“করোনার পাঁচালি”


সকালে বিকালে নিও দুই ফোঁটা রোজ
গোমূত্র শুদ্ধি ভরে যে করেন ভোজ,
তার ঘর বলয়েতে করোনার রুচি
কখনো হয় না জেনো; গো মাতার শুচি।
ভক্তি ভরে গদ গদ মানবো নন্দন
উপাচারে নানবিধ না রহে বন্ধন।
কলিকালে দেবী মাতা এসেছেন নীড়ে
যারা যারা মানে নাকো ফিরে যাবে তীরে।
সেইখানে যমদূত আর চিত্র করে
হিসাবের খাতা খুলে গুণ ভাগ করে।
অতএব গোমাতায় করহ পূজন
ভক্তি ভরে দুই ফোঁটা করিও সেবন।
পাঁচালির প্রথা যথা মানিলে নরেতে
নারায়ণ সাথে রয় না মানিলে নরকে।
ভক্তি ভরে যেই জনে করে উপাচার
করোনা সেই খানে; যায় না সে দ্বার।


“হাঁক”


বিষন্নতা ভরা সকাল অবসাদে মধ্যাহ্ন ব্যথায় ভরা রাত
এক ঝটকায় বদলে গেছে জীবনের ইতিহাস।
নীরবতা গ্রাস করে অন্তর;
মন্বন্তর, দূরে নেই , আর দূরে নেই
আজ।


শিওরে সমন তাই শিউরে শিউরে উঠি ক্ষণে ক্ষণ
কে আছো জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যত;
না আজ আর তা বলতে পারা যায় না বরঞ্চ বলতে হয়,
শত্রু শিবিরে ভেদিতে নিবিরে, নীরবেতে থাকো আজ,
রুদ্ধ কারায় জীবন সঁপিতে
দিতেছি আমি যে
হাঁক।


“বিহগের কথাকলি”


আবার ও হাসবে ধরা বিহগের কথাকলি
মূর্ত প্রাণের জোয়ারে ভেসে;
শোভিত আঁচল
মেলি।