এক যে ছিল কর্ণ সাহেব ভীষণ রকম শঠ
ডি এম সাহেব বলতো সবাই, ছিল ঠ্গ বাজারির ঠগ।
পিওন সাহেব ডি এম হলে জোরটা কতই বাড়ে
ঠকে ঠকে মানুষ জনা বুঝছে হাড়ে হাড়ে।
এই দোকানি এই ব্যাপারী দিনটা হাতে গোন
একটু সবুর ধরলে পরে, করে দেব লোন।
থাকবি না তুই এমন রকম আসবে সুদিন তোর
সাবসিডি ও করে দেব কাটবে না তোর ঘোর।
দেন বাবুজি দেন না করে এমনি কিছু টাকা
ঘুরছি দেখুন কেমন করে পকেট খানি ফাকা।
হে হে করে হেসে ওঠেন ডি এম সাহেব শঠ
পয়সা বিনে কেমন করে কাটবে রে তোর জট।
করতে হবে অনেক হিসেব খুলতে হবে খাতা
প্রজেক্ট খানাও করতে হবে লাগবে অনেক টাকা।
গাইখানা তোর ভালোই দুধেল বেঁচলে ভালোই পাবি
কেন করিস প্যান প্যানানি খাসরে এমন খাঁবি।
টাকা হলে এমন গাই কিনিস অনেক গুলি
গাড়ি করে চলবি রে তুই রাখবি অনেক কুলি।
চরচড়িয়ে পারদ চরে গোকুল ঘোষের মনে
বলে সাহেব লোনটা দেবেন একটু সময় কমে।
গাইটি বেচে গোকুল সে ধন সাহেবেরে দিল
টাকা নিয়ে বলেন সাহেব মাংস আন এক কিলো।
আধবেলা তো গড়িয়ে গেল আর যাবনা কোথা
ম্যাকডোল আর মাংস দিয়ে আজ আয়েস করি হেথা।
ড্গমমগিয়ে উঠল গোকুল বাজার পানে ছোটে
সেই দিনেতে সাহেবের ঐ যত্ন অনেক জোটে।
গড়গড়িয়ে দিন চলে যায় ঠেকলো গিয়ে মাসে
মাসের পর মাস চলে যায় বাবুর পিছে ছুটে।
একবার নয় দুবার নয় সাহেব টাকা নিলেন কত
গাইটা হলেও দুধটা বেচে দিনটা কেটে যেত।
গাইও গেল টাকাও গেল দুস্থ হলাম আজি
বন্ধ ফোন বাড়ি গেলে গিন্নি যে তার কাজি।


ও গোকুল তুমি এবার যাও ফিরে যাও ঘর
অনেক লোকের ঠকিয়ে টাকা তিনি গড়েন গড়।
তোমার টাকায় সাহেব চড়েন দশ লক্ষের গাড়ি
তোমার টাকায় ফুর্তি করেন চড়ান বাড়ির হাঁড়ি।
পাপের ভাঁড়ার পূর্ণ হলে পরবে গালে চড়
সে চড় ওকে দেবেন গোকুল-স্বয়ং ঈশ্বর।