"কশাঘাত"


প্রযুক্তির শিখরে মানব জাতি নিজ আত্ম গরিমায় যথেচ্ছ ভাবে প্রকৃতি সৃষ্টি সৃজনে অমানুষিক অত্যাচার করে চলেছে। যে বনাঞ্চল শ্বাসবায়ু জোটায় সমগ্র প্রাণীকূল কে যথেচ্চভাবে সে অঞ্চল ধ্বংস করে শহর নগর কংক্রিটের জঙ্গল সৃষ্টি করে চলেছে। কল কারখানার বিষাক্ত গ্যাসে প্রাকৃতিক আবহ দূষিত হতে হতে আজ চরম পর্যায়ে উপণিত। যার ফলে ঘটে চলেছে উষ্ণায়ন। যার ফলশ্রুতিতে দুই মেরু আন্টাট্রিকা অঞ্চলে লক্ষ লক্ষ বছর জমে থাকা বরফ গলে চলেছে। একদিকে যেমন সমুদ্রের জলস্ফিতি ও বহু শহর নগর দেশের ধ্বংসের আশঙ্কা তেমনই ক্ষয়িষ্ণু সে বরফের মাঝে আজ হতে লক্ষ লক্ষ বছর আগের মৃত প্রাণীর শব অবিকৃত অবস্থায় বেড়িয়ে আসছে। তৎসহ লক্ষ লক্ষ বছর আগেকার বহু অজানা ভাইরাস যা কিনা সুপ্ত অবস্থায় ছিল উত্তাপ থেকে শক্তি সংগ্রহ করে সজাগ হয়ে উঠছে আবার। যা কিনা ধ্বংস করে দিতে পারে প্রাণীকূলের অস্তিত্ব। আর এ সকল হয়েছে মানুষের অপরিণামদর্শিতা স্বরূপ। কাজেই বলা যেতে পারে প্রকৃতি আজ তাই প্রতিশোধ নিতে উদ্যত। ধ্বংস করে দিতে চায় মানুষ কে।


ক্লান্ত ধরণী দীশাহীন আজি ক্রন্দন রোল বহে
রুধিত সোপানে করোনার গানে হলাহল ধরা বায়ে।  
দানবিক গ্রাসে গ্রাসিল মেদিনী অণু সে কণার দল
দেশ হতে দেশ ছায়িলো করাল; ব্যাপ্ত সে
হলাহল।
চকিতে হানিতে আত্মগ্লানিতে পরাভূত কুল রাজ
স্তব্ধ সে কূল বেদনা আকুল অশনিত ধরা বাজ।
আহারে বিহারে সবারে ছাড়ায়ে গ্লানিতে আছিল মত্ত
ভ্রান্ত দিশার ই প্রণয় দ্বারেতে মেতে ছিল
সোমদত্ত।
গর্ব তাহার ই আছিল আকাশ রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছল
বিরূপ সৃজন মোচনে তাহারি; প্রহারে অণুর দল।
সৃষ্টি আজিকে ক্রোধিত বুলিতে ধ্বংস প্রলয়ে মাতে
ভাঙিলো সে বাঁধ ধৈর্য তাহারি শত শত
কশাঘাতে।