
মা বিনে অনাথ ভুবন,
কঠিন বড় জীবন যাপন;
মা!


তার যে নেই কোনও
উপমা।


মমতার জঠরেতে
মেতে উঠি প্রাণ মেতে;
কত কথা কত স্মৃতি
গুমরে গুমরে উঠি
শিহরণে কহি মা!
তুমি অনু-
পমা।


বিরহের লেখা, “মিষ্টি”


যাকে ভাবিনি এতটুক
সেই কিনা মিষ্টি;
যার লয়ে গেয়েছিনু
শেষে প্রলয়ের
সৃষ্টি।